10/05/2022
জনরোষ খুবই ভয়ঙ্কর। একবার সৃষ্টি হলে সহজে তা থামানো যায় না। রাজনীতির দাপট, ক্ষমতার মসনদ ও অহঙ্কার মুহুর্তেই ধ্বংস হয়ে যায়। ঐ রোষ ঘুর্ণিঝড়ের চেয়েও শক্তিশালী। মুুহুর্তেই সব তছনছ করে ফেলে। সাধারণ জনগণ ঘুমিয়ে থাকার কারণে তারা তুচ্ছতাচ্ছিল্য স্বরে কথা বলার সুযোগ পায়। জনতার শক্তি কি! আজ শ্রীলঙ্কার ঘটনায় পুরো বিশ্ববাসী দেখছে। দুর্নীতিবাজ এমপি-মন্ত্রীদের অবস্থা কুকুর, বিড়াল, শিয়ালের চেয়েও খারাপ হয়। ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র শক্তিগুলো এক হলে পৃথিবীর কোন শক্তিই তাদের দমাতে পারে না। এ ঘটনায় তা প্রমাণ করে।
সাম্প্রতিক শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি দেখে এদেশের দুর্নীতিবাজ এমপি-মন্ত্রীদের শিক্ষা নেওয়া জরুরী। ভাল হতে পয়সা লাগে না। দেশ ও দেশের মানুষের কথা ভেবে রাজনীতি করলে দুনিয়া ও আখিরাতে শান্তি পাওয়া যায়। কিন্তু দুর্নীতি করে অবৈধ টাকার পাহাড় গড়েও কোন লাভ হয় না। তাসের ঘরের মত যে কোন সময় ভেঙ্গে যেতে কতক্ষণ! তখন একুল ওকুল দুকুলই শেষ হয়। প্রকৃতপক্ষে ধন-সম্পদ মানুষকে সুখ দিতে পারে না। মানুষের মনের সুখই প্রকৃত সুখ।
শয়তান আমাদের প্রকাশ্য শত্রু। মুসলিম হয়েও দুর্নীতিবাজ এমপি-মন্ত্রীরা কুরআন-সুন্নাহর কথা বুঝতে চায় না। সবার বুঝা উচিত, দুনিয়ার লোভ-মোহ ত্যাগ করতে পারলেই প্রকৃত বাদশাহীর সুখ মিলে। যাদের ক্বলব নষ্ট হয়ে হয়ে গেছে তারা এসব কথা বুঝতে পারবে না। প্রকৃত সূফী ও আউলিয়ায়ে কিরামগণই প্রকৃত বাদশাহ্। তাই তথাকথিত দুনিয়ার রাজা, বাদশাহ্, এমপি, মন্ত্রী এমনকি পশুপাখিরাও তাঁদের কদমে লুটে পরে দুআ নেয়। কবি কত সুন্দর লিখেছেন, 'কি মুহাম্মদ সে ওয়াফা তুনেতু হাম তেরে হ্যায়, ইয়ে জাঁহা চীজ হে কিয়া লৌহ কলম তেরে হ্যায়।' অসমাপ্ত।
বি.দ্র. এ লিখা কোন সরকারকে উদ্দেশ্য করে নয়। সব দুর্নীতিবাজ নেতাদের সতর্ক করতে এ লিখা। কারণ দুনিয়াবী নেতারা জনতার মার খেয়ে ছেঁড়া কাঁথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আল্লাহপ্রদত্ত ক্ষমতার যারা অধিকারী হয় তারা দুনিয়া আখিরাত সবখানে প্রকৃত সম্মানের অধিকারী হয়ে থাকে। প্রমাণিত।