
25/07/2025
পর্দা না করার পিছনে একজন নারী চাইলে হাজারটা অজুহাত দেখাতে পারে যেমনঃ
১) শরীরে অধিক কাপড় জরালে আমার গরম লাগে, গরমে আমার সমস্যা হয়।
২) পর্দা করা না করা আমার ব্যাপার। পুরুষরা দৃষ্টি নিচু রাখলেই তো হয়। তাদের দেখতে বলছে কে..?
৩) যেখানে পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষীত হয় সেখানে পর্দা আর নারীদের কতটুকু হেফাজত করতে পারবে।
৪) বোরখা পরে হাত মোজা, পা মোজা পরলে মানুষ আমাকে দেখে হাসাহসি করে। তাই এগুলো পরতে আর ভালো লাগে না।
৫) বোরখা পরলে আমার সহপাঠী কিংবা সহকর্মীরা আমাকে জঙ্গী বলে উপহাস করে। তাই বোরখা পরবো না।
৬)মনের পর্দা বড় পর্দা। ভালো খারাপ নিজের কাছে। আমি ভালো তো জগৎ ভালো। পর্দা না করলে যে ভালো থাকা যায় না তা না।
৭) বোরখার আড়ালেও তো কতো মেয়ে খারাপ কাজ করে। আমরা মুখোশধারী শয়তান হইতে চাই না।
ইত্যদি আরো অনেক অজুহাত পর্দা না করার জন্য পেশ করা সম্ভব।
তবে বিশ্বাসী নারীদের পর্দা করার জন্য শুধুমাত্র একটা কারনই যথেষ্ট। আর তা হচ্ছে-
পর্দা করা আল্লাহর হুকুম। যা পালন করা ফরজ।
আল্লাহ পাক এরশাদ করেন,
হে নবী আপনি আপনার স্ত্রী, কন্যা এবং বিশ্বাসী মুসলিম পুরুষের স্ত্রীদের বলেন তারা যেন নিজেদের গায়ে আবরণ টেনে নেয়। এতে তারা সম্ভ্রান্ত মহিলা হিসেবে পরিচিতি পাবে এবং তাদের উত্যক্ত হওয়ার আশংকা কম থাকবে। (সূরা আল-আজহাব : ৩৩:৫৯)
রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন-
যে নারী এতো পাতলা পোষাক পরিধান করবে যে তা ভেদ করে শরীরের অবয়ব বোঝা যায় এবং যে উটের কুজের মতো মাথার কেশ বিন্যাস করবে, ঐ নারী জান্নাতের সুঘ্রান পাবে না, যা বহুদূর থেকেও পাওয়া যায়। (সহীহ মুসলিম :২১২৭, মুসনাদে আহমাদ : ৮৬৬৫)
আল্লাহ আমাদের হেদায়ত ও সহিহ বুঝ দিন, আমিন।