Johir Khan

Johir Khan Be Happy With Spread Happiness.

"আমরা কি তাহলে কিয়ামতের খুবই কাছে...!!!!!"~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~রাতে ভাত খেয়ে ঘুমিয়েছিল মেয়েটা। পাশের রুমে বাবা-...
16/05/2025

"আমরা কি তাহলে কিয়ামতের খুবই কাছে...!!!!!"
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
রাতে ভাত খেয়ে ঘুমিয়েছিল মেয়েটা। পাশের রুমে বাবা-মাও ছিল। তারপর মধ্যরাতের দিকে বাবা-মা জান্নাতী, জান্নাতী বলে মেয়েটাকে ডেকে তুলে।

ঘুম থেকে তুলে বলে একটু বাইরে বের হব চল।

মেয়েটা ঘুমঘুম চোখে অবাক হয়। এতরাতে কোথায় যাবে জিজ্ঞেস করতে থাকে। বাবা-মা কোন প্রকার উত্তর না দিয়েই বাইরে যাওয়ার জন্যে জোর করতে থাকে।

যেহেতু বাবা-মা বলছে তাই মেয়েটা আর না করে না। চোখে ঘুম আর কৌতূহল নিয়েই বের হয় তাদের সাথে।

কিছুদূর যাওয়ার পরই মেয়েটা লক্ষ্য করে তার চাচি শাহিনা বেগমও তাদের সাথে যাচ্ছেন। মেয়েটা মনে করেছিল হয়তো সবাই একসাথে কোন দরকারি কাজে যাচ্ছে।

কিন্তু কিছুদূর যাওয়ার পরই মেয়েটা খেয়াল করে তার বাবা-মা বসতবাড়ির রাস্তা ছেড়ে কৃষি জমির দিকে যাচ্ছে।

মেয়টা অবাক হয়েই জানতে চেয়েছিল তারা এখানে কেন এসেছে। কিন্তু বাবা-মা আর চাচি তাকে চুপ করে থাকতে বলে। মেয়েটার চোখেমুখে তখনও ঘুমঘুম ভাব ছিল।

কিছুক্ষণ পরই তারা একটা ভুট্টা ক্ষেতের কাছাকাছি আসে। এখানে এসেও কৌতূহলী হয়ে বাবা-মা আর চাচিকে জিজ্ঞেস করতে চেয়েছিল তারা এত রাতে এখানে কেন এসেছে।

কিন্তু তার আগেই পেছন থেকে জান্নাতীর হাত এবং মুখ জাপটে ধরে, যাতে চিৎকার করতে না পারে। তারপর মাথায় এবং শরীরে রড দিয়ে জোরে অঘাত করে।

মেয়েটা ছুটে দৌড় দিতে চেয়েছিল কিন্তু আকস্মিক আঘাতের কারণে আর পারে না।

তারপর বাবা-মা এবং চাচি শাহিনা বেগম মিলে ধারালো দা দিয়ে কোপাতে থাকে মেয়েটাকে। মেয়েটা তখন অনেকটাই নিস্তেজ, তীব্র যন্ত্রণায় গোঙ্গাচ্ছিল শুধু।

তিনজন মিলে অনবরত কোপাতে থাকে মেয়েটাকে, চারদিকে র*ক্ত ছড়িয়ে পড়ে। অতঃপর সেখানেই মারা যায় মেয়েটা।

পূর্ব পরিকল্পনায় অংশ হিসেবে বাবা-মা এবং চাচি মিলে মেয়েটাকে মেরে ওই ভুট্টা খেতেই রেখে চলে আসে। এ ঘটনা শনিবারের।

পরদিন সকালে স্থানীয় কৃষকেরা যখন জমিতে কাজ করতে যায় তখন সেখানে জান্নাতীর লা*শ দেখতে পায়।

লা*শ দেখতে পেয়ে খোঁজ দেয় বাবা-মাকে। তারা এসে কতক্ষণ কান্নাকাটির নাটক করে যাতে কেউ বুঝতে না পারে।

তারপর মেয়ের চাচা এবং বাবা-মা মিলে প্রতিবেশী ২৭ জনের নামে মামলা করে। তারপর পুলিশ তাৎক্ষণিক সেই প্রতিবেশীদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।

কিন্তু পুলিশ কিছুতেই সুরাহা করতে পারছিল না। সবাই অস্বীকার করছিল। পুলিশ আরও জোর দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে কিন্তু কাজ হয় না।

এর দুইদিন পর পুলিশ লাশের ময়নাতদন্ত করে কিছু ক্লু পায়। সেই ক্লু ধরে পুলিশ মেয়েটার বাবা-মা এবং চাচা চাচিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যে থানায় নিয়ে আসে।

তারা থানায় এসেই ওই প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে থাকে এবং তাদেরকে ফাঁসি দিতে বলে।

বাবা-মা বারবার বলতে থাকে আমার মেয়েটাকে ওই প্রতিবেশীরাই মিলে মেরেছে। কিন্তু পুলিশ সেই কথায় পাত্তা না দিয়ে তাদের স্বাভাবিক ইনভেস্টিগেশন চালিয়ে যেতে শুরু করে।

একপর্যায়ে যখন জোরলো জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে এবং ক্লু গুলো সামনে নিয়ে আসে তখন চাচি শাহিনা বেগম পুলিশের কাছে স্বীকার করে ফেলে যে তারাই মেয়েটাকে শনিবার রাতে মেরেছে।

বাবা-মা তখনও স্বীকার করেনি। কিন্তু চাচি শাহিনা বেগমের স্বীকারোক্তির পর বাবা-মা ও বুঝে যায় বাঁচার আর কোন পথ নেই।

তারপর মেয়েটার বাবা জাহিদুল ইসলাম এবং মা মোর্শেদা বেগমও স্বীকার করে যে তারা তিনজন মিলেই মেয়েটাকে নির্মমভাবে মেরেছে।

তারপর মারার কারণ জিজ্ঞেস করায় তারা জানায়- প্রতিপক্ষ প্রতিবেশীদের ফাঁসাতেই তারা নিজ মেয়েকে মেরেছে।

প্রতিবেশীদের সাথে তাদের একটা ৩২ বিঘা জমি নিয়ে ঝামেলা চলছিল বহুদিন ধরেই। তাই চাচি শাহিনা বেগম তাদেরকে প্ল্যান দিয়েছিল নিজ মেয়েকে মেরে ওই জমিতে রেখে আসতে।

তারপর তারা মামলা করবে প্রতিবেশীদের নামে।

এতে করে মামলায় প্রতিবেশীদের জেল হলে তারা সহজেই ৩২ বিঘা জমিটা দখল দিয়ে নিজেদের করে নিতে পারবে।

এজন্যেই তারা ২৭ জন প্রতিবেশীর নামে মামলা করেছিল যাতে ওই পরিবারের সবার জেল হয়।

এ স্বীকারোক্তি গুলো কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইন চার্জ মো. হাবিবুল্লাহ সংগ্রহ করেছেন এবং ভেরিফাই করে সত্যায়িত করেছেন।

তাছাড়া মেয়েটাকে কিভাবে কিভাবে মারা হয়েছিল সে ঘটনার স্বীকারোক্তিও বাবা-মায়ের কাছ থেকেই পুলিশ নিয়েছে।

জান্নাতী মেয়েটার বয়স খুব বেশি না, ১৫ বছর বয়স মাত্র। পড়াশোনা করত ক্লাস নাইনে।

গ্রামের সবাই এ ঘটনায় খুবই অবাক হয়েছে এবং মেয়েটার জন্যে শোকাহত হয়ে কেঁদে কেঁদে বলছিল- মেয়েটার আচার ব্যবহার খুবই ভালো ছিল।

মেয়েটার স্কুলের শিক্ষক এবং সহপাঠীরাও জানিয়েছে- মেয়টা পড়াশোনায় অনেক ভালো ছিল। বেঁচে থাকলে সামনের বছরই এসএসসি পরীক্ষা দিতো। হয়তো ভালো একটা রেজাল্টও করতো।

আমাদের চারপাশে কতশত দম্পতির সন্তান হয়না বিধায় এ হসপিটাল থেকে ও হসপিটালে দৌড়াদৌড়ি করে দিন পার করে। একটা সন্তানের জন্যে কত হাহাকার করে।

অথচ সামান্য কিছু জমির জন্যে নিজ বাবা-মা আর চাচির হাতেই খুন হতে হলো হাসিখুশি মেয়ে জান্নাতির····!!!!!!
-
সানী‘র ওয়াল থেকে

12/05/2025
ভুলে যাইয়েন না আমাকে।🥲
10/05/2025

ভুলে যাইয়েন না আমাকে।🥲

ফ্রান্স ১৯১৭ সালে চাদ দখলের সময় ৪০০ মুসলিম আলেমকে একত্র করে  গলা কে/টে হ/ত্যা করেছিল। ১৮৫২ সালে যখন তারা আলজেরিয়ার লগওয়...
28/04/2025

ফ্রান্স ১৯১৭ সালে চাদ দখলের সময় ৪০০ মুসলিম আলেমকে একত্র করে গলা কে/টে হ/ত্যা করেছিল। ১৮৫২ সালে যখন তারা আলজেরিয়ার লগওয়াত শহরে প্রবেশ করে, তখন একটি রাতেই শহরের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মে/রে ফেলেছিল।

১৯৬০ থেকে ১৯৬৬ সালের মধ্যে ফ্রান্স আলজেরিয়ায় ১৭টি পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়, যার ফলে কত মানুষ মারা গেছে তার সঠিক হিসাব আজও অজানা। আনুমানিক ২৭,০০০ থেকে ১ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে বলে ধারণা করা হয়। আজও এর প্রভাব সেখানে অনুভূত হচ্ছে।

১৯৬২ সালে যখন ফ্রান্স আলজেরিয়া ত্যাগ করে, তখন তারা পেছনে রেখে যায় ধ্বংসের বীজ। পুরো আলজেরিয়ার জনগণের সংখ্যার (১ কোটি) চেয়েও বেশি ভূমিমাইন তারা সেখানে পুঁতে রাখে।

ফ্রান্স আলজেরিয়াকে ১৩২ বছর ধরে শাসন করেছে। প্রথম ৭ বছরে তারা ১০ লাখ মুসলমানকে হ/ত্যা করে, আর শেষ ৭ বছরে বিদায়ের আগে মেরে ফেলে আরও ১৫ লাখ মানুষকে।

ফরাসি ইতিহাসবিদ জ্যাক গোরকি হিসেব করে দেখিয়েছেন—১৮৩০ সালে আগমনের পর থেকে ১৯৬২ সালে বিদায় পর্যন্ত, আলজেরিয়ায় ফ্রান্সের হাতে মোট ১ কোটি মুসলমান শহীদ হয়েছেন।

তারা তিউনিসিয়াকে শাসন করেছে ৭৫ বছর, আলজেরিয়াকে ১৩২ বছর, মরক্কোকে ৪৪ বছর এবং মৌরিতানিয়াকে ৬০ বছর।

এছাড়া, বিখ্যাত মিশর অভিযানকালে ফরাসি সৈন্যরা মসজিদে ঘোড়া নিয়ে ঢুকেছিল। তারা নারীদের পরিবারের সামনেই ধ/র্ষণ করেছিল, মসজিদে বসে মদ পান করেছিল, এমনকি কিছু মসজিদকে ঘোড়ার আস্তাবল বানিয়ে ফেলেছিল।

তারপর আজ তারা বলে ইসলাম সন্ত্রা/সের ধর্ম, আর আমাদের প্রিয়নবী (সা.) নাকি সন্ত্রা/সের নেতা!

অথচ এই ইতিহাস জানার পরও কিছু মুসলিমকে দেখা যায় ‘ফ্রান্সের সভ্যতা’ নিয়ে গর্ব করতে, তাদের পক্ষ নিয়ে কথা বলতে!

-- সাইফুল খান

ছবি যখন কথা বলে একদিন হাশরের ময়দানে বিচার হবে 🤲😭
23/04/2025

ছবি যখন কথা বলে একদিন হাশরের ময়দানে বিচার হবে 🤲😭

আজকের সেরা পোস্ট
20/04/2025

আজকের সেরা পোস্ট

পারভেজ নামের এই ছেলেটি তার নিজের ক্যাম্পাসে খুন হয়েছে আজ।  ক্যাম্পাসের সামনে পারভেজ তাঁর দুই বন্ধুকে নিয়ে শিঙাড়া খাচ্ছিল...
20/04/2025

পারভেজ নামের এই ছেলেটি তার নিজের ক্যাম্পাসে খুন হয়েছে আজ।

ক্যাম্পাসের সামনে পারভেজ তাঁর দুই বন্ধুকে নিয়ে শিঙাড়া খাচ্ছিল। সেখানে দুই নারী শিক্ষার্থীও দাঁড়িয়ে ছিলেন। তারা মনে করে ওরা তাদেরকে নিয়ে হাসাহাসি করছে।

তাই তারা কাউকে খবর দেয়। খুব সম্ভবত বয়ফ্রেন্ড হবে। ক্যাম্পাসের বাইরের তিনটা ছেলে এসে পারভেজদের কাছে হাসাহাসির কারণ জানতে চাইলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা বিষয়টি মিটমাট করে দেন। কিন্তু ঐ তিন যুবক আরও কয়েকজনকে নিয়ে এসে পারভেজ ক্যাম্পাস থেকে বের হতেই তাঁকে ছুড়িকাঘাত করে।

একটা ছুড়ির আঘাত ঠিক হৃদপিণ্ডের উপর পড়ে। এক ইঞ্চির একটা ক্ষত! মারা যায় পারভেজ। একেবারে তুচ্ছ একটা ঘটনায় খুন হয় ছেলেটা। প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত সে।

পারভেজ যখন ইন্টারে পড়ত, ময়মনসিংহের টাউন হলের পাশেই একটা মেসে থাকত সে। রয়েল মিডিয়া কলেজের ছাত্র ছিল। কী হাসিখুশি নির্মল একটা ছেলে। সালাম দিয়েই যেন হেসে নুয়ে যেত! এই হাসিই তার জন্য কাল হলো!

এই হত্যা ক্ষমতা প্রদর্শনের হত্যা, দর্প প্রদর্শনের হত্যা। এই জঘন্যতম হত্যার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করুন। ভিডিও ফুটেজ আছে, অসংখ্য প্রত্যক্ষদর্শীর সামনে সে খুন হয়েছে। এখনও খুনী কেন গ্রেফতার হয় নি?

Address

Feni
3860

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Johir Khan posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Johir Khan:

Share

Category