GolpoGraphie

GolpoGraphie Write. Feel. See

Instagram: GolpoGraphie
(1)

অজানা সন্ধ্যা _________________________________ডিসেম্বর, ২০২১। শীতের ঘন কুয়াশায় ঢাকা এক বিকেল। আমি তখন ক্লাস সেভেনে পড...
13/06/2025

অজানা সন্ধ্যা
_________________________________

ডিসেম্বর, ২০২১। শীতের ঘন কুয়াশায় ঢাকা এক বিকেল। আমি তখন ক্লাস সেভেনে পড়ি। মামার বিয়ে উপলক্ষে নানাবাড়িতে ছুটি কাটাতে এসেছি। চারদিকে উৎসব, আলো, মানুষের হাসি — যেন সময় থেমে আছে আনন্দে।

কিন্তু আনন্দের আড়ালে লুকিয়ে ছিল এক অজানা সন্ধ্যার ডাক….

বিয়ের কোলাহল শেষে একদিন আমি আর আমার ফুফাতো ভাই সাইফুল বের হলাম গ্রামের পথ ধরে। পুরনো একটা সাইকেল নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিলাম—গ্রাম ঘোরার অজুহাতে একটু দূরে যেতে ইচ্ছা করছিল। দিনের শেষ আলো তখন ধীরে ধীরে নেমে আসছে।

আমরা পৌঁছালাম একটা পরিচিত জায়গায়—উপজেলার সবচেয়ে বড় কবরস্থান। কবরস্থানের দুই প্রান্ত দিয়ে চলে গেছে দুটো রাস্তা—একটি উত্তর দিকে, একটি দক্ষিণে। আমরা উত্তর দিক ধরে এগিয়ে গেলাম, পরিকল্পনা ছিল দক্ষিণ দিক দিয়ে বাড়ি ফিরব।

সেই সময়টা ছিল আসরের আজান শেষ হওয়ার কিছু পরে। কিন্তু শীতকাল বলে সন্ধ্যা যেন ছুটে আসছে পেছন থেকে, ধীরে ধীরে চারদিকের আলো নিভে আসছিল।

আমরা গোরস্থানের পাশ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে একসময় বুঝতে পারলাম—আমরা ভুল পথে ঢুকে পড়েছি। স্থানীয় এক লোককে জিজ্ঞেস করে সঠিক দিক জেনেও আমরা যেন কোনো অদৃশ্য টানে এগিয়ে চলেছি ভুল দিকে...

চারদিক নিস্তব্ধ, এমনকি বাতাসটাও থেমে গেছে। হঠাৎই শুরু হলো ঝিঁঝিঁ পোকার পাগল করা শব্দ। আমাদের পায়ের নিচে শুকনো পাতার মচমচ শব্দ যেন অনেক বড় কিছুর আগমনের পূর্বাভাস।

আমরা তখন বুঝতে পারি আমরা গোরস্থানের মাঝ বরাবর। একদিকে দাফন হওয়া মানুষের শান্ত কবর, অন্যদিকে আমাদের হৃদকম্পন। চারদিকের বাতাস ঠান্ডা, অথচ আমাদের শরীর ভেজা ঘামে। মনে হচ্ছিল, কারো দৃষ্টি আমাদের পেছনে লেগে আছে। কেউ হাঁটছে আমাদের সাথেই... কিন্তু কাউকে দেখতে পাচ্ছি না।

ঝাপসা আলো, হঠাৎ নিঃশ্বাসের শব্দ, মাঝে মাঝে শুকনো গাছের পাতায় হালকা চপচপ আওয়াজ...

১৫–২০ মিনিট পার হয়ে গেল। আমরা হেঁটে চলেছি, কিন্তু যেন বেরোনোর রাস্তা আর নেই। চারপাশ কবরের দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

আমরা হাঁটতে হাঁটতে আমাদের খোঁজ করা সেই মাটির রাস্তায় পৌঁছালাম — যেখানে মুহুরী নদী কবরস্থানের পাশে নিঃশব্দে বয়ে যাচ্ছে। তার ধার ঘেঁষে ফেরার সেই দক্ষিণ দিকের পথ।
ঠিক তখনই ভেসে এলো মাগরিবের আজান।

কিন্তু আজানটাও ছিল অদ্ভুত। যেন অনেক দূর থেকে আসছে, শব্দে কোনো ভারী ক্লান্তি, হাহাকার। কানে বাজতেই শরীরে কাঁপুনি।চারপাশে মাগরিবের আযানের সুর ভেসে আসা বন্ধ হলো।

আমরা দৌড়ে বাড়ি ফিরি।

তবে আমাদের যাত্রা সেখানেই শেষ হয়নি। সেদিন রাতেই শুরু হয় নতুন আতঙ্ক — পেটে তীব্র ব্যথা, শরীর দুর্বল, বারবার বমি আর ডায়রিয়া। ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হলেও পেট ব্যাথা ভালো হলো না।

তিনদিন পরও যখন সুস্থ হই না, তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আমাদের একজন বুযুর্গ হুজুরের কাছে নিয়ে যাওয়ার। তিনি চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ কিছু একটা পড়লেন। তারপর বললেন:

“ওদের ওপর খারাপ চীনের প্রভাব পড়েছে।”

তিনি দোয়া পড়ে ফুঁ দিলেন, পানি দিলেন। কিছুদিনের মধ্যে আমরা সুস্থ হই।

কিন্তু আজও যখন কুয়াশা নেমে আসে, বা মাগরিবের ওয়াক্তে ঝিঝিঁ পোকা ডাকে — আমার মনে পড়ে সেই রাস্তাটা। কবরস্থানের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাওয়া সেই যাত্রা, যেটা আমরা শুরু করেছিলাম নিজের ইচ্ছায়, কিন্তু শেষ করেছিলাম কারো অজানা ইশারায়।

__________________________________________
© GolpoGraphie 2025 | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
এই গল্পের সমস্ত স্বত্ব GolpoGraphie কর্তৃক সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যতীত আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে অনুলিপি, পুনঃপ্রকাশ বা ব্যবহার আইনত দণ্ডনীয়।
__________________________________________
📜 Disclaimer:
"অজানা সন্ধ্যা" গল্পটি একটি ভৌতিক থিমভিত্তিক সাহিত্যকর্ম, যা লেখকের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, লোকবিশ্বাস এবং কল্পনার মিশ্রণে নির্মিত।

গল্পের সূচনালগ্নের বাস্তবিক পরিপ্রেক্ষিত সত্য ঘটনাপ্রবাহ দ্বারা অনুপ্রাণিত হলেও, পরবর্তী অতিপ্রাকৃত ঘটনা ও অলৌকিক উপাদানগুলো সম্পূর্ণরূপে লেখকের কল্পনাপ্রসূত এবং সাহিত্যিক রচনার অংশ।

এই গল্পের উদ্দেশ্য পাঠকের মনে ভয়, কৌতূহল ও আবেগের সাড়া জাগানো—এতে কোনো ধর্মীয়, সামাজিক বা বাস্তবিক অনুভূতিতে আঘাত করার অভিপ্রায় নেই।

GolpoGraphie কেবলমাত্র সাহিত্যিক ও বিনোদনমূলক চেতনাকে প্রাধান্য দেয়।

#লেখালেখি #ভৌতিক #গল্প #হরর #কবর #কবরস্থান #জিন #জ্বীন

ছায়া-অতিথি(বাস্তব ও অলৌকিকতার এক ভয়ানক গল্প)প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদের ছুটিতে রহিম তার মা ও ছোট ভাই রাজুকে নিয়ে গ্রামের ...
12/06/2025

ছায়া-অতিথি
(বাস্তব ও অলৌকিকতার এক ভয়ানক গল্প)

প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদের ছুটিতে রহিম তার মা ও ছোট ভাই রাজুকে নিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিল। শহরের ব্যস্ততা থেকে মুক্তি পেতে, ঈদের আনন্দ পরিবারের সান্নিধ্যে কাটাতে তারা একটি সিএনজিতে চেপে রওনা দেয়। তবে এবার তাদের সঙ্গে ছিল আরেকটি অতিথি—একটি বিড়াল।
বিড়ালটি রহিমের অনেক দিনের স্বপ্ন। বন্ধু মারুফের কাছ থেকে পাওয়া এই সাদা-ধূসর রঙের বিড়ালটি নিয়ে রহিম যেন নিজের শৈশবের অপূর্ণ ইচ্ছাটুকু পূরণ করছিল। যদিও তার মা প্রথমে রাজি হননি, শেষমেশ অনেক অনুনয়ের পর বিড়ালটি বাসায় আনার অনুমতি মিলেছিল।

রওনা দেয়ার সময় বিড়ালটিকে একটি ঝুড়িতে করে বহন করছিল রহিম। কিন্তু ঝুড়ির ঢাকনা ভালোভাবে বন্ধ না থাকায় হঠাৎ করেই বিড়ালটি বেরিয়ে আসে। সিএনজির পিছনের সিটে রহিম, রাজু ও মা বসা—তার উপর আবার ব্যাগে ঠাসা জায়গা। বিড়ালটি হঠাৎ ডাকাডাকি- নখ দিয়ে আচড়ানো শুরু করলো। ভয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় রহিম একটি মুহূর্তের উত্তেজনায় বিড়ালটিকে সিএনজি থেকে ফেলে দেয়।ভেবেছিল গাড়ি থেমে যাবে, বা বিড়ালটা পাশেই থাকবে। কিন্তু বিড়ালটি সড়কে পড়ে সঙ্গে সঙ্গেই উঠে দৌড়ে কোথায় যেন চলে যায়।

রহিমের গলা শুকিয়ে আসে, মনটা ভারী হয়ে ওঠে। সে কিছুই বলতে পারে না। পরিবার কিছু বুঝতে পারে না, আর গাড়িও থামে না।

প্রায় এক ঘণ্টা পর তারা গ্রামে পৌঁছায়। কিন্তু রহিমের মন বিড়ালের কথায় পড়ে থাকে। রাতে ঘুমাতে গিয়ে তার শরীর গরম হতে থাকে, মধ্যরাতে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। কেউ কিছু বুঝতে পারে না।

ঈদের দিনেও তার জ্বর কমে না। পরে দেখা গেল, তার মুখ শুকিয়ে যাচ্ছে, চোখের নিচে কালি, হাঁটতে পারে না।পরিবারের লোকজন তার আচরণে অবাক হয় কারন সে ঘুমের মধ্যে বলতে থাকে –
“আমার পাশে বিড়ালটা বসে থাকে... চোখ দুটো যেন জ্বলছে… সে কথা বলছে আমার সাথে…”

তাকে ফিসফিস করে কিছু বলছে—

"আমায় ফেলে গেলে কেন?"
"আমি তো মরতে চাইনি…"

তার নানী ও মা চিন্তিত হয়ে তাকে একজন হুজুরের কাছে নিয়ে যান।সাথে তার মামাও যান। হুজুর কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে থাকেন, তারপর বলেন,

“তাকে এক বিড়াল-আকৃতির জিন তাড়া করে বেড়াচ্ছে। সে মৃত—তবে মাটিতে আশ্রয় পায়নি। তাই তার ছায়া এখন রহিমের শরীর ঘিরে রেখেছে।”

হুজুর রহিমের পুরো ঘটনা শোনেন। মামা জানান, বিড়ালটি পড়ার পর দৌড়ে পালিয়েছিল। হুজুর বলেন,
“এই আত্মা এখন মুক্ত নয়। যদি মৃতদেহ পাওয়া যায়, তবে মাটিচাপা দিতে হবে। তাহলেই মুক্তি মিলবে।”

পরদিন তার মামা শহরে ফিরে গিয়ে আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খুঁজতে থাকেন। অবশেষে এক ফুটেজে দেখা যায় বিড়ালটি এক বাড়িতে ঢুকেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেখানকার একজন লোক কিছুদিন বিড়ালটিকে খেয়াল করছিল। কিন্তু একদিন অসাবধানতায় বিড়ালটি ট্রাকের নিচে পড়ে মারা যায়। লোকটি মৃতদেহটি একটি ডোবার পাশে ফেলে দেয়।

মামা সেই লোকটিকে নিয়ে ডোবার পাশে যান । হুজুর সেখানে এসে বলেন:

"এটিকে মাটিতে পুঁতে দিতে হবে। তার ছায়া এখনো রয়ে গেছে…"

তারা একটি ফাঁকা জায়গায় বিড়ালটির পঁচা মৃতদেহকে সাবধানে কবর দেয়। তবে মাটিচাপা দেয়ার সময় পরিবেশ ছিল অদ্ভুত নীরব। পেছনে কেবল বাতাসে বিড়ালের কাতর এক শব্দ কানে শুনতে পাচ্ছে রহিম —

"...শেষে আমাকে মাটি দিলেই হলো?"

এরপর থেকে রহিম ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠে। তবে রাতে ঘুমানোর সময় এখনো মাঝেমধ্যে তার মনে হয়, কেউ পাশে এসে ফিসফিস করে—

"তুমি তো আমায় ভালোবাসতে… আমায় ফেলে দিলে কেন?”

__________________________________________
© GolpoGraphie 2025 | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
এই গল্পের সমস্ত স্বত্ব GolpoGraphie কর্তৃক সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যতীত আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে অনুলিপি, পুনঃপ্রকাশ বা ব্যবহার আইনত দণ্ডনীয়।
__________________________________________
📜 Disclaimer:
"ছায়া-অতিথি" একটি ভৌতিক থিমভিত্তিক কাহিনি যা আংশিকভাবে বাস্তব ঘটনাপ্রবাহ দ্বারা অনুপ্রাণিত এবং আংশিকভাবে কাল্পনিক উপাদানে গঠিত।
গল্পের প্রথমাংশের ঘটনাগুলো বাস্তব জীবন থেকে নেওয়া হলেও, পরবর্তী ভৌতিক ও অতিপ্রাকৃত অংশগুলো লেখকের কল্পনার ফসল, যা পাঠকের অনুভূতি ও কৌতূহল জাগাতে নির্মিত।
এই গল্পের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র সাহিত্যিক বিনোদন; এর সাথে কোনো ধর্মীয়, সামাজিক বা বাস্তবিক আঘাত দেওয়ার অভিপ্রায় নেই।
__________________________________________

06/06/2025

🌙✨
ঈদ মোবারক
GolpoGraphie - এর পক্ষ থেকে হৃদয়ের গভীরতম প্রান্ত থেকে জানাই পবিত্র কোরবানির ঈদের আন্তরিক শুভেচ্ছা।

এই ঈদ হোক আত্মত্যাগে মহিমান্বিত, হোক বিশ্বাসে গভীর, ভালোবাসায় অটুট।
প্রিয়জনের মুখে হাসি ফোটানোর মাঝেই লুকিয়ে থাকে ঈদের আসল আনন্দ।
হৃদয়ের যে অনুভব কোনো গল্পে পুরে রাখা যায় না, সেই অনুভবেই জড়িয়ে থাকুক এই ঈদের প্রতিটি মুহূর্ত।

আসুন, কোরবানির এই মহৎ শিক্ষায় নিজেদের পরিশুদ্ধ করি—
স্বার্থ নয়, উৎসর্গ হোক জীবনের শ্রেষ্ঠ সৌন্দর্য।

📖 গল্প যেমন হৃদয় ছুঁয়ে যায়, তেমনি ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক আপনজনের মাঝে…
GolpoGraphie রইলো আপনাদের পাশে, গল্পে ও জীবনে।

ঈদ মোবারক!
🌸🐐🕌

ছায়া:০১গভীর সন্ধ্যার বিভীষিকা (সত্য ঘটনা অবলম্বনে) অন্ধকার ঘনিয়ে আসলো চারপাশে। চারদিক নিস্তব্ধ, শুধু ভেসে আসছে মাগরিবের...
02/06/2025

ছায়া:০১
গভীর সন্ধ্যার বিভীষিকা (সত্য ঘটনা অবলম্বনে)

অন্ধকার ঘনিয়ে আসলো চারপাশে। চারদিক নিস্তব্ধ, শুধু ভেসে আসছে মাগরিবের আজানের সুর। সেই মূহূর্তেই রূপালী তার ছোট ভাই রাজুকে কোলে নিয়ে ঘর থেকে বের হয়। উদ্দেশ্য—মুরগির খোপ ভালোভাবে আটকানো আর সব মুরগি ঠিক আছে কিনা দেখে নেওয়া।

মাটিতে পড়ে থাকা শুকনো পাতা খচখচ করে উঠছিল রূপালির পায়ে পড়ে। সে খাঁচার দিকে এগিয়ে গেল। এক হাতে রাজুকে আঁকড়ে ধরে, অন্য হাতে সে তাদের খোপের একটি মুরগিকে উঠিয়ে দেখতে গেল সে আজ কয়টি ডিম পেরেছে। কিন্তু মুরগিটা জোরে ডেকে উঠল!

রাজু রূপালির কোলে, সেই তীব্র ডাকের সঙ্গে সঙ্গেই তার মুখটা ফ্যাকাসে হয়ে গেল। সে চিৎকার করে কেঁদে উঠল, এমনভাবে যেন সে কিছু দেখে ফেলেছে—কিছু ভয়ঙ্কর, অশরীরী! তার দৃষ্টিতে এক ভয়াবহতা, কণ্ঠে আতঙ্কের কম্পন!

রূপালী বুঝে উঠতে পারলো না কী হলো, দ্রুত রাজুকে নিয়ে ঘরে ফিরে এলো। কিন্তু কান্না থামছে না। একটানা দুই-তিন ঘণ্টা কেঁদে কেঁদে সে যেন ক্লান্ত, কিন্তু চোখে যেন এক অজানা আতঙ্ক। সে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে বিছানার পাশের দেয়ালের এক কোণে।

মা তখন বুঝলেন, ছেলের চোখে কিছু পড়েছে—কিছু অশুভ। তিনি বললেন, “মাগরিবের সময়, আর রাজু তো ছোট—হয়তো খারাপ কিছুর বাতাস লেগে গেছে।”

রাত গভীর হয়। চারদিকে সুনসান নীরবতা। বাড়িতে আর কেউ নেই। বড় ভাই রহিম ঢাকা গেছে এডমিশনের জন্য। মা সারারাত জেগে বসে রইলেন ছেলের পাশে। রাজুর শরীর ক্লান্ত, কিন্তু আতঙ্ক এখনো তার চোখে ভাসে।

পরদিন ভোরে মা পরিচিত এক হুজুরকে ফোন দিলেন। হুজুর বললেন, “রাতে জানাবো।” দিন গড়িয়ে যায় এক অজানা উদ্বেগে। রাত নামতেই হুজুর ফোন দিলেন। মা হুড়োহুড়ি করে ফোনটা ধরলেন।

হুজুর বললেন, “আপনার ছেলের উপর খারাপ জিনের ছায়া পড়েছে। সে এক প্রকার দৃষ্টি সৃষ্টি করেছে দেয়ালের কোণায়—a strange, pale light—যা রাজু ছাড়া কেউ দেখতে পাচ্ছে না।”

মা শিউরে উঠলেন। “তাহলে এখন কী করবো?”

হুজুর বললেন, “বাড়িতে বন্দিশা করতে হবে। এই জিন খুবই খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছে। আপনার ছেলেকে কাবু করতে চাইছে।”

পরদিন সন্ধ্যায় হুজুর এলেন মাদ্রাসার কিছু হাফেজ নিয়ে। তারা সারা বাড়ি ঘুরে ঘুরে আজান দিলেন। হুজুর বিশেষ কিছু দোয়া পড়ে তাবিজ বোতলে পুরে ঘরের চারপাশে ঝুলিয়ে দিলেন। কিছু সাদা বালির মতো কিছু একটা ঘরের কোণায় কোণায় ছিটিয়ে দিলেন।

গভীর এক রহস্যময় পরিবেশ তৈরি হলো। মনে হচ্ছিল, যেন বাতাসও থমকে গেছে!

সেই রাতেই আশ্চর্যজনকভাবে রাজু আর একটুও কাঁদলো না। গভীর ঘুমে তলিয়ে গেল তার মুখে এক অপার্থিব প্রশান্তি নিয়ে।

আজ প্রায় ছয়-সাত বছর পেরিয়ে গেছে। রাজু এখন প্রাইমারিতে পড়ে। হয়তো রাজুর আজ সেই রাতের কথা মনে নেই । কিন্তু মা আজও সেই রাতের গল্প বলেন আমাদের। তার কণ্ঠে কাঁপন থাকে, চোখে ছায়া পড়ে সেই বিভীষিকার। আমাদের শরীরেও তখন কাঁটা দিয়ে উঠে।

কারণ কিছু গল্প গল্প নয়—সেগুলো অন্ধকারের ছায়ায় লেখা এক বাস্তব অভিজ্ঞতা।

01/06/2025

রোজ রাতেই আমি টের পাই
আমার মেয়ে রাতে টুনুর টুনুর করে
ফোনে কথা বলে।

আমি ওর রুমে গেলেই
একেবারে চুপ হয়ে ঘুমের ভান ধরে
মরা ব্যাঙ্গের মতো পড়ে থাকে।

আমি ওর মা
আমিও এমন করে ওর বাপের সাথে প্রেম করতাম।
তখন ফোন ছিলো না,
রাতে আমরা চিঠি আদান-প্রদান করতাম।

আমার আব্বারে দেখলে আমিও মরা ব্যাঙের মতো পড়ে থাকতাম।

আমি ভাবলাম কিছু একটা করতে হবে।
আব্বা আমার কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলো।

তাই আমি পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে ছিলাম

কিন্তু এই ডিজিটাল বাংলার মা আমি -
আমাকে এসব করা চলবে না

টেকনিক করে সমাধান দিতে হবে! যেন লাঠি না ভাংঙ্গে সাপ যেন মরে হিহিহি

মেয়ে যখন ওয়াশ রুমে গেলো
ওর ফোনটা নিয়ে দেখলাম!

বাহ রিসিভ কল ভর্তি হয়ে আছে
একটি নাম্বার ০১৭৯০৫৮
আর তা #জান নাম দিয়ে সেভ করা।

সুন্দরভাবে ওই নাম্বারটা টুকে নিলাম।

ব্যাস!
রান্নাঘরে গিয়ে ওই নাম্বারে মেসেজ দিলাম,

জান আমি রেনু, এটা আমার নতুন নাম্বার।

আগের নাম্বারে ভুলেও কল দিবা না।
ওটা মায়ের কাছে।

আগের নাম্বার ব্লক লিস্টে দাও এখনি।
এখন থেকে মেসেজিং করবো।
মা টের পেয়েছে সব
তাই কিছুদিন কথা বলা যাবে না

ওপাশ থেকে টং করে ফেরত মেসেজ আসলো,
আচ্ছা জান! ❗
কি করছো সোনা?❓

মনে মনে ভাবলাম,
তোরে একবার হাতের নাগালে পাই
সোনা পুড়ে তামা বানামু।

আমি মেসেজ দিলাম,
কিছু না জান,
মন খারাপ।
এভাবেই আমাদের মেসেজিং চলতেই রইলো,

প্রায় ৫ দিনের মাথায়
আমি ভোর রাতেও বারান্দায় গিয়ে মেসেজিং করতাম।
আমার বর মহাশয় ইদানিং
আমার দিকে কেমন সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকায়!
তাতে কিছুই যায় আসে না।

আমার কাছে মেয়ের লাইফ আগে।
আমি কিছুদিন মেসেজিং করলে
আমার মেয়ে এইদিক থেকে
ওই ছেলেকে ভুলে যাবে।
ইদানিং আমার মেয়েকেও মন মরা দেখি।

নাম্বার ব্লক লিস্টে দিয়েছে তাই!

যাক, অবশেষে আমি ভাবলাম
আমি সেই ছেলের সাথে দেখা করি।
ওকে গিয়ে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসবো ।

তাহলে আমি successful !

সাজুগুজু করছি,
মন বেশ ফুরফুরা লাগছে
আজ সেই বেয়াদবকে চরম ধোলাই দিবো।

আমার বর মশাই পেপার পড়া বাদ দিয়ে
আমায় আড় চোখে দেখছে
আর জিজ্ঞেস করছে

মশাই - কি কই যাও ম্যাডাম?

ওকে বললে ও ব্যাপারটা নিয়ে ঝগড়া আরম্ভ শুরু করবে ।

তাই বললাম
Me:-- বাজারে কিছু কেনার আছে!

মশাইই -: এই বিকেল বেলা?

Me -: মধু নাই বাসায়,
তুমি তো জানো
সকালে খালি পেটে আমি মধু খাই।
ডায়েট করতেছি তাই।

বাসা থেকে নেমে পার্কে গিয়ে দাঁড়িয়ে আছি,
অল্প বয়সী কাউকেই দেখছি না।
কিন্তু আমার বরের চেয়েও বয়স্ক লোক
আমার পাশে ঘুরঘুর করছে।

ফোনটা হাতে নিয়ে আবার মেসেজ দিলাম
Me- কই তুমি?

ওপাশ থেকে মেসেজ না দিয়ে কল দিলো!

আমি রিসিভ করে চুপ করে আছি,
কি অদ্ভুত!!

আমার পাশে দাঁড়ানো লোকটির কানেও ফোন
আর আমার দিকে শকুনের মতো তাকিয়ে আছে,

আমি কেটে দিয়ে আবার কল দিলাম 📱

আমি আরো শিহরিত হলাম!!

ফোন বাজছে ওই লোকের হাতের টাই!!!

রেগে গিয়ে বললাম,
Me-: আপনিই সেই মানুষ!
ছিঃ!!
মেয়ের বয়সী একজন এর সাথে
প্রেম করতে লজ্জা লাগে না?😠😠

আবার তারে জান, সোনা ডাকেন!

লোকটি তীব্র দৃষ্টিতে
আমার দিকে তাকিয়ে বলে,
বেত্তমিস মহিলা!

তিনকাল গিয়ে আপনার এক কালে ঠেকেছে
আর এখন বাচ্চার বয়সী ছেলেকে বিরক্ত করেন!

ঝগড়ার একপর্যায়ে জানতে পারলাম,
আমার মেয়ে ওই লোকের ছেলের সাথে প্রেম করে।

তিনি তার ছেলের ফোন নিয়ে গিয়েছিলো,
আর আমি এতদিন তার ছেলে ভেবে তার সাথেই প্রেমালাপন করেছিলাম!

দুজন ই এক পর্যায়ে হাসতে হাসতে মরার উপক্রম হয়েছে।
দুই ব্যর্থ গোয়েন্দাই এক পর্যায় কফি শপে বাসলাম।

নিজের কর্মকাণ্ডের জন্য সরিও বললাম,
তিনিও বললেন।
ভাবলাম বিয়াই হিসেবে ছেলের বাবা মন্দ না।
হেসে হেসে বললাম
ছেলের ফোনটা বাসায় গিয়ে
ছেলেকে দিয়ে দিয়েন,

আমার মেয়ে খুবই মন মরা হয়ে আছে।

সে উঠে বললো,
আগে মেসেজিং গুলি মুছে নেই।
এমন প্রেমালাপ দেখলে মামলা খেয়ে যাবো
হাহাহা

আমি হেসে কুটকুট হয়ে কফির কাফে চুমুক দিবো

তখন ই দেখছি আমার দিকে
রাক্ষসের মতো তাকিয়ে আছে রেনুর বাবা!

Me-: এ কি তুমি এখানে?

মশাই :- বাহ! আরজু বাহ!
না আসলে তো আমি এমন রঙ্গ দেখতেই পেতাম না!
Me-: এই কি বলো?
ভুল ভাবছো তুমি ।
ছিঃ এত নিচু তুমি?

মশাই -: এখন তো আমি তিতা হয়ে গেছি
আর এই বেটা মধু?
তাইতো ভ্রমর মধু খেতে এসেছে
, খাওয়াও মধু।

এই বলে রেনুু বাবা চলে যাচ্ছে....

আমি পিছন পিছন ছুটছি,
বিয়াই মশাই উঠে বললো,
ঘাবরাবেন না সোনা!
থুক্কু আপা।
আমি আছি সবসময় আপনার পাশে।

Me-; (রেগে বললাম) চুপ কর টাকলা ব্যাটা!
মেয়ের প্রেম ভাঙতে গিয়ে
আমার সংসার ই ভাঙ্গার উপক্রম হয়েছে!

ও রেনুর আব্বা.... দাড়াও..
তুমি ভুল ভাবতেছো,
দুনিয়ার সব মধুই ভেজাল,
তুমি ই আসল.....

ওওও..রেনুর আব্বা দাড়াও কইলাম.....👍

“প্রত্যেক সফল পুরুষের পিছনে একজন নারীর হাত থাকে।”_________________________________________থাইল্যান্ডের এক কুমির খামারে এ...
31/05/2025

“প্রত্যেক সফল পুরুষের পিছনে একজন নারীর হাত থাকে।”
_________________________________________
থাইল্যান্ডের এক কুমির খামারে একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির পিকনিক চলছিল। আয়োজন চমৎকার আর সবাই খুব উপভোগ করছিল। আনন্দ, হাসি-ঠাট্টা, আর কিছুটা খেয়ালিপনায় কেটে যাচ্ছিল সময়। ঠিক তখনই কোম্পানির এমডি এক অভিনব ঘোষণা দিলেন:

"এই কুমিরে ভরা পুকুর যদি কেউ জীবিত অবস্থায় সাঁতরে পার হতে পারে, তবে তাকে ৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার দেওয়া হবে। আর যদি সে প্রাণ হারায়, তবে তার পরিবার পাবে ২ মিলিয়ন!"

ঘটনাটি নিছক রসিকতা মনে হলেও পুকুরের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সবাই হঠাৎ স্তব্ধ হয়ে গেল। জীবন বাজি রেখে কেউ কি নামবে ওই কুমির ভরা পুকুরে? কার আছে সেই সাহস? দীর্ঘক্ষণ কেটে গেলেও কেউই এগিয়ে এল না।

কিন্তু হঠাৎই, একজন পুকুরে ঝাঁপিয়ে পড়ল! পেছন থেকে সবাই বিস্ময় আর আতঙ্কে চিৎকার করে উঠল। মনে হচ্ছিল, এই বুঝি কুমিরের চোয়ালে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে লোকটির দেহ। এ যে স্বেচ্ছায় নিশ্চিত মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে নেওয়া!

কিন্তু তখন এক অলৌকিক ঘটনা ঘটল। মরণপণ চেষ্টায় পুকুর সাঁতরে পার হয়ে গেল লোকটি! সাথে সাথে দম বন্ধ করা মুহূর্তগুলো ভেঙে উল্লাসে ফেটে পড়ল সবাই।

কোম্পানির এমডি নিজে এগিয়ে এসে ৫ মিলিয়ন ডলারের চেক লোকটির হাতে তুলে দিলেন। কলিগরা পিঠ চাপড়ে অভিনন্দন জানাতে লাগল। সবাই বিজয়ীকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছে।

কিন্তু সেই সাহসী কর্মচারী, তখনো দিশেহারা, হাঁপাতে হাঁপাতে বলে উঠল, “আমি জানতে চাই, আমাকে পেছন থেকে কে ধাক্কা দিয়েছিল?”

সবাই চুপ। এরপর ধীরে ধীরে প্রকাশ পেল সত্য, তার স্ত্রীই তাকে পুকুরে ঠেলে দিয়েছিল!

সেদিন থেকেই জন্ম নিয়েছিল সেই চিরন্তন প্রবাদটি:
“প্রত্যেক সফল পুরুষের পিছনে একজন নারীর হাত থাকে।”

31/05/2025
31/05/2025

📖✨ নতুন কিছু শুরু করছি...

আমরা গল্প বলবো। ঠিক যেমন করে সন্ধ্যায় বারান্দায় বসে বলা হয়... অথবা মেঘলা দিনে জানালার পাশে বসে লেখা হয়...

আমাদের নতুন পেজ — GolpoGraphie
একটা জায়গা, যেখানে গল্প শুধু "পড়ার" নয়, "দেখার", "অনুভবের"।
শব্দে, ছন্দে, চরিত্রে, অনুভবে — আমরা তুলে আনবো গল্পের নতুন জগৎ।

🔹 কল্পনার গল্প
🔹 সিরিজ গল্প
🔹 সংক্ষিপ্ত উপন্যাস
🔹 থ্রিলার, রোমান্স, মানবিক কিংবা অন্যরকম কিছু...

আমাদের সাথে পথচলা শুরু হোক আজ থেকেই।

🖋️ ফলো করো GolpoGraphie পেজটি,
পড়ো, অনুভব করো, শেয়ার করো।
তোমার জন্য, তোমার মত করেই… 💙

Address

Feni

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when GolpoGraphie posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share