30/04/2024
রাকিবসহ গ্রেফতারকৃত তিন জনের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন
অফিস ডেস্ক:
অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে পুঁজিবাজারে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের দাম নিয়ে কারাসাজি এবং গুজব রটনাকারী চক্রের তিনজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল শুক্রবার রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন, মো. আমির হোসাইন ওরফে নূর নূরানী (৩৭), নুরুল হক হারুন (৫২) এবং আব্দুল কাইয়ুম রাকিব (৩৯)। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কোম্পানিতে চাঁদাবাজিসহ বাজার অস্থিতিশীল করতে নেতিবাচক ভূমিকা পালনের অভিযোগ রয়েছে। এরই মধ্যে গ্রেপ্তারকৃতদের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়েছে ডিবি। শনিবার সকালে রাজধানীর ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের (দক্ষিণ) উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শহীদুল ইসলামের নির্দেশনায় এবং অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুর রহমান আজাদের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানানো হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আমির হোসাইনের (ছদ্মবেশী নাম নূর নূরানী) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য দমন আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১১টি মামলা রয়েছে। নুরুল হক হারুন বিনিয়োগকারী ঐক্যপরিষদের বিভিন্ন সদস্যদের একত্রিত করে কোম্পানিগুলোতে চাঁদাবাজি করত। ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ ও টেলিগ্রামে সব মিলিয়ে ৮-১০টি গ্রুপ চালায় সে। অনলাইনে তার অনেক ফলোয়ার। বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্যপরিষদের সহ-সভাপতি তিনি। এ পরিষদের নামে তিনি বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে চাঁদাবাজি করেন। আর আব্দুল কাউয়ুম রয়েল ক্যাপিটাল নামক একটি ব্রোকারেজ হাউসের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। হোয়াটস অ্যাপ এবং টেলিগ্রাম গ্রুপে টাকার বিনিময়ে তিনি বিভিন্ন শেয়ার সম্পর্কে তথ্য প্রদান করেন।
একটি স্বার্থান্বেষী চক্র দীর্ঘদিন ধরে এমন বাজারকে এবং দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), কমিশনের চেয়্যারম্যানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ, টেলিগ্রামে গোপনীয় গ্রুপ খুলে বিভিন্ন মিথ্যা, ভুয়া এবং প্রতারণামূলক তথ্য সরবরাহ করে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করে আসছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ব্যবহার করে আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করছে। এ বিষয়ে বিএসইসি রমনা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। গত ২৫ এপ্রিল রমনা থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়। এই মামলা নং ১৬। ওই মামলায় শুক্রবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে।
সংবাদ সম্মেলনে গতকাল ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, আটককৃতরা বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনের নামে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ব্যবহার করে রাস্তা দখল করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করেছে। একই সঙ্গে তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে বিভিন্ন ইস্যুতে তারা চাঁদা দাবি করত। আর কোম্পানি দাবিকৃত চাঁদা না দিলে অন-লাইনে নানাভাবে তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করত।