02/10/2024
⭕ বাচ্চা সলিড খাবার যেভাবে শুরু করবেন,, কি কি দিয়ে শুরু করবেন সারা দিনের ফুল চার্ট⭕
🌷বাচ্চার প্রথম সলিড🌷
৬ মাস বয়স পর্যন্ত বাচ্চাদের কেবলমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। পরে যখন দুধ ছাড়া অন্য খাবার শুরু করা হয় সেটা ঘরের খাবার দিয়ে শুরু করলেই সবচেয়ে উওম।
🌷প্রথম সলিড ফুড হিসেবে আদর্শ কিছু খাবার হচ্ছে🌷
★ মিষ্টি আলুর পিউরি
★আপেল পিউরি
★পাকা পেঁপের পিউরি
★চটকানো পাকা কলা
★ডালের পানি দিয়ে চটকানো নরম ভাত
★জাউ ভাত, সবজি সেদ্ধ ( লাউ )
★ফলের রস
★আস্তে আস্তে চাল, ডাল ও ২ ধরনের সবজি দিয়ে রান্না করা খিচুড়ি।
⭐খিচুড়ি যেভাবে প্রথম বার রান্না করবেন। চাল,মুগ ডাল,সামান্য পিয়াজ আর তেল।
🌷 সলিড শুরু করা বাচ্চাদের জন্য ৬ মাসেই ডিম, ডিমের কুসুম না দেয়াই ভালো। ৮ মাস থেকে সেদ্ধ ডিমের কুসুম ১ চিমটি করে ২-৩ দিন পর পর দিয়ে দেখতে পারেন আপনার বাচ্চার কোন সমস্যা হয় কিনা। সমস্যা না হলে ৩ দিন পর পর আরেক চিমটি পরিমান বাড়াবেন এভাবে এক মাসের পর পুরো কুসুম দিবেন।
♦️ ডিম দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকেই যে ভুল করে,,,ডিম কখনো হাফ বয়েল করে খাওয়াবেন না,,ডিমে যে ব্যাক্টেরিয়া থাকে সেটা কিন্তু আপনার বাচ্চাকে মারাত্মক ক্ষতি করবে। তাই অবশ্যই ডিম পুরোপুরি সিদ্ধ করে বাচ্চাকে খেতে দিন।
🌷 কিভাবে বাচ্চার প্রথম সলিড খাবার কীভাবে শুরু করবেন🌷
বাচ্চার সলিড খাবার শুরুর সময় খাবারের ঘনত্ব বেশ পাতলা হতে হবে। চামচ ভরে নিলে যেন চামচ থেকে গড়িয়ে পরে, এমন। বাচ্চা যখন ধীরে ধীরে সলিড খাবারের সাথে অভ্যস্ত হয়ে যাবে, তখন আর অতটা পাতলা করতে হবে না। তখন আস্তে আস্তে খাবারের ঘনত্ব বাড়াতে হবে।
★প্রথম দিন- ১ চামচ, দুপুর বেলা। দ্বিতীয় দিন- ২ চামচ, সকালে ও দুপুরে। তৃতীয় দিন- ৩ চামচ, সকালে, দুপুরে ও রাতে।
★বাচ্চার রান্না করা খাবার খাওয়া শুরু করলে শিশুর খাবারে ২ চামচ তেল দিয়ে রান্না করতে হবে।
★ প্রতিদিন ১ পোয়া বাটির হাফ বাটি করে দিনে দু’বার ঘরে তৈরি বাড়তি খাবার এবং ১-২ বার পুষ্টিকর নাস্তা খাওয়াতে হবে (সব বাবু সমান না, এক এক জনের হজম ক্ষমতা একাক রকম, তাই এই পরিমান খাবার কোনো কোনো বাবু খেতে পারে আবার নাও পারে। এটা নিয়ে হতাশ হবেন না)
★এই সময়ে সারাদিন শিশু ৩ ঘন্টা পর পর খাবে, যার মধ্যে দু’টি বাড়তি খাবার এবং একটি পুষ্টিকর নাস্তা দিতে হবে। যেমন- কলা, ডাবের পানি, ফলের রস, দুধ ইত্যাদি। সকাল শুরু করতে হবে
🌷বাচ্চা সলিড খাবারে অভ্যস্ত হওয়ার পর ফুড চার্ট কেমন হবে🌷
★সকাল ৮টা- নরম খিচুড়ি। (খিচুড়িতে যা যা থাকতে পারে- ১ মুঠ চাল, চালের অর্ধেক পরিমাণে ডাল, দুই রকমের সবজি, ২-৩ চামচ তেল, কাঁটা ছাড়া মাছ, চিকেন অথবা কলিজা)
★সকাল ১১টা- বুকের দুধ/ফর্মুলা মিল্ক/দুধ দিয়ে রান্না করা বাসায় বানানো সুজি বা সিজনাল ফল.
★বেলা ২টা- ডাল দিয়ে নরম ভাত সাথে মাছ বা মাংস এক পিস বা নরম খিচুড়ি।
★বেলা ৫টা- যেকোনো ফল যেমন: পাকা কলা/পাকা পেঁপে/আম অথবা সেদ্ধ ডিমের কুসুম/নুডলস
★রাত ৮টা- দুপুরের মতো ভাত, সবজি, মাছ
★ঘুমানোর আগে- বুকের দুধ/ফর্মুলা মিল্ক
♦️ ৬ মাসের পর থেকে বাচ্চাকে পানি দিতে হবে। অনেকে খিচুড়ির বদলে সকালে বাচ্চাকে সেরেলাক খাওয়ান, এতেও সমস্যা নেই। তবে বাইরের প্যাকেটজাত ফুড না দিয়ে ঘরে তৈরি খাবার দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে ঘরের খাবারে সে অভ্যস্ত হবে। বাচ্চার কাছে এই খাবারগুলো নতুন, তাই প্রথমেই সব হজম নাও হতে পারে। তাই সব নতুন খাবার একদিনে দেওয়া শুরু করবেন না। পর্যায়ক্রমে একটা একটা করে আরম্ভ করুন। যদি কোনো খাবার বাচ্চাকে স্যুট না করে বা হজম না হয় অথবা হুট করে অ্যালার্জি হয়, তাহলে সেটা দেওয়া বন্ধ রাখুন।
♦️ ২ বছরের আগে সরাসরি গরুর দুধ খাওয়ানো থেকে বিরত থাকুন। তবে ১ বছর শেষ হলে গরুর দুধের তৈরি খাবার দিতে পারেন। তবে ৬ মাস শেষ হলে টকদই দিতে পারেন, এটা শিশুদের জন্য খুবই উপকারী। টকদই গরুর দুধের তৈরি কিন্তু এটা ৬ মাস শেষ হলে দিতে পারেন। ১ বছর শেষ হলে বাচ্চার খাবার এ লবন দিবেন, এর আগে খাবার এ লবন,চিনি দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। খাবার মিষ্টি করতে,খেজুর,কলা,কিশমিশ, মিষ্টি ফলের পিউরি মিক্সি করুন।
♦বাচ্চাকে একবারে নতুন খাবারের সাথে পরিচয় করানোর পর অন্য একটি নতুন খাবার দেয়ার আগে তিন দিন অপেক্ষা করুন। এটি আপনাকে আপনার বাচ্চার সম্ভাব্য অ্যালার্জি সনাক্ত করতে সাহায্য করবে। যদি আপনার বাচ্চার পেট খারাপ বা বমির মতো কোনো সমস্যা হয়, তাহলে তাকে সেই খাবার দেওয়া বন্ধ করুন এবং একজন শিশু বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।