03/12/2024
শত্রুর বিপরীতে দাড়ানোর সময় নিজের সৈনিকদের এইটা জানাইতে হয় যে এক্স্যাক্টলি কোথায় আমরা দাড়ায়ে আছি।
শত্রু হামলা করলে আমরা কি করবো, এবং আমাদের ডিফেন্স ফেইল করলে আমরা কি করবো।
কার ভুমিকা সেইখানে কি হবে এবং প্রকৃত অর্থে আমাদের মিত্র কারা কারা, তাদের সক্ষমতা কি।
ভারতের হামলার আশঙ্কার ভেতরে বাংলাদেশের জনগন দুর কি বাত, ঢাকার সবচে কোর ছাত্রনেতা-এক্টিভিস্টদেরও অনেকেই জানে না আসলে সরকার কি চিন্তা করতেসে।
মাতৃভুমি অথবা মৃত্যু, নিঃসন্দেহে জনপ্রিয়, আবেগ ঘন স্লোগান।
কিন্তু ভারতের আগ্রাসন প্রতিহত করতে দরকার এখন পিপলস রিজার্ভ আর্মি, পিপলস পুলিস।
এইটা অনিবার্য বাস্তবতা যে সীমান্তে যদি কোন প্রয়োজন তৈরি হয়, সেনাবাহিনীকে সেদিকে মুভ করতে হবে এবং দেশের আভ্যন্তরীন নিরাপত্তা পুলিসের হাতে যাবে। এরকম অবস্থায় জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অগাস্ট মাস থেকে চ্যাচাইতেসি, রিজার্ভ আর্মি বাড়ানোর জন্য মিলিটারি ট্রেইনিং এরেঞ্জ করা হোক, রেভল্যুশনারী/প্রভিশনাল পুলিস ফোর্স বানানো হোক ছাত্রদের দিয়া।
দেশের যা অবস্থা, ছাত্ররা আসলে পড়তে পারতেসে না।
ওরা দূরে থাক, আমরাই কাজ করতে পারি না, রাতে ঘুমাইতে পারি না। যা জানি তার ৯০% ফেইসবুকে লেখার উপযুক্ত না বলেই ঘুমাইতে পারি না।
এই যে ডিসেম্বর আসছে, এখন সারাদিন পোলাপানকে দিয়া মিছিল সমাবেশ না করায়ে এদেরকে সামরিক প্রশিক্ষণ দেন। আগামী বছর থেকে ১৮ বছর বয়সের পর থেকে সামরিক প্রশিক্ষন বাধ্যতামূলক করেন। স্লোগান দিয়া রাজনৈতিক আন্দোলন হয়, প্রতিরক্ষা হুমকির মোকাবিলা হয় না।
মেজর পাওয়ারগুলার সাথে সরকারের সম্পর্কের অবস্থা কি, বিপদ আসলে কে আমাদের পাশে দাঁড়াবে, এগুলা জনগনের কাছে স্পষ্ট করেন।
জনগন ওয়েল ইনফর্মড থাকলে রাষ্ট্রেরই লাভ।
ছাত্র উপদেষ্টা ও লিডিং এক্টিভিস্টদের নিরাপত্তার অবস্থা ব্যাড়াছ্যাড়া। তাদের নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে জরুরী ভিত্তিতে। তারা অনেকে মনে মনে ধরেই নিসে যা তারা শহীদ হয়ে যাবে কোন না কোন সময়ে।
ভাই, এইটা নিয়ত হিসেবে ঠিক আছে, কিন্তু দিস ইজ নট আ রোম্যান্টিক নভেল। তোমরা এখন স্টেট লেভেল এক্টর বা এটলিস্ট ন্যাশনাল লেভেল পলিটিক্যাল এক্টর।
ধরা যাক টপ লেভেলের কয়েকজন শহীদ হয়ে গেলা, তোমরা যা যা জানো, তা তোমাদের পরের লেয়ারের আর কাকে কাকে জানায়ে রাখসো?? তোমাদের যে লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট হইসে তা আর কার কার মধ্যে আছে??
এগুলা ভাবতে হবে এবং দ্রুত একশন নিতে হবে।
মাল্টিলেয়ার রেডিনেস মিলিটারি ও পলিটিক্যাল লেভেলে থাকা লাগবে।
দেশের ফুড সিকিউরিটি, এনার্জি সিকিউরিটি, সাইবার ও ব্যাংকিং সিকিউরিটি নিয়া টু দ্যা পয়েন্ট কাজ করতে হবে।
তোমরা যা করতেসো এইটা ঐতিহাসিক।
কিন্তু তোমাদের লেগ্যাসি যদি বাচায়ে রাখতে চাও, এগুলা নিয়ে কাজ করো।
ইটস এবিলিটি ভার্সেস এবিলিটি, নট স্লোগান ভার্সেস স্লোগান।
লেখা: Muhammad Sajal ভাই।