11/09/2025
ডাকসু নির্বাচনের একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে এক ভাই কমেন্ট করেছিলেন আপনি কোন দল করেন নাকি। আমি সেখানে রিপ্লাই দিয়েছিলাম—“আপনাদের মতো দল-তল করার সময় আমার নেই।”
গত ১৬ বছরে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল, তখন আমি নির্যাতিত নিপীড়িত বিএনপি ও জামায়াতের পক্ষেও কমেন্ট ও পোস্ট করতাম। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সাধারণ নাগরিক হিসেবে মতামত প্রকাশের অধিকার আমার আছে বলেই সেটি করতাম।
৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ড. ইউনুস অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করলেও অনেক ক্ষেত্রে বিএনপি প্রভাব বিস্তার করছে। এর ফলে অনেক নেতা-কর্মী দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে বহিষ্কৃত হয়েছে এবং গ্রেপ্তারও হয়েছে। যারা সরাসরি রাজনীতির সাথে জড়িত নন, তাদের অনেককেই এখন বিএনপি থেকে দূরে সরে যেতে দেখা যাচ্ছে।
জামায়াত-শিবির যেহেতু ক্ষমতায় নেই, তাই তাদের নিয়ে মন্তব্য করারও প্রয়োজন হয়নি। তবে ডাকসু নির্বাচনে যেহেতু এখন তারা জিতেছে, ভবিষ্যতে যদি তাদের অনিয়ম বা অপকর্ম চোখে পড়ে, অবশ্যই তার বিরুদ্ধে কথা বলব।
একটি দুঃখজনক বিষয় হলো—যেই ট্যাগ দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াত শিবির কে “রাজাকার” আখ্যা দিত, এখন একই ট্যাগ বিএনপিও ব্যবহার করছে। অথচ বাস্তবতা হলো, বেগম খালেদা জিয়া কিংবা তারেক রহমানও কখনও জামায়াত-শিবিরকে “পাকিস্তানি রাজাকার” বলে গালি দেননি। সেক্ষেত্রে তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপি সমর্থকদের এ ধরনের স্লোগান ব্যবহার করা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয় না।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে কোনও দলের সমর্থক নই, আমি একজন সাধারণ মানুষ। আমার প্রত্যাশা হলো—দেশের বৃহত্তর গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে এবং একনায়কতন্ত্র রোধ করার জন্য বিএনপি ও জামায়াত আগের মতো একজোট হয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখুক। আর যারা প্রকৃত অপরাধী, তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হোক। তবে শুধু শুধু কোন একটা গোষ্ঠীকে এভাবে ট্যাগ দেয়া বর্তমান প্রজন্মের ছেলেরা এগুলো বিশ্বাস করে না , যার প্রমাণ ডাকসু নির্বাচন।
দেশের মানুষ যেন নিরাপদে ও শান্তিতে বসবাস করতে পারে—এটাই হোক আমাদের লক্ষ্য।
আল্লাহ হাফিজ।