10/06/2023
মানুষের কর্মের তিনটি শ্রেণী আছে: কর্ম, অকর্ম, বিকর্ম।
কর্ম: যে সমস্ত কর্ম, নিজেকে এবং ভগবান শ্রী কৃষ্ণকে ছেড়ে, শুধুমাত্র অপরের সন্তুষ্টি বিধানের জন্য কর্ম করা হয়। তাকে কর্ম বলে।
এই কর্ম জীবনে থাকলে পাপ, পূর্ণ দুটোই সঞ্চয় হয়। এই কর্ম করে, মানুষ সম্পূর্ন ভাবে খুশি হতে পারে না।
অকর্ম: অকর্ম হচ্ছে, কর্ম ফলের প্রতি নিরাশক্ত হয়ে। কৃষ্ণ ভাবনায় ভাবিত হয়ে কর্ম করা।
জিনি শুধুমাত্র ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সন্তুষ্টি বিধানের জন্য কর্ম করেন। তাকে অকর্ম বলা হয়।
ইনি প্রতিটি কর্ম করেও নিজেকে অকর্মা বলেন।
তিনি শুধু বলেন, যা করেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণই করেন। আমি কিছুই করিনা। তিনি স্বার্থ বাসনা ও কর্ম ফলের আসক্তি পরিত্ত্যাগ করে কর্ম করেন বলে ইনি অকর্মা।
ইনি শুধুমাত্র ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে কেন্দ্র করে কর্ম করেন। ইনি নিজের জীবনে যা কিছু করেন শুধু মাত্র ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্যই কর্ম করেন।
এনার নিষ্ঠা ভগবানের প্রতি দৃঢ়। ইনি যানেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণই হলো সমগ্র সৃষ্টির মূল, তাই মূলে জল ঠাললে সমগ্র সৃষ্টিই জল পাবে।
যেমন; শ্রীকৃষ্ণের ভোগ নিবেদনের পর সকলকেই মহাপ্রসাত বিতরন করা হয়। আর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তখনি সন্তুষ্ট হন। যখন এই জগৎ সংসারের প্রতিটি জিবকে দয়া, সমান ও প্রেম করা হয়। আর এটিকেই মানুষের প্রকৃত ধর্ম বলা হয়।
এই কর্মে না থাকে পাপ, না থাকে পুন্য। এই কর্মে হয় মানুষের জন্ম, মৃত্যু, শুখ, দুঃখ ও কর্ম বন্ধন থেকে মুক্তি। এই কর্ম করে মানুষ সম্পূর্ন ভাবে খুশি থাকতে পারেন।
বিকর্ম: যে কর্মগুলি শুধুমাত্র নিজের সন্তুষ্টি বিধানের জন্য করা হয় তাকে বলা হয় বিকর্ম। ইনি কৃষ্ণ ভাবনা বিহীন হয়ে। কর্ম ফলের প্রতি আসক্ত হয়ে কর্ম করেন। এটি হলো সম্পূর্ন পাপ কর্ম।
এই কর্মে কোনো মানুষি সম্পূর্ন খুশি থাকতে পারে না