24/05/2025
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ন্যায্য দাবি মেনে নিন: জোনায়েদ সাকি
নিজস্ব প্রতিবেদক: অভিন্ন চাকুরিবিধি বাস্তবায়ন এবং দমন-পীড়ন বন্ধ, কর্মপরিবেশ অস্থিতিশীলকরার দায়ে আরইবি চেয়ারম্যানের অপসারণসহ ৭ দফা দাবিতে ৪ দিন ধরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে দেশের ৮০ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কয়েক হাজার কর্মকর্তা কর্মচারী।
আন্দোলনরত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান স্বমন্বয়কারি জোনায়েদ সাকি।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আরইবি-পিবিএস একীভূত করণ সময়ের দাবি। একই প্রতিষ্ঠানে দ্বৈত নীতি চলতে পারেনা। এটা অন্যায়, স্পষ্ট বৈষম্য। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার যেসব খাতে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছিল বিদ্যুৎ খাত এরমধ্যে অন্যতম। শহর থেকে গ্রামে রোদ, ঝড় বৃষ্টি যেকোন দূর্যোগে জনগণের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা দিয়ে যাচ্ছে মাঠ পর্যায়ের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা অথচ এরাই সবচে বেশি নিগ্রিহীত, অবহেলিত ও বঞ্চিত। অনতিবিলম্বে তাদের দাবি মেনে নিতে হবে।
সংকট সমাধানে সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর উদ্যোগ ও একটি কমিটি করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও বিদ্যুৎ উপদেষ্টার কাছে আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে আন্দোলনের চতুর্থ দিন নতুন করে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেন ঢাকা পবিস ১,৪ সহ বিভিন্ন সমিতির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা অংশ নেন। আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্তব্যরত পবিস কর্মীরাও।
উল্লেখ্য বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখে গত বুধবার থেকে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
তাদের ঘোষিত ৭ দফা দাবিগুলো হলোঃ
১. পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীদের ফ্যাসিবাদি কায়দায় দমন-পীড়নের মাধ্যমে কর্মপরিবেশ অস্থিতিশীলকারী, অত্যাচারী আরইবি চেয়ারম্যানের অপসারণ।
২. “এক ও অভিন্ন চাকুরিবিধি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আরইবি-পবিস একীভূতকরণ” অথবা দেশের অন্যান্য বিতরণ সংস্থার ন্যায় পুনর্গঠন।
৩. মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার, লাইন শ্রমিক এবং পৌষ্য কর্মীদের চাকরি নিয়মিতকরণ।
৪. মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারপূর্বক চাকরিচ্যুতদের স্বপদে পুনর্বহাল।
৫. গ্রাহক সেবার স্বার্থে লাইনক্রুসহ সকল হয়রানি ও শাস্তিমূলক বদলি আদেশ বাতিল এবং বরখাস্ত ও সংযুক্ত কর্মীদের অবিলম্বে পদায়ন করতে হবে।
৬. জরুরি সেবায় নিয়োজিত কর্মীদের আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী নির্দিষ্ট কর্মঘন্টা/শিফটিং ডিউটি বাস্তবায়নের জন্য অতিদ্রুত জনবলের ঘাটতি পূরণ করতে হবে।
৭. পূর্ণাঙ্গ সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্র্বতীকালীন বোর্ড গঠন করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যক্রম পরিচালিত করতে হবে।