Alnur 001

Alnur 001 welcome to my page



(সকল প্রশংসা মহান রবের প্রতি)

সময় থাকতে সংগ্রহ করে রাখা উচিত হোক অর্থ বা জ্ঞান.......!!!প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী একবার হলেও পড়ুন....!!একবার এক রাজা তাঁ...
07/09/2025

সময় থাকতে সংগ্রহ করে রাখা উচিত হোক অর্থ বা জ্ঞান.......!!!
প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী একবার হলেও পড়ুন....!!

একবার এক রাজা তাঁর তিনজন মন্ত্রীকে ডেকে দিলেন। প্রত্যেককে একটি করে খালি বস্তা হাতে তুলে দিয়ে বললেন“তোমাদের কাজ হলো বনে গিয়ে যতটা পারো ফল কুড়িয়ে এই বস্তা ভর্তি করে আনবে। দেখি কে কেমনভাবে কাজ করো।”

তিন মন্ত্রী বনে রওনা হলেন।
প্রথম মন্ত্রী ভাবলেন, রাজা যখন বলেছেন, নিশ্চয়ই এর মধ্যে গভীর কোনো অর্থ আছে। তাই তিনি বেছে বেছে ভালো ফল কুড়িয়ে বস্তা ভর্তি করলেন।

দ্বিতীয় মন্ত্রী মনে করলো, রাজা তো আর সব ফল একে একে দেখবেন না। তাই নিচে পচা ফল ভরে, ওপরে সামান্য কিছু ভালো ফল সাজিয়ে নিয়ে এলো।

তৃতীয় মন্ত্রী মনে করল, রাজা তো শুধু দেখবেন বস্তা ভর্তি হয়েছে কিনা, ভেতরে কী আছে তা খোঁজার সময় তাঁর নেই। তাই সে শুকনো পাতা, কাঠি, ঘাস ইত্যাদি দিয়ে বস্তা ভরে ফেলল।

রাজপ্রাসাদে ফেরার পর রাজা তিনজনের বস্তা দেখলেন। বস্তা ভর্তি দেখে তিনি কিছু বললেন না, শুধু হাসলেন। মন্ত্রীরা ভাবলেন কাজ শেষ, এবার পুরস্কার মিলবে। কিন্তু রাজা ঘোষণা করলেন“তোমাদের এই বস্তা সহ সাত দিনের জন্য আলাদা আলাদা কারাগারে পাঠানো হবে। খাবার কিছু দেওয়া হবে না, শুধু বস্তার ভেতরের জিনিসগুলোই তোমাদের ভরসা।”

যেমন বলা তেমন কাজ। তিন মন্ত্রীকে বন্দি করা হলো।
প্রথম মন্ত্রী সাত দিন ধরে নিজের কুড়িয়ে আনা ফল খেয়ে বেঁচে গেল।
দ্বিতীয় মন্ত্রী শুরুতে কিছু ভালো ফল পেলেও, পরের দিনগুলোতে পচা ফল খেতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল।
আর তৃতীয় মন্ত্রীর বস্তায় যখন কিছুই খাওয়ার মতো ছিল না, সে অনাহারে প্রাণ হারাল।

এই কাহিনির শিক্ষা সহজ জীবনে পড়াশোনা, কাজ কিংবা সম্পর্ক যাই করি না কেন, ফাঁকি দিয়ে যদি ভরাট করি, সময়ের সাথে সেই ফাঁকিই আমাদের পতনের কারণ হবে। আর পরিশ্রম ও সততা দিয়ে জমা করা জিনিসই ভবিষ্যতে আমাদের রক্ষা করবে।

জীবনের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য জানতে আমাদের পেইজটি ফলো দিয়ে রাখুন

"ব্রেইনকে ট্রেইন করে হয়ে উঠুন সবার সেরা"

ব্যবসা করতে গিয়ে যা শিখেছিঃ--------*----------**----------১। সিস্টেমকে বিশ্বাস করুন, মানুষকে নয়, সে যেই হোক। ২। অযোগ্য ম...
04/09/2025

ব্যবসা করতে গিয়ে যা শিখেছিঃ
--------*----------**----------
১। সিস্টেমকে বিশ্বাস করুন, মানুষকে নয়, সে যেই হোক।
২। অযোগ্য মানুষকে হেল্প করার নিয়তে ব্যবসার দায়িত্ব দেবেন না।
বাঁশ খাবেন ঝাড় সহ।
৩। নেগেটিভ মানুষদের (যারা ভাইরাস ছড়ায়) কোনো চিন্তা না করেই ফায়ার করুন। এরা বিষাক্ত ও ছোঁয়াচে।
৪। আপনার স্বপ্নকে যে কর্মী বিশ্বাস করেনা, লালন করেনা , ফায়ার করুন।
৫। যে এমপ্লয়ী নিজেকে আপডেইট করেনা, NOKIA হয়ে আছে বছরের পর বছর, ফায়ার করুন।
৬। একজন এমপ্লয়ীকে যত বেতন দিচ্ছেন তার কমপক্ষে ১২ গুণ মুনাফা তার কাছ থেকে না পেলে ঐ কর্মী প্রতিষ্ঠানের বোঝা।
৭। নতুন এমপ্লয়ী নিয়োগ দিলে যদি পুরাতন কেউ আপনার ও প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা করে, তাকে সাথে সাথে ফায়ার করুন।
৮। প্রতিষ্ঠানের একটি সংস্কৃতি গড়ে তুলুন। মানতে বাধ্য করুন।
৯। একবার কেউ চুরি করলে মাফ করবেন না। সুযোগ পেলে আবারো করবে। নিশ্চিত থাকুন।
১০। যতটা সম্ভব ক্যাশ লেনদেন থেকে বের হয়ে আসুন। কাউকে বিশ্বাস করবেন না। মরা মানুষও নাকি টাকা দেখলে হা করে।
১১। শর্টটার্মের জন্য এমপ্লয়ী নেবেন না।
১২। যে এমপ্লয়ী চাকরি করার মনোভাব রাখে, প্রতিষ্ঠানকে নিজের মনে করে না তাকে দিয়ে প্রতিষ্ঠানের কোনো উন্নয়ন সম্ভব নয়।
১৩। যে এমপ্লয়ী প্রতিষ্ঠানের অপচয় রোধে সচেতন নয় (বিদ্যুত/গ্যাস/পানি/খাবার/গ্যাস/স্পেইস/কাগজ/কলম ইত্যাদি) তাকে কিক আউট করুন।
১৪। যে এমপ্লয়ীরা গীবত করে তাদের কিক আউট করুন।
১৫। যে এমপ্লয়ীরা ভুল করার পর অযুহাত দাড় করায় বা অন্যের উপর দোষ চাপায়, কিক আউট করুন।
১৬। আত্মীয় হলেই বিশ্বাস করে টাকাপয়সা হ্যান্ডল করতে দেবেন না। তদারকির মধ্যে রাখবেন।
১৭। যাদের যে কোনো ধরনের নেশা আছে, তাদেরকে প্রতিষ্ঠানে যুক্ত না রাখাই ভালো। বেশ ভালো।

জীবনের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য জানতে আমাদের পেইজটি ফলো দিয়ে রাখুন।

"ব্রেইনকে ট্রেইন করে হয়ে উঠুন সবার সেরা"

আপনার কখনো মনে হয়েছে, এর চেয়ে মরে গেলে ভালো হতো?কখনো মনে হয়েছে, মরে গেলেই এই সমস্যা থেকে বেঁচে যাবো?কিন্তু সত্যি কথাটা ক...
03/09/2025

আপনার কখনো মনে হয়েছে, এর চেয়ে মরে গেলে ভালো হতো?

কখনো মনে হয়েছে, মরে গেলেই এই সমস্যা থেকে বেঁচে যাবো?

কিন্তু সত্যি কথাটা কি জানেন?

দুনিয়ার সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা, সবচে বড় বিপদ মৃত্যুর সামনে কিছুই না।

মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ভুল গুলো শোধরানোর সুযোগ থাকে। গুনাহগুলোর জন্য মাফ চাওয়ার পথ থাকে। যে পরীক্ষা দেখে মরে যেতে মন চাইছে, সেই পরীক্ষা আমাদের মজবুত করতে এসেছে, ভেংগে দিতে নয়।

মরে গেলে কি হবে?

যাদের কথা ভেবে মরে যাচ্ছি, তাদের কেউ খুব কাঁদবে এরপর ভুলে যাবে, কেউ কাঁদবেও না, ভুলে যাবে, কেউ মনে রাখবে, কিন্তু সেই মনে রাখায় মৃত আমার কিছু আসবে যাবে না।

কিন্তু মৃত্যুর পরে যে জীবন, যে প্রশ্ন আর জবাব, যে হিসাবের সামনে আমাকে পরতে হবে, তার মত বড় পরীক্ষার জন্য কি আমি প্রস্তুত?

এই পৃথিবীতে যে পরীক্ষাগুলো আসে, সেগুলোর সমাধান এমন ভাবে হওয়া সম্ভব যেন কোন পরীক্ষাই ছিলো না।

অথবা এমন ভাবে সমাধান হওয়া সম্ভব যা পরীক্ষার আগের অবস্থার চেয়ে উত্তম।

আবার এমনও হতে পারে যে এই দুনিয়ায় সেই পরীক্ষার হিকমাহ বুঝলাম না, কিন্তু রব্বের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থেকে আখিরাতে অসাধারণ নিয়ামত পেলাম।

আল্লাহ সুবহানা তা'লা আল মু'মিন। আমরা তাঁর সম্পর্কে যে ধারণা পোষণ করবো তিনি তা সত্য প্রমাণ করবেন।

তাই তো আমাদের রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম মৃত্যুর আগে আল্লাহ সুবহানা তা'লা সম্পর্কে সুধারণা রাখার বিষয়ে জোর দিয়েছেন।

হিন্দি মুভিতে সুইসাইড খুব সাধারণ ভাবে দেখানো হয়। ইন্ডিয়ায় সুইসাইডের মাত্রাও অনেক বেশি। এর একটা বড় কারণ ওরা পরজন্মে বিশ্বাস করে। ভাবে মরে আবার নতুন জীবন নিয়ে এই পৃথিবীতে ফিরে আসবে।

কিন্তু একজন মুসলিম মৃত্যুর পরের জীবন সম্পর্কে সম্পূর্ণ ভিন্ন বিশ্বাস ধারণ করে। মুসলিম হিসেবে আমরা জানি, মৃত্যুর পরে আর এই দুনিয়ার জীবনে ফিরে আসা সম্ভব নয়। মৃত্যুর পর থেকেই আখিরাতের জীবন। সেই জীবনটা অনেক বেশি কঠিন, যদি না আমরা এই জীবন থেকেই সেখানের জন্য সঞ্চয় না করে থাকি।

জীবনের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য জানতে আমাদের পেইজ টি ফলো দিয়ে রাখুন।

"ব্রেইনকে ট্রেইন করে হয়ে উঠুন সবার সেরা"

নতুন কিছু শুরু করতে সবাই ভয় পায়।কারণ, নতুন করে শুরু মানেই পুরনো অভ্যাস, পরিচিত জায়গা আর নিরাপদ পরিবেশ ছেড়ে আসা।কিন্তু আস...
31/08/2025

নতুন কিছু শুরু করতে সবাই ভয় পায়।
কারণ, নতুন করে শুরু মানেই পুরনো অভ্যাস, পরিচিত জায়গা আর নিরাপদ পরিবেশ ছেড়ে আসা।

কিন্তু আসল সত্য হলো—
যদি তুমি সত্যিই বড় হতে চাও, তবে জীবনে অনেকবার ভেঙে পড়তে হবে।
আর আবার দাঁড়িয়ে নতুন করে নিজেকে গড়তে হবে।

হয়তো তুমি একটা ক্যারিয়ারে অনেকদিন ধরে আছো,
কিন্তু হঠাৎ বুঝতে পারলে—
এটা তোমার জন্য নয়।

এখন কী করবে?
শুধু এই ভেবে কি আটকে থাকবে যে অনেকদূর এগিয়ে গেছো?
না। সাহসী হও, আবার শুরু করো।

Rebuilding মানে দুর্বলতা নয়, শক্তি
নতুন করে শুরু করা মানে তুমি দুর্বল নও।
বরং তুমি সাহসী।

- তুমি জানো তোমার সময়ের মূল্য।
- তুমি বোঝো কখন পরিবর্তনের দরকার।
- তুমি জানো কিভাবে শূন্য থেকে আবার গড়ে তুলতে হয়।

আসলে, নিজের আত্মমর্যাদা তখনই তৈরি হয়
যখন তুমি বারবার নিজেকে নতুন করে গড়তে শেখো।

তাই ভয় পেও না—
প্রতিবার পড়ে গিয়ে আবার দাঁড়ানোই জীবনের সবচেয়ে বড় শক্তি।

জীবনের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য জানতে আমাদের পেইজটি ফলো দিয়ে রাখুন।

"ব্রেইনকে ট্রেইন করে হয়ে উঠুন সবার সেরা"

গরিব কেন সারাজীবন গরিব থাকে? আয় সাধারণত তিন ধরনের হয়: ১. একটিভ ইনকাম ২. প্যাসিভ ইনকাম ৩. পোর্টফোলিও ইনকাম ১. একটিভ ইনকাম...
30/08/2025

গরিব কেন সারাজীবন গরিব থাকে? আয় সাধারণত তিন ধরনের হয়: ১. একটিভ ইনকাম ২. প্যাসিভ ইনকাম ৩. পোর্টফোলিও ইনকাম ১. একটিভ ইনকাম: একটিভ ইনকাম মানে হচ্ছে এমন আয় যা আপনি সরাসরি পরিশ্রম এবং সময় দিয়ে উপার্জন করেন।

যেমন: চাকরি, ব্যবসা অথবা এমন কোনো কাজ যা আপনি যতটুকু সময় দেবেন, ততটুকু আয় করবেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি একটি দোকান চালান, তবে আপনি যতক্ষণ দোকান চালাবেন, ততক্ষণ আয় হবে। কিন্তু যদি আপনি দোকানে না যান, তাহলে আয় হবে না। এই ধরনের আয় বেশিরভাগ মানুষের কাছে সহজ এবং দ্রুত মনে হয়। এটি সাধারণত সবার কাছে পরিচিত একটি মাধ্যম,এবং বেশিরভাগ মানুষ একটিভ ইনকামের দিকে ছুটে চলে।

উদাহরণস্বরূপ, চাকরি করে মাস শেষে বেতন নেওয়া, কিংবা ছোটখাটো ব্যবসা করা। কিন্তু এই ধরনের আয় হয় সীমিত, কারণ আপনি যতটুকু পরিশ্রম করবেন, ততটুকু আয় হবে। আর একজন মানুষ প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১০-১২ ঘণ্টা পরিশ্রম করতে পারে, এর বেশি নয়। যত বড় ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা অভিনেতা হোন না কেন, একটিভ ইনকামে আপনি এক সময় আপনি সেই সীমার মধ্যে আটকে পড়বেন। তাই, একটিভ ইনকাম দীর্ঘমেয়াদী ধন-সম্পদ গড়ার জন্য যথেষ্ট নয়।

২. প্যাসিভ ইনকাম: প্যাসিভ ইনকাম হচ্ছে এমন আয় যা আপনি কাজ না করেও উপার্জন করতে পারেন। অর্থাৎ, আপনি ঘুমাচ্ছেন, বা অন্য কোনো কাজ করছেন, তবুও আপনার আয় চলতে থাকে। যারা প্যাসিভ ইনকাম তৈরি করেন, তারা অনেক সময় ধনী হয়ে ওঠেন। কারণ, প্যাসিভ ইনকামের একটা বড় সুবিধা হলো, এটি সময়ের সাথে বৃদ্ধি পায় এবং কখনো থেমে যায় না।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আপনি যদি একটি বাড়ি ভাড়া দেন, তবে আপনি প্রতি মাসে ভাড়া পাবেন, আর আপনাকে বাড়ির দিকে কোনো বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে না। এছাড়া বই লেখা, ইউটিউব চ্যানেল চালানো, ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করা, ফেসবুক পেজ বা ইনস্টাগ্রাম থেকে আয়, আপনি যদি বিশেষ কোনো কাজে দক্ষ হন সে বিষয়ে অনলাইন প্রশিক্ষণ কোর্স তৈরি, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, সিপিএ (Cost Per Action) এই সবই প্যাসিভ ইনকামের উদাহরণ।

প্যাসিভ ইনকাম শুরু করা সহজ নয়, কারণ এর জন্য প্রথমে কিছু সময় এবং পরিশ্রম দিতে হয়। আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেল শুরু করেন, তবে প্রথম কয়েক মাস হয়তো আপনি আয় পাবেন না, কিন্তু একসময় যখন আপনার ভিডিওগুলো জনপ্রিয় হবে, তখন আয় আসতে থাকবে। অনেক সময়, এই ধরনের ইনকাম শুরু করতে কিছু পুঁজি এবং পরিকল্পনা প্রয়োজন। । @ এ কারণে অধিকাংশ মানুষ প্যাসিভ ইনকাম এর প্রতি আগ্রহ।

আর প্রতিদিন এমন নতুন কিছু জানতে ফলো রাখুন।

জীবনের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য জানতে আমাদের পেইজটি ফলো দিয়েন রাখেন।

"ব্রেইনকে ট্রেইন করে হয়ে উঠুন সবার সেরা"

মানুষ বড় হতে চায়—এটাই স্বাভাবিক। শিক্ষা, কর্ম, সাফল্য, অর্থ—সবকিছুই মানুষকে বড় করে তোলে। কিন্তু বড় হওয়ার মানে যদি হয় অহং...
28/08/2025

মানুষ বড় হতে চায়—এটাই স্বাভাবিক। শিক্ষা, কর্ম, সাফল্য, অর্থ—সবকিছুই মানুষকে বড় করে তোলে। কিন্তু বড় হওয়ার মানে যদি হয় অহংকারে ভেসে যাওয়া, তবে সেই বড় হওয়া আসলে ছোট হয়ে যাওয়ার নামান্তর।

আমরা অনেক সময় ভুলে যাই, আমাদের আজকের অবস্থান কোনো একদিনে তৈরি হয়নি। আমাদের পাশে ছিল পরিবার, শিক্ষক, শুভাকাঙ্ক্ষী মানুষ। বিশেষ করে যারা আমাদের শৈশবে হাত ধরে পথ দেখিয়েছে, কষ্ট সহ্য করে সুযোগ তৈরি করেছে—তাদের প্রতি অকৃতজ্ঞতা দেখানো মানে নিজের শিকড়কে অস্বীকার করা।

সত্যিকারের বড় মানুষ সেই, যে নিজের সাফল্যের শিখরে দাঁড়িয়েও মাথা নত করে কৃতজ্ঞতা জানাতে পারে। যে বাবা-মা কিংবা গুরু তাকে বড় করেছে, তাদের সামনে নিজেকে বড় প্রমাণ করার চেষ্টা না করে বরং বিনয় দেখায়। কারণ বড় হওয়ার সবচেয়ে সুন্দর দিক হলো—যারা আমাদের জীবন গড়তে সাহায্য করেছে, তাদের পাশে থেকে নিজের বড়ত্বকে অর্থবহ করে তোলা।

তুমি বড় হও—এটাই কামনা। কিন্তু কখনো তাদের সামনে বড় হয়ো না, যারা তোমাকে বড় করেছে। কারণ তাদের আশীর্বাদ আর দোয়া ছাড়া তোমার বড় হওয়া কখনোই পূর্ণতা পাবে না।

জীবনের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য জানতে আমাদের পেইজটি ফলো দিয়ে রাখুন।

"ব্রেইনকে ট্রেইন করে হয়ে উঠুন সবার সেরা" লিংক"

আপনার মাইন্ডসেট কি আপনাকে পিছিয়ে দিচ্ছে?একটা প্রশ্ন করি—আপনি কি নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট?প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনি কী...
27/08/2025

আপনার মাইন্ডসেট কি আপনাকে পিছিয়ে দিচ্ছে?

একটা প্রশ্ন করি—আপনি কি নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট?
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনি কী ভাবেন?

- আজকের দিনটা কিভাবে প্রোডাক্টিভ করা যায়!
- নাকি, “ধ‍্যাত! আবারও একটা প‍্যারার দিন শুরু হলো…”

যদি প্রথমটা হয়ে থাকে, তাহলে আপনাকে অভিনন্দন! আপনি পজেটিভ মাইন্ডসেটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।

কিন্তু যদি দ্বিতীয়টা হয়, তাহলে একটু থামেন।

চোখ বন্ধ করে ভাবুন—আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কি আপনাকে পিছিয়ে দিচ্ছে না?

কারণ মাইন্ডসেট ঠিক না থাকলে সফলতা আসবে না, যতই চেষ্টা করুন না কেন।

মাইন্ডসেট আসলে কী?

সহজ করে বললে, মাইন্ডসেট হলো আপনি কিভাবে চিন্তা করেন, কিভাবে জীবনকে দেখেন সেটা।

জীবনে যারা সফল হয়, তাদের মাইন্ডসেট একেবারেই আলাদা।

তারা চ্যালেঞ্জকে ভয় পায় না, তারা ব্যর্থতাকে শিক্ষার সুযোগ মনে করে।

তারা জানে, সবকিছু রাতারাতি সম্ভব নয়, কিন্তু ধৈর্য ধরে চেষ্টা করলে একদিন সফলতা আসবেই।

তাহলে আপনি কীভাবে আপনার মাইন্ডসেট ঠিক করবেন?

১. নিজের সাথে কথা বলুন, কিন্তু পজেটিভ-ভাবে

অনেকেই নিজের সাথেই এমনভাবে কথা বলে, যেন সে নিজের সবচেয়ে বড় শত্রু!

- “আমি এটা পারবো না”
- “আমি তো আসলে কোনো কাজেরই না”
- “আমার দ্বারা কিছুই হবে না”

এই কথাগুলো আপনার মাথায় ঘুরতে থাকলে, আপনি নিজেই নিজেকে পিছিয়ে দিচ্ছেন।

তাহলে কী করবেন?
নিজের সাথে পজিটিভলিভাবে কথা বলুন।

যদি কোনো ভুল করেন, বলুন—
“আমি তো শিখছি, পরের বার ভালো করবো।”

কোনো কঠিন কাজ সামনে এলে বলুন—
“আমি চেষ্টা করবো, আমি পারবো।”

আপনার মস্তিষ্ক এই কথাগুলো শুনবে, বিশ্বাস করবে, এবং ধীরে ধীরে আপনাকে সত্যিই বদলে দিবে।

২. আপনার আশেপাশে প্রোডাক্টিভ মানুষ রাখুন

আপনার আশেপাশের মানুষগুলো কেমন?

- তারা কি সারাক্ষণ নেগেটিভ কথা বলে?
- সবকিছুকে কঠিন আর অসম্ভব ভাবে?
- কোনো কিছুতেই বিশ্বাস রাখতে চায় না?

তাহলে আপনি ধীরে ধীরে তাদের মতো হয়ে যাবেন।

কী করবেন তাহলে?
যতটা সম্ভব পজেটিভ, উদ্যমী, সফল ও চিন্তাশীল মানুষের সঙ্গে সময় কাটানোর চেষ্টা করুন।

তাদের কথা শুনুন, তাদের ভাবনা বোঝার চেষ্টা করুন।
তাহলেই দেখবেন, আপনার মাইন্ডসেট বদলে যাচ্ছে।

৩. প্রত্যাশা কমান, পরিশ্রম বাড়ান

আমরা অনেক সময়েই কম কষ্টে বড় কিছু পেতে চাই।

- দ্রুত ধনী হতে চাই
- এক মাসে ইংরেজি শিখতে চাই
- দুই দিনেই সিক্সপ‍্যাক বডি পেতে চাই

কিন্তু সত্যি কথা হলো, জীবন কখনো এইভাবে কাজ করে না।

সফলতার জন্য সময়ের দরকার, পরিশ্রমের দরকার, ধৈর্যের দরকার।

কী করবেন?
প্রত্যাশা কমান, কাজের দিকে ফোকাস করুন।
প্রতিদিন একটু একটু ভালো কিছু করার চেষ্টা করুন।

আর তাতেই এক সপ্তাহ, এক মাস, এক বছর পর দেখবেন, আপনি কতদূর এগিয়ে গেছেন!

৪. ধৈর্য ধরুন, কিন্তু অলসতা করবেন না

ধৈর্য ধরার মানে এই নয় যে, কিছু না করেই বসে থাকবেন।

আমরা অনেক সময় বলি—
- “সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করছি”
- “দেখি, কখন সুযোগটা আসে”

কিন্তু বাস্তবতা হলো, সুযোগ কেউ এনে দেয় না, সুযোগ তৈরি করতে হয়।

কী করণীয় তাহলে?

প্রতিদিন ছোট ছোট পদক্ষেপ নিন।
একদিনে সব সম্ভব নয়, কিন্তু ধাপে ধাপে এগিয়ে গেলে একদিন অনেক দূর পৌঁছানো যায়।

একটা গাড়ির ইঞ্জিন যদি ঠিকমতো কাজ না করে, তাহলে গাড়িটা কি বেশিদূর পর্যন্ত যেতে পারবে?

আপনার মাইন্ডসেটই আপনার জীবনের ইঞ্জিন।

যদি এই ইঞ্জিন ভালোভাবে কাজ না করে, তাহলে আপনি যতই চেষ্টা করুন, লক্ষ্যে পৌঁছানো কঠিন হয়ে যাবে।

মাইন্ডসেট একদিনেই বদলে যাবে না।

কিন্তু প্রতিদিন একটু একটু করে বদলালে, একসময় বিশাল পরিবর্তন আসে।

তাই এখন থেকেই শুরু করেন।

জীবনের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য জানতে আমাদের পেইজটি ফলো দিয়ে রাখেন।

"ব্রেইনকে ট্রেইন করে হয়ে উঠুন সবার সেরা"

🦁 “যে ভাঙা, তাকে আর ভাঙা যায় না...”এই জীবনে যত ঝড় গেছে মাথার ওপর দিয়ে,যত রিস্ক নিয়েছি,যতবার ভেঙেছি,যতটা একলা লড়েছিআজ কেউ...
26/08/2025

🦁 “যে ভাঙা, তাকে আর ভাঙা যায় না...”
এই জীবনে যত ঝড় গেছে মাথার ওপর দিয়ে,
যত রিস্ক নিয়েছি,
যতবার ভেঙেছি,
যতটা একলা লড়েছি
আজ কেউ সামনে দাঁড়িয়ে ভাঙার ভয় দেখালে
আমি শুধু হেসে ফেলি।

কারণ আমি জানি
ভাঙা মানুষ ভয় পায় না,
সে তৈরি হয় নতুন করে গড়া মানুষের চেয়েও শক্ত হয়ে।

📌 মানুষ ভেবেছে “এবার বুঝি ও শেষ!”
📌 বন্ধুর মুখে ছুরি দেখে আমি মুচকি হেসেছি।
📌 যার জন্য চোখ ভিজিয়েছি, সে-ই পেছনে ঘুরে উপহাস করেছে।
📌 যে হাত ধরে উঠিয়েছে, সেই হাত একদিন ঠেলে ফেলে দিয়েছে।

তবুও আমি হাল ছাড়িনি।
কারণ আমি শিখে গেছি
যতবার পড়বো, ততবার আমাকেই উঠতে হবে।
কেউ হাতে ধরে তুলবে না।

আজ আমি হয়তো কষ্টে আছি,
কিন্তু ভয়ে না।
আজ আমি হয়তো একা লড়ছি,
তবুও ভেঙে না।
কারণ আমার মনটা, আমার সত্তাটা এখন পাথর
🔥 আগুনে পোড়া ইস্পাত যেমন আরও শক্ত হয়,
আমিও তেমনি হয়ে উঠেছি অটল।

🔥 হিজামা–এর মতোই জীবনও…
কিছু বিষাক্ত রক্ত, কিছু ব্যথা, কিছু ক্ষত
বের না করলে শরীর যেমন সারে না,
তেমনি ক্ষমা না করলে মনও শান্ত হয় না।

আমি শিখেছি
বিষ জমে থাকলে শরীর ভাঙে,
আর ঘৃণা জমে থাকলে আত্মা ভেঙে পড়ে।

✨ তাই আজ আমার শক্তি হলো অভিজ্ঞতা,
অস্ত্র হলো ধৈর্য,
আর ঢাল হলো ক্ষমা।
কারণ আমি জানি
যে ভাঙা, তাকে আর ভাঙা যায় না।

জীবনের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য জানতে আমাদের পেইজটি ফলো দিয়ে রাখুন।

"ব্রেইনকে ট্রেইন করে হয়ে উঠুন সবার সেরা"

💭 অনুভূতি প্রকাশ ও মানুষের বাস্তবতানিজের দুর্বলতা, নিজের অনুভূতির কথা সব মানুষের সামনে বলা সঠিক নয়।বেশিরভাগ মানুষই অন্যে...
25/08/2025

💭 অনুভূতি প্রকাশ ও মানুষের বাস্তবতা
নিজের দুর্বলতা, নিজের অনুভূতির কথা সব মানুষের সামনে বলা সঠিক নয়।
বেশিরভাগ মানুষই অন্যের অনুভূতির বিষয়ে কোনো কেয়ার রাখে না।
কেউ সামনাসামনি আহ্লাদ দেখালেও, পেছনে হয়তো তারা হাসে বা অবহেলা করে।

🔹 চুপচাপ মানুষ বা Introvert-এর মনোভাব

আমরা যারা চুপচাপ, নিজের ভেতর সব চেপে রাখা মানুষগুলোকে প্রায়শই “রোবট” বা “ঠাণ্ডা” মনে করি।
কিন্তু তারা কেন এমন?

1. জীবনের কোনো পর্যায়ে ভুল মানুষকে বিশ্বাস করার অভিজ্ঞতা তাদের সতর্ক করে।

2. একবার ভুল মানুষের কাছে অনুভূতি উজাড় করে দেওয়ার পর তারা শিখেছে নিজের অনুভূতির মূল্য অনেকের কাছে নেই।

3. তাই তারা একবার কষ্ট পাওয়ার পরে চুপ হয়ে যায়; হাজারটা ভালো মানুষ এলেও মুখ খোলে না।

🔹 অনুভূতি লুকানোর কারণ

অনুভূতি প্রকাশ করে বহুবার কষ্ট পাওয়ার অভিজ্ঞতা।

নিজের কষ্ট নিজে বহন করতে শেখা।

জীবনের অস্থির মানুষ ও সাময়িক সম্পর্কের কাছে নিজেকে kwetsbaar না করার শিক্ষা।

🔹 শিক্ষণীয় দিক

1. একই ভুল দুইবার করা উচিত নয়।

2. ভালোবাসা বা বিশ্বাস দেওয়ার আগে মানুষকে ভালোভাবে বোঝা দরকার।

3. হুট করে একা হওয়া ভয়াবহ মনে হলেও, একাই বেঁচে থাকা অনেক নিরাপদ।

4. নিজের কষ্ট নিজের ভেতর রাখলেও, নিজের মনের শান্তি ও শক্তি বজায় থাকে।

💡 মনে রাখো:
কেউ তোমার অনুভূতি বুঝতে না পারলেও, নিজের মনকে দৃঢ় রাখাই সবচেয়ে বড় শক্তি।
একজন introvert বা চুপচাপ মানুষ হয়তো বাহিরে শান্ত, কিন্তু ভিতরে বিশাল হৃদয় ও অনুভূতি লুকিয়ে রাখে।
তাদের ধৈর্য, সংযম ও আত্মনির্ভরশীলতা আমাদের সবাইকে শিক্ষা দেয় নিজেকে কখনো অন্যের কাছে সম্পূর্ণভাবে উজাড় না করা ভালো।

জীবনের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য জানতে আমাদের পেইজ টি ফলো দিয়ে রাখুন।
"ব্রেইনকে ট্রেইন করে হয়ে উঠুন সবার সেরা"

অনেকের জীবনের সাথেই মিলে যাবে এই কথাগুলো—  **জীবনে এই ৮টি ভুল কখনোই করবেন না:**  ১/ ঠকবাজকে কখনো বিশ্বাস করবেন না।  ২/ ম...
24/08/2025

অনেকের জীবনের সাথেই মিলে যাবে এই কথাগুলো—

**জীবনে এই ৮টি ভুল কখনোই করবেন না:**
১/ ঠকবাজকে কখনো বিশ্বাস করবেন না।
২/ মিথ্যুক মানুষের কাছ থেকে সত্য আশা করা বোকামি।
৩/ যারা নিজের ইচ্ছায় আপনার জীবন থেকে চলে গেছে, তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবেন না।
৪/ অসৎ মানুষের কাছে সৎ পরামর্শ চাইবেন না।
৫/ যারা নিজের ভুল স্বীকার করে না, তাদের থেকে সবসময় দূরে থাকুন।
৬/ অহংকারী ও স্বার্থপর মানুষের কাছ থেকে সময় আশা করবেন না।
৭/ অমানবিক মানুষের কাছ থেকে জ্ঞান নেবেন না।
৮/ ব্যস্ত মানুষদের কাছ থেকে বন্ধুত্ব আশা করা বৃথা।

যে মানুষ আপনাকে বোঝে না, সে আপনাকে প্রয়োজন ছাড়া কখনো খোঁজেও না। যাকে ছাড়া বাঁচতে পারবেন না মনে করেন, একদিন তার অবহেলাই আপনাকে নতুন করে বাঁচতে শিখিয়ে দেবে।

হঠাৎ উঁচুতে ওঠা মানুষরা অনেক সময় নিচের মানুষের অস্তিত্ব ভুলে যায়। কিন্তু মনে রাখবেন—জীবনে পিছিয়ে পড়া বলে কিছু নেই, কারণ টিকিটের লাইনে দাঁড়ানো শেষ মানুষটিও একসময় প্রথম হয়ে যায়।

কষ্ট এমন এক বোঝা, যা শুধু নিজের কাঁধেই বহন করতে হয়; কারণ এর ভাগ কেউ নিতে চায় না। হাসি সবার জন্য হতে পারে, কিন্তু চোখের জল শুধু সেই বিশেষ একজনের জন্যই ঝরে।

যদি ব্লক করলেই সব শেষ হয়ে যেত, ডিলিট করলেই সব মুছে যেত—তাহলে হৃদয়ের যন্ত্রণা জমে থাকত না।

কুকুর পৃথিবীর একমাত্র প্রাণী—যে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ভালোবাসার দাম দেয়। মানুষকে ৯৯ দিন উপকার করলেও, একদিন না করলে সে শুধু সেই একদিনটাই মনে রাখবে।

এই পৃথিবীতে চোখ বুজে যাদেরকে বিশ্বাস করা যায়—তারা শুধু বাবা আর মা।
এখনকার ভালোবাসা সূর্যমুখী ফুলের মতো—যেদিকে আলো, সেদিকেই মুখ।

দেরিতে হলেও বুঝেছি—কিছু মানুষের প্রয়োজন শেষ হয়ে গেলেই তারা আপনাকে ফেলে দেবে। অহংকার দেখানো, ইগনোর করা—এসব স্মার্টনেস নয়; সবার সাথে সুন্দরভাবে চলতে পারাটাই আসল স্মার্টনেস।

মিথ্যা ভয়ানক, কিন্তু কাছের মানুষের মিথ্যা সবচেয়ে ভয়ানক।
শূন্যকে ভয় দেখানো বৃথা, কারণ শূন্য জানে—তার হারানোর কিছুই নেই, পাওয়ার আছে অনেক কিছু।

যারা মনে আঘাত দিয়ে হারিয়ে যায়, তারা আর ফিরে আসে না।
মানুষকে অতিরিক্ত ভালোবাসলেই তারা অবহেলা করে।
নিজের ওপর ভরসা রাখুন—রাস্তা যতই কঠিন হোক, আপনি নিজেই পথ খুঁজে নেবেন।

একবার ঠকে গেলে, মানুষ দ্বিতীয়বার হীরাকেও কয়লা ভাবে।
ক্ষুধা যেমন দারিদ্র্য মানে না, তেমনি দায়িত্ব যখন ঘিরে ধরে—বয়স মানে না।

ভুল মানুষের সাথে সারারাত গল্প হতে পারে, প্রেম হতে পারে—কিন্তু ভালোবাসা হয় না।
কারণ প্রেম অনুভূতির জগৎ, যার বাস্তবতার সাথে তেমন মিল নেই।
তারপরও মানুষ প্রেমে পড়ে, কারণ বাস্তবতাকে মেনে নেওয়া কষ্টকর।

কারো কাছ থেকে মেসেজ না পাওয়াটাই একটা মেসেজ—তাদের আর আপনাকে প্রয়োজন নেই।
দিন শেষে সূর্যও শেখায়—সময় শেষ হলে, স্থান পরিবর্তন হয়।

জীবনের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য জানতে আমাদের পেইজটি ফলো দিয়ে রাখুন,
"ব্রেইনকে ট্রেইন করে হয়ে উঠুন সবার সেরা"

লেখাটা ভয়ঙ্কর সুন্দর!💜"মৃ*ত্যু ছাড়া মানুষের একান্ত নিজের কিছু নেই,জীবন অন্যরা ভাগ করে নেয় খুব প্রকাশ্যেই।"জাহাঙ্গীরনগর...
23/08/2025

লেখাটা ভয়ঙ্কর সুন্দর!💜

"মৃ*ত্যু ছাড়া মানুষের একান্ত নিজের কিছু নেই,

জীবন অন্যরা ভাগ করে নেয় খুব প্রকাশ্যেই।"

জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটির একটা ছেলের মা*রা যাওয়ার খবর দেখে হুট করেই মনে হলো, মৃ*ত্যু ছাড়া আমাদের আসলে নিজের বলতে আছেটা কী?

এই ছেলেটা গ্র্যাজুয়েশন করেছে। বিয়ে করেছে। দুইটা বাচ্চা আছে। বৌ আছে। ৪১ তম বিসিএসে সুপারিশ পেয়েছে। ৪৩ তমর ভাইবাও দিয়ে ফেলেছে।

এই এতো এতো স্ট্রাগল, এতো এতো পরিশ্রম এক মুহূর্তে শূণ্য হয়ে গেল, ছেলেটার তাহলে নিজের বলে থাকলো কী?

ভালো ক্যারিয়ার, অসম্ভব পরিশ্রম করে তিলে তিলে গড়ে তোলা ক্যারিয়ার, এই ক্যারিয়ারটাও কি আসলে আমার নিজের? না তো। এই ক্যারিয়ারে মায়ের ভাগ আছে, বাপের ভাগ আছে, ভাইয়ের লেখাপড়া আছে, বোনের বিয়ে আছে, বৌ এর শখ আছে, বাচ্চার দুধ আর খেলনাও আছে।

এবং এই একটা ক্যারিয়ার বানানোর জন্য মানুষরে সবকিছুই ছাড়তে হয়। লিটারালি সবকিছুই। টাকার ব্যাপারটা তো আছেই, সময়ের ব্যাপারটাও খুব ভাইটাল। চাকরির পেছনে ছুটতে ছুটতে বহু ছেলেমেয়ে ট্যুর দেওয়া ছেড়ে দেয়, বই পড়া ছেড়ে দেয়, প্রেম করা ছেড়ে দেয়, রেস্টুরেন্টে খাওয়া ছেড়ে দেয়, এমনকি অনেকে তো ইবাদত পর্যন্ত করতে পারে না।

একবার এক ভাইরে রাতের বেলা অনেক নামাজ পড়ার কারণ জিজ্ঞেস করে জানছিলাম, সারাদিন ল্যাবে কাজের ঠেলায় নামাজটা পর্যন্ত পড়তে পারেন নাই। খাওয়া তো দূরের কথা। মলিন হাসি মুখে নিয়ে তিনি বলেছিলেন, আমি ধনী হইতে চাই না ভাই, শুধু এতোটুকু অবসর চাই, যতটুকু অবসর পাইলে আমি একটু শান্তিমতো নামাজটা পড়তে পারি।

কেউ সরারাত ফোন নিয়ে রাতে দাঁড়াইয়া থাকে, বাপ অসুস্থ, বাপের কাছে যাইতে পারে না। শুধুমাত্র একটা ক্যারিয়ারের জন্য। একটা ব্রাইট ফিউচারের জন্য।

সমস্যা হলো, ফিউচার প্ল্যানে আমরা সবকিছুই ইনক্লুড করি, শুধু মৃ*ত্যুটা ছাড়া। আমাদের প্ল্যানে পরিবার থাকে, প্রেমিকা থাকে, গাড়ি থাকে, বাড়ি থাকে, বাট মৃ*ত্যুটা থাকে না।

অথচ মৃ*ত্যুটাকে প্ল্যানে রাখতে পারলেই কিন্তু আমার আপনার অনেক প্রায়োরিটি লিস্ট চেঞ্জ হয়ে যাবে। সেন্টমার্টিন ট্যুরটা দিয়ে ফেলা যাবে, ওয়্যার এন্ড পিসটা পড়ে ফেলার সময় হবে, তাহাজ্জুদ পড়ার সময়টাও বের করে ফেলতে পারবেন। কারণ, আপনি জানেন, মৃ*ত্যু ওয়েট করতেসে। আপনার হাতে খুব বেশি সময় নাই।

না, আমি নিজে বোহেমিয়ান টাইপ মানুষ না, আপনাকেও বাউন্ডুলে হতে বলতেসি না। বরং পরিবারকে আমরা ওউন করবো, ভালোবাসবো, দায়িত্ব পালন করবো, সবটাই করবো।

সাথে সাথে ওউন করে নিবো আমাদের দুর্বলতাকেও, আমাদের মৃ*ত্যুকেও।

তখন দেখবেন, কিছু কাজ যেইটা আপনি একান্তই আপনার বলে অবহেলায় ফেলে রেখেছেন, কাজটা আপনার করা হয়ে যাবে। মৃ*ত্যু আপনার পরিবারের পাশাপাশি আপনাকেও আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলবে।

জীবন নিয়ে প্ল্যান করার সময় একটা জিনিস মাথায় রাইখেন, জীবনটা আপনার না। এইখানে আপনার ভাগ কম। আপনার জীবন আপনার চোখের সামনেই ভাগ করে নেবে আপনার পরিবার, আপনার বন্ধু বা আপনার আত্মীয়রা।

বাট মৃত্যুটা আপনার একান্তই নিজের। আপনার মৃত্যুর ভাগটা কেউ নেবে না, ঐটা আপনাকেই নিতে হবে। তাই, যে কোন প্ল্যানে জীবনের আগে মৃ*ত্যুর কথাটা থাকা চাই। ক*ষ্ট করতে করতে নিজেরে যন্ত্র করে ফেলার আগে মনে থাকা চাই কবি ইমতিয়াজ মাহমুদের লেখা দুইটা লাইন,

"মৃ*ত্যু ছাড়া মানুষের একান্ত নিজের কিছু নেই,

জীবন অন্যরা ভাগ করে নেয় খুব প্রকাশ্যেই।"
জীবনের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য জানতে আমাদের পেইজ টি ফলো দিয়ে রাখুন।এবং
"ব্রেইনকে ট্রেইন করে হয়ে উঠুন সবার সেরা"

জীবনের পথে চলতে গিয়ে ব্যর্থতার মুখোমুখি না হওয়া মানুষ খুবই বিরল। কেউ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়, কেউ ব্যবসায়, কেউ সম্পর্কের ক্ষে...
23/08/2025

জীবনের পথে চলতে গিয়ে ব্যর্থতার মুখোমুখি না হওয়া মানুষ খুবই বিরল। কেউ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়, কেউ ব্যবসায়, কেউ সম্পর্কের ক্ষেত্রে আবার কেউ জীবনের বড় কোনো স্বপ্ন পূরণ করতে গিয়ে হোঁচট খায়। কিন্তু ব্যর্থতা মানেই যে জীবন থেমে গেল, তা নয়। বরং ব্যর্থতা হলো এক নতুন শুরু করার সুযোগ, যেখানে আমরা অতীতের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে এগিয়ে যেতে পারি।

ব্যর্থতা আমাদের শেখায়—অভিজ্ঞতা ছাড়া সাফল্য পূর্ণ হয় না। যেমন একটি শিশু বারবার পড়ে গিয়ে হাঁটা শিখে, তেমনি একজন মানুষও ব্যর্থ হয়ে সফলতার সিঁড়ি খুঁজে নেয়। প্রতিটি ব্যর্থতার ভেতরেই লুকিয়ে থাকে একেকটি শিক্ষা, যা আমাদের পরবর্তী যাত্রায় দিকনির্দেশনা দেয়।

ইতিহাসের দিকে তাকালেই দেখা যায়, বিশ্বের বহু সফল মানুষ ব্যর্থতার ভেতর দিয়েই গড়ে উঠেছেন। আলবার্ট আইনস্টাইনকে বলা হয়েছিল তিনি কিছুই শিখতে পারবেন না, থমাস এডিসন শত শতবার ব্যর্থ হয়েছিলেন বাতি আবিষ্কারের আগে, এমনকি আমাদের মুক্তিযুদ্ধও বহু ত্যাগ আর ব্যর্থতার ভিতর দিয়েই বিজয় অর্জন করেছিল। তারা যদি প্রথম ব্যর্থতার পর হাল ছেড়ে দিতেন, তবে পৃথিবী হয়তো আজ ভিন্নরকম হতো।

তাই ব্যর্থতা কোনো অভিশাপ নয়, বরং এক মূল্যবান শিক্ষা। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—সাফল্যের পথ সহজ নয়, সেখানে সংগ্রাম করতে হয়, ভুল থেকে শিখতে হয় এবং প্রতিবারই নতুন করে উঠে দাঁড়াতে হয়।

শেষ পর্যন্ত, জীবনে যারা ব্যর্থতাকে ভয় না পেয়ে গ্রহণ করে, তারাই সত্যিকার অর্থে বিজয়ী হয়। কারণ ব্যর্থতা হলো শেষ নয়, ব্যর্থতা হলো শুরু করার নতুন এক আলো।

জীবনের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য জানতে আমাদের পেইজ টি ফলো দিয়ে রাখুন।এবং
"ব্রেইনকে ট্রেইন করে হয়ে উঠুন সবার সেরা"



Address

Fulbaria

Telephone

+8801933508825

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Alnur 001 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Alnur 001:

Share