abirakashjournal.com

abirakashjournal.com abirakashjournal is positive news paper. print & online.

বিসিএস (ক্যাডার) পরীক্ষায় দুইবার প্রথম হয়েছেন যিনি! বোর্ড কর্মকর্তারা জিজ্ঞেস করলেন, “জনাব, নাজিম উদ্দিন, আপনি কেন আগেরব...
23/06/2025

বিসিএস (ক্যাডার) পরীক্ষায় দুইবার প্রথম হয়েছেন যিনি!

বোর্ড কর্মকর্তারা জিজ্ঞেস করলেন, “জনাব, নাজিম উদ্দিন, আপনি কেন আগেরবার প্রথম হয়েও সিভিল সার্ভিসে যোগদান করলেন না?”
ছেলেটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য পাশ করেছে।
পাশ করেই বিসিএস পরীক্ষা দিল এবং প্রচণ্ড পরিশ্রমের ফল হিসেবে প্রথম হল (১০ম বিসিএস পরীক্ষা)।

কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে সেই ছেলে চাকরিতে যোগদান করলো না।

পরবর্তীতে ১২তম বিসিএস পরীক্ষা চলে এলো এবং সেই ছেলে আবার ভাইভাতে উপস্থিত!
ভাইভা বোর্ডের উপস্থিত সবাই অবাক হয়ে দেখল এই ছেলে ১০ম বিসিএস পরীক্ষায় প্রথম মেধাস্থানে ছিল।
বোর্ড কর্মকর্তারা জিজ্ঞেস করলেন,
“জনাব, নাজিম উদ্দিন, আপনি কেন আগেরবার প্রথম হয়েও যোগদান সিভিল সার্ভিসে যোগদান করলেন না?”

উত্তরে নাজিম উদ্দিন জানালেন,
আগেরবার বিসিএস পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার পরেই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন,
তাই আর সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন নি।

তারপর, বোর্ড কর্মকর্তারা জিজ্ঞেস করলেন, “এবার কেন আপনি আবার বিসিএস পরীক্ষা দিয়েছেন?”
উত্তরে নাজিম উদ্দিন যা জানালেন তাতে বোর্ড কর্তাদের চক্ষু চড়কগাছ!
নাজিম উদ্দিনের সরল উত্তর, “আসলে আমি একটু যাচাই করে দেখলাম, আমার সেই মেধা আর প্রস্তুতি ঠিক আছে কিনা”।

নাজিম উদ্দিন হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সি‌স্টেমস বিভাগের প্রফেসর নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া, এফসিএমএ।

তিনি দ্বিতীয় বারেও বিসিএস পরীক্ষায় প্রথম হন।

কিন্তু যোগদান করেননি, পেশা হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতাকেই বেছে নেন।

বাংলাদেশের ইতিহাসে একজন মানুষই বিসিএসে দুইবার প্রথম হয়েছেন, কিন্তু তিনি নিজেকে মহাজ্ঞানী ভেবে যাকে-তাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেননি। কারণ, তিনি জানতেন, “যিনি যত বেশি জ্ঞানী, তিনি তত বেশি বিনয়ী।

সংগৃহীত

লক্ষীপুরে সাংবাদিকদের আশ্রম এম এ মালেকের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকীঅ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর: আমাদের একজন এম এ মালেক ছিলেন। এ কথা...
12/04/2025

লক্ষীপুরে সাংবাদিকদের আশ্রম এম এ মালেকের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী

অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর:
আমাদের একজন এম এ মালেক ছিলেন। এ কথাটি আমি এজন্যই হলপ করে বলছি যে, উনি আসলে সাংবাদিকই ছিলেন না- তিনি মনেপ্রাণে একজন সংবাদকর্মী, একজন সমাজদরদী, একজন সহকর্মী দরদী, একজন আস্থাশীল মানুষ হিসেবে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন এ জেলায়। তার মত নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে অন্যের উপকার করা, অন্যের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়া এরকম খুব কম মানুষই আমার চোখে পড়েছে। সবাই যেখানে স্বার্থের পিছনে ছুটেন সেখানে এম এ মালেক একজন নিবেদিত প্রাণ।
তার সাথে আমার সংগঠন করার, তার নেতৃত্বে সাড়া দেওয়ার অনেক সুযোগ হয়েছিল।
একবার আমি লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল নিয়ে রিপোর্ট করায় আওয়ামী লীগের কিছু লোকজন আমার উপর ছড়াও হয়েছেন। পরবর্তীতে আমি আমার সংগঠনের নীতি নির্ধারক হিসাবে তাকে জানিয়েছিলাম। তিনি পরের দিনেই মিটিং ডেকে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন, জোর প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং ঘটনা সুষ্ঠু সমাধানও করেছিলেন। শুধু তাই নয় তিনি একজন সংগঠক হিসেবে, নীতি নির্ধারক হিসেবে যথেষ্ট সচেতন এবং লক্ষ্মীপুরের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে একজন গ্রহণযোগ্য সাংবাদিক হিসেবে সুনাম অর্জন করেছেন এম এ মালেক।
সাংবাদিক এম এ মালেক লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাব, লক্ষ্মীপুর রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ বেশ কয়েকটি সাংবাদিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। আমি দুই একটা সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে উনার সান্নিধ্যে আসতে পেরেছি। আমি তার ব্যক্তিত্বের অনেক গুণাবলী নিয়ে কথা বলতে পারি। আমি সাংবাদিক এম এ মালেকের চার পৃষ্ঠার একটি ইন্টারভিউ চেপে ছিলাম লক্ষ্মীপুর সমাচার ম্যাগাজিনে। শুধু তাই নয় তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নীতি নির্ধারক হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন।

নিরহংকারী স্বেচ্ছাসেবী মনসম্পন্ন সাংবাদিক এম এ মালেক দৈনিক ভোরের পাতা পত্রিকার ব্যুরো প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। সহজে সাধারন মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিতেন তিনি।

সাংবাদিক এম এ মালেকের সুযোগ্য সন্তান মোঃ নাজিম উদ্দিন রানা ও আমজাদ হোসেন বাবার দেখানো আলোকিত রাস্তায় হাটছেন। সমাজ সেবার মন মানসিকতা নিয়ে সংবাদ সাংবাদিকতায় নিজেদের জড়িয়ে রেখেছেন৷

২.
মরহুম এম এ মালেকের শিক্ষা ও সাংবাদিকতার সংক্ষিপ্ত জীবনীঃ প্রবীণ সাংবাদিক এম এ মালেক লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সদর উপজেলার সমসেরাবাদ গ্রামের হাজী চুনু মিঞা হাওলাদার বাড়ীর সভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি সমসেরাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শুরু করেন। তারপর লক্ষ্মীপুর মডেল হাইস্কুলে অধ্যয়ন কালে দৈনিক আজাদ পত্রিকায় তার সাংবাদিকতার হাতে খড়ি। পরবর্তীতে চৌমুহনী এস এ কলেজে অধ্যয়নকালীন সময়ে দৈনিক পূর্বদেশ, দৈনিক বাংলা, দৈনিক কিষাণ, দৈনিক দেশ বাংলায় লেখালেখি করেন এবং লক্ষ্মীপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক আল চিশত ও দৈনিক লক্ষ্মীপুর কণ্ঠে দীর্ঘদিন সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন। ষাট দশকের তুখোড় ছাত্র নেতা হিসেবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব প্রদান করেন। মরহুম মালেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ঢাকা টিটি কলেজ থেকে বিএড সমাপ্ত করেন। দীর্ঘ ১৫বছর সিলেটের ছাতক এবং সাভারের দোসাইদ একে হাইস্কুলে পর্যায়ক্রমে প্রধান শিক্ষক ছিলেন। বিএড অধ্যায়ন কালীন সময়ে ১৯৭৫-৭৬ সালে টিটি কলেজের ছাত্র সংসদ এর নির্বাচিত জিএস ছিলেন। তিনি সাংবাদিকতা জীবনে অসংখ্য প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা অংশগ্রহণ করেছিলেন।

আবীর আকাশ জার্নাল ও এটিভিলাইভ.নিউজ পরিবার তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে।

*
অ আ আবীর আকাশ
কবি প্রাবন্ধিক কলামিস্ট লোকসাহিত্য গবেষক ও সাংবাদিক
[email protected]

আমি জীবন ভালোবাসি। আমি আমাকে ভালোবাসি।জীবন সে-তো অনেক কঠিন, আবার কঠিনও নয়। বেঁচে থাকার তাগিদে কত স্থান, কত মায়া, কত ভা...
13/02/2025

আমি জীবন ভালোবাসি। আমি আমাকে ভালোবাসি।

জীবন সে-তো অনেক কঠিন, আবার কঠিনও নয়। বেঁচে থাকার তাগিদে কত স্থান, কত মায়া, কত ভালোলাগা, কত মন্দ-লাগা সব মিলিয়ে একটা পছন্দের জায়গা তৈরী হয়, তারপরই সুখের দেখা।

জীবনটা তো কম দীর্ঘ নয়। শুধু চাই ভালোবেসে যত্নে আগলে রাখার শক্ত দুটি হাত। 🫶

অ আ আবীর আকাশ

সবাইকে বাসন্তী শুভেচ্ছা
13/02/2025

সবাইকে বাসন্তী শুভেচ্ছা

শীঘ্রই লেখা পাঠান
17/01/2025

শীঘ্রই লেখা পাঠান

ক্যালিফোর্নিয়ায় সবচেয়ে বড় ১০ দাবানলের ৮টিই গত পাঁচ বছরেআবীর আকাশ জার্নাল ডেস্ক রিপোর্ট ভয়াবহ দাবানলে জ্বলছে যুক্তরাষ্ট্র...
17/01/2025

ক্যালিফোর্নিয়ায় সবচেয়ে বড় ১০ দাবানলের ৮টিই গত পাঁচ বছরে
আবীর আকাশ জার্নাল ডেস্ক রিপোর্ট
ভয়াবহ দাবানলে জ্বলছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের এই অঙ্গরাজ্যে নিয়মিতই দাবানল দেখতে পাওয়া যায়। যদিও গত কয়েক দশকে দাবানলের মৌসুম দীর্ঘায়িত হয়েছে। এর কারণ হিসেবে দেশটির পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থা বলেছে, গ্রীষ্মের শুষ্ক মৌসুম লম্বা হওয়া এবং বসন্তের অপেক্ষাকৃত উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে মৌসুমের আগেই দাবানল দেখা দিচ্ছে।

৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রে দাবানলের কারণ মানুষ বলে জানিয়েছে ইউএস ফরেস্ট সার্ভিস। যদিও সেগুলোর বেশির ভাগই অনিচ্ছাকৃত। যেমন ক্যাম্পফায়ারের আগুন ঠিকমতো না নেভানো বা বৈদ্যুতিক তারের স্ফুলিঙ্গ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে দাবানলের সৃষ্টি হয়। গত কয়েক দশকে দ্রুত নগরায়ণ ও প্রকৃতির গভীরে মানুষের বসতি স্থাপনকে এ জন্য দায়ী করা হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ১০ দাবানলের ৮টিই গত ৫ বছরে হয়েছে। পুড়ে যাওয়া ভূমির আয়তনের দিক দিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় সবচেয়ে বড় ১০ দাবানল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

আগস্ট কমপ্লেক্স (২০২০)

২০২০ সালের ১৬ ও ১৭ আগস্ট বজ্রপাত থেকে সূত্রপাত হয়েছিল ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দাবানলের। ৩৮টি আলাদা আলাদা জায়গায় চার মাসের বেশি সময় ধরে এই দাবানল চলেছিল। পুড়ে গিয়েছিল ১০ লাখ ৩২ হাজার ৬০০ একর ভূমির গাছগাছালি ও স্থাপনা। এ দাবানল ছড়িয়েছিল একাধিক দেশে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ।

এই দাবানল ক্যালিফোর্নিয়ার মেনডোসিনো, শাসটেয়া-ট্রিনিটি এবং সিক্স রিভার্স জাতীয় উদ্যানজুড়ে ছড়িয়েছিল

ওই দাবানল ক্যালিফোর্নিয়ার মেনডোসিনো, শাসটেয়া-ট্রিনিটি এবং সিক্স রিভার্স জাতীয় উদ্যানজুড়ে ছড়িয়েছিল। সাতটি অগ্নিনির্বাপণ দল ওই দাবানল নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। আগস্ট কমপ্লেক্সে লাখ লাখ একর ভূমির গাছগাছালি ও স্থাপনা পুড়ে গেলেও মানুষ হতাহতের সংখ্যা কম ছিল। সেবার অগ্নিনির্বাপণ বাহিনীর একজন কর্মী দাবানল নেভাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন। আর একজন আহত হয়েছিলেন। ৯৩৫টি অবকাঠামো পুড়ে যায়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রায় ৩২ কোটি মার্কিন ডলার।

ডিক্সি (২০২১)

দাবানলের লেলিহান শিখায় পুড়ে যাচ্ছে বাড়িঘর। অগ্নিনির্বাপণ বাহিনীর এক সদস্য পাইপে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসে দাবানলে সবচেয়ে বেশি আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল ডিক্সি দাবানলে। প্লুমাস কাউন্টি, ২৪ জুলাই ২০২১

২০২১ সালে ডিক্সি দাবানলে ৯ লাখ ৬৩ হাজার ৩০৯ একর ভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ ছিল ৬৩ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি। ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসে দাবানলে এত বেশি আর্থিক ক্ষতি আর হয়নি। বিদ্যুৎ সরবরাহের তারের ওপর গাছ পড়ে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল। ১০৫ দিন ধরে চলেছিল এই দাবানল। পুড়ে গিয়েছিল ১ হাজার ৩২৯টি অবকাঠামো। আগুন নেভাতে গিয়ে অগ্নিনির্বাপণ বাহিনীর এক সদস্য মারা যান এবং তিনজন আহত হন। তবে কোনো বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারাননি।

মেনডোসিনো কমপ্লেক্স (২০১৮)
ক্যালিফোর্নিয়ার উত্তরাঞ্চলে ২০১৮ সালে একই সময়ে শুরু হওয়া দুটি দাবানলকে একত্রে মেনডোসিনো কমপ্লেক্স বলে। ওই দুই দাবানলের নাম ছিল রিভার ফায়ার ও র‍্যাঞ্চ ফায়ার। ২৭ জুলাই প্রথম দাবানলের খবর প্রকাশ পায়। ১৮ সেপ্টেম্বর দাবানল দুটি নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও ওই আগুন পুরোপুরি নিভতে পরের বছর জানুয়ারি পর্যন্ত সময় গড়িয়েছিল। দুই দাবানলে মোট ৪ লাখ ৫৯ হাজার ১২৩ একর জমির ক্ষতি হয়। দাবানলে একজন নিহত এবং তিনজন আহত হন।

এসসিইউ লাইটনিং কমপ্লেক্স (২০২০)

এসসিইউ (স্যান্টা ক্লারা ইউনিট) লাইটনিং কমপ্লেক্সের নাম থেকেই এই দাবানলের সূত্রপাত হওয়ার কারণ জানা যায়। ২০২০ সালের ১৬ আগস্ট বজ্রপাত থেকে ক্যালিফোর্নিয়ায় এই দাবানলের সূত্রপাত হয়েছিল। ১ অক্টোবর দাবানল নিয়ন্ত্রণে আসে। দাবানলে স্যান্টা ক্লারা, আলামেডা, কন্ট্রা কোস্টা, সান জোয়াকুইন, মারসেড ও স্ট্যানিসলাউস কাউন্টির ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৬২৪ একর ভূমির গাছগাছালি ও স্থাপনা পুড়ে গিয়েছিল। কেউ প্রাণ হারাননি, আহত হয়েছিলেন ৬ জন।

ক্রিক (২০২০)

দাবানলে পুড়ে গেছে ক্যালিফোর্নিয়ার শেভের লেক এলাকার শেভের র‍্যাঞ্চের প্রবেশপথ। ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে দাবানলের মৌসুমে ক্যালিফোর্নিয়ার মধ্যাঞ্চলের সিয়েরা ন্যাশনাল ফরেস্ট এবং মাডেরা কাউন্টিতে ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়েছিল। ৪ সেপ্টেম্বর দাবানল শুরু হয়। কয়েক মাস ধরে জ্বলার পর ওই বছরের ২৪ ডিসেম্বর সেটি শতভাগ নিয়ন্ত্রণে আসার ঘোষণা দেওয়া হয়। মাঝে এই কয়েক মাসে পুড়ে যায় ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৮৯৫ একর ভূমি। পুড়ে গিয়েছিল ৮৫৬টি অবকাঠামো। কেউ মারা যাননি, তবে আহত হয়েছিলেন ২৬ জন। কী কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল, তা জানা যায়নি।

এলএনইউ লাইটনিং কমপ্লেক্স (২০২০)

ছড়িয়ে পড়েছে দাবানল। আগুন নেভাতে আকাশ থেকে ছড়ানো হচ্ছে রাসায়নিক। নাপা, ক্যালিফোর্নিয়া, ১৮ আগস্ট ২০২০

২০২০ সালের ১৬ আগস্ট ভোর থেকেই ক্যালিফোর্নিয়ার উত্তরের বেশির ভাগ অঞ্চলজুড়ে অস্বাভাবিক বজ্রঝড় শুরু হয়েছিল। প্রায় ৭২ ঘণ্টা ধরে ওই ঝড় চলেছিল এবং ১০ হাজার ৮৪৯টি বজ্রপাতের খবর পাওয়া গিয়েছিল। ওই সব বজ্রপাতের কারণে ক্যালিফোর্নিয়াজুড়ে প্রায় ৩৭৬টি স্থানে ছোট–বড় দাবানলের সূত্রপাত হয়েছিল। এলএনইউ (সোনোমা-লেক-নাপা ইউনিট) লাইটনিং কমপ্লেক্স দাবানলে ৩ লাখ ৬৩ হাজার ২২০ একর ভূমি পুড়ে গিয়েছিল। প্রাণ হারিয়েছিলেন ছয় বেসামরিক নাগরিক। আহত হয়েছিলেন আরও পাঁচজন।

নর্থ কমপ্লেক্স (২০২০)

১৭ আগস্ট ২০২০ সালের বজ্রঝড়ের কারণে হওয়া বজ্রপাতে উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার প্লুমাস জাতীয় উদ্যানের ২১টি জায়গায় আগুন জ্বলতে শুরু করে, যা একসময় ভয়াবহ এক দাবানলে পরিণত হয়। ক্যালিফোর্নিয়া অগ্নিনির্বাপণ অধিদপ্তর ওই দাবানলের নাম দেয় নর্থ কমপ্লেক্স ফায়ার। ১০৯ দিন ধরে জ্বলার পর সে বছর ৩ ডিসেম্বর এটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। পুড়ে যায় ৩ লাখ ১৮ হাজার ৯৩৫ একর ভূমি। এই দাবানলে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ হতাহত হন। প্রাণ হারান ১৬ জন, আহত হয়েছিলেন শতাধিক মানুষ।

রাশ ফায়ার (২০১২)

২০১২ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার সবচেয়ে বড় দাবানল ছিল এটি। লাসেন কাউন্টি থেকে এই দাবানল শুরু হয়েছিল। পরে সেটি নেভাদা অঙ্গরাজ্যের ওয়াশু কাউন্টিতে ছড়িয়ে পড়ে। দুই অঙ্গরাজ্য মিলিয়ে রাশ দাবানলে ৩ লাখ ১৫ হাজার ৫৭৭ একর ভূমি পুড়ে যায়। পুড়ে যাওয়া ভূমির আয়তন বিচারে ২০১২ সাল পর্যন্ত এটি ছিল ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ দাবানল। ১৯৩২ সাল থেকে ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানলের হিসাব রাখা শুরু হয়। ১২ আগস্ট শুরু হওয়া এই দাবানল ৩০ আগস্ট পর্যন্ত জ্বলেছিল।

টমাস ফায়ার (২০১৭)

দাবানলে জ্বলছে বন। অগ্নিনির্বাপণ বাহিনীর সদস্যরা আগুনের পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছেন। ক্যালিফোর্নিয়া, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭

২০১৭ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় জ্বলতে থাকা একাধিক দাবানলের একটি ছিল টমাস ফায়ার। টমাস ফায়ার ভেন্টুরা ও স্যান্টা বারবারা কাউন্টিজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল এই দাবানল। এতে পুড়ে গিয়েছিল প্রায় ২ লাখ ৮১ হাজার ৮৯৩ একর ভূমি। পরের বছর ১২ জানুয়ারি দাবানলটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।

সিডার ফায়ার (২০০৩)

ক্যালিফোর্নিয়ার সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক দাবানলগুলোর একটি ছিল সিডার ফায়ার। ২০০৩ সালের অক্টোবর ও নভেম্বরে ওই দাবানলে ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়েগো কাউন্টির ২ লাখ ৭৩ হাজার ২৪৬ একর ভূমি পুড়ে গিয়েছিল। ঝোড়ো বাতাসের কারণে দাবানলটি খুব ছড়িয়েছিল। এটির গতি ছিল প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ৩ হাজার ৬০০ একর। ওই বছর ৪ নভেম্বর দাবানলটি নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু তার আগে ধ্বংস করে ২ হাজার ৮২০টি অবকাঠামো। প্রাণ হারান ১৫ জন। তাদের মধ্যে একজন অগ্নিনির্বাপণ বাহিনীর সদস্য ছিলেন।

তথ্যসূত্র: ক্যালিফোর্নিয়া ডিপার্টমেন্ট অব ফরেস্টি অ্যান্ড ফায়ার প্রটেকশন

সকলকে শুভেচ্ছা অবিরাম... যেকোনো সংবাদ প্রচারের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১৬-২০৫৩৯৯
31/12/2024

সকলকে শুভেচ্ছা অবিরাম...

যেকোনো সংবাদ প্রচারের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১৬-২০৫৩৯৯

জান্নাতের ৪টি নদী যেগুলো পৃথিবীতে বহমানআবীর আকাশ জার্নাল ডেস্কমহান আল্লাহ তার অতুলনীয় সৃষ্টিকুশলতায় মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছ...
19/11/2024

জান্নাতের ৪টি নদী যেগুলো পৃথিবীতে বহমান

আবীর আকাশ জার্নাল ডেস্ক
মহান আল্লাহ তার অতুলনীয় সৃষ্টিকুশলতায় মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন। আর সেই সৃষ্টির অন্যতম কুশলতা হলো পৃথিবী। কোরআনের বর্ণনায়ও স্থান পেয়েছে পৃথিবীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সমাহার ও বৈচিত্র্য। পৃথিবীকে যে উপাদানগুলো দিয়ে সাজিয়েছেন তার মধ্যে একটি হলো নদ-নদী। তবে পৃথিবীকে শোভামণ্ডিত করা এমনও কিছু নদী রয়েছে যার উৎপত্তি জান্নাতে।

সহিহ মুসলিম শরিফের হাদিসে ৪টি নদীকে জান্নাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে বর্ণনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, পৃথিবীতে এমন ৪টি নদী প্রবাহিত হয়েছে, যেগুলো জান্নাতের নদীগুলোর অন্তর্ভুক্ত। এ নদীগুলো শুধু ভৌগোলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং তাদের ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক তাৎপর্য ইসলামের ঐতিহ্যকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।

ফোরাত নদী

ফোরাত নদী বা ইউফ্রেটিয়াস রিভার, ২,৮০০ কিলোমিটার দীর্ষ এই নদীটি তুর্কি, সিরিয়া ও ইরাকের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে। আজ থেকে প্রায় ১৪০০ বছর আগে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলে গেছেন, কেয়ামতের আগে শুকিয়ে যাবে এই ফোরাত নদী। ইতোমধ্যে এই নদী শুকানো শুরু করেছে। আবু হোরায়রা (র.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত কেয়ামত সংগঠিত হবে না, যতক্ষণ না ফোরাত নদী শুকিয়ে যায় এবং তার মাঝ থেকে একটি স্বর্ণের পাহাড় উন্মোচন হয়। মানুষ এই স্বর্ণের জন্য যুদ্ধ করবে এবং প্রতি ১০০ জনের মাঝে ৯৯ জনই মারা যাবে এবং তারা প্রত্যেকেই ভাববে হয়ত আমিই সেই বেঁচে যাওয়া একজন।

মিসরের নীল নদ

নীল নদের উৎস ছিল এক মহারহস্য। নীল নদটি সহিহ মুসলিমে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নীল ও ফোরাত জান্নাতের নদীগুলোর মধ্যে রয়েছে। নীল নদ ইসলামের ঐতিহ্যের সঙ্গে সবচেয়ে বিখ্যাত সংযোগ হলো নবী মুসা (আ.)-এর গল্প। তার মা ফেরাউনের আদেশ থেকে তাকে রক্ষা করার আশায় একটি ঝুড়িতে রেখে নীলতে নদীতে ভাসিয়ে দেন, যা অবশেষে ফেরাউনের পরিবারের কাছে পৌঁছে যায়। মুসার নবী হওয়ার যাত্রা শুরু হয় সেখান থেকেই।

মহানবী (সা.) মিরাজে গিয়ে জান্নাতের ৪টি নদী দেখেছেন। দুটি বাহ্যিক ও দুটি অভ্যন্তরীণ। বাহ্যিক নদী দুটি দুনিয়ায় প্রবহমান, নীল ও ফোরাত।

তুরস্কের জয়হান নদী

সহিহ মুসলিমে জয়হান নদীকে জান্নাতের নদীগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, অর্থাৎ পৃথিবীতে আমরা যেসব উপহার উপভোগ করি তা জান্নাতের অফুরন্ত দানের একটি ক্ষুদ্র ঝলক। এ নদী পূর্ব তারাস পর্বতমালার নুরহাক পর্বত থেকে উৎপন্ন হয়ে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার প্রবাহিত হয়ে ভূমধ্যসাগরে গিয়ে মিশেছে। এটি প্রাচীনকাল থেকে একটি প্রাকৃতিক সীমানা ও বিভিন্ন সভ্যতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসেবে পরিচিত ছিল।

তুরস্কের সিহান নদী

যেটি সেরাস নামেও পরিচিত। সিলিসিয়া অঞ্চলের দীর্ঘতম নদী এটি। যা প্রায় ৫৬০ কিলোমিটার প্রবাহিত হয়ে ভূমধ্যসাগরে মিশেছে। প্রাচীন লেখকরা সিহান নদী সম্পর্কে বিশদভাবে লিখেছেন, এটি সিলিসিয়া অঞ্চলের সভ্যতার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এ নদীটি কৃষি ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এখানে গম, ভুট্টা, বার্লি, তুলা, ফল এবং সবজি চাষ করা হয়, যা স্থানীয় অর্থনীতির একটি বড় অংশ।

অন্য এক বর্ণনায় আছে, রসুলল্লাহ (সা.) বলেছেন, সিহান ও জায়হান, ফোরাত এবং নীল প্রত্যেক নদীই জান্নাতের নদ-নদীসমূহের অন্যতম।

জান্নাতের নদীমালার মধ্যে একটির নাম কাউসার; যা শেষ নবী (সা.)-কে হওজরূপে দান করা হয়েছে। যেখান হতে মহানবী (সা.) তার উম্মতকে কিয়ামতে পানি পান করাবেন। সুর্ববৃহৎ হওজ ও কাউসার নহর থাকবে জান্নাতি শরাবে পরিপূর্ণ। যে পবিত্র শরাব বা পানীয় দুধের চেয়েও সাদা, বরফের থেকেও শীতল, মধুর চেয়েও মিষ্ট এবং মিসকের চেয়েও সুগন্ধময়। হাদিসে বলা হয়েছে, যে একবার সে পানি পান করবে তাকে আর কোনোদিন পিপাসা স্পর্শ করবে না।

07/06/2024

এডমিনিস্ট্রেশনে চাকরি পেয়েছো ভালো কথা, তবে বে- নজির হইও না। দেশ তোমার না, জনগণের।

পান খাইতে সুপারী লাগে আরও লাগে চুন ভালোবাসতে মন লাগে, আরও লাগে গুণ রে বন্ধু আরও লাগে গুণ আমার নোয়াখালী --জেলায়  "গ্রাম...
04/06/2024

পান খাইতে সুপারী লাগে আরও লাগে চুন
ভালোবাসতে মন লাগে, আরও লাগে গুণ
রে বন্ধু আরও লাগে গুণ

আমার নোয়াখালী --জেলায় "
গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে যুগ যুগ ধরে। অতিথি আপ্যায়নে বিশ্বস্ত একটি পণ্য পান সুপারি।

(নোয়াখালী মানুষ দের কে দেখতে চাই)

১৮৯৯ সালের এই দিনে কলকাতার  বৈদ্যুতিক সরবরাহ শুরু হয়।লিখেছেন-Ananya Chakrabortyনিউজ ১৮ বাংলাতখন ব্রিটিশ আমল। ১৮৯৯ সাল। ক...
03/06/2024

১৮৯৯ সালের এই দিনে কলকাতার বৈদ্যুতিক সরবরাহ শুরু হয়।
লিখেছেন-Ananya Chakraborty
নিউজ ১৮ বাংলা

তখন ব্রিটিশ আমল। ১৮৯৯ সাল। কলকাতায় শুরু বিদ্যুৎ যুগ। শহরে প্রথম আলো। আর তখন থেকে কলকাতায় সিইএসসির শুরু। কলকাতা তখন দেখত চাঁঁদের আলোয়। আর ছিল গ্যাস বাতি। যাতে কলকাতা ছিল মজে।
কী বাহার গ্যাসের আলো। বিজ্ঞান প্রভাবে বটে ভাল কীর্তি প্রকাশ হল। রাজধানী কলকাতা শহর এতদিনে জাঁকাইল। পথে ঘাটে আসতে যেতে দিবা-রাতে ভাবনা গেল।
গ্যাসবাতি নিয়ে এই বিস্ময়ের মাঝেই বিজ্ঞান আলো জ্বালল। কলকাতায় প্রথম আলো। প্রথম বিদ্যুতের আলো। ১৮৭৯ সালের ২৪ জুলাই, P W ফ্লিউরি অ্যান্ড কোম্পানি এ শহরে প্রথম বিদ্যুতের আলো জ্বালে। বছর দুয়েক পরে ১৮৮১ সালের ৩০ জুন গার্ডেনরিচের কটন মিলে ৩৬টি বাল্ব জ্বালায় 'দে শীল অ্যান্ড কোম্পানি' এ সবই চলছিল পরীক্ষামূলকভাবে। বড় পরিবর্তনটা এল আর কয়েক বছর পরে। ততদিনে টমাস আলভা এডিসনের সৌজন্যে ইংল্যান্ড ও আমেরিকার ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো।
কলকাতা তখন শুধু ভারতের রাজধানীই নয়, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর। লন্ডনের পরেই কলকাতা। তাই এ শহরেও বিদ্যুতের আলোর ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটিশ সরকার। সেই মতো ১৮৯৫ সালে তৈরি করা হয় Calcutta Electric Lighting Act। ১৮৯৭ সালের ৭ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের 'দি ইন্ডিয়ান ইলেক্ট্রিক কোম্পানি লিমিটেড'-এর পক্ষে 'কিলবার্ন অ্যান্ড কোম্পানি' কলকাতায় বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইসেন্স পায়। ৫৬৭ বর্গকিলোমিটার এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ২১ বছরের বরাত। ১ হাজার পাউন্ডের মূলধন নিয়ে যাত্রা শুরু। মাস খানেকের মধ্যেই তা ফুলেফেঁপে ১ লক্ষ পাউন্ড। বদলে যায় নামও। নতুন নাম হয় CESC LTD - ক্যালকাটা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কর্পোরেশন লিমিটেড। কোম্পানির কাজকর্ম অবশ্য চলত লন্ডন থেকেই। মধ্য কলকাতার প্রিন্সেপ স্ট্রিটের কাছে ইমামবাগ লেনে প্রথম বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি করা হয়। ১৮৯৯ সালের ১৭ এপ্রিল থেকে কলকাতা শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। প্রথম বিদ্যুতের আলো জ্বলে হ্যারিসন রোডে। এখনকার মহাত্মা গান্ধি রোড। তখন কলকাতায় বিদ্যুতের দাম ছিল লন্ডনের মতোই। প্রতি ইউনিট এক টাকা।
বিদ্যুত এসে কলকাতাকে অনেকটা বদলে দেয়। হাত পাখার জায়গা নেয় ইলেকট্রিক ফ্যান। ঘোড়ায় ট্রানা ট্রামের বদলে শুরু হয় বিদ্যুৎচালিত ট্রাম।
কিন্তু, তখনও অনেকে বিদ্যুতের বদলে গ্যাসবাতির পক্ষে রায় দেন। ১৯১৩ সালে কলকাতা শহরে বসে ঘরোয়া ভোটাভুটির আসর। গুরুসদয় দত্ত রোডের নাম তখন ছিল বালিগঞ্জ স্টোর রোড। সেখানে, গ্যাসবাতি নাকি বিজলিবাতি, এ নিয়ে হয় ভোটাভুটি। তাতে বিজলিবাতি হেরে যায়। উজ্জ্বলতা এবং খরচের দিক থেকে গ্যাসবাতি অনেকের পছন্দ।
#আবীর আকাশ জার্নাল

কেন খুন হলেন এমপি আনার? ঘটনার এপিঠ ওপিঠ অ আ আবীর আকাশ সম্প্রতি দেশে-বিদেশে আলোচিত ঘটনা ঝিনাইদহ চার আসনের সংসদ সদস্য আনোয...
02/06/2024

কেন খুন হলেন এমপি আনার? ঘটনার এপিঠ ওপিঠ

অ আ আবীর আকাশ

সম্প্রতি দেশে-বিদেশে আলোচিত ঘটনা ঝিনাইদহ চার আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার কলকাতা চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিশংসভাবে খুন হওয়ার খবর। গণমাধ্যমে আসা এমপি আনারের লোমহর্ষক খুনের যে বর্ণনা পাওয়া যায়, তা রীতিমত গা শিউরে ওঠে। খুনের প্রথম দিকে এমপি আনারের কলকাতায় যাওয়ার বিষয়টিকে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে গেছেন বলে প্রচার হলেও আদতে তা ক্রমান্বয়ে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এমপি আনার স্বর্ণ চোরাকারবারি আন্তর্জাতিক প্রধানদের অন্যতম। এমপি আনার মূলত কলকাতা যাওয়ার প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল ৫'শ কোটি টাকার স্বর্ণ অবৈধভাবে কেনাবেচার আলোচনা করতে। সেখানে স্বর্ণের অবৈধ ব্যবসার আলোচনার করার পূর্ব থেকে দিন তারিখ করা ছিল। এতে সিন্ডিকেটের প্রধান আক্তারুজ্জামান শাহিন, সৈয়দ আমানুল্লাহ উল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমান ওরফে সেলে নিস্কি পূর্ব থেকেই প্রস্তুত ছিলেন। এদের মধ্যে খুনের মাস্টারমাইন্ড পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহিন ক'টি দেশ হয়ে মার্কিন মুলুকে পাড়ি জমায়। এই আখতারুজ্জামান শাহিনের ভাই মোঃ শহিদুজ্জামান ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র শাহীন ও শহিদুজ্জামানের সাথে গত কয়েক বছর ধরে আনারের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক কঠিন আকার ধারণ করে। পরে এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থেকে তারা যৌথভাবে ব্যবসা পরিচালনা শুরু করে।

আনোয়ারুল আজিম আনারের ক্ষমতার প্রসার

আনোয়ারুল আজিম আপাদমস্তক একজন নিকারী পরিবারের সদস্য এবং তিনি নিজেও শৈশব কৈশোরের সময় তার পরিবারের সাথে মাছ বিক্রি করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মুসলিম মৎস্যজীবীদের নিকারি বলা হয়। তবে আনার বেড়ে উঠার প্রথম ধাপেই খেলাধুলার মাধ্যমে কালীগঞ্জে পরিচিতি পায়, পরবর্তীতে বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে যাওয়ার দরুণ আনার নিজেই তার নির্বাচনী হলফনামায় ২১টি মামলার তথ্য দিয়েছিলেন, যার মধ্যে হত্যা ও চোরাচালানের মামলাও ছিল।

জাতীয় পার্টির মাধ্যমে রাজনীতি শুরু করলেও বিএনপির নেতা সেজে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করে এই আনোয়ারুল আজিম সংসদ সদস্য হতে সক্ষম হয়। তারপরে পরপর তিনটি নির্বাচনের সরকারি দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন। এ সময় রাজনীতি সংগঠনসহ ওই অঞ্চলের প্রভাবশালী নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন। দলের বাহিরে ভেতরে যারা ছিলেন তারা এমপি আনারের রোশনালে পড়ে হামলা মামলা শিকার হয়েছেন বলেও গণমাধ্যমে খবর আসে।

মুসলিম মৎস্যজীবী নিকারী আনার ১০ ভাইবোনের মধ্যে চতুর্থ। প্রথমে আনার পৌরসভা নির্বাচনে কমিশনার (বর্তমানে কাউন্সিলর) পদে দাঁড়িয়ে নির্বাচিত হন। তারপর থেকেই তার অবস্থান শক্ত হতে শুরু করে বলে ঝিনাইদহের মানুষেরা মনে করেন। বেশ কিছু হত্যা, স্বর্ণ, কাপড় চোরাচালানির ঘটনাসহ তার বিরুদ্ধে একেরপর এক মামলা হতে থাকে। ২০০২ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে আত্মগোপনে চলে যায় এবং ওই অবস্থাতেই সে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ইন্টারপোলের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। যা পরে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলে তার পরোয়া তুলে নেয়া হয়। ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হযন আনার।

কলকাতায় নিশংস খুন হয় আনার

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জীভা গার্ডেন্সের একটি ফ্ল্যাটে যাওয়ার পর তিনি আর জীবিত ফিরতে পারেননি। বের হয়েছেন খণ্ড খণ্ড লাশ হয়ে ট্রলি আর পলিথিন ব্যাগে। পুরো কিলিং মিশনে সবার সামনে ছিলেন শিমূল ভূঁইয়া ওরফে সৈয়দ আমানুল্লাহ। হত্যার পর তার হাত-পাসহ শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ টুকরো টুকরো করে আলাদা করে হত্যাকারীরা। ৫৮ সেকেন্ডের একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা যায়, ভারতীয় সময় ১৪ মে বিকেল ৫টা ১১ মিনিটের দিকে দুজন ব্যক্তি একটি পেস্ট কালারের ট্রলি ব্যাগ ও তিন থেকে চারটি পলিথিন ব্যাগে আনারের মরদেহ গুম করার জন্য লিফটে উঠছেন। ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, সঞ্জীবা গার্ডেনসের ফ্ল্যাট থেকে যে দুজন বের হয়েছেন তারা হলেন- শিমুল ভূঁইয়া ওরফে সৈয়দ আমানুল্লাহ ও সিয়াম ওরফে কসাই জিহাদ। সিসি ক্যামেরায় যা দেখা গেছে তা স্বীকারও করেছেন ডিবির হাতে গ্রেপ্তার আমানুল্লাহ। অন্যদিকে ভারতীয় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন কসাই জিহাদ। তদন্ত সংশ্লিষ্ট ডিবির একজন কর্মকর্তারা জানান, এমপি আনারকে হত্যার বিস্তারিত বর্ণনা শুনে তারা নিজেরাই আঁতকে উঠেন। তার পুলিশি ক্যারিয়ারে অনেক খুনের ঘটনার বর্ণনা শুনেছেন, কিন্তু এত নৃশংস বর্ণনা কখনোই শোনেননি। জিজ্ঞাসাবাদে শিমুল ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্লাহ জানিয়েছেন, কীভাবে এমপি আনারকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যার পর হাত-পাসহ শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আলাদা করা হয়। যেন কোনোভাবেই আনারের চেহারা দেখে কেউ পরিচয় শনাক্ত করতে না পারে, সেজন্যই খুনিরা এ পরিকল্পনা করে। এরপর ট্রলি ও ব্যাগে করে খণ্ড খণ্ড লাশ বের করে নেয়া হয়। আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া নামে সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া আসামি ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, আনোয়ারুল আজীম আনারকে সঞ্জীবা গার্ডেনের ফ্ল্যাটে হত্যা করা হয়। হত্যার পর শরীরের অঙ্গ- প্রত্যঙ্গ কেটে আলাদা করা হয়। এরপর একটি ট্রলি ও তিন-চারটি পলিথিন ব্যাগে করে ১৪ মে বিকেল ৫টা ১১ মিনিটের দিকে সে সব টুকরো বের করা হয়। এরপর এগুলো ফেলে দেয়া হয় কলকাতার হাতিশালা বর্জ্য খালে। আমানের স্বীকারোক্তির পর ভারতীয় পুলিশ ২৩ মে রাতে হাতিশালা বর্জ্য খালে তল্লাশি চালায়। তবে অন্ধকার হওয়ায় সেদিন মরদেহ খুঁজে পায়নি পুলিশ। পরেরদিন ২৪ মে আবারও খণ্ড লাশের সন্ধান শুরু করে ভারতীয় পুলিশ। ডিবির দাবি, যেহেতু হত্যাকাণ্ডে সরাসরি বেশ কয়েকজন আসামি গ্রেপ্তার রয়েছেন এবং তথ্য দিয়েছেন সেহেতু লাশের সন্ধান মিলবে। এমপি আনারকে হত্যার জন্য ভাড়া করা হয় খুলনা অঞ্চলের কুখ্যাত সন্ত্রাসী শিমুল ভূঁইয়াকে (আমান)। তিনি চরমপন্থি সংগঠন পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম শীর্ষ নেতা। এ ঘটনায় ঢাকায় ধরা পড়ার পর পুলিশের কাছে শিমুল ভূঁইয়া নিজেকে সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান নামে পরিচয় দেন এবং তিনি এমপি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেন। তবে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের মুখে এক পর্যায়ে আমান স্বীকার করেন আমানুল্লাহ তিনিই ওরফে শিমুল ভূঁইয়া। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি আমানুল্লাহ নামেই পাসপোর্ট বানিয়েছেন,সেই পাসপোর্টে তিনি কলকাতায় গিয়েছিলেন।

* কসাই জিহাদের রোমহর্ষক বর্ণনা
* লাশের সন্ধানে সিআইডির তল্লাশি
* লাশ ফেলা হয় হাতিশালা বর্জ্য খালে
* এখনো লাশ পায়নি ভারতীয় পুলিশ
* শুরুতে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেন আমান
* সোনার অবৈধ ব্যবসার আলোচনা করতেই কলকাতায় যান

২০১৯ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকা থেকে পাসপোর্টটি করা হয়েছিল। পাসপোর্ট করতে একই নামে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্রও (এনআইডি) তৈরি করেন। কীভাবে তিনি শিমূল ভূঁইয়া থেকে আমানুল্লাহ হলেন এবং ভুয়া পাসপোর্ট ও এনআইডি তৈরি করলেন, এখন সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন গোয়েন্দারা। ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার গ্রেফতারের পর জিহাদ জিজ্ঞাসাবাদের মুখে এমপি আনার এরপরলোপাট করতেই হত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা দেন। কলকাতা সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ বলেছেন, প্রথমে আনারকে শ্বাসরোধে খুন করা হয়। তারপর দেহ টুকরো টুকরো করা হয়। হাড় এবং মাংস আলাদা করা হয়। চামড়া ছাড়িয়ে তাতে হলুদ মাখান অভিযুক্তরা, যাতে বাইরে কেউ জিজ্ঞেস করলে বলা যায়, রান্না করার জন্য মাংস নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারের পর জিহাদকে একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আনারকে খুনের পর সেখানেই দেহাংশ ফেলা হয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে। কিন্তু রাতের অন্ধকারে সেখান থেকে কোনো দেহাংশ মেলেনি। ২৪ বছর বয়সী জিহাদ হাওলাদার বাংলাদেশের খুলনার বাসিন্দা। অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন তিনি। আনারকে খুনের প্রায় দুই মাস আগে জিহাদকে মুম্বাই থেকে কলকাতায় নিয়ে আসেন হত্যাকারীরা। গোয়েন্দা সংশ্লিষ্টরা জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িত ফয়সাল ও মোস্তাফিজুরের দুটি পাসপোর্টই চলতি বছরের ৮ এপ্রিল ঢাকার বিভাগীয় পাসপোর্ট কার্যালয় থেকে ইস্যু করা হয়। পাসপোর্টে ফয়সালের স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে খুলনার ফুলতলা থানার অলকা গ্রাম এবং মোস্তাফিজুরের স্থায়ী ঠিকানা খুলনার ফুলতলার যুগনীপাশা গ্রাম উল্লেখ করা হয়েছে। আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া মোস্তাফিজুর ও ফয়সালকে পাসপোর্ট বানিয়ে দেন। তবে দুজনেরই বর্তমান ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ঢাকার ক-৩২/১২ নদ্দা। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, এমপি আনারকে কলকাতায় হত্যার পরিকল্পনা সাজিয়েই মোস্তাফিজ ও ফয়সালের পাসপোর্ট করানো হয়। ভারতীয় ভিসা সংগ্রহ করে ১১ মে কলকাতায় প্রবেশ করেন তারা। হত্যাকাণ্ড শেষে ১৭ মে মোস্তাফিজ ও ১৮ মে ফয়সাল দেশে ফিরে আসেন। এমপি আনোয়ারুল আজীমকে হত্যার মূল পরিকল্পনায় তারই বাল্যবন্ধু এবং আমেরিকা প্রবাসী

আক্তারুজ্জামান শাহীন। শাহীনের সঙ্গে আজীমের অবৈধ সোনা ব্যবসা রয়েছে। দুবাই কেন্দ্রিক স্বর্ণের ব্যবসায় শাহীনের বিনিয়োগ রয়েছে। দুবাই থেকে আসা সোনা আজীম ভারতে বিভিন্নভাবে সরবরাহ করতেন।

আনারের কলকাতার ব্যবসায়ী বন্ধু গোপাল বিশ্বাস সেই সোনার ক্রেতা ছিলেন। গোপাল বিশ্বাস স্বর্ণ চোরাকারবারির সাথে জড়িত বলে সূত্রটি জানিয়েছে, কলকাতায় চিকিৎসার নাম করে আনার সেখানে গেলেও, আসলে তিনি সেখানে কোনো চিকিৎসা করাননি। এই কথা বলে তিনি কলকাতা যান। শাহীনের সঙ্গে তার সোনার ব্যবসা নিয়েই দ্বন্দ্ব হয়। এই দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করেই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। এদিকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীন ঘটনার পর একাধিক দেশ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে গেছেন। মরদেহের মতো তিনিও রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

কে শিলাস্তি রহমান

এমপি আনোয়ারুল আজিম আনোয়ারের খুনের মাস্টারমাইন শাহিনের বান্ধবী হিসেবে নাম আসে শিলাস্তি রহমানের। তার আরেক নাম সেলে নিস্কি।
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে তার গ্রামের বাড়ি হলেও পুরান ঢাকায় তার বসবাস। পরিবারের সাথে থাকা শিলাস্তি রহমান ছোটবেলা থেকেই মডেল হতে চেয়েছিলেন। বৃত্তশালীদের ডেরায় গিয়ে নিজেও থাকতেন উত্তরার অভিজাত ফ্ল্যাটে। মার্কিন পাসপোর্টধারী শাহিনের খপ্পরে পড়ে শিলাস্তি রহমান অন্ধকার জগতে পা রাখেন। গণমাধ্যম থেকে জানা গেছে এই শিলাস্তি দিয়েই এমপি আনারকে কলকাতা নেয়ার ট্যাপ পাততে পারেন খুনের মাস্টারমাইন্ড শাহীন। হয়তো এই হানি ট্র্যাফে পা দিয়ে নিজের জীবন হারিয়েছেন এমপি আনার।

শাহীন দেশে এলে শিলাস্তি তার সাথে থাকতেন একই ফ্ল্যাটে, ঘুরে বেড়াতেন তার সাথে। ১৩ মে কলকাতায় আনার খুন হওয়ার পর ১৫ মে ঢাকায় চলে আসে প্রধান কিলার আমানউল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া। তার সাথে একই ফ্লাইটে আসে শিলাস্তি রহমান। বিমান বন্দর থেকে সোজা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় শাহীনের অভিজাত ফ্ল্যাটে। সেখানে তারা রাতভর ফুর্তি করেন। এর আগে শিলাস্তি এর আগে ৩০ এপ্রিল শাহীনের সাথে গিয়েছিলেন কলকাতায়।

অ আ আবীর আকাশ : সাহিত্যিক ও সাংবাদিক
[email protected]

সংযোগ-
০১৮২-৩০৩০২৪৫
০১৯১৬-২০৫৩৯৯

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when abirakashjournal.com posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to abirakashjournal.com:

Share