24/07/2025
#অহংকার-পতনের-মূল
রানু মন্ডল ও ভুবন বাদ্যকরের গল্প
একজন ছিলেন স্টেশনের পথবাসী, আরেকজন ছিলেন ভাঙারির ব্যবসায়ী। ভাগ্যের চাকা ঘুরে তাদের জীবনে আলো এসেছিল, কিন্তু অহংকারের অন্ধকারে সেই আলো ম্লান হয়ে গেল।
রানু মন্ডল, একসময় স্টেশনে গান গেয়ে ভিক্ষা করতেন। কেবল একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেই তার ভাগ্য বদলে যায়। তিনি বলিউডে গান করার সুযোগ পান, নামী শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করেন। কিন্তু হঠাৎ করেই তার আচরণ বদলে যায়। বিনয়ের জায়গায় আসে অহংকার, সাধারণ ভাষার বদলে কথায় কথায় ইংরেজি বলার চেষ্টা, মানুষকে অবজ্ঞা করা—এসব দেখে তার ভক্তরাই ধীরে ধীরে তাকে দূরে সরিয়ে দেয়। যে সুযোগগুলো তার দরজায় কড়া নেড়েছিল, সেগুলো একে একে হারিয়ে যায়। আবারও তিনি ফিরে যান সেই অন্ধকার জীবনে, যেখানে ছিল একাকিত্ব ও হতাশা।
অন্যদিকে, ভুবন বাদ্যকর ছিলেন এক সাধারণ বাদাম বিক্রেতা। তার "কাঁচা বাদাম" গানটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে রাতারাতি তিনি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তার গান শুনতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসতে শুরু করে। কিন্তু সাফল্যের স্বাদ পাওয়ার পর তিনিও বদলে গেলেন। এক সাক্ষাৎকারে যখন তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, "আপনি কি আবার বাদাম বিক্রি করবেন?" তিনি দৃঢ়ভাবে উত্তর দেন, "আমি এখন ভাইরাল, বাদাম বিক্রি করলে মানাবে না!" তার কথায় আত্মগরিমার ছাপ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ফলাফল? মানুষের আগ্রহ কমতে শুরু করে, নতুন তারকাদের ভিড়ে তিনিও হারিয়ে যান।
এই দুই চরিত্রের গল্প আমাদের শেখায়—জীবনে সাফল্য যেমন আকস্মিকভাবে আসতে পারে, তেমনি অহংকার করলে সেই সাফল্য এক নিমেষে হারিয়েও যেতে পারে। বিনয়ই মানুষকে বড় করে, আর অহংকারই মানুষের পতনের মূল কারণ। রানু মন্ডল ও ভুবন বাদ্যকরের গল্প সেটাই আবারও প্রমাণ করল!
#অহংকার_পতনের_মূল