24WorldNews

24WorldNews 24WorldNews

08/06/2025

সেভ করে রাখুন কাজে লাগবে
পুরাতন দলিলে ব্যবহৃত ১০০টি শব্দের অর্থের তালিকা
খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

পুরাতন দলিলে ব্যবহৃত অনেক শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ রয়েছে। কিছু শব্দ খুব কম ব্যবহৃত হয়। যারা পুরাতন দলিলের শব্দের অর্থ বোঝেন না, তাদের জন্য বিস্তারিত ব্যাখ্যা নিচে দেওয়া হলো —

১) মৌজা: গ্রাম
২) জে.এল. নং: মৌজা নম্বর/গ্রামের নম্বর
৩) ফর্দ: দলিলের পাতা
৪) খং: খতিয়ান
৫) সাবেক: আগের/পূর্বের
৬) হাল: বর্তমান
৭) বং: বাহক (যিনি নিরক্ষর ব্যক্তির নাম লেখেন)
৮) নিং: নিরক্ষর
৯) গং: অন্যান্য অংশীদার
১০) সাং: সাকিন/গ্রাম
১১) তঞ্চকতা: প্রতারণা
১২) সনাক্তকারী: বিক্রেতাকে চিনেন এমন ব্যক্তি
১৩) এজমালি: যৌথ
১৪) মুসাবিদা: দলিল লেখক
১৫) পর্চা: প্রাথমিক খতিয়ানের নকল
১৬) বাস্তু: বসতভিটা
১৭) বাটোয়ারা: সম্পত্তির বণ্টন
১৮) বায়া: বিক্রেতা
১৯) মং: মোট
২০) মবলক: মোট পরিমাণ
২১) এওয়াজ: সমমূল্যের বিনিময়
২২) হিস্যা: অংশ
২৩) একুনে: যোগফল
২৪) জরিপ: ভূমি পরিমাপ
২৫) চৌহদ্দি: সীমানা
২৬) সিট: মানচিত্রের অংশ
২৭) দাখিলা: খাজনার রশিদ
২৮) নক্সা: মানচিত্র
২৯) পিং: পিতা
৩০) জং: স্বামী
৩১) দাগ নং: জমির নম্বর
৩২) স্বজ্ঞানে: নিজের জ্ঞানের ভিত্তিতে
৩৩) সমুদয়: সব কিছু
৩৪) ইয়াদিকৃত: পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু
৩৫) পত্র মিদং: পত্রের মাধ্যমে
৩৬) বিং: বিস্তারিত
৩৭) দং: দখলকারী
৩৮) পত্তন: সাময়িক বন্দোবস্ত
৩৯) বদলসূত্র: জমি বিনিময়
৪০) মৌকুফ: মাফকৃত
৪১) দিশারী রেখা: দিকনির্দেশক রেখা
৪২) হেবা বিল এওয়াজ: বিনিময়সূত্রে জমি দান
৪৩) বাটা দাগ: বিভক্ত দাগ
৪৪) অধুনা: বর্তমান
৪৫) রোক: নগদ অর্থ
৪৬) ভায়া: বিক্রেতার পূর্বের দলিল
৪৭) দানসূত্র: দানকৃত সম্পত্তি
৪৮) দাখিল-খারিজ: মালিকানা পরিবর্তন
৪৯) তফসিল: সম্পত্তির বিবরণ
৫০) খারিজ: পৃথক খাজনা অনুমোদন
৫১) খতিয়ান: ভূমির রেকর্ড
৫২) এওয়াজসূত্র: বিনিময় সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি
৫৩) অছিয়তনামা: উইল/মৃত্যুকালীন নির্দেশ
৫৪) নামজারি: মালিকানা হস্তান্তরের রেকর্ড
৫৫) অধীনস্থ স্বত্ব: নিম্নস্তরের মালিকানা
৫৬) আলামত: মানচিত্রে চিহ্ন
৫৭) আমলনামা: দখলের দলিল
৫৮) আসলি: মূল ভূমি
৫৯) আধি: ফসলের অর্ধেক ভাগ
৬০) ইজারা: নির্দিষ্ট খাজনায় সাময়িক বন্দোবস্ত
৬১) ইন্তেহার: ঘোষণাপত্র
৬২) এস্টেট: জমিদারি সম্পত্তি
৬৩) ওয়াকফ: ধর্মীয় কাজে উৎসর্গকৃত সম্পত্তি
৬৪) কিত্তা: ভূমিখণ্ড
৬৫) কিস্তোয়ার জরিপ: কিত্তা ধরে ভূমি পরিমাপ
৬৬) কায়েম স্বত্ব: চিরস্থায়ী মালিকানা
৬৭) কবুলিয়ত: স্বীকারোক্তি দলিল
৬৮) কান্দা: উচ্চভূমি
৬৯) কিসমত: ভূমির অংশ
৭০) খামার: নিজস্ব দখলীয় ভূমি
৭১) খিরাজ: খাজনা
৭২) খসড়া: প্রাথমিক রেকর্ড
৭৩) গর বন্দোবস্তি: বন্দোবস্তবিহীন জমি
৭৪) গির্ব: বন্ধক
৭৫) জবরদখল: জোরপূর্বক দখল
৭৬) জোত: প্রজাস্বত্ব
৭৭) টেক: নদীর পলি জমে সৃষ্টি ভূমি
৭৮) ঢোল সহরত: ঢোল পিটিয়ে ঘোষণা
৭৯) তহশিল: রাজস্ব এলাকা
৮০) তামাদি: নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত
৮১) তফসিল: সম্পত্তির বিবরণ
৮২) নামজারি: মালিকানা হস্তান্তর
৮৩) নথি: রেকর্ড
৮৪) দেবোত্তর: দেবতার নামে উৎসর্গকৃত
৮৫) দখলী স্বত্ব: দখলের ভিত্তিতে মালিকানা
৮৬) দশসালা বন্দোবস্ত: দশ বছরের বন্দোবস্ত
৮৭) দাগ নম্বর: জমির ক্রমিক নম্বর
৮৮) দরবস্ত: সব কিছু
৮৯) দিঘলি: নির্দিষ্ট খাজনা প্রদানকারী
৯০) নক্সা ভাওড়ন: পূর্ব জরিপের মানচিত্র
৯১) নাম খারিজ: পৃথককরণ
৯২) তুদাবন্দি: সীমানা নির্ধারণ
৯৩) তরমিম: সংশোধন
৯৪) তৌজি: চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত রেকর্ড
৯৫) দিয়ারা: নদীর পলিতে গঠিত চর
৯৬) ট্রাভার্স: জরিপের রেখা পরিমাপ
৯৭) খাইখন্দক: জলাশয় বা গর্তযুক্ত ভূমি
৯৮) চর: নদীর পলি জমে গঠিত ভূমি
৯৯) চৌহদ্দি: সম্পত্তির সীমানা
১০০) খাস: সরকারি মালিকানাধীন জমি

শেষ কথা:
এই শব্দগুলো পুরাতন দলিল পড়ার সময় আপনাকে দারুণ সহায়তা করবে। সেভ করে রেখে দিন — প্রয়োজনে অমূল্য হয়ে উঠবে।

Subarna Seema

30/04/2025
30/04/2025

🛑 নোয়াখালী জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ নিচে দেয়া হলো 👇

১. নোয়াখালী জেলা জামে মসজিদ
২. নোয়াখালী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার
৩. মুছাপুর ক্লোজার
৪. বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর
৫. ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক
৬. কল্যান্দি জমিদার বাড়ী
৭. গান্ধী আশ্রম
৮. বজরা শাহী মসজিদ
৯. নিঝুম দ্বীপ
১০. কমলার দীঘি
১১. কেশারপাড় দীঘি
১২. লালচর
১৩. নিমতলী সি-বিচ
১৪. চেয়ারম্যান ঘাট
১৫. সোনাপুরে লুর্দের রানীর গির্জা
১৬. মাইজদী বড় দীঘি
১৭. গ্রীন পার্ক, চাতারপাইয়া বাজার সংলগ্ন, সোনাইমুড়ী
১৮. নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১৯. শাহ আবদুল আজিজ (রঃ) মাজার শরীফ
২০. গাজী এয়াকুব আলী (রঃ) মাজার শরীফ
২১. নলুয়া মিঞা বাড়ি জামে মসজিদ
২২. দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থা পার্ক, হাতিয়া
২৩. এয়াকুব আলী ব্যাপারী জামে মসজিদ
২৪. নিঝুম দ্বীপ জাতীয় উদ্যান
২৫. পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার
২৬. ফকির ছাড়ু মিজি (রহ.) সাহেবের দরগাহ
২৭. সোনাইমুড়ী কালিবাড়ী
২৮. নোয়াখালী দেবালয় মাইজদী
২৯. মহাত্মা গান্ধী জাদুঘর, জয়াগ
৩০. মাইজদী কোর্ট বিল্ডিং দীঘি
৩১. ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল, চর বাটা
৩২. শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম
৩৩. স্বর্ণ দ্বীপ, হাতিয়া উপজেলা
৩৪. ঠাকুর রামচন্দ্র দেবের সমাধি আশ্রম
৩৫. গোয়ালখালী বিচ
৩৬. চৌমুহনী পৌর পার্ক
৩৭. চৌমুহনী পৌর মহাশ্মশান
৩৮. প্রতাপপুর রাজবাড়ী
৩৯. কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট

আপনার পেশা যাইহোক, ভ্রমণ হোক আপনার।

পোস্ট ক্রেডিট : আজহার মাহমুদ

18/04/2025

আপনি যদি ডিজিটাল কাজ, কনটেন্ট তৈরি, ডিজাইন, মার্কেটিং বা লেখালেখি করেন—তাহলে এই ৫০টি ফ্রি AI টুল আপনার কাজকে এক কথায় “বিস্ময়করভাবে সহজ” করে তুলবে!

চলুন দেখে নেওয়া যাক, কোন টুলগুলো আপনার সময় বাঁচিয়ে দক্ষতাকে বাড়িয়ে দিতে পারে:

টুলের তালিকা (বাংলায় ক্রমিক নম্বর সহ):

১) ChatGPT – প্রশ্ন-উত্তর, ব্লগ লেখা, কোডিং সহায়তা ইত্যাদির জন্য অল-রাউন্ডার।
২) Canva AI – ডিজাইন, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ও প্রেজেন্টেশন তৈরিতে সহজ সমাধান।
৩) Pictory – লেখাকে অটো ভিডিওতে রূপান্তর করে।
৪) Copy.ai – বিজ্ঞাপন ও কপি রাইটিংয়ের জন্য অসাধারণ।
৫) Jasper – ব্লগ, মার্কেটিং ইমেইল, পণ্য বিবরণ লেখায় সহায়ক।
৬) Grammarly – ইংরেজি লেখার ভুল ধরিয়ে সংশোধন করে।
৭) Quillbot – যেকোনো লেখা প্যারাফ্রেজ ও রি-রাইট করে।
৮) Synthesia – ভার্চুয়াল AI বক্তা দিয়ে ভিডিও তৈরি করে।
৯) Looka – সহজে লোগো ও ব্র্যান্ডিং তৈরি করতে সাহায্য করে।
১০) Remove.bg – এক ক্লিকে ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করে।
১১) Leonardo AI – চমৎকার কল্পনামূলক ডিজাইন তৈরি করে।
১২) Durable – মাত্র কয়েক সেকেন্ডে ওয়েবসাইট তৈরি করে দেয়।
১৩) SlidesAI – লেখাকে অটো স্লাইডে রূপান্তর করে।
১৪) Runway ML – AI দিয়ে ভিডিও এডিট ও ভিজ্যুয়াল এফেক্ট যোগ করে।
১৫) Tome – ইন্টার‍্যাকটিভ ও স্টোরি-বেইজড প্রেজেন্টেশন তৈরি করে।
১৬) Notion AI – নোট, টাস্ক ও লেখালেখিতে সাহায্য করে।
১৭) Krisp – কলের সময় ব্যাকগ্রাউন্ড আওয়াজ দূর করে।
১৮) Cleanup.pictures – ছবির অবাঞ্চিত বস্তু মুছে ফেলে।
১৯) Replika – AI ভার্চুয়াল বন্ধু বা কথোপকথনের সঙ্গী।
২০) Soundraw – AI দিয়ে ইউনিক মিউজিক বানায়।
২১) Beatoven – ভিডিও ও পডকাস্টের জন্য সঙ্গীত তৈরি করে।
২২) Voicemod – ভয়েস চেঞ্জ ও ইফেক্টের জন্য উপযুক্ত।
২৩) Lumen5 – লেখাকে আকর্ষণীয় ভিডিওতে রূপান্তর করে।
২৪) Descript – টেক্সট দিয়ে ভিডিও সম্পাদনা করে।
২৫) Kaiber – AI দিয়ে অসাধারণ অ্যানিমেটেড ভিডিও বানায়।
২৬) AutoDraw – হ্যান্ড-ড্রইংকে নিখুঁত আইকনে পরিণত করে।
২৭) ElevenLabs – খুবই রিয়েলিস্টিক ভয়েস জেনারেট করে।
২৮) Heygen – AI ফেস ও ভয়েস দিয়ে ভিডিও তৈরির টুল।
২৯) Writesonic – কনটেন্ট ও বিজ্ঞাপন লেখা সহজ করে।
৩০) Play.ht – লেখা থেকে ভয়েস তৈরি করে শুনতে দেয়।
৩১) Papercup – ভিডিও কনটেন্টকে অন্য ভাষায় ডাব করে।
৩২) AI Dungeon – ইন্টার‍্যাকটিভ গল্প লেখায় ব্যবহৃত হয়।
৩৩) TTSMaker – লেখাকে অডিও ফরম্যাটে রূপ দেয়।
৩৪) Magic Eraser – ছবির অবজেক্ট সরিয়ে ফেলে সুন্দর ব্যাকগ্রাউন্ড দেয়।
৩৫) Designs.ai – লোগো, ভিডিও ও মার্কেটিং উপকরণ তৈরি করে।
৩৬) Midjourney – ইমেজ তৈরি করে লেখা অনুযায়ী।
৩৭) TinyWow – ফ্রি পিডিএফ ও ফাইল টুলের বিশাল কালেকশন।
৩৮) ChatPDF – PDF ফাইল পড়ে উত্তর দেয় ও সারাংশ দেয়।
৩৯) Scalenut – SEO-বেইজড কনটেন্ট পরিকল্পনা করে।
৪০) INK – AI রাইটিং ও SEO একসাথে ম্যানেজ করে।
৪১) DeepL Translator – প্রোফেশনাল ট্রান্সলেশনের জন্য বিখ্যাত।
৪২) OpenArt – কাস্টম ইমেজ ও ডিজিটাল আর্ট তৈরি করে।
৪৩) NameSnack – AI দিয়ে ব্যবসার জন্য নাম সাজেস্ট করে।
৪৪) Tidio – ওয়েবসাইটের জন্য স্মার্ট চ্যাটবট তৈরি করে।
৪৫) FormX.ai – স্ক্যান করা ডেটা থেকে তথ্য বের করে।
৪৬) Murf.ai – প্রফেশনাল ভয়েসওভার তৈরির জন্য বেস্ট টুল।
৪৭) Zyro AI Writer – ওয়েবসাইট কনটেন্ট সহজে লিখে দেয়।
৪৮) Hugging Face – হাজারো AI টুল ও NLP মডেল হোস্ট করে।
৪৯) Adobe Firefly – ডিজাইন ও আর্ট তৈরিতে অ্যাডোবির নিজস্ব AI।
৫০) Illustroke – লেখা থেকে SVG ফরম্যাটে ইলাস্ট্রেশন বানায়।

এই ফ্রি AI টুলগুলো শুধু সময় বাঁচাবে না, বরং আপনার কাজের মান ও গতি বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে। ডিজাইনার, কনটেন্ট রাইটার, মার্কেটার বা স্টুডেন্ট—সবাইয়ের জন্যই এগুলো একবার না একবার কাজে লাগবেই।

এইরকম আরও তথ্যবহুল পোস্ট পেতে আমাদের পেজে লাইক ও শেয়ার করতে ভুলবেন না!

10/01/2025
বুধবার থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযানঅবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আগামী বুধবার থেকে সারা দেশে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে বল...
02/09/2024

বুধবার থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আগামী বুধবার থেকে সারা দেশে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। গতকাল রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে স্থগিত হওয়া লাইসেন্সের গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দেওয়ারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

গত ২৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিগত ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য দেওয়া সব আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স (কর্মরত সামরিক-অসামরিক কর্মকর্তা ছাড়া) স্থগিত করা হলো। তাদের আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। ‘দ্য আর্মস অ্যাক্ট, ১৮৭৮’ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা ‘আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা, ২০১৬’ অনুযায়ী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারা দেশে বিভিন্ন থানায় অগ্নিসংযোগ ও হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এরপর লুট করা হয় অস্ত্র ও গোলাবারুদ। গতকাল রবিবার পর্যন্ত ৩ হাজার ৮৮০টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ২ লাখ ৮৬ হাজার ৩৫৩ রাউন্ড গুলি, ২২ হাজার ২০১টি টিয়ার শেল ও ২ হাজার ১৩৯টি সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে। তবে লুট হওয়া অস্ত্রের এখনো অর্ধেকও উদ্ধার হয়নি। এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদও ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা দেওয়ার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সারা দেশে বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় অনেক থানা থেকে অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট করে নেয় উচ্ছৃঙ্খল জনতা। সারা দেশের থানা ও ফাঁড়িতে হামলার পর লুট হওয়া অস্ত্র-গোলাবারুদ ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা না দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

এছাড়া গণভবনের দায়িত্বে থাকা এসএসএফ সদস্যদের বিভিন্ন ধরনের ট্যাক্টিক্যাল গিয়ার, অস্ত্র, গোলাবারুদ, সাজসরঞ্জাম, বেতার যোগাযোগ ও অপারেশনাল সরঞ্জামাদির মজুত ছিল। কিন্তু হাতে সময় একদমই না থাকায়, এসব ফেলে শুধু নিজেদের সঙ্গে থাকা ছোট আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বিভিন্নভাবে গণভবন থেকে সংসদ ভবনে গিয়ে প্রাণরক্ষার চেষ্টা করেন তারা। জনতা যখন সংসদ ভবনেও ঢুকে পড়ে, তখন এসএসএফ সদস্যরা দ্রুত নিজেদের অস্ত্র ও পোশাক খুলে সংসদ ভবনের ভল্টে রেখে সাধারণ পোশাকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মিশে প্রাণরক্ষা করেন। পরবর্তীকালে পরিদর্শন করে গণভবন ও সংসদ ভবনে থাকা ভল্টগুলো আর পাওয়া যায়নি, যা আন্দোলনকারী বেশে দুষ্কৃতকারীরা নিয়ে গেছে বলে মনে করছে এসএসএফ।

তাদের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, বিভিন্ন ধরনের অপারেশনাল সরঞ্জাম যেমন অত্যাধুনিক অ্যাসল্ট রাইফেল, স্নাইপার রাইফেল, ফ্ল্যাশব্যাং গ্রেনেড, অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম, বেতার যোগাযোগের ডিভাইস ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, যার মূল্য ৫ কোটি টাকারও বেশি। সে দিন গণভবন ও সংসদ থেকে লুট হয়েছে এবং নষ্ট করা হয়েছে। ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে এসএসএফের অস্ত্র, গোলাবারুদ, অপারেশনাল সরঞ্জামাদি ও বিবিধ দ্রবাদির ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করতে সংস্থাটি তিনটি তদন্ত পর্ষদ গঠন করে। এসব পর্ষদ ইতিমধ্যে গণভবন ও সংসদ ভবন সরেজমিন পরিদর্শন করে বিভিন্ন অস্ত্র, সরঞ্জাম ও দ্রব্যাদি ইস্যু সংখ্যার সঙ্গে বর্তমান সংখ্যা যাচাই করেছে।

ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক হিসাব করে সংস্থাটি বলেছে, ৫ আগস্টের ঘটনায় এসএসএফের বিভিন্ন অস্ত্র ও দ্রব্য লুট ও ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ ৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে অস্ত্র ও ম্যাগাজিনের ক্ষতি ১১ লাখ ৬২ হাজার টাকা; গোলাবারুদ ও গ্রেনেড খোয়া যাওয়ায় ক্ষতি ১১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা; যোগাযোগ ও অপারেশনাল সরঞ্জামাদি বাবদ ক্ষতি প্রায় ২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা; আইটি ও গোয়েন্দা সরঞ্জামাদি বাবদ ক্ষতি প্রায় ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, যানবাহনে ক্ষতি প্রায় ১৪ লাখ টাকা এবং অন্যান্য দ্রব্যাদিতে ক্ষতি প্রায় ৭৪ লাখ টাকা।

গণভবনে এসএসএফের স্থাপিত অপারেশন রুমে অস্ত্র ও গোলাবারুদ রাখার জন্য দুটি অত্যাধুনিক ভল্ট স্থায়ীভাবে স্থাপন করা ছিল, যার প্রতিটির ওজন ১০০ কেজি। একটি ভল্টে দুটি এসএমজি টি-৫৬ রাইফেল ছিল এবং অপর ভল্টে ৯ হাজার ৪৯৮ রাউন্ড তাজা গুলি ছিল। লুটপাট চলাকালীন আন্দোলনকারী বেশে দুর্বৃত্তকারীরা ওই ভল্ট দুটি নিয়ে চলে যায়। পরবর্তীকালে সংসদ ভবন পরিদর্শনকালে ঐ ভল্টটি পাওয়া যায়নি বিধায় ঐ অস্ত্র ও গোলাবারুদ আন্দোলনকারী বেশে দুষ্কৃতকারীরা নিয়ে গেছে বলে প্রতীয়মান হয়। এছাড়া, গণভবনের ছাদে দুটি অ্যান্টি ড্রোন গান এবং একটি অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম মোতায়েন করা ছিল। অভ্যুত্থানকারীরা গণভবনে ঢুকে পড়লে সময় স্বল্পতার কারণে এসএসএফ সদস্যরা এগুলো খুলে সরাতে পারেননি, যা দুষ্কৃতকারীরা নিয়ে গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when 24WorldNews posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to 24WorldNews:

Share