Mahdi Hasan

Mahdi Hasan পাঠক।

মাহরীন ফেরদৌসের 'জলজ লকার' পড়ে শেষ করলাম। এই মাসে বেশকিছু ব‌ই পড়ে শেষ করেছি। এটা আমার জন্য খুবই আনন্দের খবর। সাধারণত আ...
01/08/2025

মাহরীন ফেরদৌসের 'জলজ লকার' পড়ে শেষ করলাম। এই মাসে বেশকিছু ব‌ই পড়ে শেষ করেছি। এটা আমার জন্য খুবই আনন্দের খবর। সাধারণত আমি এক মাসে দুটো কি তিনটার বেশি পড়তে পারি না। তার ওপর গত এক দু মাস অবস্থা আরো খারাপ। কারণ, আমি এখন ব্যস্ত জীবন পাড় করছি। এত কিছুর মধ্যেও যে, ব‌ই পড়তে পারছি, এটাই আমার জন্য আনন্দের, খোসা নসিবের।

যা-ই হোক, যতটা আগ্রহ নিয়ে এই ব‌ইটা পড়া শুরু করেছিলাম তা শেষ অবধি ধরে রাখতে পারি নি। এর কয়েকটা কারণ আছে। আমার কাছে সবচেয়ে বড়ো কারণ মনে হয়েছে, এই ব‌ইয়ের পর্বগুলো। উপন্যাস সাধারণত এই টাইপের হয় কিনা আমি জানি না। অন্তত, আমি যতগুলো উপন্যাস পড়েছি, সেগুলো একটাও এই টাইপের নয়। আমি প্রথমে মনে করেছি, এটা সম্ভবত কোনো গদ্যের ব‌ই! অথচ, প্রকাশক বলছেন, উপন্যাস!

তারপর শেষ দিকে মোটামুটি বুঝলাম, এটা একটা উপন্যাস‌ই বটে। গল্পটা শুরু হয় হাসিবের আত্মহত্যা দিয়ে। সে একজন ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট। ক্লাসে ফার্স্ট বয়। তবে যত যাই করুক, বাংলা আর ইংরেজিতে তারার কম নাম্বার পেত। এখন প্রশ্ন আসতে পারে, তারা কে? তারা হলো এই উপন্যাসের ম্যান ক্যারেক্টার। আচ্ছা, গল্পে আসা যাক। হাসিবের আত্মহত্যা নিয়ে বেশ রহস্য সৃষ্টি হয় কলেজে। প্রিন্সিপালের নিকট একটা ইমেইল আসে, আর সেটার সূত্র ধরে তারাকে ডাকা হয়। অফিস রুমে। সেখানে পুলিশ এবং হাসিবের বাবা মা দুজনেই উপস্থিত থাকেন।

তারপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়, এরপর সেখান থেকে সে কোনো এক প্রভাবশালী ব্যক্তির ফোন কলের মাধ্যমে ছাড়াও পেয়ে যায়। কিন্তু এরপর ইমতিকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ইমতি তাঁদের‌ই একজন ক্লাসমেট। যে কিনা সাধারণ ঘরের ছেলে। আর সেইজন্য‌ই তাকে খেসারত দিতে হয়, জীবনের তেরটা বছর হাসিব আত্মহত্যার কারণে। অথচ তার সাথে কোনো সম্পর্কই ছিল না।

এই ব‌ইয়ের আরো এক রহস্যের নাম মারিয়া। যে কিনা নিজের নাম বদলে রেখেছেন এ্যঞ্জেল এম। তার একটা রেস্টুরেন্ট থাকে। শহরে প্রভাবশালী লোকদের সাথে তার আঁতাত। সে মানুষকে নিয়ে খেলতে ভালোবাসে। মানুষের আতংকিত চেহারা দেখে তৃপ্তি পায়। আরো একটা ব্যাপার, এই ব‌ইয়ে চরিত্রের অন্ত নেই, যেমন; তালিসমান, রাস্তি, ইমতি, রুশহাদ, আহাদ, রাফা; শশিম চাচা। আরো আছে, এখানেই শেষ না।

এই উপন্যাসে এত রহস্য যে, আমার মাথামুণ্ডু হ্যাং হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। খুব এলোমেলো মনে হয়েছে। ঐ যে বললাম, শেষের দিকে কিছুটা রহস্য উন্মোচন হতে শুরু করেছে; তা-ও পুরোপুরি নয়। সেখানেও তৈরি হয়েছে রহস্য। শুধু রহস্যের খেলা।

সবচেয়ে বিরক্তিকর লেগেছে যেটা, এই ব‌ইয়ে কোথায় কোন স্থানের সিনারি আঁকতে চেয়েছেন লেখিকা এই জিনিসটাই বুঝলাম না। একবার মনে হয় বাহিরের দৃশ্য আবার মনে হয় বাংলাদেশের। এই জিনিসটা আমাকে বেশি ভুগিয়েছে। কি যে একটা ছেড়াবেড়া অবস্থা! তারপরেও কেন এই ব‌ই শেষ করলাম আমি! কারণ, এই ব‌ইয়ের গদ্যে একটা ফ্লো আছে; যেটা আপনাকে টেনে নিয়ে যাবে।

যাইহোক, অনেক কথা বলে ফেলছি। আজকের জন্য ক্ষ্যান্ত দেই।

~মাহদী হাসান
১ আগস্ট ২০২৫

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনী নিয়ে লেখা সাব্বির জাদিদের উপন্যাসটি পড়ে শেষ করলাম। এইটা আমার কাছে এক অভূতপূর্ব ভালো লাগা...
29/07/2025

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনী নিয়ে লেখা সাব্বির জাদিদের উপন্যাসটি পড়ে শেষ করলাম। এইটা আমার কাছে এক অভূতপূর্ব ভালো লাগার ছিল। এই উপন্যাসের পরতে পরতে দুঃখের প্লাবন, ছিল হরেক রকমের বেদনা। সুখের কথা শুধু এইটুকু, তাঁর লেখা প্রারম্ভেই সুখ্যাতি অর্জন করতে পেরেছে। লেখকদের জীবন যেমন হয় আরকি বাংলাদেশে! মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় জীবনের একটা পর্যায়ে গিয়ে এই কথা বলেই বসেছে যে, এই দেশে জীবিকার ব্যবস্থা না করে কেউ যেন সাহিত্য করতে না আসে।

অথচ মানিক জেনে বুঝেই এই পথে পা বাড়িয়েছে। মেধাবী মানিকের হাতে অনেক সুযোগ ছিল, লেখাপড়া করে বিলাসী জীবন যাপন করতে পারতো অনায়াসে, অথচ মানিক তা সজ্ঞানে পা দিয়ে ঠেলে দিল। বেছে নিল কণ্টকাকীর্ণ জীবন। শুধু একটা মাত্র উদ্দেশ্যে, রবীন্দ্রনাথের পাশে একদিন তাঁর নাম‌ও লেখা হবে। এবং সেটা খুব অল্প সময়ে। এই ছিল তাঁর সাধনা।

একটা জিনিস আমার কাছে বড়োই অদ্ভুত লেগেছে! সেটা হলো, এই উপন্যাসে মানিকের স্ত্রী কমলা দেবীকে যেভাবে উপস্থাপন করেছে লেখক, এমন‌ কোনো নারী হয় কি না! আরো অদ্ভুত বিষয়, যে কিনা মানিকের মৃগীরোগ আছে জেনেই তাঁর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে!

যাইহোক, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবন কতটা বৈচিত্র্যময়, এই উপন্যাসটি পড়লেই আপনি জানতে পারবেন। জীবনের পরতে পরতে মানিক কতটা দুঃসহ বেদনা বয়ে বেড়িয়ে ছিল, তাও জানতে পারবেন। এবং সে যে কতটা প্রতিভাবান ছিল, তাও জানতে পারবেন।

~মাহদী হাসান

এইসব ছবি দেখলে মন চায় ছুটে যাই।
09/07/2025

এইসব ছবি দেখলে মন চায় ছুটে যাই।

শাহাদুজ্জামানের রচনাসমগ্র পড়ছিলাম। সেই ব‌ইতে তিনি হাসান আজিজুল হকের ব্যাপারে ভালোই আলোচনা করলেন। বুঝলাম, আমার আসলে তাকে...
13/06/2025

শাহাদুজ্জামানের রচনাসমগ্র পড়ছিলাম। সেই ব‌ইতে তিনি হাসান আজিজুল হকের ব্যাপারে ভালোই আলোচনা করলেন। বুঝলাম, আমার আসলে তাকে তেমন পড়া হয়নি। কিন্তু এখন তো আর ব‌ই কেনাও সম্ভব না। তাই বহুদিন আগে পড়া এই ব‌ইখানা নিয়ে বসলাম। দেখি কেমন লাগে! ভালো লাগলে হয়তো কিছু ব‌ই অর্ডার করবো।

তো, আপনারা কী পড়ছেন এই ছুটিতে, চাইলে কমেন্টে জানাতে পারেন। আর এই লেখকের কোনো ব‌ই পড়ে থাকলেও জানাতে পারেন!

~মাহদী হাসান
১৩ জুন, ২০২৫

ঈদের দ্বিতীয় দিন।এই ব‌ইটা সম্পর্কে বিস্তর আলোচনা আমি করতে পারবো না। কারণ, আমার জ্ঞানের স্বল্পতা আছে। তবে এইটুকু বলি, যা...
08/06/2025

ঈদের দ্বিতীয় দিন।

এই ব‌ইটা সম্পর্কে বিস্তর আলোচনা আমি করতে পারবো না। কারণ, আমার জ্ঞানের স্বল্পতা আছে। তবে এইটুকু বলি, যাঁরা ক‌ওমি মাদরাসায় লেখাপড়া করছেন, আপনারা যত দ্রুত ব‌ইটা পড়বেন এবং যত দ্রুত হৃদয়ঙ্গম করতে পারবেন, তত‌ই আপনাদের জন্য মঙ্গল।

~মাহদী হাসান
৮ জুন, ২০২৫

আমার ঈদ।~মাহদী হাসান৭ জুন, ২০২৫
07/06/2025

আমার ঈদ।

~মাহদী হাসান
৭ জুন, ২০২৫

মাদরাসার শিক্ষার্থীদের এই দৃষ্টিতে দেখবেন না যে, তারা দুনিয়াতে কোনো কাজে আসবে না। সমাজের মাঝে এসে বাগড়া দেবে। মনে রাখব...
05/06/2025

মাদরাসার শিক্ষার্থীদের এই দৃষ্টিতে দেখবেন না যে, তারা দুনিয়াতে কোনো কাজে আসবে না। সমাজের মাঝে এসে বাগড়া দেবে। মনে রাখবেন, তাদের পিতামাতা তাদের-কে হজরত ইসমাইল আলাইহিস সালামের কুরবানির মতো কুরবানি করে এখানে রেখেছেন। তাদের-কে বাঁকা চোখে দেখবেন না। ইকবাল বলেছেন, ' পৃথিবীর বিনয়ীদের তুচ্ছ ভেবে ভুল কোরো না, হয়তো সে উর্ধ্বাকাশে উড়ছে, তুমি তা জানো না।

পড়ছিলাম ইত্তিহাদ পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত ' ক‌ওমি মাদরাসা' ব‌ইটি। সেখানে এই কথাগুলো পেলাম। খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজকাল আমরা যে দৃষ্টিভঙ্গিতে মাদরাসার ছাত্রদের দেখি, এটা আমাদের বদলানো উচিত। আমরা যদি একটু গভীরভাবে খেয়াল করি, দেখবো এই সময়ে সবচেয়ে বড় ত্যাগ তারাই করছে।

তার একটা জলন্ত উদাহরণ, ২৪শের জুলাই। কমবেশি সবার স্বার্থ থাকলেও এই ছেলেরা নিঃস্বার্থে রাস্তায় নেমেছে। জীবন দিয়েছে। সবচেয়ে খারাপ লাগে, যখন দেখি পরবর্তী এই ছেলেগুলো-কে আর কেউ পোছে না।

~মাহদী হাসান
৫ জুন, ২০২৫

24/05/2025

গতকাল ব‌ইটি হাতে পেলাম। হাতে পেলাম বলতে কুরিয়ারে গিয়ে আনতে হয়েছে। আমি কখনো ভাবিনি ঐতিহ্য Oitijjhya এত দ্রুত ব‌ইটি পৌঁছে দিবে! সকালে যখন কুরিয়ার থেকে মেসেজ পাই তখন মনে এক আনন্দের হিল্লোল বয়ে গেল। যেহেতু আমার আগের‌ও একটা ব‌ই অর্ডার ছিল, তাই ভেবেছিলাম হয়তো ঐ ব‌ইটা এসেছে, কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে Pinaki Bhattacharya - পিনাকী ভট্টাচার্য দাদার ফুলকুমারী ব‌ইটিই চলে এলো।

এই ব‌ইটি যখন আমাজনে বেস্টসেলার দেখেছিলাম তখনই মনের ভেতর আঁকুপাঁকু শুরু হয় ব‌ইটি পড়ার। কিন্তু বিবিধ প্রতিবন্ধকতার কারণে সম্ভব হয়নি। কিছুটা হতাশ হয়েছি বটে। কিন্তু যখন শুনলাম ব‌ইটি ঐতিহ্য থেকে আসছে, তখন আমার সেই হতাশা কেটে যায়। এবং আমি আরো বেশি পুলকিত হ‌ই, যখন শুনলাম আমাদের‌ই পছন্দের কবি হাসান রোবায়েত ব‌ইটির অনুবাদক।

আমি এখনো জানি না, ফুলকুমারীর সাথে আমার যাত্রাটা কেমন হবে! তবে দুয়েক পাতা পড়েই বুঝলাম খারাপ হবে না। এবং আমি উপলব্ধি করলাম, এই ব‌ই আমাকে টানছে। সেই টান থেকেই সকালে এক বসায় চল্লিশ পাতা পড়ে ফেলছি।

এই ব‌ই নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই। কারণ, এখনো ব‌ইটি শেষ করিনি। যদিও আশাকরি দু-তিন দিনের মধ্যে শেষ করবো। তবে এই ব‌ইয়ের প্রচ্ছদ নজরকাড়া তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমার পছন্দের রং দিয়ে সাজিয়েছে এই ব‌ইয়ের প্রচ্ছদ! যাইহোক, বাকি কথা পড়ে হবে। আপাতত এতটুকুই।

তবে একটা দুঃখের কথা বলি, এই ব‌ইয়ের সাথে কোনো বুকমার্ক পাইনি। এজন্য আমি খুবই হতাশ হয়েছি। অন্যদের দেখলাম পাঁচটা করে বুকমার্ক পেয়েছে তাঁরা, আর আমি একদম শূন্য! এটা মানা যায় না!

তো, পরিশেষে অসংখ্য ধন্যবাদ Ramjan ভাইকে কষ্ট করে ভিডিওটি করে দেওয়ার জন্য।

~মাহদী হাসান
২২ মে, ২০২৫

আপনার কী অবস্থা?
15/04/2025

আপনার কী অবস্থা?

মন খারাপ হলে বই হাতে নেন?
বই কি মন ভালো করে?

নাস্তাপানি খেয়ে শুরু করলাম। দেখি কতটুকু আগায়। আমি আবার বেশি বোরিং কিছু নিতে পারি না। তবে এই ব‌ইয়ের খ্যাতি আমাকে মুগ্ধ...
11/04/2025

নাস্তাপানি খেয়ে শুরু করলাম। দেখি কতটুকু আগায়। আমি আবার বেশি বোরিং কিছু নিতে পারি না। তবে এই ব‌ইয়ের খ্যাতি আমাকে মুগ্ধ করেছে। তাই ব‌ইটি সংগ্রহ করলাম। বাকিটা পড়ার পর বুঝবো। তো, আপনারা কী ব‌ই পড়ছেন আজ?

জাকির তালুকদারের সাথে কী একটা পোস্ট নিয়ে মতভেদ হয়। তখন তাঁকে আনফলো করে দেই। এরপর থেকে তার কোনো লেখা পড়া হয়নি। তো, সে...
10/04/2025

জাকির তালুকদারের সাথে কী একটা পোস্ট নিয়ে মতভেদ হয়। তখন তাঁকে আনফলো করে দেই। এরপর থেকে তার কোনো লেখা পড়া হয়নি। তো, সেদিন লাইব্রেরি থেকে এই ব‌ইটি দেখতে পেয়ে সংগ্রহ করি। বেশ উপভোগ্য ছিল ব‌ইটি। সাহিত্যে যে তাঁর হাত পাকা তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। এই ব‌ইয়ের একেকটা গল্পে একেকটা গ্রাম, শহর, ঘটনার বাস্তবিকতা ফুটে উঠেছে। এবং গল্পগুলো খুব বৈচিত্র্যময়‌ও বটে। যাঁরা সাহিত্য পড়তে পছন্দ করেন, তাঁদের কাছে হয়তো ভালো লাগবে।

ঈদের চতুর্থ দিন। গ্রামের সৌন্দর্য।
03/04/2025

ঈদের চতুর্থ দিন। গ্রামের সৌন্দর্য।

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mahdi Hasan posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Mahdi Hasan:

Share