
06/08/2025
গোয়েন্দাদের ঘুম কেড়ে নেওয়া এক মৃ/ত্যু/ রহস্য!
২০১০ সাল, টেক্সাসের একটি হোটেল। ৫৫ বছর বয়সী গ্রেগ ফ্লেনিকেন নামের এক ভদ্রলোককে তার হোটেলের (রুম নং ৩৪৮) বিছানায় /মৃ/ত অবস্থায় পাওয়া যায়। সবকিছু এতটাই স্বাভাবিক ছিল যে, এটিকে একটি সাধারণ /মৃ/ত্যুই মনে হচ্ছিল।
কিন্তু রহস্যের শুরু হয় পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসার পর। রিপোর্টে বলা হয়, গ্রেগের /মৃ/ত্যু হার্ট অ্যাটাকে হয়নি, বরং তাকে /গু/লি করা হয়েছে! একটি বু/লেট তার অণ্ডকোষ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে ভেতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ছিন্নভিন্ন করে বুকে গিয়ে আটকে যায়।
গোয়েন্দারা অবাক! কারণ:
১. ঘটনাস্থলে কোনো রক্ত ছিল না।
২. বাইরে থেকে শরীরে গু/লির কোনো স্পষ্ট ক্ষতচিহ্নও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না, যা দেখে মনে হবে গু/লি লেগেছে।
৩. ঘরে বা আশেপাশে কোনো ব/ন্দু/ক বা গু/লির
খো/সা পাওয়া যায়নি।
ঘটনাটি ছিল বিজ্ঞানের দৃষ্টিতেও বেশ জটিল। গু/লির প্রবেশদ্বার (Entry Point) এতটাই ছোট এবং এমন একটি স্পর্শকাতর জায়গায় ছিল যে, মৃ/ত্যু/র পর শরীরের চামড়া সংকুচিত হয়ে সেই ছিদ্রটি প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। একারণে বাইরে থেকে কোনো ক্ষত বোঝা যাচ্ছিল না এবং রক্তপাত যা হওয়ার, পুরোটাই হয়েছিল শরীরের ভেতরে। একারণেই বাইরে কোনো রক্তের দাগ ছিল না।
কয়েক মাস তদন্তের পর, গোয়েন্দারা অবশেষে গ্রেগের ঘরের দেয়ালের এক কোণায় প্রায় চোখেই পড়ে না এমন একটি ক্ষুদ্র ছিদ্র খুঁজে পান। এরপর পাশের ঘরের (রুম নং ৩৪৯) তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে আসল ঘটনা।
ঐ রাতে পাশের ঘরে থাকা এক ব্যক্তি তার বন্ধুদের কাছে নিজের পি/স্ত/লটি দেখানোর সময় অসাবধানবশত গুলি চালিয়ে দেন। সেই বু/লে/টটিই দেয়াল ভেদ করে ঘুমন্ত গ্রেগের শরীরে প্রবেশ করে। ভয়ে সেই ব্যক্তিরা ঘটনাটি চেপে যায় এবং দেয়ালে সৃষ্ট ছিদ্রটি টুথপেস্ট দিয়ে বন্ধ করে দেয়। তারা ভাবতেও পারেনি তাদের সামান্য একটি ভুল পাশের ঘরের মানুষটির জীবন কেড়ে নিয়েছে।
সত্যি, বাস্তবতা মাঝে মাঝে কল্পকাহিনীকেও হার মানায়!
অনুবাদ: AH Abubakkar Siddique 🔔🔔