30/11/2024
১৮ জুলাই ২০২৪....... যাত্রাবাড়ীর এক গলি থেকে ফজর নামাজ পড়ে ৩/৪ টা ছেলে মেইন রোডের দিকে যাচ্ছিল। তাদের উদ্দেশ্য, ভোর হবার আগেই যাত্রাবাড়ী চিটাগং রোড হাইওয়ে দখলে নেয়া।
আর মাত্র ৫ টা বিল্ডিং পরে গলি শেষ, সামনে মেইন রোড। হঠাৎ গুলির শব্দ, তাদের একজন সঙ্গী লুটিয়ে পড়ল। ছেলেটার নাম মারুফ। হতবিহ্বল বাকীরা বুঝতে পারছিল না কোথা থেকে গুলি এসেছে, কে গুলি করেছে। এদিকে লুটিয়ে পড়া সঙ্গীর শরীর থেকে গলগল করে রক্ত বের হচ্ছে। তার দিকে ভালো ভাবে তাকাতেই ২য় গুলির শব্দটা শোনা গেল। উপস্থিত সবাই মাটিতে শুয়ে পড়ল। এদের গায়ে গুলি লাগে নি। এরা নিরাপত্তার জন্য শুয়েছে৷ আহত মারুফকে টেনে হিঁচড়ে গলির ভেতরে নিয়ে যাওয়া হলো। মারুফের কাঁধ ছুয়ে গুলি বেরিয়ে গেছে। রাবার বুলেট না। এটা স্নাইপার বুলেট। এগুলো যুদ্ধে ব্যবহার করা হয় আরেক দেশের সৈন্য হত্যা করতে।
এদিকে যাত্রাবাড়ী বাসী গত ৩ দিন গুলির শব্দ শুনে অভ্যস্ত তবে এখন ভোর হওয়ায় শব্দের মাত্রাটা বেশি ছিল। এলাকার সবার ঘুম ভেঙে গেল। অনেকে বাসা থেকে নেমে গেল। বাইরে কী হচ্ছে জানার জন্য।
গুলির শব্দের উৎস নিয়ে আলোচনা করে বের করা হলো গলির মাথায় কোনো বাড়িতে স্নাইপার আছে। গলি থেকে বের হলেই গুলি করবে। কিন্তু কোন বিল্ডিং এ স্নাইপার সেটা জানে না কেউ। আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে হলে মেইন রোডে যেতে হবে। যদিও এটা যাত্রাবাড়ী। মেইন রোডে যাওয়ায় অনেকগুলো রাস্তা আছে। আশেপাশের গলি থেকেও সেইম তথ্য এলো। গলি থেকে বের হতেই অদৃশ্য স্থান থেকে তাদের উপর গুলি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সিদ্ধান্ত নিল যে করেই হোক স্নাইপারের লোকেশন বের করতে হবে। এটা বের করার জন্য জানবাজ কিছু লোক দরকার যার গুলি খাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কয়েকজনকে আগে গলি থেকে বের হতে হবে। পেছনে পেছনে কিছু লোক দেখবে কোন বাসা থেকে গুলি করছে। কে হবে সেই জানবাজ?
ইন্টার পড়ুয়া একটা ছেলে আগে যেতে রাজি হলো। সে একা একা আগে যাবে।
ছেলেটার নাম অনিক। সে বন্ধুর সাথে কোলাকুলি করল। এক বন্ধুর কানে কানে বলল "আমার কিছু হলে মাকে সান্ত্বনা দিস।" বন্ধু দুস্টামি করে উত্তর দিল "আর তোর ক্রাশ?" অনিক উত্তর দিল "তাকে আমার কথা বলিস।'
হাসিমুখে অনিক গলির মুখের দিকে এগোলো। তার চোখে সতর্ক দৃষ্টি। আগে যেখানে মারুফ গুলি খেয়েছে ঠিক সেই স্থানে আসার সাথে সাথে গুলির শব্দ শোনা গেল। এদিকে অনিক আগে থেকেই একে বেঁকে চলছিল। গুলি তার গায়ে লাগে নাই। তবে গুলিটা আশেপাশের.......