Journey With Al GALIB

Journey With Al GALIB ❏ Bangladeshi 🇧🇩

10/05/2025

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের খুশিতে দেশব্যাপী বিজয় উল্লাস

🌙 ঈদ মোবারক 🌙
30/03/2025

🌙 ঈদ মোবারক 🌙

জনগনতো প্রশ্ন করবে এখনই ভালো আছি সামনে ভালো থাকতে পারবো তো??ড. ইউনূস যখন পৃথিবীর দক্ষিণ মেরু চীন সফরে ১৫হাজার কোটি টাকার...
28/03/2025

জনগনতো প্রশ্ন করবে এখনই ভালো আছি সামনে ভালো থাকতে পারবো তো??
ড. ইউনূস যখন পৃথিবীর দক্ষিণ মেরু চীন সফরে ১৫হাজার কোটি টাকার বিশ্বমানের মেডিকেল প্রতিষ্ঠা, ১২হাজার কোটি টাকার চারটি মহাসাগরীয় বাণিজ্য হাজার ক্রয়, ১০ হাজার কোটি টাকার তিস্তা ব্যারেজ তৈরি, বিনা শুল্কে ২০২৮ সাল পর্যন্ত মুক্ত পণ্য বাণিজ্য সহ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির ১ ট্রিলিয়ন ডলারের চুক্তি হতে যাচ্ছে।
তখনি পৃথিবীর উত্তর মেরু থেকে খবর এলো বাংলাদেশের সবথেকে বড় সমস্যা জাতিসংঘে রোহিঙ্গা প্রস্তাব পাস হয়েছে ১৪০ দেশের প্রত্যক্ষ ভোটে।যেখানে কোন দেশ বিপক্ষে ভোট দেয়নি। রোহিঙ্গাদের আগে যেখানে খাবার বাবদ মাসিক সাত ডলার তথা ৮৪৭টাকা দেওয়া হতো।
নতুন বাজেটে সেটি বাড়িয়ে এখন থেকে জনপ্রতি খাবারে ১২ ডলার তথা ১৪৫২ টাকা দেওয়া হবে।
এখানেই শেষ নয়, ফেডারেল থেকে খরব এলো, দীর্ঘ একযুগ পর বাংলাদেশের রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলার।শুধু এমাসে দেশে এসেছে ৪ বিলিয়ন ডলার তথা প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা।
আরো ভালো খবর আসতেই থাকবে।
#কালেক্টেড

ভাইজান জুতা বাহিরে রেখে আসেন ঘরটা ময়লা হয়ে গেছে। ছোটো চাচার কথা শুনে বাবা বসা থেকে উঠে ময়লা জুতা বাহিরে রেখে আসতে যায়, স...
20/03/2025

ভাইজান জুতা বাহিরে রেখে আসেন ঘরটা ময়লা হয়ে গেছে। ছোটো চাচার কথা শুনে বাবা বসা থেকে উঠে ময়লা জুতা বাহিরে রেখে আসতে যায়, সাথে আমার জুতাজোড়াও নিয়ে যায়।
জুতা রেখে আসবার পরে বাবা হাত দিয়ে গায়ের পাঞ্জাবি মুছে তারপর সোফার উপরে বসে, এই বাসায় সবকিছু স্বচ্ছ কাঁচের মতো। শুধু আমার বাবা গায়ের পোশাকটাই ময়লা। যদিও অন্য সময় তেমন ময়লা মনে হয়নি, এখন এই বাসায় আসবার পরে বেশি ময়লা মনে হচ্ছে।
বাবা তার পাঞ্জাবি মুছে তারপর সোফায় বসেন, আমি তাকিয়ে দেখে বাবার পাঞ্জাবিতে একটা হলুদ দাগ লেগে আছে। মা পাঞ্জাবি ধুয়ে দিছেন ঠিকই তবে তবে দাগ তুলতে পারেনি।
বাবা গুটিয়ে বসেন আমিও বাবার মতো গুটিয়ে বসি। যেনো পায়ের ধূলো ফ্লোরে না লেগে যায়, এটাও খেয়াল করি বাবার দেখাদেখি।
বাবা হেসে হেসে কথাই বলছেন, ছোটো চাচা গম্ভীর হয়ে আছেন। এমন গম্ভীর হয়ে থাকে আমার স্কুলের অংকের শিক্ষক, স্যারকে কখনো হাসতে দেখিনি। ছোটো চাচাও কি হাসেন না? না ছোটো চাচা হাসেন, ছোটো চাচাকে তার ছেলেমেয়েদের সাথে হাসতে দেখেছি, চাচির সাথে হেসে হেসেই কথা বলেন। তবে বাবা আসায় এখন গম্ভীর মুখ করে বসে আছেন।
বাবা বলেন, শওকতের মায়ের অবস্থা বেশি ভালো না৷ তোর কাছে যদি টাকা থাকে হাজার বিশেক টাকা দে। আমি দুই মাস পরেই ফেরত দিয়ে দিবো।
ছোটো চাচা বলেন, ভাইজান এখন আমার কাছে টাকা নেই। আর দেখো প্রতিদিন আমার কাছে ধার নিতে আসবে আমি টাকা দিয়ে দিবো এমনটা ভেবে বসে থাকো কেন?
চাচার এই কথা শুনেও দেখলাম বাবার মুখে একই হাসি লেপ্টে আছে, বাবার কি মন খারাপ হয় না? নাকি মানুষ অভাবের দিনে সবকিছু সহ্য করে নিতে পারে। বাবার মুখে একইরকম মৃদু হাসি, এই হাসির নাম কি তবে অভাবের হাসি। যত অপমান করা হোক মুখে হাসি রেখে সবকিছু সহ্য করতে হবে৷
ছোটো চাচা ঘরের ভিতরে চলে যায়। তখনই ছোটো চাচার বড় ছেলে রোকন আসে। রোকন আমার বয়সী, এবার ক্লাস সিক্সে পড়ে। রোকন আর আমি এক বয়সী হলেও দুজনের জীবন আলাদা। রোকনের ঘর ভর্তি খেলনা, আর আমার ঘরে শুধু একটা ভাঙা হেলিকপ্টার আছে, যা তিন বছর আগে বাবা কিনে দিয়েছেন।
রোকন এসেই আমার পাশে বসে, আমার কাছে বসে জিজ্ঞেস করে, তুমি কখনো বরফের ভিতরে হাঁটছো? আমি বলি না। রোকন বলে, আমরা বরফের দেশে যাচ্ছি ঘুরতে।ঘরের ভিতর থেকে চাচা রোকনকে ডাক দিলে ভিতরে চলে যায়।
বাবা বের হয়ে আসে ছোটো চাচার বাসা থেকে। আমরা দুজনেই রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছি। ছোটো চাচার ঘরের ভিতরে ঠান্ডা বাতাস ছিলো, এখানে ভীষণ গরম, বাহিরে অনেক রোদ।
বাবার সাথে আমি হাঁটছি। বাবার মুখে এখন হাসি নেই গম্ভীর হয়েই হাঁটছেন। বাবা মুখে হাসি রাখে যখনই কারো কাছে টাকা ধার করতে যায়। এই যেমন দোকানে বাকিতে বাজার নিতে হলে তখন মুখে একটা হাসি রাখে, ছোটো চাচার কাছে টাকা ধার চাইতে গেলে মুখে হাসি রাখে। বাবা বিশ্বাস করেন তার হাসিতে অনেক সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে, তবে কিছুই সমাধান হয় না। টাকা দিতে না পারায় দোকানদার বাজার রেখে দেয়, ছোটো চাচা গম্ভীর মুখে না বলে দেয়।
বাবার সাথে হাঁটতে হাঁটতে বলি, বাবা বরফের দেশ কোথায়? বাবা কোনো উত্তর দেয় না। আমি আবার জিজ্ঞেস করি, বাবা সেখানে কি বরফ দিয়ে ঘর বানানো? বাবা এবারও কোনো উত্তর দেয় না।
আমি মনে মনে বরফের দেশের একটা ছবি আঁকতে থাকি। বাবা আমার দিকে তাকিয়ে বলেন, শরবত খাবি? আমি বলি খাবো।
রাস্তার পাশেই একটা লোক লেবুর শরবত বিক্রি করছে। প্রতি গ্লাস দশ টাকা। বাবা দুই গ্লাস লেবুর শরবত নেয়। লোকটার কাছে ছোটো ছোটো খালি বোতল আছে, বাবা সেই বোতলে মায়ের জন্যেও এক গ্লাস শরবত নেয়।
শরবতের বোতল নিয়ে আমরা বাসার দিকে হাঁটতে থাকি।
মা অসুস্থ হবার পর থেকে রান্নাঘরে তেমন যেতে পারে না। চুলার পাশে বেশি সময় থাকলেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়, কাশি কিছুতেই থামে না। এমনভাবে কাশি দেয় মনে হয় মায়ের বুকের ভিতর থেকে সব বের হয়ে আসবে।
মায়ের আবার কাশি উঠেছে, বাবা রান্নাঘরে ছুটে যায় তরকারি দেখতে। মা ইশারা দিয়ে বলেন জানালা খুলে দিতে, আমি জানালা খুলে দেই। জানালা দিয়ে ঠান্ডা বাতাস আসলে মায়ের কাশি কিছুটা কমে।
বাবা রান্নাঘর থেকে এসেই মায়ের হাতে লেবুর শরবত দিয়ে বলেন, এটা খেয়ে নাও। ঠান্ডা আছে, শরীর শীতল হয়ে যাবে। মা শরবত খায় না, আঁচলটা মুখের উপর রেখে বিছানায় শুয়ে থাকে।
মায়ের চিকিৎসার জন্যে পয়ত্রিশ হাজার টাকা দরকার এখন। পনেরো হাজার টাকা বাবা জোগাড় করতে পারলেও বাকি টাকা কিছুতেই জোগাড় করতে পারেনি।
বিকালবেলা বাবার বন্ধু শহীদুল কাকা মাকে দেখতে আসেন। বাবা কথায় কথায় আবার সেই লজ্জা মার্কা হাসি দেয়। শহীদুল কাকার কাছে কিছু টাকা ধার চায় মায়ের চিকিৎসার জন্যে, বাবার একটা কাপড়ের দোকান আছে। শহীদুল কাকার কাছে বলেন চাইলে দোকানটা বন্ধক হিসেবে টাকা দিতে পারে।
শহীদুল কাকা বলেন, কি বলছে তুমি এসব। তুমি আমারে অল্প করে দিয়ে দিবে তাতেই হবে। সন্ধ্যায় বাসায় এসো, বাসায়ই কিছু টাকা আছে আগামীকাল ব্যাংকে রাখবার কথা ছিলো। বাবার চোখ এবার ছলছল করে উঠে।
মায়ের চিকিৎসা শহীদুল কাকার দেওয়া টাকাতেই হয়। মা পুরোপুরি সুস্থ হতে দুই মাস চলে যায়।
আমাদের স্বাভাবিক জীবন চলতে থাকে। বাবা মাসে মাসে কিছু টাকা শহীদুল কাকাকে দিয়ে দেন।
আমি কেবল ক্লাস সেভেনে উঠেছি, স্কুলে টিফিন টাইমে সিঁড়ি থেকে নামতে যেয়ে পায়ে হোঁচট খাই। ডান পায়ের একটা নখ ভেঙে রক্ত বের হয়।
তখনই দেখি স্কুলে শহীদুল কাকা এসেছেন। শহীদুল কাকা আমার মাথায় হাত রাখে। তারপরই চলে যায় লাইব্রেরির দিকে। লাইব্রেরি থেকে বের আমারে বলে স্কুল ব্যাগ সাথে নিয়ে নিতে। আমি বলি, কাকা আমার স্কুল এখনো ছুটি হয়নি। কাকা বলেন, তোর স্যারের সাথে কথা বলেছি জরুরী কাজ আছে তাই যেতে হবে।
শহীদুল কাকার সাথে রিক্সায় উঠি আমি। কাকা পুরো রাস্তায় কোনো কথা বলেন না, চুপচাপ হয়ে আছে৷
বাড়ির সামনে রিক্সা থামতেই দেখি অনেক মানুষের ভীড়। ভীড় ঠেলে বাড়ির ভিতরে আসি। উঠানের পাশে বড় একটা আমগাছের পাশেই একটা খাট, সেই খাটের উপর বাবাকে রাখা। বাবা কোনো কথা বলছেন না। মা ছুটে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে।
বাবার দোকানের বিপরীতের এক দোকানদার বাবার মৃ ত্যু র বর্ণনা দেন। ‘প্রথমে আমি দেখলাম বোতল থেকে পানি খাচ্ছে, হঠাৎই চেয়ারে বসতে যেয়ে নিচে পড়ে গেলো। আমরা ছুটে যেয়ে ধরলাম, বেশি সময় দিলো না। হাসাপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলে সব শেষ।’ কথাগুলো বলে তিনিও কাঁদতে শুরু করেন।
বাবাকে দেখতে আমাদের বেশকিছু আত্মীয় স্বজনরা এসেছেন, যার ভিতরে ছোটো চাচাও আছেন। তবে সন্ধ্যা হতেই যে যার মতো চলে যায়। রাতে মা আর আমিই বাসায় থাকি। মধ্যরাতে মায়ের শ্বাসকষ্ট উঠে, সেই শ্বাসকষ্ট কিছুতেই থামে না। মাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়।
ভোরবেলা মা সুস্থ হলে আবার বাসায় নিয়ে আসি। অবশ্য এর ভিতরে শহীদুল কাকা খবর পেয়ে হাসাপাতালে এসেছে।
ঝামেলা হয় বাবার দোকান নিয়ে। দোকানের দেখাশোনা করবার মতো কেউ নেই। মা ঠিক করেন দোকান বিক্রি করে দিবে। শহীদুল কাকার সাথে দোকানের বিষয়ে আলাপ করে। শহীদুল কাকা বলেন, দোকানটা রেখে দিন ভাবি, একজন কর্মচারী ঠিক করে দিবো আমি।
শহীদুল কাকা একজন লোক রেখে দেয়। লোকটার নাম হাশেম। হাশেম চাচাই দোকানের দেখাশোনা করেন, এই লোকটার ভিতরে কোনো লোভ নেই। আমি মাঝেমধ্যে বিকালে যেয়ে দোকানে বসি।
দোকান থেকে যে কয়টাকা আসে সেই টাকায় আমাদের শহরে চলতে কষ্ট হয়ে যায়। আমরা বাসা ছেড়ে দেই। শহীদুল কাকা তার বাড়ির চিলেকোঠা আমার আর মায়ের থাকবার জন্যে জায়গা করে দেয়। আমরা সেখানেই থাকি।
দোকানের লোককে বাড়তি টাকা দিতে হয় তাই মা নিজেই দোকানে বসা শুরু করেন। সবকিছু বুঝে নিতে একটু কষ্ট হয় তবে মা মানিয়ে নেন, আগে পুরুষের পোশাক ছিলো। মা দোকানে বসবার পরে ধীরে ধীরে মহিলাদের কাপড় তুলেন, শাড়ি, সেলোয়ার-কামিজ এসব।
ইন্টারমিডিয়েট পাশ করবার পরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাই। মাকে ছেড়ে চট্টগ্রাম চলে যেতে হয়।
যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ি তখনই মা আবার অসুস্থ হয়ে যায়। মায়ের দুটে শাড়ির দোকান ছিলো মার্কেটে। মা অসুস্থ হবার পর থেকে আর বেশি সময় মার্কেটে থাকতে পারে না। শহীদুল কাকা সবকিছু দেখাশোনা করেন।
শহীদুল কাকার বড় মেয়ে নওমি মাকে প্রতিবেলায় ভাত দিয়ে যায়। আমার ইচ্ছে করে পড়াশোনা ছেড়ে মায়ের কাছে থাকতে তবে সে সুযোগ হয়ে উঠে না। মা নিজেই বলেন তিনি সুস্থ আছেন, আমি যেনো পড়াশোনা না ছাড়ি।
কয়েকদিন মায়ের কাছে থেকে আবার ঢাকা ছেড়ে চট্টগ্রাম চলে আসতে হয়। তবে মন থাকে মায়ের কাছে।
শহীদুল কাকার বড় মেয়ে নওমি আমার থেকে দুবছরের ছোটো, মেয়েটা মাকে বেশ যত্ন করে। মাকে নওমি খালামনি ডাকে। কখনো মা খাবার খেতে না চাইলে আমার কাছে কল দিয়ে মায়ের নামে বিচার দেয়। আমি হাসি। নওমি আর আমাদের সাথে কোনো রক্তের সম্পর্ক নেই তবু মাকে মেয়েটা খুব যত্নে রাখে। সারাদিন খালামনি খালামনি করে ডাকবে, দিনে কমপক্ষে বিশ বার আমাদের ঘরে আসবে। মায়ের সাথে ওর অনেক কথা, যদিও সেসব কিছুই দরকারি কথা না।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করবার পরেই আমি আবার ঢাকা চলে আসি। চাকরির জন্যে পড়ছি, সাথে শহীদুল কাকার থেকে দোকানের খোঁজ খবর নেই। তবে মা চাইছেন আমি যেনো চাকরির দিকেই মনযোগ দেই। চাকরি না হলে তখন দোকান দেখবো। আপাতত চাকরি নিয়েই ভাবতেই বলছেন মা।
এক বছর পরের এক বিকাল। মা ছাদে বসে আছেন, নওমি মায়ের চুলে বিলি কেটে দিচ্ছে। আমি ছাদের এক কোনায় দাঁড়িয়ে আছি, মায়ের কাছাকাছি যাওয়ার সাহস হচ্ছে না।
নওমি আমাকে দেখে ফেলে। মায়ের কাছে বলে, খালামনি তোমার ছেলে এসেছে। মা বলেন, কিছু বলবি?
আমার কিছু বলবার সাহস হয় না। গলা ভারী হয়ে আসছে। কথা বললেই মনে হয় কেঁদে ফেলবো। নওমি আবার ঘুরে তাকিয়ে দেখে আমার চোখে পানি টলমল করছে। নওমি বলে, খালামনি তুমি উঠো। মা উঠে দাঁড়িয়ে আমার চোখে পানি দেখে কাছে ছুটে আসে। মা বলেন, কি হয়েছে?
আমি চোখে মুছে নিয়ে বলি, মা আমার চাকরি হয়েছে। তোমার ছেলে এখন বিসিএস ক্যাডার। মা নিজেও কাঁদছেন আমার কথা শুনে। কিছুতেই সেই কান্না থামছে না।
আমার প্রথম পোস্টিং হয় খুলনাতে। ঠিক করি মাকে নিয়েই খুলনা যাবো। মাকে নিয়ে যাবো শুনে সেই থেকে নওমি মন খারাপ করে থাকে। গতরাতে মায়ের পাশে এসে কিছুসময় কাঁদলো।
নওমি চলে যাবার পরে মা বলেন, তোর নওমিকে কেমন লাগে? আমি বলি, ভালোইতো আছে। মা আবার বলেন, নওমির সাথে তোর বিয়ে দিলে কেমন হয়? মেয়েটা তোরে পছন্দ করে এমনিতেও আমি বুঝি।
আমি কিছু না বলেই ছাদে এসে দাঁড়াই। মা আমার পিছু পিছু এসে বলে, কি নওমিকে তোর পছন্দ না?
‘মা নওমি পছন্দ হওয়ার মতোই মেয়ে।'
মা হেসে বলেন, তা অবশ্য ঠিক বলেছিস।
তিনদিন পরেই নওমির সাথে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পরে নওমি আর মাকে নিয়ে আমি খুলনা চলে আসি।
নওমি মেয়েটা স্নিগ্ধ জলের মতো, আর মায়ের সাথে নওমির সম্পর্কে দেখে ভালো লাগে। নওমির সাথে আমার বিয়ের পরে নওমি মাকে মা বলে ডাকে, মা বলে দিয়েছে আমাকে আগের মতোই খালামনি বলে ডাকবি এটা সুন্দর লাগে, খালামনি হলো আরেক মা। তারপর থেকে মাকে নওমি খালামনি বলেই ডাকে।
দুইমাস পরে গতরাতে নওমির বাবা শহীদুল কাকা খুলনা আমাদের বাসায় আসেন। এবারই প্রথমবার এখানে আসেন। শ্রাবন মাস চলছে, বাহিরে গত তিনদিন ধরে বৃষ্টি। শহীদুল কাকা বাসার ভিতরে এসে সোফায় বসে৷ তখনই নওমি এসে বলে, বাবা জুতায় অনেক পানিকাঁদা লেগে আছে জুতা বাহিরে রেখে আসি আমার কাছে দাও। নওমিকে থামতে বলি।
বুকের ভিতরে পুরোনো কোনো একটা স্মৃতি নড়েচড়ে উঠে। শহীদুল কাকার দিকে তাকিয়ে বলি, আপনি এই জুতা নিয়েই এখানে বসে থাকুন কিছুসময়। শহীদুল কাকা আরাম করে বসে আমি তাকিয়ে দেখি, মনে হচ্ছে বহুদিন পরে বাবাকে দেখছি। আজকে যদি বাবা থাকতেন, এত বড় বাসা, স্বচ্ছ কাঁচের মতো সব, চাচাদের বাসার মতোই আমার বাসাটা; বাবা যদি এখানে বসতেন। শহীদুল কাকার ময়লা জুতার দিকে তাকিয়ে আমার দুইচোখ ভিজে উঠে।
একজোড়া ময়লা জুতা
লিখেছেন: Mosthakim Billa

সাহরি খাচ্ছিলাম। হঠাৎ আমার বাসার বিড়ালটা আমার গা ঘেঁষে বসলো। আমি গ্রাস তোলার আগেই সে ম্যাঁও ম্যাঁও শুরু করে দিলো।আমি প্র...
09/03/2025

সাহরি খাচ্ছিলাম। হঠাৎ আমার বাসার বিড়ালটা আমার গা ঘেঁষে বসলো। আমি গ্রাস তোলার আগেই সে ম্যাঁও ম্যাঁও শুরু করে দিলো।
আমি প্রথম গ্রাসটা ওর ছোট থালায় দিলাম। সুন্দর করে চেটেপুটে খেলো। দ্বিতীয়বার আরেকটু দিলাম। এবার সে সম্পূর্ণ খেয়ে শেষ করতে পারেনি। কয়েকটি দানা প্লেটের কোল ঘেঁষে পরে রইল।
আমার খাওয়া শেষ। হাত ধুঁয়ে খাটের সাথে হেলান দিয়ে মেঝেতেই বসে রইলাম। কিছুক্ষণ পর দেখি কয়েকটা পিঁপড়া বিড়ালের ছাড়া বিশাল ভাতের দানা কামড়ে ধরেছে। দুটি পিঁপড়ে মিলে একটি ভাতের দানা টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
ক্ষণিকের জন্য হারিয়ে গেলাম। এই ভাতের দানাটা ওদের জন্যই বরাদ্দ ছিল। বিড়ালের জন্য যতটুকু বরাদ্দ ছিল ততটুকুুই সে খেয়েছে। আমিও আমার ভাগেরটা পেয়ে গেছি। অথচ এই ভাত কত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমার থালায় এসেছে!
আমি যে তরকারি দিয়ে খেলাম, সেখানে ৫ প্রকারের সবজি ছিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে সেগুলো এসেছে বাজারে। বাজার থেকে আমার থালায়। যে মাছটি আমি খেলাম, সেটা কত নদী-সরোবর হয়ে, কত জেলের জালকে ফাঁকি দিয়ে আমার প্লেটে এসেছে তা আমি জানিনা।
কি সূক্ষ্ম বণ্টন! ভাবতেই অবাক লাগে। মহান আল্লাহ আমাদের রিজিকের ব্যবস্থা কোথায় থেকে করবেন সেটা আমরা জানিনা। যেটাই পাচ্ছি হালাল উপায়ে সেটাই আমার রিজিক। জীবদ্দশায় যা খাবো সবই মহান আল্লাহর পূর্ব নির্ধারিত রিজিকের অংশ। অথচ, কতই না দুশ্চিন্তা করি দুবেলা খাবারের জন্য!
- সংগৃহীত

30/11/2024

সড়ক পথে খুলনা টু বাগেরহাট

DHAKA IS NOT FOR BEGINNERS :')))
30/10/2024

DHAKA IS NOT FOR BEGINNERS :')))

29/10/2024

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সাকিবের বাবার নেতৃত্বে মাগুরায় ২ হত্যাকাণ্ড!
সোর্সঃ বাংলা আউটলুক

25/10/2024

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে আমার পরিচয় হয় মাস্টার্সে পড়া এক বড় ভাইয়ের সাথে। উনার নাম শামীম (ছদ্মনাম)! খুবই আন্তরিক মানুষ। আমাকে স্নেহ করতেন অনেক। বিকেলা বেলা হলের সামনে আমাকে দেখলেই ধরে নিয়ে নাস্তা করাতেন। কিছু না খেতে চাইলেও জোড় করে নিয়ে যেতেন। ভালো ছাত্র ছিলেন। ডিপার্টমেন্টে থার্ড পজিশনে ছিলেন। পড়াশোনার বাইরে উনার সবচেয়ে পছন্দ ছিলো কবিতা আবৃত্তি করা। কিন্তু কন্ঠ ভরাট না থাকায় উনি হতাশ হতেন। আমাকে মজা করে বলতেন "কবিতা এমন চিকনা কন্ঠে হয় না। তোমার কন্ঠটা আমার দরকার ছিলো। কত দিতে হবে বলো!" আমি সেকেন্ড ইয়ারে উঠার আগেই উনার মার্স্টার্স শেষ হয়ে যায়। উনি চলে যান ঢাকায়। এরপর বহুদিন যোগাযোগ ছিলো না। ২০১৭ সালে উনাকে আমি ফেসবুকে পাই। স্ত্রী সন্তান নিয়ে অষ্ট্রেলীয়াতে সেটেলড হয়েছেন। এরপর থেকে টুকটাক মেসেঞ্জারে কথাবার্তা হতো। এখনো হয়। গতকাল ছাত্রলীগ সম্পর্কিত একটা পোস্ট দেখে উনি আমাকে মেসেজ দিলেন। কথা কথায় উনি আমাকে একটা ঘটনা বললেন উনার।
২০২৩ সালে স্ত্রী সন্তান নিয়ে উনি বাংলাদেশে বেড়াতে আসেন। উনার ১৩ বছরের মেয়ের কাছে নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক গল্প করেছেন। বাবার গল্প শুনে মেয়ে খুবই অবাক হয়। বাংলাদেশে এত সুন্দর ক্যাম্পাস থাকতে পারে সে বিশ্বাস ই করতে চায় না। ফেসবুক ইউটিউবে ক্যাম্পাসের ভিডিও দেখে দেখে মেয়ে খুবই আগ্রহী হয়ে উঠে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দেখার জন্য। উনি অবশেষে স্ত্রী এবং মেয়েকে নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন! স্ত্রী সন্তানকে পুরো ক্যাম্পাস দেখালেন। হলের যে রুমে থাকতেন সেখানেও ঘুরিয়ে দেখালেন। মেয়ে খুবই অবাক হয়েছে হলের বাসস্থান দেখে। "এভাবেও থাকা যায়!"
পাহাড়, জংগল, বিচিত্র নানান সব ফুল, পাখি ঝুপড়ী সব দেখা শেষ করে সন্ধ্যায় শহীদ মিনারের পাশে বসে তারা ফুচকা খাচ্ছিলেন। এমন সময় একটা ছেলে এসে উনাকে শহীদ মিনারের দিকে দেখিয়ে বলে "ভাই আপনাকে ডাকছে?" উনি অবাক হলেন। এত বছর পর ক্যাম্পাসে তো তার পরিচিত কেউই নেই। উনি ফুচকা হাতে নিয়েই সেখানে গেলেন। ৬/৭টা ছেলে লাইন ধরে সিঁড়িতে বসে আছে। তখন প্রায় অন্ধকার হয়ে আসছে। সবার চেহারা ঠিক মতো দেখাও যাচ্ছে না। একজন জিজ্ঞাসা করলো "ভাইয়ের বাসা কোথায়?" উনি বললেন, উনি অস্ট্রেলীয়াতে থাকেন। এই ক্যাম্পাসের ই সাবেক ছাত্র। ২০০০/২০০১ সেশন। এটা শুনে পাশ থেকে একটা ছেলে এসে বললো, "প্রমান কি আপনি সাবেক ছাত্র?" শামীম ভাই বিরক্ত হলেন। কিছুটা উত্তেজিত হয়ে বললেন "প্রমান কেন করতে হবে? আপনারা কে? আপনাদের কাছে কেন আমার প্রমান করতে হবে!?" এই কথা বলার সাথে সাথে একজন উঠে থাপ্পড় মারলো। সাথে সাথে আরও কয়েকজন উঠে কিল ঘুসি মারতে লাগলো। হৈচৈ শুনে উনার স্ত্রী এবং মেয়ে সেখানে ছুটে গেলেন। তারা তাদেরকেও গালাগালি করা শুরু করলো।
তারপর স্ত্রী এবং মেয়ের সামনেই উনাকে কান ধরে উঠবস করালো। এবং চিৎকার করে বলতে লাগলো " খা* পো* শিবির! এই ক্যাম্পাস থেকে তুই জীবিত যাইতে পারবি না।" শামীম ভাই গাড়ীর ড্রাইভারকে ডাকতে লাগলেন। ড্রাইভার আশেপাশে ই চা খাচ্ছিলো হয়তো। উনি তাকে কল দেয়ার জন্য ফোন বের করতে পকেটে হাত দিয়ে দেখলেন ফোনটা পকেটে নাই। উনার মানিব্যাগও নাই। ওরা নিয়ে নিয়েছে।
শামীম ভাইকে কান ধরে উঠবস করেই তারা শান্ত হয় নি। মাটিতে উপর হয়ে নাকে খত দিয়ে বলতে বললো "আমি শিবির। আমি আর এই ক্যাম্পাসে কখনো আসব না।" তা না হলে স্ত্রী সন্তান সহ সবাইকে ধরে নিয়ে যাওয়া হবে। শেষ পর্যন্ত স্ত্রী এবং মেয়ের সামনেই উনি বাধ্য হোন নাকে খত দিতে।" সব সময় মনে রাখবি চবি ছাত্রলীগ থাকতে এই ক্যাম্পাসে কখনো তোরা শিবির পা দিতে পারবি না!" এই বলে তারা উনাকে ছেড়ে দিলো। শামীম ভাই ড্রাইভারকে খুঁজে পেয়ে এরপর কোনরকম গাড়ীতে উঠে দ্রুত ক্যাম্পাস ছাড়েন।
পুরোটা পথ উনার মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে এসেছে। লজ্জায় ঘৃনায় অপমানে স্ত্রী সন্তানের দিকে তাকাতেও পারছিলেন না তিনি। মেয়ের কাছে কত গল্প করেছিলেন এই ক্যাম্পাস নিয়ে। উনি অষ্ট্রেলিয়া ফিরে যান। কোন আইনি ব্যাবস্থাও নেন নি। কাউকে জানানও নি। এরকমভাবে অসম্মানিত হবার ঘটনা উনি সম্মানের ভয়ে কাউকেই বলেন নি। আর বলেই বা কি হবে! ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কে কথা বলার আছে তখন! আর এই অপমান কি আর মুছে যাবে! উনি চুপ হয়ে গেলেন। সেদিনের পর থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গল্প তো দূরে থাক আর একটা শব্দও কখনো মেয়ের সাথে করেন নি।
আমাকে উনি বারণ করেছেন উনার পরিচয় প্রকাশ না করতে যেহেতু ব্যাপারটা উনার জন্য অসম্মানজনক। তাই উনার পরিচয় আমি দিলাম না। নিজের স্ত্রী সন্তানের সামনে, নিজের ই ক্যাম্পাসে একজন মোস্ট সিনিয়র সাবেক ছাত্র হয়ে যদি এভাবে অপমানিত হতে হতো আপনাদের কেমন লাগতো?
এই ছাত্রলীগকে শুধু নিষিদ্ধ করাই কি যথেষ্ট?
Jayef Khan Nadim
Vocal Artist at ADekhA

🧐🧐🧐🧐
23/10/2024

🧐🧐🧐🧐

আপনার মতামত জানান
23/10/2024

আপনার মতামত জানান

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Journey With Al GALIB posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category