03/04/2022
রামাদানের প্রতিদিন কিছু সাদাকার আমল করি।
নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস থেকে, হোক সেটা অর্থ বা পণ্য; বিশেষত শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে সাদাকার আমল ইনশাআল্লাহ বহুগুণ বর্ধিত হয়ে মাকবুল হবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন—
Al-Insan 76:8
وَيُطْعِمُونَ ٱلطَّعَامَ عَلَىٰ حُبِّهِۦ مِسْكِينًا وَيَتِيمًا وَأَسِيرًا
"আহার্যের প্রতি আসক্তি সত্ত্বেও তারা অভাবগ্রস্ত, ইয়াতীম ও বন্দীকে আহার্য দান করে।
Al-Insan 76:9
إِنَّمَا نُطْعِمُكُمْ لِوَجْهِ ٱللَّهِ لَا نُرِيدُ مِنكُمْ جَزَآءً وَلَا شُكُورًا
এবং বলে, 'কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে আমরা তোমাদেরকে আহার্য দান করি, আমরা তোমাদের নিকট হতে প্রতিদান চাই না, কৃতজ্ঞতাও নয়।
Al-Insan 76:10
إِنَّا نَخَافُ مِن رَّبِّنَا يَوْمًا عَبُوسًا قَمْطَرِيرًا
'আমরা আশংকা করি আমাদের পালনকর্তার তরফ থেকে এক ভীতিপ্রদ ভয়ংকর দিনের।'
Al-Insan 76:11
فَوَقَىٰهُمُ ٱللَّهُ شَرَّ ذَٰلِكَ ٱلْيَوْمِ وَلَقَّىٰهُمْ نَضْرَةً وَسُرُورًا
পরিণামে আল্লাহ তাদেরকে সেদিনের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবেন এবং তাদেরকে দিবেন উৎফুল্লতা ও আনন্দ।"
সূরা দাহর (আল-ইনসান) পুরোটা অর্থসহ পড়ে নিতে পারেন, চমৎকার সব বর্ণনা রয়েছে।
কাকে দিবেন? ব্যক্তিগত প্রয়োজনে যে আপনার কাছে সুয়াল করেছে, তাকে দিন। অথবা যাকে দেখে মনে হবে প্রয়োজনগ্রস্থ, তাকে দিন।
আয়াতগুলোর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা আরেকটি বিষয় শিক্ষা দিচ্ছেন যে, ইবাদাতের প্রতিদানের প্রত্যাশা না করা।
ইবাদাত কেবল ইবাদাত হিসেবেই করবেন, আল্লাহর নির্দেশ হিসেবেই পালন করা হবে।
নিজের প্রয়োজন, নিজের প্রত্যাশা ইত্যাদি আল্লাহর কাছে ব্যক্ত করার জন্য দুআর সুযোগ রয়েছে। মুনাজাতে আল্লাহর কাছে আপনার চাহিদা আপনি বলুন। সেটা আলাদা বিষয়, কিন্তু নামায দুই রাকাআত পড়েই এইটার বদলা এটা-সেটা না চাওয়া উত্তম। নামায পড়বেন এই কারণে যে আল্লাহ তাআলা নামায পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন, রোযার নির্দেশ, সাদাকার নির্দেশ দিয়েছেন, তাই এটার উপর আমল করবেন। আল্লাহর কাছে চাওয়ার বিষয়টা আলাদা, মোটকথা, আমলের বিনিময় না চাওয়া।
আল্লামা ইকবাল বলেন—
"সাওদাগারি নেহি ইয়ে ইবাদাত খোদা কি হে
আয়ে বে খবর জাযা কি তামান্না ভি ছোড় দে"
#খোশ_আমদেদ_মাহে_রামাদান
#টুকরো_কথা
#কুরআন_থেকে