18/08/2025
নোয়াখালী জেলা সমিতির নির্বাচনী ইশতেহারে বিভাগ ও বিমানবন্দর বিষয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য চাই :
নোয়াখালী জেলা সমিতি” যা বৃহত্তর নোয়াখালীর প্রায় ১কোটি মানুষের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির শতাব্দি কালের সাক্ষী। কথিত আছে ১৯০৫ সালে কলকাতায় নোয়াখালী জেলা সমিতির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছিল। সেই থেকে শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়নই নয়, কালে কালে রাজনীতিবিদ, সংস্কৃতজন, সমাজ সংস্কারকদের ছোঁয়ায় ধন্য হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। টিনের ছাউনি থেকে আজকের দালান অবধি এ প্রতিষ্ঠানটি মুক্তবুদ্ধি চর্চা, উৎসুখ জেলাপ্রিয় মানুষের পদচারনায় মূখরিত থাকতো সবসময় চিরচেনা এই আঙ্গিনাটি।
কিন্তু বিবর্তণের ছোঁয়ায় আজ যেমন উৎসুখ মানুষ নেই, ঠিক তেমনি ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব, দখল, বেদখল, মামলা, পাল্টা মামলায় বিবর্ণপ্রায় এ আঙ্গিনা। যে যার মত করে দখল আর ভোগ দখলে ব্যস্ত। যে যার মত করে খাচ্ছে আর নোয়াখালী নাম যুক্ত করে নোয়াখালী প্রিয় মানুষের আবেগ, অনুভূতি নিয়ে খেলা করেছে। অবশেষে, তবুও, কিন্তুকে সামনে রেখে কিছু মানুষের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আগামী ১৩ই সেপ্টেম্বর সেই কাংখিত জেলা সমিতির নির্বাচন। এজন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা ।
যাইহোক, এবার আসল কথায় আসি। নোয়াখালীকে প্রশাসনিক বিভাগ বাস্তবায়ন, নোয়াখালীতে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর নির্মাণ , সিটি কর্পোরেশন ঘোষণাসহ বিভিন্ন যৌক্তিক দাবি নিয়ে দীর্ঘ ২ যুগ থেকে রাজপথে নোয়াখালীর তরুণ প্রজম্মকে সাথে নিয়ে আমরা সংগ্রাম করে আসছি।
কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, উক্ত বিষয়গুলো নিয়ে নোয়াখালী জেলা সমিতির সাবেক সভাপতি জনাব মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন সাহেবসহ নেতৃবৃন্দকে আমি/আমরা পারসোনালি বারবার ডেকেছি কিন্তু কখনো নুন্যতম সাড়াটুকুও পাইনি ওনাদের ।। স্বশরীরে তো দূরের কথা কখনো ফোনকলেও একটু খবর নেয়নি। অথচ নোয়াখালী থেকে নিজের কষ্টার্জিত টাকায় আমরা গাড়ী বাড়া করে নোয়াখালী থেকে লোকজন নিয়ে ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবে এসে বিভাগ ও বিমানবন্দর বাস্তবায়নের দাবিতে বহুবার বহু প্রোগ্রাম করেছি আমরা, বিগত ও বর্তমান সরকারের কাছে বিভাগ, বিমানবন্দরের দাবিতে রাজপথে শান্তিপূর্ন আন্দোলন করেছি, স্লোগান তুলেছি কিন্তু কখনো জেলা সমিতির কোনো নেতৃবৃন্দকে পাইনি।। ফোন দিলে উনারা ব্যস্ততা দেখাতো। আর প্রতি বছর রমজান এলে চলতো রমরমা ইফতার আয়োজন শুধু এটুকুই ছিলো তাদের অর্জন এবং দীর্ঘ দু-যুগের কীর্তিকলাপ।।
তাই আর নয়, এবার নোয়াখালীবাসী দেবে উপযুক্ত জবাব, আওয়ামী শাসনামলেও সরাসরি ফেসবুকে জেলা সমিতির বিরুদ্ধে পোস্ট দিয়ে বিরোধিতা করেছি। তাদের বিরুদ্ধে সভা /সেমিনার করেছি। ভবিষ্যতেও নোয়াখালীর তরুণ প্রজম্ম নিয়ে সোচ্চার থাকবো ইনশাআল্লাহ ।
অবশেষে শ্রদ্ধা রেখে বলছি, আগামী ১৩ই সেপ্টেম্বর জেলা সমিতির নির্বাচনে যারা সভাপতি/সম্পাদক প্রার্থী হবেন তারা আগে আপনাদের নির্বাচনী ইশতেহার নোয়াখালী জেলাবাসীর সামনে তুলে ধরুন। যেখানে প্রাণের জেলা নোয়াখালীর আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের কথা থাকবে। যেখানে নোয়াখালীবাসীর প্রধান ২টি দাবি বিভাগ ও বিমানবন্দর বিষয়ে আপনাদের নির্বাচনী ইশতেহারে সু-স্পষ্ট ব্যাখ্যা ও দাবির বিষয়ে আপনাদের সুস্পষ্ট অবস্থানসহ দাবি আদায়ে আপনাদের করনীয় নিশ্চিত করবেন। অনুরোধ করছি প্রত্যেক প্রার্থী নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করুন প্লিজ।
অন্যথায়, প্রিয় জেলার উন্নয়নে দলমত নির্বিশেষে নোয়াখালীর তরুণ প্রজম্মের কণ্ঠ থেমে থাকবেনা।
আসুন প্রিয় জেলার উন্নয়নে শান্তিপূর্ণ শপথ করি, আগামী প্রজন্মের জন্য সুস্থ, সুন্দর, নিরাপদ নোয়াখালী গড়ি।।
জনস্বার্থে প্রচার :
সাংবাদিক সাইফুর রহমান রাসেল।
প্রতিষ্ঠাতা, Channel Noakhali ।
প্রতিষ্ঠাতা, নিরাপদ নোয়াখালী চাই সংগঠন।