29/06/2025
📍আত্মহত্যা এবং পোস্ট মর্টেম
থার্ড ইয়ার থেকে মেডিকেল স্টুডেন্টদের ফরেনসিক ক্লাস শুরু হয়।
ক্লাসের একটা পার্ট হচ্ছে পোস্ট মর্টেমে উপস্থিত থাকা; কীভাবে করা হয় দেখা ও শেখা ।
আমরা একদম প্রথম যে দুইটা কেস পেয়েছিলাম-
দুইটাই মেয়ে,অল্প বয়সী।
দুইটাই সুইসাইডাল কেইস।
একজন গলায় ফাঁস,আরেকজন বিষ খেয়ে মরা।
প্রথমেই ডেড বডির শরীর থেকে কাপড় সব খুলে ফেলা
হয়। ডাক্তার , স্টুডেন্ট ,পুলিশ এবং ডোম ( যারা কমনলি লাশ কাটে,
হ্যান্ডেল করে ) সবাই উপস্থিত থাকে সেখানে। এরপর গলা
থেকে নাভির নিচ পর্যন্ত ছুরি দিয়ে চামড়া
কাটা হয়। এরপর গরুর যেভাবে চামড়া ছাড়ায় সেভাবে চামড়া ছাড়ায়।
তারপর বুকের পাঁজর যেভাবে যেভাবে কাটে সেটাকে ঠিক
কাটা বলা যায় না; ভাঙে বললেই ভালো! গরুর হাড় যেভাবে কশাইরা
কাটে অনেকটা সেরকম।
কন্ঠনালী অনেকটা টেনে হিঁচড়ে বের করে জিহ্বা সহ।
এরপর হার্ট, লিভার, পাকস্থলি কেটে প্রিজার্ভ করা হয় ।
বেশি খারাপ লাগে যখন মগজ বের করে। আমাদের দেশে
'ইলেক্ট্রিক স' নাই, মাথার খুলি কাটার জন্য। ওরা যেটা করে-
কাঠমিস্ত্রির দোকানে হাতুড়ি বাটাল হয়ত দেখে থাকবেন, ওই হাতুড়ি
বাটাল দিয়ে বাড়ি দিয়ে দিয়ে খুলি ফাটায়; খুলি ভাঙার শব্দটা খুব অদ্ভুত!
তার আগে মাথার মাথার চামড়া সহ চুল মোটামুটি বলা যায় হ্যাঁচকা টানে
খুলে ফেলা হয়। তখন মানুষটাকে আর মানুষ মনে হয় না ।
এক্সামিন শেষে ব্রেইনটাকে পেটের ভেতর পুরে দিয়ে
সেলাই করে দেয়।
সত্যি বলতে কোরবানির সময় গরু ছাগল জবাই থেকে মাংস কাটা
সবই দেখেছি, করেছি।
আমার কাছে মনে হয়েছে গরু ছাগলও অনেক যত্ন নিয়ে
কাটে মানুষ! কারণ ওটার চামড়া দামী, মাংস দামী। চামড়াটা যেন অক্ষত
থাকে, চামড়া যেন থেতলে না যায়; এমন অনেক কিছু
মেইনটেইন করা লাগে। শুধু পোস্ট মর্টেমের সময়
যেভাবে ডেড বডির সাথে বিহেভ করা হয়, সেটা দেখে প্রত্যেক ডাক্তার আর মেডিকেল স্টুডেন্ট মনে মনে এই
দোয়া করতে কখনও ভুলে না- খোদা , আমাকে এমন মৃত্যু দিও না যে আমার মৃতদেহের পোস্ট মর্টেম করার প্রয়োজন
পড়ে ।
!
এইগুলো সাধারণত পাবলিকলি না বলাই ভালো। কিন্তু এতকিছু আজকে
বললাম শুধু নিউজ ফিডে একটা সুইসাইডাল মৃত্যুর খবর বেশ ঘুরপাক
খাচ্ছে দেখে। সেই পুরাতন প্রেম, প্রেমে ব্যর্থতা, হতাশায় ডুবে যাওয়া
এরপর মেয়েটার/ছেলেটার সুইসাইড; মরার আগে ছেলেটাকে/মেয়েটাকে দায়ী করে যাওয়া।
একবার আমার ফ্রেন্ড লিস্টের একটা মেয়