
22/06/2025
একটি দুর্ঘটনা সারাজীবনের কান্না 🥲🥲🥲
সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণগুলির মধ্যে রয়েছে বেপরোয়া গতি, চালকের অমনোযোগিতা, ট্রাফিক আইন অমান্য করা, এবং ত্রুটিপূর্ণ রাস্তা ও যানবাহন। এছাড়াও, চালকদের অদক্ষতা, মাদকাসক্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, এবং রাস্তার দুর্বল ব্যবস্থাপনাও সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। আর বর্তমান সময়ে সবথেকে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে প্রধান সড়কে তিন চাকার যানবাহনের কারণে।
প্রতি বছরে /প্রতিমাসে /প্রতিদিন /প্রতিঘন্টায় যে পরিমাণ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে সে পরিমাণ সচেতনতা বা উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ চোখে পরছে না। চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন একা একা আন্দোলন করতে করতে ক্লান্ত হয়ে হয়তো এখন থেমে গেছেন।
প্রশ্ন হচ্ছে সামাজিক এই সমস্যার আসলেই কোনো সমাধান কি নেই? নাকি কেউ গুরুত্ব দিচ্ছে না? আমাদের দেশে প্রায় বারো থেকে পনেরো হাজার ট্রাফিক পুলিশ রয়েছে। এদের আসলে কাজ কি?
ট্রাফিক পুলিশের প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্যগুলো হলো:
১| যানবাহন এবং পথচারী চলাচল নিয়ন্ত্রণ:
ট্রাফিক পুলিশ সড়কে যানবাহন এবং পথচারীদের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে, যাতে সড়কে শৃঙ্খলা বজায় থাকে এবং দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।
২| যানজট নিরসন:
ট্রাফিক পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করে, যাতে মানুষ সহজে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে।
৩| ট্র্যাফিক আইন প্রয়োগ:
ট্রাফিক পুলিশ ট্র্যাফিক আইন প্রয়োগ করে, যা সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
৪| সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা:
ট্রাফিক পুলিশ সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে, যেমন- গতিবিধি পর্যবেক্ষণ, সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি ইত্যাদি।
৫| দুর্ঘটনা প্রতিরোধ:
ট্রাফিক পুলিশ দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়, যেমন- চালকদের সতর্ক করা, ট্র্যাফিক আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ইত্যাদি।
৬| জরুরী অবস্থা মোকাবিলা:
ট্রাফিক পুলিশ জরুরী অবস্থা যেমন- সড়ক দুর্ঘটনা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদি মোকাবিলায় কাজ করে।
৭| সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি:
ট্রাফিক পুলিশ জনসাধারণকে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে, যেমন- সেমিনার, কর্মশালা ইত্যাদি।
ট্রাফিক পুলিশের এসব কার্যক্রম সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে, দুর্ঘটনা কমাতে এবং জনসাধারণের জীবনযাত্রা সহজ করতে সহায়ক।
কিন্তু দুঃখের বিষয় ঢাকা+মহানগরীর ট্রাফিক পুলিশ ব্যতীত জেলা পর্যায়ের ট্রাফিক পুলিশের কাজই মনে হয় হুন্ডা/বাইক রাইডারদের হেলমেটের জন্য ধাওয়া করে দুইশ /পাঁচশো টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া।
আরে ভাই আপনাদের দায়িত্বের ৭নম্বর ক্রমিকের উপর গুরুত্ব দেন। সভা -সেমিনার করেন চালকদের নিয়ে। ওদেরকে বোঝান বিভিন্ন মোটিভেশনাল বক্তৃতা দেন,। এতে কিছুটা হলেও দুর্ঘটনা রোধ হবে বলে আমি মনে করি।প্রত্যেক ড্রাইভারকে সেমিনারে অংশগ্রহণে বাধ্য করুন।প্রয়োজনে কিছু ভাতা+নাস্তার ব্যবস্থা করুন সরকারি ফান্ড থেকে। প্রতি সপ্তাহে না হয় প্রতিমাসে একবার সেমিনারের আয়োজন করুন। দুর্ঘটনার নেতিবাচক(পরণতি) দিক নাটক -সিনেমার মাধ্যমে প্রদর্শন করুন। শুধু মোটরসাইকেলের হেলমেটের পিছনে দৌড়ে দুর্ঘটনা কমানো যায় না।
সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সকলের ধারণা /পরামর্শ কমেন্টে লিখে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে অংশ নিন। ধন্যবাদ।