طارق في الطريق

طارق في الطريق Explorer, Adventurer, Curious simple person.

25/04/2025

হাজার বছর পুরোনো ঐতিহাসিক দূর্গ যা পাহাড়ের মধ্যে অবস্থিত। এখনো প্রায় অবিকল অবস্থায় আছে। সৌদি আরবের সাকাকায় এই দূর্গের অবস্থান।

24/04/2025

কয়েক হাজার বছর আগে তখনকার মানুষের হাতের তৈরি বিভিন্ন কারুকার্যময় নিদর্শন।

হাজার বছর ধরে উন্মুক্ত মরুভূমিতে এখনো সেই সময়ের মানুষের বিভিন্ন কাজের নিদর্শনের ধ্বংসাবশেষ রয়ে গেছে। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে তখনকার মানুষের পাথর কেটে কেটে এই বিশাল বিশাল পাথর খন্ডকে কিভাবে এখানে স্থাপন করেছিল তা এখনো অজানা।

゚viralシ

মাঝে মাঝে ভাবিযদি স্মৃতি প্রতারণা করতআর পৃথিবী ফিরে যেত আরো আদিম সময়েসাড়ে চৌদ্দ’শ বছর আগে।ধরা যাক একদিনএকটা পুরোনো মানুষ...
23/04/2025

মাঝে মাঝে ভাবি
যদি স্মৃতি প্রতারণা করত
আর পৃথিবী ফিরে যেত আরো আদিম সময়ে
সাড়ে চৌদ্দ’শ বছর আগে।

ধরা যাক একদিন
একটা পুরোনো মানুষ বিক্রির হাটে
একটা অগভীর কূপ আর বয়সের ভারে
হেলে পড়া খেজুর গাছের পাশে
এক অনারব বণিক আমাকে নিলামে তুলল।
এবং এক ধনাঢ্য আরব—
আমাকে ক্রয় করল একেবারে সস্তা দামে।

যেহেতু যুগটা আদিম এবং
আমাকে সে কিনে এনেছে
মানুষ বেচাকেনার হাট থেকে
সুতরাং সে আমার মনিব আর
আমি তার ক্রয়কৃত গোলাম।
আমি তার বেঁধে দেওয়া কাজ করি
পানি টানা, বাগান পরিচর্যা আর মেষ চরানো।

যুগটা আদিম এবং এখানে মানুষই মানুষের প্রভু।
তাই মনিবের সেবা আর শুশ্রূষায়
গুণ আর কীর্তনে
আদেশ আর নির্দেশের ঘূর্ণন চক্রেই কেটে যাচ্ছিল
যাপিত জীবন।

তারপর একদিন
বিষণ্ণ বিকেলের সূর্যটা ঢলে পড়ছিল
পাথুরে পাহাড়ের কোলে।
লু হাওয়ার গায়ে লাগছিল শীতলতার প্রলেপ
আসমান গুটিয়ে নিচ্ছিল তার নীলবরণ চাদর।

এমনই মন উদাস করা একখণ্ড বিকেলবেলায়
হয়তো আধো ঘুম আর আধো জাগরণের
কোনো এক মুহূর্ত হবে সেটা
কতিপয় অপরিচিত শব্দের কলকাকলিতে
সচকিত হয়ে উঠবে আমার কান;
দিঘির জলে ডুব দিয়ে উঠে যেভাবে গা ঝেড়ে নেয় ডুবো-হাঁস।

কয়েকজন মানুষের একটি ছোট্ট কাফেলা
চেহারায় তাদের পথের ক্লান্তি
শরীরে অপুষ্টির অবসাদ;
তবু দীপ্তিময় তাদের চোখ
হাস্যোজ্জ্বল তাদের মুখাবয়ব।
তাদের একজন এসে বলবে
‘শোনো ভাই! গোলামি করো শুধু আল্লাহর
তিনি ছাড়া আর কোনো প্রভু নেই, নেই ইশ্বর।’

বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে আমি জানতে চাইব, ‘আল্লাহ? তিনি কে?’
‘তিনি এক এবং অদ্বিতীয়৷ তাঁর নেই কোনো অংশীদার।
সমস্ত রাজত্ব তাঁরই। তিনিই রাজাধিরাজ।’

‘তিনি কোথায় থাকেন?’
‘রাহমান! তিনি আরশের ওপরে সমাসীন।
বান্দার অতি নিকটেও তাঁর বাস
যতোখানি নিকটে আসলে টের পাওয়া যায় শ্বাসের আওয়াজ।’

‘কে তাঁকে চিনিয়েছেন?’
‘মুহাম্মাদ! তিনি আল্লাহর বান্দা ও রাসুল;
তাঁর কাছে নাযিল হয়েছে কিতাব।’

‘তিনি কি রাজা?’
‘তা নয়। তাঁর জীবন বড় সাদামাটা!’

‘গরিবদের সাথে মেশেন?’
‘গরিবেরাই তাঁর অধিক অনুসারী।’

‘অভাবীকে খাওয়ান?’
‘নিজের পাত্রেরটুকুও তুলে দেন।’

‘কী তাঁর প্রচারিত বাণী?’
‘আহাদ! আহাদ! আল্লাহ এক! আল্লাহ এক!’

তারপর—
আমি ভুলে যাব দুনিয়ার সমস্ত সুর;
সমস্ত গান আর কবিতা বিস্মৃত হয়ে
সেই ‘আহাদ’ শব্দই হয়ে উঠবে আমার একমাত্র ভাষা।

এবং সেই আরব ব্যক্তি
একদিন যে আমাকে কিনেছিল
আদম কেনাবেচার হাট থেকে
একেবারে সস্তা দামে;
আমার পদযুগলে এতোদিন বাঁধা ছিল
যার গোলামির শক্ত শেকল—
আমাকে সে শুইয়ে দিবে তপ্ত বালুকাময় প্রান্তরে।

মাথার ওপরে গনগনে সূর্য
পিটের নিচে কয়লা-পোড়া বালি;
তৃষ্ণায় আমার বুক ফেটে যাবে
তপ্ত বালির বিছানাও ফুলে ফেঁপে উঠবে
আমার গায়ের ঘামে।

তবু আমার ভাষা হারাবে না
‘আহাদ আহাদ বলে কাঁদতে কাঁদতে
অথবা
চিৎকার করতে করতে
নতুবা
ফোঁপাতে ফোঁপাতে আমি
দুনিয়াকে জানিয়ে দেবো
তোমাদের কারো গোলামিই মানি না আর!

তারপর—
আমার চোখ ভেঙে ঘুম নামবে;
পরিশ্রান্ত, ক্লান্ত আর ঘর্মাক্ত
ঘুমের আবেশে জড়ানো
স্বপ্নে ধরা দেবেন এক সুদর্শন মানব।
তিনি বলবেন—সুসংবাদ লও!
তোমাকে দান করা হয়েছে বিরল সম্মান!
‘আহাদ আহাদ’ বলে যে কন্ঠকে
উচ্চকিত করেছ আজ
বাতাসের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ভাসিয়ে দিয়েছ
তাওহিদের যে ব্যঞ্জনা
আজ হাত পেতে নাও তার পুরস্কার।
তোমার কন্ঠধ্বনিতে প্রতিধ্বনিত হবে দুনিয়া;
সালাত আর কল্যাণের দিকে তুমিই হবে আহ্বানকারী;
ইসলামের তুমিই হবে মুয়াজ্জিন।

তারপর এক ধনাঢ্য আরব লোক
আবু বাকার—ভারি ভালো মানুষ;
আমাকে পুনরায় ক্রয় করে মুক্ত করে দেবেন।
মানুষের গোলামির শেকল ছেড়ে
আমি গায়ে জড়াব তাওহিদের শেকল
যে শেকলে আমি পেয়ে যাব শ্বাশ্বত মুক্তি!

মুহাম্মাদ সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম—
যার কন্ঠ থেকে একদিন ধার করেছিলাম ‘আহাদ’ শব্দ
আমাকে দেখে তিনি ভারি উচ্ছ্বসিত হবেন!
তাঁর অবয়বজুড়ে থাকা বেহেস্তের প্রশান্তি
আমার দেহ আর মনে
বইয়ে দেবে খুশির কল্লোল।
তাঁর দুহাতে চুমু খেতে খেতে আমি বলব—
ফিদাকা আবি ওয়া উম্মি ইয়া রাসূলাল্লাহ!
আমার পিতা মাতা আপনার তরে কোরবানি হোক
হে আল্লাহর রাসুল!

আলগোছে
তিনি আমাকে বুকে টেনে নেবেন;
বুকে পাথর চাপার যে যন্ত্রণা এতদিন
আমাকে তাড়িয়ে বেড়াত;
তপ্ত বালুতে দগ্ধ হওয়া যে শরীরে ছিল ব্যথার দহন
নবিজির আলিঙ্গনে সে যন্ত্রণা উধাও হয়ে যাবে।

মাঝে মাঝে ভাবি
যদি স্মৃতি প্রতারণা করত
আর পৃথিবী ফিরে যেত আরও আদিম সময়ে;
সাড়ে চৌদ্দ’শ বছর আগে।
নবিজির দেখা পাওয়ার আশা পেলে
আমি নিঃসংকোচে
হাটে মাঠে বিক্রি হতে রাজি
আরব আর অনারব—
যতো খুশি আমার বুকের ওপর তুলে দিক
শক্ত পাথর।
নবিজির আলিঙ্গন পেলে
বুকে উহুদ পাহাড় উঠে গেলেও ক্ষতি নেই।

( আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘কথা বলো যয়তুন বৃক্ষ’ থেকে নেওয়া একটি কবিতা। বইতে কবিতাটি ‘স্মৃতির প্রতারণায়’ নামে আছে। বইটি প্রকাশ করেছে Sukun Publishing )

©আরিফ আজাদ

23/04/2025

আরবের বিখ্যাত কবি ইমরুল কায়েসের কবিতা প্রেম, প্রকৃতি, বিচ্ছেদ, বীরত্ব এবং যাযাবর জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতার গভীর প্রতিফলন। তাঁর কাব্যসংগ্রহ বিশেষত "আল-মুয়াল্লাকাত"-এ সংরক্ষিত, যা আরবি সাহিত্যের এক অমূল্য রত্ন। এখানে তাঁর কিছু কবিতার বাংলা অনুবাদ দেওয়া হলো।

১. "আমার ভালোবাসা মরুর বাতাস"

(মূল: لقد طوّفتُ في الآفاقِ حتى...)

আমি ঘুরেছি দিগন্তে, মরুর পথে,
যাযাবরের মতো ভালোবাসার খোঁজে।
তবে এমন রূপ আর এমন চাহনি,
কখনো দেখিনি কারও চোখে।

তোমার সৌন্দর্য যেন বজ্রবিদ্যুৎ,
যা হঠাৎ ঝলক দিয়ে হারিয়ে যায়।
তোমার হাসি যেন মরুর জল,
যা কষ্টের মাঝে শান্তি আনে।

---

২. "যোদ্ধার গর্ব"

(মূল: وَلَيلةٍ كالجَحيمِ طُولُهَا...)

এক রাত্রি কাটিয়েছি ভয়ংকর যুদ্ধে,
যেখানে তরবারি ঝলসে উঠেছিল বারবার।
আমি ছিলাম একাকী, উটের পিঠে,
আমার তরবারি ছিল আমার সাথী।

শত্রুরা এলো ঝড়ের মতো,
কিন্তু আমি পিছু হটিনি একবারও।
আমার ঘোড়া উড়ছিল বাতাসের মতো,
আমার অস্ত্র জ্বলছিল আগুনের শিখা।

---

৩. "বিচ্ছেদের শোক"

(মূল: أَجِدُ النّوى يعتادُني ويُريبُني...)

বিচ্ছেদ আমার হৃদয়ে বাসা বেঁধেছে,
প্রিয়তমা হারিয়ে গেছে দিগন্তের ওপারে।
আমি একাকী মরুর পথে দাঁড়িয়ে,
তার জন্য অশ্রু ফেলার অধিকার খুঁজি।

আমার চোখের জল শুকিয়ে গেছে,
কিন্তু হৃদয়ের কান্না এখনো বয়ে যায়।
তুমি কি জানো, এই মরুর বাতাসে,
তোমার নাম ধ্বনিত হয় প্রতিক্ষণে?

---

৪. "উটের গান"

(মূল: تَحمّلْنَا هَواجرَها فَأَصبَحْنا...)

আমরা উটের পিঠে পাড়ি দিই মরুপ্রান্তর,
সূর্যের তাপে পুড়েও ক্লান্ত হই না।
আমার উট জানে পথের দুঃখ,
তবু সে চলে অবিরত, থামে না।

আমার পথ যেন জীবনযুদ্ধ,
যেখানে ভালোবাসা কেবলই মরীচিকা।
তবু আমি চলতে থাকি, আশায়,
যদি কোনোদিন তোমার দেখা পাই।

---

৫. "তোমার স্মৃতির কাছে ফিরে যাই"

(মূল: وقوفاً بها صحبي عليّ مطيّهم...)

আমার সঙ্গীরা বলে, "ভুলে যাও তাকে,"
কিন্তু আমি পারি না, হৃদয় বাঁধা তার স্মৃতিতে।
যেখানে সে একদিন বসেছিল,
সেখানে আজও আমার চোখ ভিজে আসে।

বাতাসের মধ্যে শুনি তার হাসি,
তার কণ্ঠস্বর মিশে গেছে বালুর স্রোতে।
আমি কি ভুলতে পারবো তাকে?
না, সে থেকে যাবে আমার প্রতিটি শ্বাসে।

ইমরুল কায়েস ছিলেন প্রাচীন আরবি সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি। তাঁর কবিতায় প্রেম ও বিচ্ছেদ যেমন স্পষ্ট, তেমনই প্রকৃতির রূঢ় বাস্তবতা ও যুদ্ধজয়ের গল্পও উঠে এসেছে।
তাঁর লেখা "মুয়াল্লাকা" কবিতা আরবি সাহিত্যের সর্বোচ্চ কাব্যিক কীর্তিগুলোর মধ্যে অন্যতম।

23/04/2025

সৌদি আরবের মরুভূমির বালুর নিচ থেকে প্রায় দুই হাজার বছর পুরোনো শহরের অস্তিত্ব আবিষ্কার হয়েছে। তখনকার মানুষের ব্যবহার্য তৈজসপত্র এবং অন্যান্য ঐতিহাসিক নমুনা সমূহ পাওয়া গেছে।

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when طارق في الطريق posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to طارق في الطريق:

Share