31/10/2025
শুক্রবার বিকেলে শিশুটি বাড়ির আশপাশে খেলছিল। হঠাৎ সন্ধ্যা নামার পর থেকেই তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। রাতভর শিশুটির স্বজনেরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করলেও কোনো সন্ধান মেলেনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় বাসিন্দা হানিফ মিয়া পুকুরপাড়ে বাঁশ কাটতে গিয়ে পানিতে ভাসমান অবস্থায় শিশুটির ম'র'দে'হ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ম'র'দে'হ'টি উদ্ধার করে। পরে ম'য়'না'ত'দন্তের জন্য লা'শ'টি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ম*র্গে পাঠানো হয়।
স্থানীয়দের ধারণা, শিশুটিকে ধ''র্ষ'ণে'র পর হ'ত্যা করা হয়েছে। এরপর ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে শিশুটির গলায় রশি পেঁচিয়ে, সেই রশির সঙ্গে একটি বড় পাথর বেঁধে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়।
শিশু আদিবার বাবা আবু হানিফ বলেন,
আমি ঢাকায় চাকরি করি, তাই মাঝে মাঝে গ্রামের বাড়িতে আসি। ঘটনার দিন আমি বাড়িতেই ছিলাম। আদিবা সবসময় আমার কাছেই থাকে; কিন্তু সেদিন শরীর খারাপ থাকায় তাকে বাজারে নিয়ে যেতে পারিনি। বিকেলে শুনি, আদিবা খেলতে গিয়ে আর ঘরে ফেরেনি। এরপর থেকেই খুঁজতে থাকি। যেই পুকুর থেকে লা*শ উদ্ধা*র করা হয়েছে, সেখানেও লোকজনকে পানিতে নামিয়ে খোঁজা হয়েছিল—কিন্তু তখন কিছুই পাওয়া যায়নি। আমি চাই, আর কোনো বাবার বুক যেন খালি না হয়। প্রশাসন যেন আমার মেয়ের হ'ত্যা'কা'রী'কে খুঁজে বের করে দৃষ্টা*ন্তমূ*লক শা*স্তির ব্যবস্থা করে।”
বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লার বাঙ্গরাবাজার থানাধীন সিমানারপাড় গ্রাম থেকে শিশুটির লা*শ উদ্ধার করা হয়।