04/08/2025
🌿 ইসলামী আন্দোলন কেন করতে হবে?
📖 আল-কুরআন ও হাদীসের আলোকে বিশ্লেষণ
---
✅ ১. আল্লাহর দীনকে প্রতিষ্ঠা করা মুসলমানদের দায়িত্ব
📖 “তারা যদি তাওরাত, ইনজীল এবং তাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যা অবতীর্ণ হয়েছে (আল-কুরআন), তা মেনে চলত, তবে তারা উপর থেকে ও নিচ থেকে রিযিক পেত...”
— সূরা মায়েদা, ৫:৬৬
➡️ কেবল ব্যক্তিগত নয়, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে আল্লাহর আইন কায়েম করাই ইসলামী আন্দোলনের মূল লক্ষ্য।
---
✅ ২. সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করা ফরয
📖 "তোমরা উত্তম উম্মত, তোমাদেরকে মানুষের জন্য বের করা হয়েছে, তোমরা সৎকাজের আদেশ দাও ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করো..."
— সূরা আলে ইমরান, ৩:১১০
➡️ ইসলামী আন্দোলনই এই ফরয দায়িত্ব পালনের সংগঠিত রূপ।
---
✅ ৩. নবী রাসূলগণের পথ অনুসরণ করা
🕋 আল্লাহ বলেন:
📖 “আমি প্রত্যেক জাতির মধ্যেই একজন রসূল প্রেরণ করেছি, (বার্তা নিয়ে) যে, ‘তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো এবং তাগূতের (অবৈধ শাসন/ব্যবস্থা) অমান্য করো।’”
— সূরা নাহল, ১৬:৩৬
➡️ ইসলামি আন্দোলন মানে নবীদের মত সমাজ পরিবর্তনের সংগ্রাম চালানো।
---
✅ ৪. জুলুম, অন্যায় ও কুফরি শাসন বন্ধ করতে হবে
📖 “আল্লাহ এমন কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের অবস্থার পরিবর্তন ঘটায়।”
— সূরা রা’দ, ১৩:১১
➡️ সমাজে অন্যায় ও কুফরি রোধে আন্দোলন ছাড়া পরিবর্তন সম্ভব নয়।
---
✅ ৫. দ্বীনকে বিজয়ী করতে জিহাদের মাধ্যমে সংগ্রাম ফরয
📖 “তিনি নিজ রাসূলকে হিদায়াত ও সত্য দ্বীনের সাথে প্রেরণ করেছেন, যেন একে সকল ধর্মের উপর বিজয়ী করেন, যদিও মুশরিকরা তা অপছন্দ করে।”
— সূরা সফ, ৬১:৯
🕋 রাসূল ﷺ বলেন:
“তোমরা অবশ্যই সৎকাজের আদেশ করবে ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করবে, নচেৎ আল্লাহ তোমাদের উপর শাস্তি নাজিল করবেন, তখন তোমরা দোয়া করলেও কবুল হবে না।”
— তিরমিজি, হাদীস: ২১৬৮
➡️ জিহাদ শুধু তরবারি নয়, কলম ও দাওয়াতের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তন করাও জিহাদের অংশ। এটিই ইসলামী আন্দোলন।
---
📌 সারসংক্ষেপ:
🔹 ইসলামী আন্দোলন একটি ইবাদত
🔹 এটি নবী রাসূলের কর্মপদ্ধতির অনুসরণ
🔹 সমাজের ফিতনা রোধ ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা
🔹 উম্মতের সম্মান, ইজ্জত ও কল্যাণের পথ