04/11/2025
আজ রেলভবনে বাংলাদেশ মহা পরিচালক বরাবর আন্তঃনগর জামালপুর এক্সপ্রেস (৮০০) ও অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস (৭৩৫) ট্রেনের সময়সূচি ও কোচ পরিবর্তনের আবেদন পত্র জমা দেওয়া হয়।
উক্ত আবেদন সরাসরি নিচে তুলে ধরা হল:
মহোদয়,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমরা উত্তরাঞ্চল তথা জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার মানুষজন বাংলাদেশের সূচনালগ্ন থেকেই অবহেলিত ও বঞ্চিত। সরকার যায় নতুন সরকার আসে কিন্তু আমাদের উপর সুদৃষ্টি পড়ে না। আমাদের এই উপজেলা যোগাযোগব্যবস্থা ও রেলসেবার ক্ষেত্রে এই অঞ্চলের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে অসুবিধার সম্মুখীন। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তিনটি আন্তঃনগর ট্রেন সরিষাবাড়ী পর্যন্ত চলাচল করলেও, কোনো ট্রেনের সময়সূচিই যাত্রীদের সুবিধাজনক নয়। আন্তঃনগর যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি গভীর রাতে সরিষাবাড়ীতে এসে পৌঁছায় এবং গভীর রাতেই ছেড়ে যায়। যাতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের। জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিকেলে এসে পৌঁছালেও ঢাকা পৌঁছাতে গভীর রাত হয়ে যায়। অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেনটির অবস্থাও প্রায় একই। এতে করে জামালপুর এক্সপ্রেস (৮০০) ও অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস (৭৩৫) প্রায় একই সময়ে ছাড়ায় যাত্রী সংকট দেখা দেয় এবং গভীর রাতে ঢাকায় পৌঁছানোর কারণে যাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। গত এক বছরে একাধিক যাত্রী ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। অতএব, জনস্বার্থে বিনীতভাবে নিম্নলিখিত প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হলো:
১। জামালপুর এক্সপ্রেস (৮০০) ট্রেনটি পূর্বের টাঙ্গাইল- ইব্রাহিমাবাদ- জামালপুর রুটে ও সময়সূচি অনুযায়ী পুনর্বহাল করা হোক, যাতে যাত্রী সংকট নিরসন ও যাতায়াত সময় কমানো সম্ভব হয়।
২। অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস (৭৩৫) ট্রেনটি ঢাকা থেকে সকাল ৭.০০ টায় এবং তারাকান্দি থেকে দুপুর ২.০০ টার মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হোক, যাতে যাত্রীরা স্বল্প সময়ে ও নিরাপদে ঢাকায় পৌঁছাতে পারেন।
৩। যমুনা এক্সপ্রেস ও অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেনের পুরনো কোচ পরিবর্তন করে আধুনিক, আরামদায়ক ও মানসম্মত কোচ সংযুক্ত করা হোক, যাতে যাত্রীরা উন্নত সেবা পাবেন যা যাত্রীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা।