Ik Ibrahim Hossain

Ik Ibrahim Hossain নিজস্ব প্রতিবেদক

Permanently closed.
শেষ দেখাসন্ধ্যার পর গ্রামের মাটির রাস্তায় বাতাসে শীতের হালকা গন্ধ। পুকুরপাড়ে দাঁড়িয়ে রাহাত দেখছে চাঁদের আলোতে ঝিলিক দেওয়...
07/09/2025

শেষ দেখা

সন্ধ্যার পর গ্রামের মাটির রাস্তায় বাতাসে শীতের হালকা গন্ধ। পুকুরপাড়ে দাঁড়িয়ে রাহাত দেখছে চাঁদের আলোতে ঝিলিক দেওয়া পানি। এতদিন পর আজ সে আবার সেই পথে এসেছে, যেখানে প্রথম তাসনিয়ার সাথে দেখা হয়েছিল।

তাসনিয়া তখন লাল শাড়ি পরে মেলায় যাচ্ছিল, হেসে বলেছিল—
“এই পথটা শুধু মেলা দেখার জন্য না, একদিন তুমি মনে রাখার জন্যও আসবে।”

রাহাত আজ বুঝতে পারছে, কথাটা সত্যি ছিল। মেলা আর নেই, কোলাহল নেই, শুধু স্মৃতি আছে।

হঠাৎ হাওয়ার ঝাপটা এলো, মনে হলো যেন তাসনিয়ার কণ্ঠ ভেসে আসছে—
“আমাদের গল্প এখানেই শেষ নয়।”

রাহাত চাঁদের আলোয় চোখ ভিজে গেলেও মনে আশা রাখল, হয়তো অন্য কোনো পথে তাদের গল্প আবার শুরু হবে।

06/09/2025

শেষ ট্রেনের অপেক্ষা

রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা। ছোট্ট রেলস্টেশনটা প্রায় ফাঁকা। এক কোণে বসে আছে রাফি। হাতে একটা পুরনো ডায়েরি, বারবার পাতা উল্টাচ্ছে, কিন্তু চোখ আটকে আছে শেষ পাতায় লেখা কয়েকটা লাইনে—
"তুমি আসবে বলেছিলে, আমি অপেক্ষা করব শেষ ট্রেন পর্যন্ত।"

চারদিকে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক, দূরে ল্যাম্পপোস্টের আলোয় ভিজে থাকা রেললাইন, আর সেই নিস্তব্ধতায় হঠাৎ বাঁশির শব্দ—শেষ ট্রেনটা ঢুকছে প্ল্যাটফর্মে।

রাফির বুক কেঁপে ওঠে। সে উঠে দাঁড়ায়, চোখ খুঁজে ফেরে জনসমুদ্রে। যাত্রীদের ভিড় থেকে হঠাৎ ভেসে আসে পরিচিত এক চেহারা—তানিয়া! ক্লান্ত মুখে হালকা হাসি, হাতে একটা ছোট ব্যাগ।

তাদের চোখ মিলতেই যেন সময় থমকে যায়। কেউ কিছু বলে না, শুধু দুজনের দৃষ্টি বলল—
"অপেক্ষা বৃথা হয়নি।"

20/08/2025

বন্ধুত্বের আসল মানে

একটা ছোট্ট গ্রামে রুবেল আর হাসান নামের দুই বন্ধু থাকত। তারা ছোটবেলা থেকে একসাথে খেলত, একসাথে স্কুলে যেত।
একদিন গ্রামে বন্যা হলো। সবাই যার যার মতো করে নিজেদের বাঁচাতে ব্যস্ত। রুবেল দেখতে পেল হাসান পানির মধ্যে আটকে গেছে।

রুবেল নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে পানিতে ঝাঁপ দিল। অনেক কষ্টে হাসানকে টেনে তুলে আনল।
হাসান কাঁপতে কাঁপতে শুধু বলল,
— "তুই না থাকলে আজ আমি বাঁচতাম না।"

রুবেল হেসে উত্তর দিল,
— "বন্ধুত্ব মানে শুধু ভালো সময়ে পাশে থাকা নয়, খারাপ সময়েও হাত ধরে রাখা।"

সেদিন থেকে গ্রামের সবাই শিখল— সত্যিকারের বন্ধুত্ব হলো ত্যাগ আর বিশ্বাসের নাম।

🌿 বন্ধুত্বের শক্তিএক গ্রামে ছিল দুই বন্ধু – রফিক আর করিম। তারা ছোটবেলা থেকে সবকিছু একসাথে করত। পড়াশোনা, খেলা, এমনকি কাজও...
19/08/2025

🌿 বন্ধুত্বের শক্তি

এক গ্রামে ছিল দুই বন্ধু – রফিক আর করিম। তারা ছোটবেলা থেকে সবকিছু একসাথে করত। পড়াশোনা, খেলা, এমনকি কাজও।

একদিন তারা বনে কাঠ কাটতে গেল। হঠাৎ এক বাঘ বের হয়ে এলো। করিম ভয় পেয়ে দৌড়ে গাছে উঠে গেল। রফিক গাছে উঠতে জানত না, তাই সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে শুয়ে নিঃশ্বাস বন্ধ করে মৃতের ভান করল।

বাঘটা এসে রফিকের শরীর শুঁকল, মনে করল সে মরে গেছে। তাই বাঘটা চলে গেল।

পরে করিম গাছ থেকে নেমে এসে হাসতে হাসতে বলল,
— “শোনো, বাঘ তোমার কানে কী বলল?”

রফিক শান্ত গলায় উত্তর দিল,
— “সে বলল, মিথ্যা বন্ধুর সাথে চলতে নেই।”

---

👉 এই গল্প থেকে শিক্ষা:
কঠিন সময়ে যে পাশে থাকে, সেই-ই আসল বন্ধু।

শিরোনাম: জুতোওলা আর স্বপ্নবাজএক গ্রামে ছিল রফিক নামে এক গরিব জুতো সেলাইকারী। সারাদিন কাজ করেও তেমন আয় হতো না। কিন্তু রফি...
13/08/2025

শিরোনাম: জুতোওলা আর স্বপ্নবাজ

এক গ্রামে ছিল রফিক নামে এক গরিব জুতো সেলাইকারী। সারাদিন কাজ করেও তেমন আয় হতো না। কিন্তু রফিকের ছিল এক অদ্ভুত স্বপ্ন—সে একদিন শহরের সবচেয়ে বড় জুতোর দোকান খুলবে।

একদিন বাজারে এক ধনী লোক তার কাছে এসে পুরোনো জুতো ঠিক করাতে দিল। কাজের ফাঁকে রফিক হাসিমুখে বলল,
— “আপনি জানেন, আমি একদিন শহরের সেরা জুতোর দোকানদার হবো।”

ধনী লোক হেসে বলল,
— “স্বপ্ন ভালো, কিন্তু বাস্তবতা বোঝো।”

রফিক জবাব দিল,
— “স্বপ্ন না থাকলে বাস্তবতা বদলাবে কীভাবে?”

সময় কেটে গেল। রফিক দিনে কাজ করত, রাতে নতুন ডিজাইনের জুতো বানানো শিখত। ধীরে ধীরে গ্রামের সবাই তার জুতোর প্রশংসা করতে লাগল। কয়েক বছর পরে, শহরে সত্যিই তার দোকান হলো—আর সেই ধনী লোক প্রথম ক্রেতা হয়ে এসে বলল,
— “তুমি ঠিকই ছিলে, স্বপ্নই বাস্তবতা বদলায়।”

12/08/2025

এক ছিলো ছোট্ট এক গ্রাম। গ্রামের নাম শান্তিনগর। সেখানে থাকতো রাফি নামের এক ছেলে। রাফি খুব কৌতূহলী স্বভাবের ছিলো—যেকোনো নতুন জিনিস দেখলেই জানতে চাইত, “এটা কেন হয়?”

একদিন গ্রামের পাশের বনে হাঁটতে গিয়ে সে দেখলো, একটি ছোট্ট পাখি মাটিতে পড়ে কাঁপছে। রাফি পাখিটাকে তুলে নিলো, হাতে করে ঘরে নিয়ে এসে পানি আর কিছু ভাত খাওয়ালো। কয়েকদিন যত্ন করার পর পাখিটা সুস্থ হয়ে গেলো।

কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো—পাখিটি কথা বলতে পারে! পাখি রাফিকে বললো,
— “তুমি আমার জীবন বাঁচিয়েছো, তাই আমি তোমাকে একটি গোপন কথা বলবো।”
তারপর পাখি জানালো, বনের ভেতরে আছে এক জাদুর গাছ, যার পাতায় লেখা থাকে ভবিষ্যতের খবর।

রাফি পরদিন সকালে পাখির সাথে বনের গভীরে গেলো। সেখানে সত্যিই এক অদ্ভুত গাছ—পাতাগুলোতে ঝিলমিল করে লেখা ফুটে উঠছে। সে দেখলো, একটি পাতায় লেখা আছে— “আজ সন্ধ্যায় গ্রামে বৃষ্টি হবে, আর বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে নদীর তীরে ভেসে আসবে একটি কাঠের বাক্স।”

সন্ধ্যায় ঠিক সেটাই হলো। রাফি গিয়ে বাক্স খুলে দেখলো—ভেতরে সোনার মুদ্রা!

সেদিন থেকে রাফির জীবন বদলে গেলো। তবে সে সবার আগে শিখলো—দয়া করলে প্রতিদান একদিন না একদিন আসবেই, হয়তো আরও বড় কোনো উপহার হিসেবে।

একসময় এক ছোট্ট গ্রামে থাকত রায়হান নামের এক ছেলে। সে গরিব ছিল, কিন্তু স্বপ্ন ছিল বড়। গ্রামের সবাই বলত, “তুই শহরে গিয়ে কী ...
11/08/2025

একসময় এক ছোট্ট গ্রামে থাকত রায়হান নামের এক ছেলে। সে গরিব ছিল, কিন্তু স্বপ্ন ছিল বড়। গ্রামের সবাই বলত, “তুই শহরে গিয়ে কী করবি?” কিন্তু রায়হান বিশ্বাস করত, চেষ্টা করলে কিছুই অসম্ভব না।

একদিন সে শহরে গেল, সেখানে এক বইয়ের দোকানে কাজ পেল। বইয়ের ফাঁকে ফাঁকে সে পড়াশোনা করত, নতুন জিনিস শিখত। দোকানের মালিক তার আগ্রহ দেখে তাকে আরও বই পড়তে উৎসাহ দিল।

কয়েক বছর পর রায়হান নিজের একটি বড় বইয়ের দোকান খুলল। গ্রামের মানুষ শহরে এসে দেখল, গরিব রায়হান এখন একজন সফল ব্যবসায়ী।

রায়হান হাসিমুখে বলল—
“টাকা নয়, স্বপ্ন আর চেষ্টা—এই দুটোই মানুষকে বড় করে।”

শিরোনাম: চায়ের দোকানের রহস্যরহিম চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিল। হঠাৎ তার নজর গেল দোকানের কোণে রাখা একটা ছোট বাক্সের দিকে। ...
10/08/2025

শিরোনাম: চায়ের দোকানের রহস্য

রহিম চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিল। হঠাৎ তার নজর গেল দোকানের কোণে রাখা একটা ছোট বাক্সের দিকে। বাক্সটার উপর বড় করে লেখা—
“খুলবেন না!”

রহিমের কৌতূহল বেড়ে গেল। দোকানদার ব্যস্ত, তাই সে আস্তে করে বাক্সটা খুলল।
ভেতরে কিছুই নেই!

তখন দোকানদার হেসে বলল,
— “ওই বাক্সে কিছু নেই, কিন্তু খুলে দেখলেই আমার বাজি জিতে যায়। গ্রামে সবাই খুলে দেখে!”

রহিম লজ্জা পেয়ে বলল,
— “তাহলে চায়ের দামও বেশি নেন নাকি কৌতূহলের ট্যাক্সসহ?” 😄

"শেষ বৃষ্টি"গ্রামের মেঠোপথে হালকা বৃষ্টি পড়ছে। রাহাত ছাতা ছাড়া হাঁটছে, যেন এই ভিজে যাওয়ার মধ্যেই তার সব দুঃখ ধুয়ে যাবে। ...
08/08/2025

"শেষ বৃষ্টি"

গ্রামের মেঠোপথে হালকা বৃষ্টি পড়ছে। রাহাত ছাতা ছাড়া হাঁটছে, যেন এই ভিজে যাওয়ার মধ্যেই তার সব দুঃখ ধুয়ে যাবে। কয়েক বছর পর সে গ্রামে ফিরেছে, শহরের জীবন থেকে পালিয়ে।

বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছালে সে দেখল পুরনো আমগাছের নিচে মায়া দাঁড়িয়ে। হাতে লাল রঙের ছাতা, চোখে সেই পুরনো মায়া—যেটা রাহাত এত বছর ভুলতে পারেনি।

মায়া হেসে বলল,
— "তুমি কি এখনো বৃষ্টিতে হাঁটো?"

রাহাত কিছু বলল না, শুধু কাছে গিয়ে মায়ার হাতে থাকা ছাতাটা বন্ধ করে দিল। দু’জন ভিজতে লাগল, একসাথে… যেন সময় থেমে গেছে।

গল্প: "শেষ ট্রেনটা"রাত ১১টা। ঢাকা শহরের ব্যস্ততা একটু একটু করে থেমে যাচ্ছে। রেলস্টেশনে তখনো কিছু যাত্রী দাঁড়িয়ে, শেষ ট্র...
29/07/2025

গল্প: "শেষ ট্রেনটা"

রাত ১১টা। ঢাকা শহরের ব্যস্ততা একটু একটু করে থেমে যাচ্ছে। রেলস্টেশনে তখনো কিছু যাত্রী দাঁড়িয়ে, শেষ ট্রেনটার অপেক্ষায়। তাদের মাঝেই একজন তরুণ – নাম রিদয়। পরনে সাদা শার্ট, চোখে ক্লান্তি আর হাতে একটা পুরনো ডায়েরি।

রিদয় চুপচাপ বসে আছে একটা বেঞ্চে। তার মনে ভেসে আসছে পুরনো স্মৃতি – ঠিক এই স্টেশনেই পাঁচ বছর আগে দেখা হয়েছিলো আয়েশার সঙ্গে। সেই প্রথম দেখা, প্রথম কথা, আর ধীরে ধীরে প্রেম। কিন্তু জীবন সব সময় সহজ নয়। আয়েশার পরিবার তাকে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়, আর রিদয় পড়ে থাকে অপেক্ষায়।

আজ হঠাৎ আয়েশার মেসেজ –
"রিদয়, আমি ফিরছি। ঠিক রাত ১১টার ট্রেনে। স্টেশনে আসবি?"

রিদয় কিছু লেখেনি, শুধু ডায়েরিটার ভেতরে সেই পুরনো চিঠিটা রেখেছে। ট্রেনের হুইসেল বাজে। ধীরে ধীরে ট্রেন থামে। সবাই তাকিয়ে থাকে দরজার দিকে।

রিদয়ের চোখ খোঁজে এক চেনা মুখ। হঠাৎ করেই দেখা মেলে—সে! আয়েশা দাঁড়িয়ে, একগাল হাসি নিয়ে।

রিদয় উঠে দাঁড়ায়, ধীরে ধীরে এগিয়ে যায় তার দিকে। আয়েশা বলে,
— "তুই তো এলি না ভাবছিলাম...!"
রিদয় হেসে উত্তর দেয়,
— "আমি কখনো যাইনি। শুধু অপেক্ষা করছিলাম।"

চোখের কোনে জল। কিন্তু এবার আর আলাদা হওয়ার সময় নয়।

গল্প: অপেক্ষার শেষ বৃষ্টিরাফি প্রতিদিন বিকেলে পার্কে যায়। কারণ, একদিন ঠিক সেই পার্কের বেঞ্চে বসেই তানিয়াকে প্রথম দেখেছ...
28/07/2025

গল্প: অপেক্ষার শেষ বৃষ্টি

রাফি প্রতিদিন বিকেলে পার্কে যায়। কারণ, একদিন ঠিক সেই পার্কের বেঞ্চে বসেই তানিয়াকে প্রথম দেখেছিল। মেয়েটার চোখে ছিল এক ধরনের নীরব ভালোবাসা, মুখে কোনো কথা না থাকলেও তার চোখ সব বলত।

তানিয়ার সঙ্গে কথা শুরু হয়েছিল একদিন হঠাৎ বৃষ্টি নামার সময়। দু’জনই ছাতা ছাড়া, ছায়া খুঁজছিল। রাফি এগিয়ে এসে বলেছিল, “আমার ছাতা আছে, চাইলে পাশে আসতে পারো।” সেই একসাথে ছাতার নিচে থাকা থেকেই শুরু।

তারপর কেটে গেছে অনেকগুলো মাস। এখন তানিয়া আর আসে না, কোনো যোগাযোগও নেই। কিন্তু রাফি এখনও প্রতিদিন বিকেলে যায়, সেই একই বেঞ্চে বসে।

আজ হঠাৎ আকাশ আবার মেঘে ছেয়ে গেল। বৃষ্টি নামল হালকা করে। আর ঠিক তখনই, সামনে এসে দাঁড়ালো তানিয়া। হাতে ছাতা, চোখে জল। বলল, “তুমি এখনও আসো?”
রাফি হেসে বলল, “কারো জন্য অপেক্ষা কখনও বৃথা যায় না…”

গল্প: শেষ বিকেলের চিঠিনামটা ছিল আদিত্য। আর মেয়েটার নাম – মেঘলা।দুজনেই এক কলেজে পড়ত, কিন্তু ক্লাসে কেউ কাউকে খুব একটা চিন...
26/07/2025

গল্প: শেষ বিকেলের চিঠি

নামটা ছিল আদিত্য। আর মেয়েটার নাম – মেঘলা।
দুজনেই এক কলেজে পড়ত, কিন্তু ক্লাসে কেউ কাউকে খুব একটা চিনত না। শুধু লাইব্রেরিতে মাঝে মাঝে দেখা হত—চোখে চোখ, আর একটু কৌতূহল।

একদিন বিকেলে, কলেজের পেছনের মাঠে হেঁটে বেড়াচ্ছিল মেঘলা। হাতে একটা ডায়েরি, আর চোখে কিছু চিন্তার ছায়া। হঠাৎ পেছন থেকে একটা কাগজ উড়ে এসে পড়ে তার পায়ের কাছে। কুড়িয়ে দেখে—একটা চিঠি।

লিখা ছিল—
"তোমাকে আমি অনেক দিন ধরে দেখি। তোমার চুপ থাকা, তোমার বইয়ে ডুবে থাকা—সবকিছু ভালো লাগে। বলতে পারিনি কখনো, তাই লিখে দিলাম। যদি কখনো মনে হয়, কারো নিঃশব্দ ভালোবাসা দরকার—আমি আছি। – একজন চুপচাপ ভালবাসার মানুষ।”

মেঘলা চিঠিটা পড়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিল কিছুক্ষণ। সূর্য তখন মেঘের আড়ালে হারিয়ে যাচ্ছিল, আর মেঘলার ঠোঁটে ফুটছিল একটুকু হাসি।

হয়তো চিঠিটা আদিত্যর, হয়তো কারো না।
কিন্তু সেই শেষ বিকেল বদলে দিল কিছু—দুজনেরই ভেতরের নীরবতা।

Address

Gazipur

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ik Ibrahim Hossain posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Ik Ibrahim Hossain:

Share