
16/10/2024
৫ ই আগষ্ট পর্যন্ত দেশে একটা বিপ্লব চলছিল! গণঅভ্যুত্থানে পুরো জাতি জেগে উঠেছিল ৭১ এর মতো। হাতে হাতিয়ার তুলে নিতে বাধ্য হয়েছিল প্রত্যেকে। প্রত্যেকের হাতে বাঁশ ছিল।গ্রেফতার করতে হলে আমরা যারা যারা আন্দোলনে ছিলাম সবাইকেই গ্রেফতার করতে হবে।সবাই অপরাধী।সকলেই স্বৈরাচারের বাহিনীর গাড়ি বা আশ্রয়স্থল এ কম বেশি আঘাত করেছে ক্ষিপ্ত হয়ে।তাহলে আমাদের সবাইকেই গ্রেফতার করতে হবে।
*শুধু তাই না ১৯৭১ এ যারা যুদ্ধ করেছিল,যুদ্ধে তখনকার পূর্ব পাকিস্তানের অধীনস্থ স্বৈরাচারের দোসর প্রশাসনকে হতাহত করেছিল সেই মুক্তিযুদ্ধাদের কেও এনে আজ কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।কেনোনা আইনের দৃষ্টিতে তো সেগুলো অপরাধ ই ছিল!!হোক স্বৈরাচারের দোসর প্রশাসন!সেটা তো দেখার বিষয় না আপনাদের কাছে।তাহলে বীর মুক্তিযোদ্ধের শাস্তি পাওয়া উচিত আপনাদের ভাষ্যমতে!!তাই নয় কি?
যদি সেটা অপরাধ না হবে তবে এটা কিভাবে অপরাধ হয়??বলবেন?
এমন হতে থাকলে তো এরপর আবারো কোনো স্বৈরাচার ঘাড়ে চেপে বসলে মানুষ আঘাতের প্রতিঘাত করতে যাবে না।অন্যায় এর প্রতিবাদ করবে না!!অভ্যূত্থান তো দূরের কথা!!কারণ তারা তখন জানবে অভ্যূত্থান করে স্বৈরাচার হটানো টাও অপরাধ! স্বৈরাচার চলে গেলেও পরবর্তীতে তাদের বিচার হবে,তো কী দরকার শুধু শুধু!!
আপনারা তো ভবিষ্যত প্রজন্মকে প্রতিবাদ বিমুখ করার উদ্যোগ নিচ্ছেন!
এভাবে যদি গ্রেফতার করা হয় তবে আমরা প্রত্যেকেই অপরাধী!! প্রত্যেককেই গ্রেফতার করতে হবে।
পুলিশ তখন ছিল স্বৈরাচারের দোসর! সেটা যেভাবেই হোক!হত্যার পক্ষে আমি না।তবে বাস্তবতা চিন্তা করতে হবে।আমার পাশে যখন আমার ব্যাচমেট বা শুভাকাঙ্ক্ষীর লাশ পরে থাকবে গুলিবিদ্ধ হয়ে তখন আমার সামনে থাকা পুলিশকে আমি আর যাই হোক মানুষ ভাবতে পারবো না।উত্তপ্ত রক্ত আরো বেশি ফুটতে থাকবে এটাই স্বাভাবিক।তখন আমার সামনে থাকা পুলিশ আমার প্রতিপক্ষ।কারণ সে আমার ভাই কে মেরেছে,আমার বন্ধু কে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে।তখন আমি আমার সেই ইউনিফর্ম পরিহিত প্রতিপক্ষকে আঘাত করতে দ্বিতীয়বার ভাববো না।
**আর সারজিস ভাই এর স্টেটমেন্ট এর একটু সমালোচনা না করলেই নয়।তিনি বলছেন গ্রেফতারকৃত ৩ জন সমন্বয়ক নয়।ভাই আপনি দায়সারা কথা কীভাবে বলেন!!সমন্বয়ক যারা ছিল তাদের প্রতিই শুধু আপনাদের দায়বদ্ধতা!!সাধারণ শিক্ষার্থীরাই তো আন্দোলনে রুল প্লে করেছে।শেকড় বিহীন শাখা তো মূল্যহীন।সাধারণ ছাত্ররা না থাকলে সমন্বয়ক তো আসতো না!