Mufti Mahbubur Rahman Yusufi

Mufti Mahbubur Rahman Yusufi M***i Mahbubur Rahman Yusufi Official page.Insha'Allah, everyone will be by their side with likes

বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মোফাস্সিরে কুরআন, হযরত মাওলানা মুফতি মাহবুবুর রহমান ইউসুফী।

15/06/2025

একসঙ্গে তিন তালাক দিলে তা কার্যকর হয় এবং তিন তালাক গণ্য হয়। এর ফলে স্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে স্বামী থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং পুনরায় বিয়ে বৈধ হয় না, যতক্ষণ না স্ত্রী অন্য কাউকে বিবাহ করে এবং বৈধভাবে তাদের মধ্যে সম্পর্ক শেষ হয় (এটি হালালা নামে পরিচিত)। তবে একত্রে তিন তালাক দেওয়া একটি গুনাহের কাজ, কারণ এটি সুন্নাহ পরিপন্থী।

দলিলসমূহ:
1. তিন তালাকের কার্যকারিতা সম্পর্কে কুরআন থেকে:
قال الله تعالى:
"فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ"
— (سورة البقرة: 230)
এই আয়াতে বলা হয়েছে, তৃতীয় তালাকের পর স্ত্রী স্বামীর জন্য হারাম হয়ে যায় এবং অন্য স্বামীর সঙ্গে বৈধ বিবাহ না হওয়া পর্যন্ত তাকে ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।

2. হাদিস থেকে প্রমাণ:
رُوِيَ أَنَّ رَجُلًا طَلَّقَ امْرَأَتَهُ ثَلَاثًا فِي زَمَانِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَمْضَاهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
— (صحيح مسلم: 1472)
অর্থাৎ, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সঃ-এর সময়ে একসঙ্গে তিন তালাক দেন। রাসূলুল্লাহ সঃ এটি কার্যকর করেন।

3. ফিকহের কিতাব থেকে:
"من طلق امرأته ثلاثا بلفظ واحد أو بألفاظ متفرقة وقعت الثلاث ولا تحل له إلا بعد زوج."
— (الدر المختار مع رد المحتار: 3/240)
এখানে বলা হয়েছে, একত্রে তিন তালাক দেওয়া হলে তিন তালাক কার্যকর হয়, এবং স্ত্রী হারাম হয়ে যায় যতক্ষণ না হিলালা সম্পন্ন হয়।

এক বৈঠকে তিন তালাক দিলেও তিন তালাক পতিত হয়ে যায়।

وقال الليث عن نافع كان ابن عمر إذا سئل عمن طلق ثلاثا قال لو طلقت مرة أو مرتين فأن النبي صلى الله عليه و سلم أمرني بهذا فإن طلقتها ثلاثا حرمت حتى تنكح زوجا غيرك

হযরত নাফে রহ. বলেন,যখন হযরত ইবনে উমর রাঃ এর কাছে ‘এক সাথে তিন তালাক দিলে ‎তিন তালাক পতিত হওয়া না হওয়া’ (রুজু‘করা যাবে কিনা) বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলো,‎তখন তিনি বলেন-“যদি তুমি এক বা দুই তালাক দিয়ে থাকো তাহলে ‘রুজু’ [তথা স্ত্রীকে বিবাহ করা ছাড়াই ফিরিয়ে আনা] করতে পার। ‎কারণ,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এরকম অবস্থায় ‘রুজু’ করার আদেশ দিয়েছিলেন। ‎যদি তিন তালাক দিয়ে দাও তাহলে স্ত্রী হারাম হয়ে যাবে, সে তোমাকে ছাড়া অন্য স্বামী গ্রহণ করা পর্যন্ত। {সহীহ বুখারী-২/৭৯২, ২/৮০৩}

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

ثَلاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ : النِّكَاحُ ، وَالطَّلاقُ ، وَالرَّجْعَةُ

তিনটি বিষয় এমন রয়েছে যা গোস্বায় হোক বা হাসি ঠাট্টায় হোক সর্বাবস্থায় কার্যকরী হয়ে থাকে। বিবাহ, তালাক ও রজয়াত। (আবু দাউদ ২১৯৪ তিরমিযি ১১৮৪)

যাই হোক, তথাপি কোনো ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীকে তিন তালাক দেয় তাহলে--

১. স্বামী-স্ত্রী একে অপরের জন্য হারাম হয়ে যায়। তথা তালাকের পর থেকে তাদের পরস্পরের জন্য দেখা-সাক্ষাৎ, মেলা-মেশা তথা স্বামী-স্ত্রী সুলভ সকল যাবতীয় আচরণ নাজায়েয ও হারাম হয়ে যায়।

২. তখন স্ত্রীর ইদ্দত তথা তালাক পরবর্তী তিন মাসিক শেষ হওয়া পর্যন্ত, আর গর্ভবতী হলে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়া পর্যন্ত তাকে খোর-পোষ দেয়া এবং মোহর আদায় না করে থাকলে মোহর আদায় করা স্বামীর ওপর ওয়াজিব।

৩. যেহেতু তিন তালাক প্রদানকারী এখন আর এই স্ত্রীর স্বামী নন সেহেতু স্ত্রীর জন্য করণীয় হল, দ্রুত এই স্বামীর সংসার থেকে চলে যাওয়া৷ এরপর যদি অন্য কোথাও স্ত্রীর বিয়ে হয়, ঘর-সংসার হয়৷ সেই স্বামী কোনো কারণে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দেয় কিংবা মারা যায় তখন দ্বিতীয় স্বামীর তালাক বা মৃত্যুজনিত ইদ্দত পালনের পর নতুনভাবে মোহর নির্ধারণ করে শরীয়ত সম্মত পন্থায় প্রথম স্বামীর কাছে পুনরায় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে৷ এ ছাড়া আর কোনো পথ নেই৷

আল্লাহ তাআলা বলেন, যে

فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ ۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۗ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ

তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে, তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা; যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়। (সূরা বাকারা-২৩০)

والله اعلم بالصواب
মুফতি মাহবুবুর রহমান ইউসুফী

01/06/2025

জড়িয়ে ধরলে আপন ভাবা যায় না ।

31/05/2025

টাকা উপার্জন করো, গরিবের মতো চলো, বিনয়ী হও, কম কথা বলো!
দেখবে জীবন সুন্দর ❤️

14/05/2025

মানুষ আলেমদের কে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করার যতগুলো কারণ তার মধ্যে একটি কারণ হলো আলেমদের আর্থিক অসচ্ছলতা।

তাদের ধারণা আমরা তাদের অনুগ্রহে খেয়ে পড়ে বেঁচে আছি।

এখন থেকে আমাদেরই কিছু করতে হবে।

১.ইমাম আবু হানিফা রহঃ কাপড়ের ব্যবসায়ী ছিলেন।
২.ইমাম কুদুরি রহঃ হাঁড়ি পাতিলের ব্যবসায়ি ছিলেন,
৩.আশরাফ আলী থানবী রহঃ তেলের ব্যবসা করতেন।

*নবী ও রাসূলগণ! অর্থ উপার্জনের জন্য কি কাজ করতেন?*

১.হযরত আদম (আ.) কৃষি কাজ করেছেন। তিনি আটা পিষতেন ও রুঠি বানিয়েছেন।
২.হযরত ইদ্রিস (আ.) লেখার কাজ এবং দর্জির কাজ করেছেন।
৩.হজরত নুহ (আ.) গাছ ফেড়ে নৌকা তৈরি করেছেন। অর্থাৎ তিনি মিস্ত্রির কাজ করেছেন।
৪.হযরত হুদ (আ.) ও হযরত সালেহ (আ.) ব্যবসা-বাণিজ্য করতেন।
৫.হযরত জুলকারনাইন যিনি বহুত বড় বাদশা ছিলেন। অনেকের মতে তিনি নবী ছিলেন। তিনি জাম্বিল বুনন করতেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি ডালা, টুকরি, ধামা প্রভৃতির তৈরি করেছেন।
৬.হযরত ইব্রাহিম (আ.) কৃষি কাজ এবং রাজমিস্ত্রি কাজ করেছেন, তিনি নিজ হাতে খানায়ে কাবা পুনর্নির্মাণ করেছেন।
৭.হযরত লুত (আ.) চাষাবাদের কাজ করেছেন।
৮.হযরত ইসমাইল (আ.) শিকার করেছেন।
৯.হযরত ঈসা (আ.), ও ১০.হযরত ইয়াকুব এবং তাহার বংশধরগণ ছাগল পালন করতেন, এবং ছাগলের বাচ্চা বিক্রি করতেন।
১১.হযরত ইউসুফ (আ.) দুর্ভিক্ষের সময় খাদ্যশস্যের ব্যবসা করেছেন।
১২.হযরত আইয়ুব (আ.) বকরি পালন করতেন, তিনি কৃষি কাজ করেছেন।
১৩.হযরত শোয়াইব এর বাড়িতে বকরি পালন করা হত। এবং
১৪.হযরত মুসা কয়েক বৎসর পর্যন্ত তার বাড়ি থেকে বকরি চড়াইছেন এবং বিবাহের মোহর হিসেবে ছিল বকরি চড়ানো।

১৫.হযরত হারুন (আ.) ব্যবসা-বাণিজ্য করতেন,
১৬.হযরত ঈসা (আ.) ক্ষেত খামারে কৃষি কাজ করেছেন।
১৭.হযরত দাউদ (আ.) যুদ্ধের জন্য লৌহবর্ম তৈরি করতেন, অর্থাৎ কামারের কাজ করে লৌহ শিল্প প্রতিষ্ঠা করেছেন।
১৮.হযরত লোকমান (আ.) বিজ্ঞানের সুবিখ্যাত বড় বৈজ্ঞানিক ছিলেন, বকরিও চড়াতেন।
১৯.হযরত সুলাইমান (আ.) জাম্বিল বুনাতেন, এবং তিনি বাদশা ছিলেন।
২০.হযরত যাকারিয়া (আ.) কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন।

সকল নবী রাসুল এবং
২১.আখেরী নবী হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (স.) এর বকরি চরানোর কথা কিতাবে বর্ণিত আছে, এবং তিনি ব্যবসা-বানিজ্য করেছেন।
কিন্তু তাদের জীবনধারণ বকরি চরানোর উপর নির্ভর করত না, তবুও এই কাজ তারা করেছেন। উক্ত কাজে তারা দূষণীয় মনে করতেন না।

তাছাড়া যে সকল বড় বড় ইমামগণের লিখিত কিতাব এর মাসআলা হতে শরিয়তের আইন এর সনদ সংগ্রহ করা হয়ে থাকে, সেই সকল ইমামগণও কেউ কাপড় বুনন করতেন, কেউ চামড়ার কাজ করতেন, কেউ মিঠাই বানাতেন ইত্যাদি।
সুতরাং আমাদের কায়িক পরিশ্রম করে উপার্জন করা উচিত।
সংযোজন:

(*বিশেষ করে আলেমগণের উচিৎ! মসজিদ, মাদ্রাসার খেদমতের পাশাপাশি যে কোনো ব্যবসায় বানিজ্য করা!যাতে কমিটির যাঁতাকলে পিষ্ট না হতে হয় এবং জীবন ধারণের জন্য! দ্বীনের কাজ করতে যেয়ে কোনো প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়।

-মুফতী মাহবুবুর রহমান ইউসুফী

13/05/2025
12/05/2025

১নংপ্রশ্ন/ ঘুমন্ত মানুষের আত্মা কোথায় যায়?
২নং প্রশ্ন/ কি করে??
মানুষ ঘুমালে তার আত্মা আকাশে চলে যায় আল্লাহকে সেজদা করতে। যে ব্যক্তি পবিত্র অবস্থায় ঘুমায় সে আরশের কাছে সেজদা করে ।এবং একজন ফেরেশতা তার মাথার কাছে সারারাত ক্ষমা প্রার্থনা করে । আর যে অপবিত্র অবস্থায় ঘুমায় সে আরশ থেকে দূরে সেজদা করে। সুবহানাল্লাহ

নিজ হাতে ফুচকা বানায়া খাওয়ার মজাই আলাদা
08/05/2025

নিজ হাতে ফুচকা বানায়া খাওয়ার মজাই আলাদা

08/05/2025

08/05/2025

06/05/2025

হে আমাদের পালনকর্তা,
আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর।

সূরা আল-ফুরকান, আয়াত ৭৪

06/05/2025

Address

Gazipur, Dhaka Division
Gazipur
1744

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mufti Mahbubur Rahman Yusufi posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category