04/08/2025
আসসালামুয়ালাইকুম
স্বরচিত একটি গল্প..
"সুন্দর ভালোবাসায় ৩য় ব্যাক্তির আগমন"
প্রেমে তো সবাই পরে,কয় জন তা রক্ষা করে?
প্রেমে আমিও পরেছিলাম,কোনো এক কাজল কালো চোখের।কি মায়াবী তার দুই চোখ। দেখলেই জেন তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করে। মুল গল্পে ফিরে আসি!!
তারিখ টা ছিলো ২৩ জানুয়ারি ২০২৫! ছুটি শেসে জখন মেস এ আসার জন্য ব্যাগ গুছাচ্ছিলাম ঠিক তখন কোনো এক অপরিচিত আইডি থেকে মেসেজ!
ওই পার থেকে সালাম দিলো,আমিও সালাম নিলাম,আমি তার নাম জিগ্যেস করতেই তিনি তার নাম টা বললেন। নাম টা জদিও ব্যাকডেটেড তার পরেও ভালো লাগলো। তারপর আমি উনাকে বললাম আমাকে এস এম এস দেওয়ার কারন কি??
ওই পাশ থেকে উত্তর আসছে,আমি আপনাকে চিনি কিন্তু আপনি আমাকে চিনেন না। আমি একটু অবাক হলাম!!উনি নাকি আমাকে কিছু মাস আগে থেকে চিনে।উনার বাসা বাংলাদেশের উত্তর অঞ্চলের একটি বড় শহরে,তিনি আরো বলেন কিছু দিনের মধ্যেই তার সাথে আমার দেখা হবে। তার পরে আমাদের আর কোনো কথা হয় না।
আমি মেস এ চলে আসি এবং নিজের মত করে চলতে থাকি।এর কিছু দিন পর ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে একটা অনুসঠান এর জন্য আমি আবারো বাসায় জাই এবং ওইদিন সন্ধায় আমি অনুষ্ঠানে জাই। অনুষ্ঠান বাড়িতে ঢুকার পর দেখলাম একটা সুন্দরী মেয়ে,তার চোখ গুলা ছিলো অনেক মায়াবী। নীল শাড়ি পরে দারিয়ে দারিয়ে কাল ফুল লাগাচ্ছে।ওই অনুষ্ঠানে ছেলেদের জন্য ছিলো হলুদ পাঞ্জাবী আর মেয়েদের জন্য ছিলো নীল শাড়ি। তার পর আমি আমার পাঞ্জাবী পরে নিলাম।এবং আমার কেন জেন ২৩ তারিখের ওই মেয়ের কথা মনে হলো!!আমার মন বলছে এটাই হয়তো সেই মেয়ে!! সন্ধার সময় ওই মেয়ের কাছে জেয়ে একটু শাহস নিয়েই বললাম আপনি কি সেই "A"নাম টা গোপনীয় থাক। মেয়েটি একটা মিস্টি হাসি দিয়ে বলে জ্বি আমি সেই মেয়ে!! তখন মনে মনে ভয় আর এক্সসাইটমেন্ট কাজ করছিল,,কার। বাড়িতে অনেক মেহমান ছিল।
মেয়েটাকে প্রথম দেখাতেই ভালো লেগে গেলো।তারপরে আমি কাজিন দের সাথে আড্ডা দিতে চলে গেলাম।
সময় তখন রাত ৮:৩১ মিনিট,,হঠাৎ ওই মেয়ের এস এম এস "কোথায় আপনি?" উত্তরে আমি বলছি "কাজিন দের সাথে আড্ডা দিচ্ছি"মেয়েটি আমাকে
অনুষ্ঠানের বাড়িতে আসার জন্য অনুরোধ করলো।তখন আমি ওখানে গেলাম।যদিও পারিবারিক অনুষ্ঠান তবুও একটু নাচ গানের আয়োজন করা হয়েছিলো।সেখানে আমি মেয়েটির পিছনের চেয়ারে আসন গ্রহন করলাম।মেয়েটির চোখে চোখ পরতেই মেয়েটির মুখে মুক্তাঝড়া হাসি। আমিও অনুষ্ঠান উপভোগ করলাম। দেখতে দেখতে রাত ১১ টা ,,সবাই খাবার খাচ্ছে,,মেয়েটির ও খাওয়া শেস,,কিন্তু আমি সহ আমার কাজিন রা এখনো খাই নাই। আবারো সেই মেয়ে এস এম এস করে বলে খাবার খাওয়ার জন্য,,আমার মনে হতে লাগলো মেয়েটি আমার কেয়ার করছে।খাওয়া দাওয়া শেসে আবার নাচ গানের আয়োজন। নাচ গানের আয়োজন শেস হতে হতে রাত বেজে গেলো ১২:৪৫।
অনুষ্ঠানের বাড়ি জন্য রাতে ঘুমানোর জায়গা কম,তাই সবাই গুটি শুটি হয়ে এক রুমে ঘুমাতে হবে।
তারপর আমারা ফ্রেশ হতে গেলাম,,পরিবারের সবাই একটি রুমে গল্প করছে,,মেয়েটি আগে ফ্রেশ হতে গেলো,,তার পরে আমি,,আমি ফ্রেশ হতে জাওয়ার পথে মেয়েটি আমার শরিরে পানি ছিটিয়ে দিয়ে এক দোর দিয়ে রুমে চলে জায়। তখন খুব রাগ হচ্ছিলো,কার তখন ছিল শিত কাল।আমি ফ্রেশ হয়ে আসার পরে মেয়েটি ব্যাগ থেকে একটি চকলেট বের করে একটা ফাকা রুমে আমাকে প্রপজ করে🥀!!
রাত তখন ০১:১০! আমি অবাক হয়ে গেলাম,তখন আমি তার প্রপজাল টা গ্রহন করি।,,ওইদিন আর আমাদের মাঝে কোনো কথা হয় না,,জে জার জার মত ঘুমিয়ে জাই।সকাল ৭ টায় ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে আমি আমার কাজিন এর বাইক নিয়ে বাজারে চা খেতে গেলে হঠাৎ তার কথা মনে পরে,তখন আমি বাসায় ফিরে জাই,,আর তাকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখছিলাম,ঠিক তখন তার চোখে চোখে চোখ পরতেই লজ্জাই পাই দুই জন।
সকালের নাস্তা শেসে ভেবেছিলাম তাকে নিয়ে একটু ঘুরতে বের হবো,,কিন্তু কিছু কারন বসত আর তা সম্ভব হয় না,,আস্তে আস্তে দুপুর হয়ে যায়। দুপুরে এক সাথে এবং পাশাপাশি বসে খাবার খাচ্ছিলাম,টেবিলের নিচ দিয়ে একজনের পায়ে আরেক জন খোচা খোচি করছিলাম।এভাবে খাওয়াদাওয়া শেস করে সে আমাকে টিশু দিছে।
খাবার খাওয়ার পরে ওকে আমি কোল্ডড্রিংক খুলে দিলাম।কোক খাইতে খাইতে ২ ঘন্টা গল্প হলো আমাদের মাঝে।টুক টাক সেল্ফি ও হলো।এরি মদ্ধ্যে তার নিজ বাসায় ফেরার সময় হলো,,জদিও তখন আমার এবং তার অনেক মন খারাপ হচ্ছিলো কিন্তু কিছু করার নাই,চলে জেতে হবেই।সে চলে গেলো তার নিজ বাসায়,,এক ঘন্টা পরে আমিও চলে গেলাম আমার বাসায়,,বাসাহ আসার পর অপরিচিত একটা আইডি থেকে কল,কল ধরে দেখি সে কল দিছে।আমাদের মাঝে অনেক কথা হলো,,পরের দিন আমিও আমার মেস এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম
পরিবারের জন্য মন খারাপ। তার পরে আমি নিয়মিত তার সাথে কথা বলছিলাম,,আমাদের মধ্যে এক সুন্দর ভালবাসার সৃষ্টি হয়।দুই জন দুইজনকে অনেক ভালোবাস্তাম।সে ফেব্রুয়ারীর ২১ তারিখে ঢাকায় জায় ঘুরতে,,আর আমি ২০ তাদিখে নোয়াখালীতে জাই।সেখানে জেয়েও আমাদের কথা বলা থেকে নেই। আস্তে আস্তে রমজান মাস চলে আসছে,,,আমাদের ভালোবাসা জেন বেরেই চলেছে।রমজান মাসে আমরা ১০+ঘন্টা কথা বলতাম।রমজান শেসে ঈদ! ঈদ এর পরেও আমাদের কথা হতো।
এভাবে চলতে চলতে আসল পহেলা বৈশাখ।আর এর মধ্যেই আমার জিবনে এলো কাল বৈশাখি ঝড়!😅
পহেলা বৈশাখের দিন আমাদের দুইজনের মধ্যে ৩য় ব্যাক্তির আগমন ঘটলো।তার পর থেকেই সে কথা বলা কমিয়ে দেয়।আস্তে আস্তে সে আমার জিবন থেকে চলে জায়,,তার বান্ধবি কে যখন আমি তার কথা জিজ্ঞেস করলাম সে আমাকে বলে সে তার খালাতো ভাই এর সাথে রিলেশনে গেছে।💔😅
এভাবেই ৩য় ব্যাক্তির কাছে হেরে জায় হাজারো ভালোবাসা💔😔
গল্পটি লিখেছে Ariful Islam