19/03/2025
শবে কদর বা লাইলাতুল কদর সম্পর্কে নবীজি (সা.) বিভিন্ন হাদিসে অনেক ফজিলত ও তাৎপর্য বর্ণনা করেছেন। এখানে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হাদিস তুলে ধরা হলো:
* শবে কদরের অনুসন্ধান:
* নবীজি (সা.) বলেছেন, "তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে শবে কদর সন্ধান করো।" (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
* হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করতেন এবং বলতেন, "তোমরা রমজানের শেষ ১০ রাতে শবে কদর সন্ধান করো।" (বুখারি ও মুসলিম)
* শবে কদরের ফজিলত:
* নবীজি (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় লাইলাতুল কদরে রাত জেগে ইবাদত করবে, তার অতীতের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।" (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
* রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, 'যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদর পেলো কিন্তু ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে কাটাতে পারলো না, তার মতো হতভাগা দুনিয়াতে আর কেউ নেই। (মুসলিম, হাদিস নং : ১১৬৭)।
* কুরআনের বর্ণনা অনুসারে, আল্লাহ এই রাত্রিকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন এবং এই একটি মাত্র রজনীর ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও অধিক সওয়াব অর্জিত হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
* শবে কদরের দোয়া:
* হযরত আয়েশা (রা.) জিজ্ঞেস করেন, "ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি যদি জানতে পারি লাইলাতুল কদর কোন রাত, তাহলে সে রাতে কোন দোয়া পড়ব?" নবীজি (সা.) বলেন, "তুমি বলবে, 'আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা'ফু আন্নি' (অর্থাৎ হে আল্লাহ, আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে ভালোবাসেন, তাই আমাকে ক্ষমা করে দিন)।" (তিরমিজি)
* শবে কদরের আলামত:
* হযরত উবাদা ইবনে সামেত (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবীজি (সা.)- কে শবে কদর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি উত্তর দেন যে, তা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাত্রে অর্থাৎ ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ তারিখে বা রমজানের শেষ রাতে হয়। যে ব্যক্তি শবে কদরে ঈমানের সহিত, সওয়াব লাভের আশায় দাঁড়ায় তার অতিতের যাবতীয় গোনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।
* তারপর রাসুল (সা.) এই রাতের কিছু আলামতের বর্ণনা দেন। আলামতসমূহের কিছু হলো, ওই রাতটা নির্মল ঝলমলে হবে, নিঝুম নিথর না অধিক গরম, না অধিক ঠান্ডা; বরং সব কিছু মাঝামাঝি পর্যায়ে থাকবে। (নূরের আধিক্যের কারণে) ওই রাতের আকাশ, চাঁদনী রাতের মতো মনে হবে, ওই রাতে তারকা এদিক সেদিক ছুটে পড়ে না।