17/04/2023
⚠️ #ইমোশন_দ্য_মোস্ট_ডেঞ্জারাস_ওয়েপন_০১ ⚠️
আমার মতে, পৃথিবীর সবচেয়ে ডেঞ্জারাস কাস্টমাইজেবল ওয়েপন হচ্ছে "ইমোশন", যেটা কন্ট্রোল করা (হোক নিজের অথবা অন্যের) যদি আপনি বুঝে যান, দেন ইউ আর দ্য মোস্ট পাওয়ারফুল হিউম্যান।
কাস্টমাইজেবল ওয়েপন বলার কারণ হচ্ছে যে, এই ইমোশন টা কে আপনি নিজের মত করে নানান ভাবে ইউজ করতে পারবেন, অ্যান্ড একটার চেয়ে আরেকটা, আরেকটার চেয়ে আরেকটা প্রচ্চুর ভয়ংকর হবে।
এই পোস্ট এ এমন একটা এক্সাম্পল দেই, ব্যপারটা ক্লিয়ার হবে।
ধরেন, কেউ আপনারে কোনো ভাবে একটু কষ্ট দিসে। মানে, সিম্পলিই চিন্তা করেন, একটা সহজ কথা আপনারে ত্যারা ভাবে বলে সেই লেভেলের খোচা মারসে, আর এইটা আপনার ইমোশন এ আঘাত করসে।
এখন, আপনি ২ টা কাজ করতে পারেন।
(১) সে যা বলসে, তার চেয়ে আরও কড়া একটা কথা বলে তার সেই কথার রিপ্লাই দিয়ে ইন্সট্যান্টলি খোচা টা তারে ব্যাক করে দিতে পারেন।
(২) তারে কোনো কিচ্ছু না বলে চুপ করে খোচাটা জাস্ট হজম করে নিবেন।
১ম পয়েন্ট এ আপনি উইন হইসেন মনে হইলেও আসলে আপনি আপনার ইমোশন নামের ওয়েপনটা কন্ট্রোল করতে পারেন নাই। সে আপনারে একটা বাশ দিসে, আপনিও তারে একটা বা দুইটাই বাশ দিলেন, ব্যপারটা এমন হইল। মনে হইতেসে, ব্যপারটা সল্টে গেসে। তাই না? হয়ত সল্টে গেসে, কিন্তু আরেকটু বেটার একটা খেলাও খেলা যাইত।
আচ্ছা, এবার আমাদের ছোট বেলার একটা স্মৃতি আপনাদের মনে করাই, ছোট বেলায় আমরা একটা ভুল করলে আমাদের আম্মুরা গালিগালাজ করার ওয়ে তে আমাদের একটা কথা বলত না যে, "কচু কাটতে কাটতে মানুষ ডাকাত হয়"? এর মানে আসলে কি? মানে, আপনি একটা ছোট ভুল করসিলেন (কচু কাটসিলেন), আপনারে যদি আপনার আম্মু ইন্সট্যান্ট শাসন না করত আপনি সাহস পাইতেন, ভাবতেন এটা সিরিয়াস কোনো ভুল না। ভেবে ভুল টা আবারও করতেন, এরপর আবারও করতেন, এভাবে ভুল টার রিপিটেশন হইত। অ্যান্ড ভুল করতে করতে ফাইনালি বিশাল একটা অন্যায় করে ফেলতেন যেটা থেকে আপনি আর কোনোদিনও বের হয়ে আসতে পারতেন না। অ্যান্ড দিস ইজ অ্যাকচুয়ালি দ্য সামারি অফ মাই সেকেন্ড পয়েন্ট। বাট, ডন্ট বি প্যানিকড, আই অ্যাম গনা রিলেট দিস থিং উইথ দ্য পয়েন্ট ডিরেক্টলি।
নাও, লেটস থিংক অ্যাবাউট দ্য সেকেন্ড পয়েন্ট, প্লিজ।২য় পয়েন্টটাই আমাদের সেই বেটার খেলা। ২য় পয়েন্ট এ আপনি তার খোচাটারে হজম করে নিসেন, তবে পেট এ না, ব্রেইন এ। সে আপনারে যাইই বলসে, চুপ করে শোনেন, কিচ্ছু বইলেন না সাথে সাথে। আর সাথে সাথে তার একটু ভালভাবে খোঁজখবর রাখেন কয়েকদিন। এতে কি হবে?
ট্রাস্ট মি, কিছু দিন পর দেখবেন, সে আপনার সাথে যেভাবে মিসবিহ্যাভ করে ছাড় পাইসে, সে তাতে বেশ ভাল রকমের একটা ওভার কনফিডেন্স পাইসে, সেই ওভার কনফিডেন্সের চোটে সে ঐ মিসবিহ্যাভ টা আরও অনেকের সাথে করসে, সেই অনেকের কাছে তার রেপুটেশন নষ্ট হইসে, ফাইনালি সে সেইম মিস্টেক টা তার এমন কোনো হাইয়ার অথোরিটির সাথে করে ফেলসে যে সে একদম লক খেয়ে গেসে।
না, এখানেই খেলা শেষ না, মজার ব্যপার এখনও বাকি। লক খাওয়ার পর সে ভাবসে যে, লক তো খেয়ে গেসি, কি করা যায়? আমি আমার লাইফে একটু পিছনের দিকে তাকাই, আমার ভাই ব্রাদারদের হেল্প নেই। কিন্তু, সে তাকিয়ে দেখে পিছনে সবার সাথেই সে এভাবেই ট্রিট করে আসছে, নিজের রেপুটেশন নষ্ট করে আসছে। দ্যাটস হোয়াই, এখন কেউই তার সাপোর্ট এ নাই।
অ্যান্ড অ্যাট দিস পয়েন্ট, He is really so fu**ed up.
সো, এই পুরা ব্যপারটায় আপনি করসেন টা কি? আপনার ইমোশন অ্যাজ ওয়েল অ্যাজ সেই নেগেটিভ ব্যক্তির ইমোশনকেও কন্ট্রোল করসেন। কিভাবে?
নিজের ইমোশন কন্ট্রোল করে তারে ছাড় দিসিলেন। ছাড় দিয়ে তার ইমোশনরে আপনার কন্ট্রোল এ এনে তারে আপনার মাথায় উঠার সুযোগ করে দিসেন যা কিনা লিটারারি তারে বাশ খাওয়ার পথে ধাবিত করার প্রথম পদক্ষেপ।
এই একটা কারণেই, আজকাল অনেক কিছু দেখে শুনে বুঝেও চুপচাপ থাকি। কিছুই বলি না। বিকজ, ২৩ বছরের এই জীবনে এসে ইঞ্জিনিয়ারিং এর কতটুকু শিখসি জানি না, তবে, একটু হইলেও নিজের আর এমনকি বাকি মানুষদেরও ইমোশন নামক ওয়েপন চালানোটা বেশ ভালভাবে রপ্ত করে ফেলসি। অ্যান্ড নাও, আই ক্যান রিমেইন সাইলেন্ট অ্যান্ড ফাক ইউ অল আপ, ডিয়ার। ✌️❤️