14/05/2024
রুমের মধ্যে বাতি বন্ধ করে শুয়ে আছি। একটু পরে বড় ভাইয়া আমার রুমে এসে বললো,
- কি করিস আরিফ?
- কিছু করি না ভাইয়া, কিছু বলবা?
- তোর চাকরির কি অবস্থা? যেখানে ইন্টারভিউ দিলি সেখান থেকে কিছু জানায়নি?
- না ভাইয়া।
- তোকে একটা কথা বলার জন্য এসেছি।
- বলো।
- আমার শাশুড়ী গ্রাম থেকে শহরে আসবেন কিছু দিনের জন্য বেড়াতে। সঙ্গে হয়তো আমার শশুড় ও আসতে পারে।
- আচ্ছা।
- তুই জানিস আমাদের এই একটা মাত্র ফ্ল্যাট। থাকার যে কি ব্যবস্থা করবো সেটা নিয়ে গতকাল রাত থেকে টেনশনে আছি।
- হুম, টেনশন করারই কথা।
- আমি একটা উপায় বের করতে পেরেছি।
- কি?
- তোর তো চাকরি হচ্ছে না। তাই বলছিলাম যে তুই যদি মাকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে কিছুদিন ঘুরে আসিস তাহলে দুটো রুম ফাঁকা হয়ে যাবে।
আমি ভাইয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম। সে হয়তো পুরোপুরি চাইছে মাকে নিয়ে আমি এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাই। এর আগে ভাবির সঙ্গে এসব নিয়ে অনেক ঝগড়া করতে শুনেছি।
আমি বললাম,
- মা যদি রাজি হয় তাহলে আমার আপত্তি নেই।
- সেখানে তো সমস্যা, মা তো রাজি হচ্ছে না। সে গ্রামের বাড়িতে যেতে চায় না, বলে তার শরীর নাকি খুব অসুস্থ।
- হ্যাঁ এটা ঠিক, আমাকেও প্রতিদিন বলে তার শরীর ভালো নেই। বাবাকে নাকি প্রতি রাতে স্বপ্নে দেখেন, বারবার মৃত্যুর কথা বলে।
- অসুস্থ হলে এরকম সবারই হয়। মৃত্যু যদি আসে সেটা তো শহর গ্রাম সবজায়গা আসবে তাই না? তাছাড়া শহরের দূষিত খাদ্য আর আবহাওয়ার চেয়ে গ্রামে গেলে শরীর ভালো হতে পারে।
আমি কিছু বললাম না। কারণ আমি বুঝতে পারছি ভাইয়া যেভাবেই হোক মাকে বাসা থেকে গ্রামের বাড়িতে পাঠাবেই। আর সেই কাজটা সে আমাকে দিয়ে করতে চাইছে। কিন্তু মায়ের কথা মনে পড়লে আমারই খারাপ লাগে। দিন দিন মা বেশ অসুস্থ হয়ে গেছে, বিছানা থেকে এখন শুধু নামাজ পড়তে আর বাথরুমে যাবার জন্য ওঠে।
- বললাম, তুমি চিন্তা করো না। মাকে বুঝিয়ে বলে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাবার দায়িত্ব আমার।
- ধন্যবাদ ভাই, টাকাপয়সা যা লাগে আমার কাছ থেকে নিয়ে যাবি সমস্যা নেই। আর সেখানে গিয়ে টাকার দরকার হলে কল দিলেই হবে। মাত্র তো কয়েকটা দিন, তারপর আবার ফিরে আসবি।
- ঠিক আছে সমস্যা নেই।
ভাইয়া উঠে দরজা পর্যন্ত গেল। আমি পিছন থেকে ডাক দিয়ে বললাম,
- আমার কি মনে হয় জানো?
- ভাইয়া পিছনে ফিরে তাকিয়ে বললো, কি?
- আমার মনে হয় মাকে আর কোনদিন তোমাকে এই বাসাতে আসতে হবে না। এটাই হয়তো শহর থেকে তা