Raqi Zubayer

Raqi Zubayer #জ্বীন #যাদু #বদনজর #ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচার মাধ্যম হলো আল কুরআন তেলাওয়াত,ও মাসনুন আমল।

দাম্পত্য জীবনে রাসুল (সা.)-এর ১০ সুন্নাহ • মুসলমানদের দৈনন্দিন তথা জীবনের সর্বক্ষেত্রে একমাত্র এবং অনুপম আদর্শ হচ্ছেন প্...
17/07/2025

দাম্পত্য জীবনে রাসুল (সা.)-এর ১০ সুন্নাহ

• মুসলমানদের দৈনন্দিন তথা জীবনের সর্বক্ষেত্রে একমাত্র এবং অনুপম আদর্শ হচ্ছেন প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। মহানবী (সা.) রাষ্ট্রনায়ক থেকে শুরু করে শাসক, দাঈ, পিতা এমনকি দাম্পত্য জীবনে স্বামী হিসেবেও ছিলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অনুকরণীয় আদর্শ।

• প্রিয় নবী (সা.) এমন অনেক সুন্নত আছে, যেগুলো অনুসরণ ও অনুকরণেই গড়ে ওঠে স্বামী-স্ত্রীর সুখী দাম্পত্য জীবন। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দাম্পত্য জীবনই এর জলন্ত প্রমাণ।

• সাহাবিদেরও তিনি স্ত্রীকে শ্রদ্ধা, সম্মান ও ভালোবাসায় চাদরে মুড়িয়ে রাখার শিক্ষা দিতেন। তিনি বলতেন, “তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তিই সর্বোত্তম যে তার স্ত্রীর নিকট উত্তম, আর আমি তোমাদের মধ্যে আমার স্ত্রীদের নিকট সর্বোত্তম ব্যক্তি”। (ইবন মাযাহ– ১৯৭৭, তিরমিযী– ৩৮৯৫)

• চলুন আজকে জেনে নেই রাসুল (আ.)-এর এমন ১০টি অসাধারণ সুন্নাহ। যেগুলো ব্যক্তিগত জীবনে কেউ যদি চর্চা করে তাহলে দাম্পত্য জীবনে সত্যিকারে সুখী মানুষ হয়ে উঠতে পারবেন।

১. স্ত্রী যে স্থানে ঠোঁট রেখে পানি পান করে সেই স্থানে ঠোঁট রেখে পানি পান করা সুন্নাহ।

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আমি ঋতুবতী অবস্থায় পানি পান করতাম এবং পরে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অবশিষ্টটুকু প্রদান করলে আমি যেখানে মুখ লাগিয়ে পান করতাম তিনিও পাত্রের সে স্থানে মুখ লাগিয়ে পান করতেন। আবার আমি ঋতুবতী অবস্থায় হাড় খেয়ে তা নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দিলে আমি যেখানে মুখ লাগিয়েছিলাম তিনি সেখানে মুখ লাগিয়ে খেতেন। (মুসলিম– ৫৭৯)

২. স্ত্রীর কাছ থেকে চুল আঁচড়ে নেওয়া সুন্নাহ

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, ‘আমি হায়েজ (ঋতুবতী) অবস্থায় আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাথা আঁচড়ে দিতাম।’ (বুখারি– ২৯৫)

৩. স্ত্রীর কোলে মাথা রেখে ঘুমানো সুন্নাহ

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেছেন যে, আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে এক সফরে বের হলাম। বাইদা কিংবা যাতুল জাইশ নামক স্থানে পৌঁছার পর আমার গলার হার হারিয়ে গেল। তা খোঁজার জন্যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানে অবস্থান করলেন এবং লোকেরাও তাঁর সঙ্গে অবস্থান করল। সেখানেও কোনো পানি ছিল না এবং তাদের সঙ্গেও পানি ছিল না। এরপর লোকেরা আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর কাছে এলো এবং বলল, ’আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা যা করেছেন আপনি তা দেখেছেন কি? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সকল লোককে আটকিয়ে রেখেছেন, অথচ সেখানেও পানি নেই আবার তাদের সঙ্গেও পানি নেই। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার উরুতে (রানে) মাথা রেখে ঘুমাচ্ছিলেন।

এমতাবস্থায় আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু এলেন এবং বললেন, তুমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সকল লোককে আটকে রেখেছো অথচ সেখানেও পানি নেই আবার তাদের সঙ্গেও পানি নেই। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন যে, আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু আমাকে দোষারোপ করলেন এবং আল্লাহ যা চেয়েছেন তা বলেছেন এবং তার অঙ্গুলি দিয়ে আমার কোমরে ধাক্কা দিতে লাগলেন, আমার কোলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অবস্থানই আমাকে নড়াচড়া করতে বাধা দিল। পানিবিহীন অবস্থায় ভোরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘুম থেকে উঠলেন। তখন আল্লাহ তাআলা তায়াম্মুমের আয়াত অবতীর্ণ করলেন, তখন সবাই তায়াম্মুম করল। তখন উসাইদ ইবনু হুযাইর বললেন, হে আবু বকর-এর বংশধর! এটাই আপনাদের কারণে পাওয়া প্রথম বারাকাত নয়।

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বললেন, যে উটের উপর আমি ছিলাম, তাকে আমরা উঠালাম তখন দেখি হারটি তার নিচে।’ (বুখারি– ৪৬০৭)

৪. স্ত্রীর সঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতা করা সুন্নাহ

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেছেন, তিনি এক সফরে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে ছিলেন। তিনি বলেন, আমি তার সঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতা করে তার আগে চলে গেলাম। এরপর আমি মোটা হয়ে যাওয়ার পর তার সঙ্গে আবারও দৌড় প্রতিযোগিতা করলাম, এবার তিনি আমাকে পেছনে ফেলে দিলেন, বিজয়ী হলেন। তিনি বলেন, এ বিজয় সেই বিজয়ের বদলা।’ (আবু দাউদ– ২৫৭৮)

৫. স্ত্রীর সঙ্গে গোসল করা সুন্নাহ

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেছেন, আমি ও নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একই পাত্র (কাদাহ) থেকে (পানি নিয়ে) গোসল করতাম। সেই পাত্রকে ফারাক বলা হতো।’ (বুখারি– ২৫০)

৬. স্ত্রীর কোলে হেলান দিয়ে কোরআন তেলাওয়াত করা সুন্নাহ

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার কোলে হেলান দিয়ে কোরআন তেলাওয়াত করতেন। আর তখন আমি হায়েজের অবস্থায় ছিলাম।’ (বুখারি– ২৯৭)

৭. স্ত্রীর মেওসওয়াক দিয়ে দাঁত মাজা সুন্নাহ

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেছেন যে, ‘আবদুর রহমান ইবনু আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এলেন। তখন আমি নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আমার বুকে হেলান দেয়া অবস্থায় রেখেছিলাম এবং আবদুর রহমানের হাতে তাজা মিসওয়াকের ডাল ছিল যা দিয়ে সে দাঁত পরিষ্কার করছিল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলেন। আমি মিসওয়াকটি নিলাম এবং তা চিবিয়ে নরম করলাম। তারপর তা নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দিলাম। তখন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা দিয়ে দাঁত মর্দন করলেন। আমি তাকে এর আগে এত সুন্দরভাবে মিসওয়াক করতে আর কখনও দেখিনি। এ থেকে অবসর হয়েই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার উভয় হাত অথবা আঙ্গুল ওপরে উঠিয়ে তিনবার বললেন, উচ্চে সমাসীন বন্ধুর সঙ্গে (মিলিত হতে চাই) তারপর তিনি ইন্তিকাল করলেন। হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলতেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার বুক ও থুতনির মাঝে ইন্তিকাল করেন।’ (বুখারি– ৪৪৩৮)

৮. ঘর থেকে বের হওয়ার সময় স্ত্রীকে চুমু দেওয়া সুন্নাহ

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার এক স্ত্রীকে চুমা দিলেন, এরপর নামাজ আদায়ের জন্য বেরিয়ে গেলেন, কিন্তু অজু করেননি। আমি (উরওয়াহ) বললাম, আপনই সেই ব্যাক্তি। এতে তিনি (আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা) হাসলেন।’ (ইবনে মাজাহ ৫০২)

৯. স্ত্রীর প্রশংসা করা সুন্নাহ

হজরত আবু মুসা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, পুরুষের মধ্যে অনেকেই পূর্ণতা অর্জন করেছেন। কিন্তু নারীদের মধ্যে ফেরাউনের স্ত্রী আছিয়া এবং ইমরানের কন্যা মারইয়াম ছাড়া আর কেউ পূর্ণতা অর্জনে সক্ষম হয়নি। তবে আয়েশার মর্যাদা সব নারীর উপর এমন, যেমন সারীদের (গোশতের সুরুয়ায় ভিজা রুটির) মর্যাদা সকল প্রকার খাদ্যের উপর।’ (বুখারি ৩৪১১)

১০. স্ত্রীর কাজে সহায়তা করা সুন্নাহ

হজরত আসওয়াদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আমি আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে জিজ্ঞাসা করলাম, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘরে থাকা অবস্থায় কী করতেন? তিনি বললেন, ঘরের কাজ-কর্মে ব্যস্ত থাকতেন। অর্থাৎ পরিবারবর্গের (কাজে) সহায়তা করতেন। আর নামাজের সময় হলে নামাজের জন্য চলে যেতেন।’ (বুখারি ৬৭৬)
©️

17/07/2025

একজন রাক্বীকে ডায়াগনোসিস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো, জাবাবে তিনি বললেন,"তার ব্যক্তিগত আমলের মাধ্যমে ডায়াগনোসিস করে থাকে, রোগীর সম্পর্কে সকল তথ্য আমলের মাধ্যমে জানতে পারে।"

এখন আমার বক্তব্য হলো, এই ব্যক্তিগত আমলটা আসলেই কি?

তাকে দ্বিতীয়বার জিজ্ঞেস করা হলো, জ্বীনের সাহায্যে কাজ করা হয় কিনা!
জাবাবে তিনি বিষয়টা অস্বীকার করলেন।

এখন আমার প্রশ্ন হলো, এমন কি কোন আমলের কথা কুরআন হাদিসে আছে, যার মাধ্যমে রোগীর সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে পারা যায়?
নাকি রাক্বীর কাছে স্বপ্নে বা সরাসরি ওহী আসে?

🔹ইসলামের আমলের মাধ্যমে শারিরীক  ও মানসিক অনেক ধরণের রোগের চিকিৎসা হয়ে থাকে।প্রথমত, আমারা জানবো অসুস্থ হলে আমাদের করনীয় ব...
02/05/2025

🔹ইসলামের আমলের মাধ্যমে শারিরীক ও মানসিক অনেক ধরণের রোগের চিকিৎসা হয়ে থাকে।

প্রথমত, আমারা জানবো অসুস্থ হলে আমাদের করনীয় বিষয়বস্তু কী কী?

১. দোয়া করা। (দোয়ার আগে সলাতুল হাজত পড়ে নেওয়া উত্তম)
২. দান সাদাকা করা।
৩. চিকিৎসা গ্রহণ করা।

🔹আমলের মাধ্যমে চিকিৎসা!

1️⃣ সদকা একটা আমল যা সম্পর্কে কম বেশি সবাই জানে। যার মাধ্যমে অনেক সাওয়াব পাওয়া যায় তবে অনেকেই জানে না সদকার মাধ্যমে চিকিৎসাও হয়।

রাসূল সা. বলেন:

( دَاوُوْا مَرْضَاكُمْ بِالصَّدَقَةِ) "তোমরা সাদাক্বার মাধ্যমে তোমাদের রোগীদের প্রতিষেধকের ব্যবস্থা কর" (সহীহুল জামে-৩৩৫৮)।

দান-সাদাকা করলে পরকালে যেমন ছওয়াব মিলবে, ইহকালেও তেমনি উপকার পাওয়া যাবে। তাই সাধ্যমতো আমাদের সকলকে দান-সাদাকা করা উচিত। *আল্লাহ আমাদের তাওফীক দান করুন-আমীন!*

2️⃣ রোজা একটা গুরুত্বপূর্ণ আমল।যার মাধ্যমে শরীরের হজমশক্তি বৃষ্টি পায়,ওজন,রক্তচাপ,শর্করার পরিমাণ কমায়,হৃদযন্ত্রের ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতায় বাড়ায়।

রোগ প্রতিরোধে সহায়ক:

রাসূল (সা.) বলেন:

"রোগের চিকিৎসা করো রোযা রাখার মাধ্যমে।"
(আল-মুজাম আল-আওসাত, হাদীস: ৭৫৩২, ইমাম তাবরানী; যদিও এই হাদীসটি দুর্বল বলেছেন, তবে তা রোজার স্বাস্থ্য উপকারিতার দিকে ইঙ্গিত করে।)

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: "রোযা হলো ঢাল" (الصيام جنة)
সহিহ বুখারি (হাদীস: ১৯০৪), সহিহ মুসলিম (হাদীস: ১১৫১)

ঢাল মানে, এটা পাপ থেকে, শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে এবং খারাপ কাজ থেকে রক্ষা করে। এতে একজন মানুষ নিজের শরীর ও মনকে সংযত রাখতে শেখে।

শুধু রমজানের অপেক্ষা না করে সাপ্তাহ,মাস বা বছরের বিশেষ বিশেষ দিন রোজা রাখা উচিৎ। সাপ্তাহে সোমবার ও বৃহস্পতিবার। সাপ্তাহে সম্ভব না হলে মাসে তিন দিন। আরবি মাসের ১৩,১৪,১৫ তারিখের দিন গুলোতে রোজা রাখা যায়।

3️⃣ হিজামা বা সিংগা লাগানো রাসূল সা এর একটি সুন্নাহ আমল। এটি সম্পর্কে মানুষের মাঝে এখনো ভুল ধারণা রয়েছে।কিছু মানুষ মনে করে যে হিজামা শুধু শরীরের ব্যথা নিরাময়ে ব্যবহার হয়।অথচ চিকিৎসা ক্ষেত্রে তার ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে!

রাসূল (সা.) বলেন:

(إِنْ كَانَ فِي شَيْءٍ مِمَّا تَدَاوَيْتُمْ بِهِ خَيْرٌ فَالْحِجَامَةُ)
"হিজামা তোমাদের জন্য সর্বোত্তম চিকিৎসা পদ্ধতি।"
(সুনান আবু দাউদ, হাদিস: ৩৮৫৭)

আসিম ইবনু উমার ইবনু কাতাদাহ্ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিঃ) আমাদের পরিবারে এলেন, তখন জনৈক লোক খুঁজলী-পাঁচড়ায় অথবা (বর্ণনা সংশয়)- তিনি বললেন, আঘাতে অসুস্থ হয়েছিল। তিনি বললেন, তুমি কি অসুস্থতাবোধ করছো? সে বলল- আমার খুজলি-পাঁচড়া আমাকে ভয়ঙ্কর অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। তিনি তখন (খাদিমকে) বললেন, হে যুবক! আমার নিকট একজন শিঙ্গা প্রয়োগকারী ( থেরাপিস্ট) নিয়ে আসো। তখন তিনি তাকে বললেন,ফেরাপিস্ট দিয়ে আপনি কি করবেন, হে আবূ ’আবদুল্লাহ? তিনি বললেন, আমি তাতে একটা শিঙ্গার নল ঝুলাতে চাই। সে বলল, আল্লাহর শপথ মাছি আমার শরীরে বসলে কিংবা কাপড়ের ছোয়া আমার শরীরে লাগলে তা-ই আমাকে বেদনা দেয় এবং আমার জন্য কঠিন হয়ে পড়ে— (তাহলে শিঙ্গার বেদনা কি করে সহ্য করবো)?

তারপরে তিনি যখন ঐ ব্যাপারে তার ধৈর্যহারা লক্ষ্য করলেন তখন বললেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, তোমাদের ব্যবস্থাপত্রের কোন কিছুতে যদি কল্যাণ থেকে থাকে তাহলে তা শিঙ্গার নল অথবা মধুর শরবত পান অথবা আগুনের সেঁকে রয়েছে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (আরও) বলেছেন- (নিতান্ত প্রয়োজন না পড়লে) আমি গরম লোহার সেক লাগিয়ে চিকিৎসা করা অপছন্দ করি। বর্ণনাকারী বলেন, সে একজন শিঙ্গাবিদ (থেরাপিস্ট)) নিয়ে এলো, সে তার শিঙ্গা লাগাল। ফলে ব্যথানুভূতি বিদূরিত হয়ে গেল।

4️⃣ কুরআন তেলাওয়াত একটি ফজিলত পূর্ণ আমল।যার মাধ্যমে আমরা সর্বনিম্ন ১০ টি নেকি লাভ করি।

প্যারানর্মাল ( জ্বীন যাদু,বদনজর, ওয়াসওয়াসা) চিকিৎসা ক্ষেত্রে কুরআন পড়া ও শোনা হয় বারংবার। যার মাধ্যমে পানিও খাবারে ঝাড়-ফুঁ দিয়ে অনেক রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়।

আল্লাহ তাআলা বলেন:

(وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآنِ مَا هُوَ شِفَاءٌ وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ)

“আমি কুরআনে এমন কিছু নাযিল করি, যা মু’মিনদের জন্য শিফা ও রহমত।” (সূরা আল-ইসরা, ১৭:৮২)

আরও এসেছে:

يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُم مَّوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِّمَا فِي) الصُّدُورِ)

“হে মানুষ! তোমাদের কাছে তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে এসেছে উপদেশ এবং অন্তরের ব্যাধির জন্য শিফা।”
— (সূরা ইউনুস, ১০:৫৭)

সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে বর্ণিত আছে — সাহাবারা একবার এক গোত্রের নেতাকে সাপে কামড়ানো অবস্থায় রুকিয়া (কুরআন পড়ে দোয়া) করেছিলেন। তাঁরা সূরা ফাতিহা পড়ে ফুঁ দিয়েছিলেন এবং সেই ব্যক্তি সুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন।
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তা শুনে বলেছিলেন:

"তোমরা কিভাবে বুঝলে যে সূরা ফাতিহা রুকিয়া?" (সহীহ বুখারী, হাদিস ২২৭৬)

20/03/2025

وَلِكُلِّ دَرَجَاتٌ مِمَّا عَمِلُوا প্রত্যেক (জ্বিন ও মানুষ)-এর জন্য তাদের কর্ম অনুযায়ী (জান্নাতে ও জাহান্নামে) জায়গা আছে।
( সূরা আনফাল-১৩২)

17/03/2025

মানুষ বলে: ভাগ্যে যেটা আছে সেটাই হবে।
আল্লাহ বলেন: আমার কাছে চেয়ে দেখো ভাগ্য পরিবর্তন করার ক্ষমতাও আমার আছে।

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ لاَ يَزِيدُ فِي الْعُمْرِ إِلاَّ الْبِرُّ وَلاَ يَرُدُّ الْقَدَرَ إِلاَّ الدُّعَاءُ

রাসুলুল্লাহ (স) বলেছেন নেককাজ ব্যতীত অন্য কিছুতেই আয়ু বৃদ্ধি পায় না এবং দু'আ ব্যতীত তকদীর পরিবর্তন হয় না।

17/03/2025

☑️যখন কোন মোবাহ ও জায়েয কাজের ব্যাপারে সন্দেহ দেখা দেয় (ফরয ওয়াজিব কিংবা নাজায়েয কাজের জন্য এস্তেখারা নেই।) যেমন কোথায় বিবাহ শাদী করব, বিদেশ যাত্রা করব কি-না, বা হজ্জে কোন তারিখে যাব (হজ্জে যাব কি না-এরূপ এস্তেখারা হয় না) ইত্যাদি বিষয়ে মন স্থির করতে না পারলে বিশেষ এক পদ্ধতিতে আল্লাহর নিকট মঙ্গল প্রার্থনা করাকে এস্তেখারা বলে।

☑️ এস্তেখারার তরীকা হলঃ দুই রাকআত নফল নামায পড়ে মনোযোগের সাথে নিম্নোক্ত দুআ পাঠ করা, তারপর মনের মাঝে যে দিকে ঝোঁক সৃষ্টি হয় কিংবা যে বিষয়টা অধিক কল্যাণজনক মনে হয়, তাতে কল্যাণ নিহিত রয়েছে মনে করে সেটা করা। এক দিনে মনের অবস্থা এরূপ না হলে সাত দিন করা। তারপরও মন কোন দিকে না ঝুঁকলে ভাল মন্দ বিবেচনা পূর্বক কাজ করে ফেললে এস্তেখারার বরকতে এবং আল্লাহ্র রহমতে মঙ্গল হবে।

☑️ বিঃ দ্রঃ এস্তেখারা রাতের বেলায় করা এবং এস্তেখারার পর শয়ন করা এবং স্বপ্নের মাধ্যমেই এস্তেখারার ফল জানা যাবে-এরূপ জরুরী নয়। এস্তেখারা যে কোন সময় করা যায়। এস্তেখারার পর শয়ন করাও জরূরী নয়-জাগ্রত অবস্থায়ও তার মন যে কোন এক দিকে ঝুঁকে যেতে পারে, আবার স্বপ্নের মাধ্যমেও কিছু জানতে পারে।

☑️এস্তেখারার দুআ এইঃ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ وَاسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ الْعَظِيمِ فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلَا أَقْدِرُ وَتَعْلَمُ وَلَا أَعْلَمُ وَأَنتَ عَلَّامُ الْغُيُوبِ اللَّهُمَّ إن كُنتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الْأَمْرَ
- (এখানে هذا الأمر বলার সময় নিজের উদ্দেশ্যের কথা স্মরণ করবে।)
خَيْرٌ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِى فَاقْدِرُهُ لِي وَيَسْرُهُ لِى ثُمَّ بَارِكْ لِي فِيهِ وَإِنْ كُنتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الْأَمْرَ
- (এখানেও هَذَا الاَمُرَ বলার সময় নিজের উদ্দেশ্যের কথা স্মরণ করবে।)
شَرٌّ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِى فَاصْرِفُهُ عَنِّى وَاصْرِفْنِي عَنْهُ وَاقْدِرْ لِي الْخَيْرَ حَيْثُ كَانَ ثُمَّ أَرْضِنِي بِهِ -

☑️এস্তেখারার এই লম্বা দু'আ মুখস্ত না থাকলে সংক্ষিপ্ত এই দু'আটি পড়ে নিবে- اللَّهُمَّ خِرُ لِي وَاخْتَرْ لِي

☑️এস্তেখারার উপরোক্ত আরবীতে বর্ণিত দুআটি পড়া উত্তম, না পারলে মাতৃভাষায়ও দু'আ করা যায়।

17/03/2025

১.ব্রাদার রাহুলকে কিয়ামত পর্যন্ত চ্যালেঞ্জ দিলাম ৷ এই ভিডিওর জবাব দিতে পারলে আমি আহলে হাদিস হয়ে যাব ৷
Shaker Ullah Al Asad
এই লাইভের গুরুত্বপূর্ণ জবাব। ও রাহুলের মিথ্যাচারের মুখোশ উম্মোচন।
https://www.facebook.com/share/v/18parVUviR/

২. বিশ রাকাত তারাবি সহি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1143618150568343&id=100047605053945&mibextid=Nif5oz
৩. Br. Rahul Hossain - Ruhul Amin প্রথমে বিতর্কে বসার কথা বলেছিল। পরে তিনি এখন আর সাড়া দিচ্ছে না। প্রমাণ সহ দেখুন। https://www.facebook.com/share/v/15yfpC9xRP/

রমদ্বানে আকবর শয়তান বন্দী থাকলেও কিছু মানুষ রুপি শয়তান তার জায়গা দখল করে নিজেকে আকবর ক*বি/রা. নাম দিয়ে শয়তান কাজ চালাতে...
06/03/2025

রমদ্বানে আকবর শয়তান বন্দী থাকলেও কিছু মানুষ রুপি শয়তান তার জায়গা দখল করে নিজেকে আকবর ক*বি/রা. নাম দিয়ে শয়তান কাজ চালাতে থাকে।তাতে শয়তান আরো বেশি খুশি হয়।শয়তানক রিলাক্সে থেকে হাসে আর হয়তো বলে আমি না থাকলেও ১২ মাস এরাই আমার কাজটা চালাতে পারবে।

05/03/2025
05/03/2025

Address

Khirati

1730

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Raqi Zubayer posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Raqi Zubayer:

  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share