10/04/2025
২০১২-১৩ সালের দিকে samsung কোম্পানি বাংলাদেশে কোরিয়ান ইপিজেডে ২২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চেয়েছিল! কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের অসহযোগিতা, অবহেলা এবং গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে স্যামসাং কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে ব্যর্থ হন এবং বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত বাতিল করেন এবং সেই ২২ বিলিয়ন ডলার স্যামসাং কোম্পানি ভিয়েতনামে বিনিয়োগ করেন!
কিন্তু কথা হচ্ছে samsung যদি ২২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতো তাহলে দেশের এবং দেশের জনগণের জন্য তা কতটুকু কাজে আসতো এবং বিনিয়োগ না করায় আমাদের কি ক্ষতি হলো??
এর উত্তর হয়তো আপনাদের কাছেই আছে! তারপরেও আমার ব্যক্তিগত মতামত থেকে উত্তরটি দিচ্ছি!
প্রথমে বলতে চাই, samsung কোম্পানি বাংলাদেশে যে ২২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ না করায় বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের জন্য ভালো হয়েছে। এখন বলতে পারেন কিভাবে ভালো হয়েছে? বিগত দেড় দশক ধরে স্বৈরাচারী আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকার শুধু লুটপাট করেছে উন্নয়নের নামে বিশ্বের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বড় অংকের লোন নিয়েছে সেই টাকা পাচার করেছে আর সেই লোনের ভার পড়েছে দেশের উপর ও দেশের সাধারণ জনগণের উপর! তাহলে samsung কোম্পানির ২২ বিলিয়ন ডলারের দায়ভার থেকে আমরা মুক্ত! এটা হচ্ছে প্রশ্নের দ্বিতীয় অংশের উত্তর।
এখন প্রথম অংশের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছি!
samsung বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে দেশের কিছু নাগরিকদের উপকার হতো কিন্তু দেশের নয়। আমি কিন্তু সব নাগরিকদের কথা বলিনি, কিছু নাগরিকের কথা বলেছি! আশা করি বুঝতেই পারছেন সে নাগরিক কারা! যদিও তাদের বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার কোন যোগ্যতাই নেই । এবার একটু নাম ধরে বলার চেষ্টা করছি! samsung বাংলাদেশে ২২ বিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করলে বিনিয়োগের দুই দিনের মাথায় 20 বিলিয়ন ডলার 'জয় ফান্ডে' জমা হতো। যদিও জয় ফান্ডের সদস্য অনেক। 'জয় ফান্ড' আবার কি? এই নামটা আমি দিয়েছি! বিগত সরকারের ছেলের ফান্ড। মানে হাসিনা দেশের টাকা পাচার করে তার ছেলের কাছে পাঠাতো! বাকি যে দুই বিলিয়ন ডলার অবশিষ্ট ছিল সেই টাকাটা দেশের বিভিন্ন খাতে ইনভেসমেন্ট হত কিন্তু আরো অনেক চেলা পেলার কারণে তাও পুরোটা বিনিয়োগ হতো না! দিনশেষে দায়ভার দেশের আমরা সাধারণ জনগণ এবং দেশের উপর বর্তাত! তাহলে samsung যদি বাংলাদেশে তখন ২২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতো তাহলে তা দেশ এবং দেশের জনগণের জন্য কোন কাজে আসতো না বরং দেশ এবং দেশের জনগণের মাথায় আরও অতিরিক্ত ২২ বিলিয়ন ডলারের দায়ভার চাপতো!
এখন ডক্টর ইউনুস, আশিক চৌধুরীরা ভাঙ্গা মেরুদন্ডকে জোড়া লাগাতে দিনরাত চিকিৎসা করে যাচ্ছে!