03/10/2025
🎓 বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আইনজীবী তালিকাভুক্তি MCQ পরীক্ষা - ২০২৫ এর প্রস্তুতিি
তারিখ: ২৯ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশে একজন আইন শিক্ষার্থীর জন্য বার কাউন্সিল পরীক্ষা একটি বিশাল মাইলফলক। কারণ এই পরীক্ষার মাধ্যমেই একজন শিক্ষার্থী আইনজীবী হিসেবে তার পেশাগত জীবন শুরু করার সুযোগ পান। তাই সঠিক প্রস্তুতি এবং পরিকল্পিত অধ্যয়ন এখানে অপরিহার্য।
📚 পরীক্ষার কাঠামো
বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষা তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হয়:
1️⃣ বহুনির্বাচনী (MCQ) পরীক্ষা – ১০০ নম্বর
2️⃣ লিখিত পরীক্ষা
3️⃣ মৌখিক (ভাইভা) পরীক্ষা
প্রথম ধাপ MCQ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ন্যূনতম ৫০ নম্বর প্রয়োজন। তবে মনে রাখতে হবে, এখানে নেগেটিভ মার্কিং আছে, তাই অনুমাননির্ভর উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
📝 এমসিকিউ পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত বিষয়সমূহ (৭টি আইন)
দেওয়ানি কার্যবিধি আইন, ১৯০৮
ফৌজদারি কার্যবিধি আইন, ১৮৯৮
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, ১৮৭৭
দণ্ডবিধি আইন, ১৮৬০
সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২
তামাদি আইন, ১৯০৮
বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা, ১৯৭২
💡 প্রস্তুতির কার্যকর কৌশল
🔹 বেয়ার অ্যাক্ট পড়ার গুরুত্ব
শুধুমাত্র নোট বা গাইড নয়, মূল আইন (Bare Act) পড়া ছাড়া পরীক্ষায় ভালো করা সম্ভব নয়। এজন্য ধারাভিত্তিক বইগুলো ব্যবহার করতে পারেন, যেখানে উদাহরণসহ ধারা ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
🔹 ছোট আইন আগে শেষ করুন
তামাদি আইন ১৯০৮, সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ১৮৭৭ এবং বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২ তুলনামূলক ছোট কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই তিনটি আইন থেকে প্রায় ২৫ নম্বরের প্রশ্ন আসে। অর্থাৎ এগুলো ভালোভাবে পড়লে পাস নম্বরের অর্ধেক নিশ্চিত হয়ে যাবে।
🔹 বড় আইনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ধারা মুখস্থ করুন
দণ্ডবিধি ১৮৬০ (২০ নম্বর): অপরাধের সংজ্ঞা, সাধারণ ব্যাখ্যা, যৌথ দায়, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, খুন ও নরহত্যা, আঘাত, অপহরণ, ডাকাতি, প্রতারণা, জালিয়াতি, মানহানি, ধর্ষণ ইত্যাদি।
সাক্ষ্য আইন ১৮৭২ (১৫ নম্বর): অনুমান, প্রাসঙ্গিকতা, সাক্ষ্য প্রমাণ, প্রমাণের দায়িত্ব, বৈরী সাক্ষী, মৌখিক ও দালিলিক সাক্ষ্য।
দেওয়ানি কার্যবিধি ১৯০৮ ও ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ (৪০ নম্বর): সংজ্ঞা, এখতিয়ার, আপিল, রিভিশন, জামিন, এফআইআর, আমলযোগ্য ও আমল অযোগ্য মামলা, ধারা ১৪৪, প্লিডিংস, রায়, অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা, রিসিভার নিয়োগ ইত্যাদি।
🔎 অতিরিক্ত পরামর্শ
বিগত বছরের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন → এতে প্রশ্নের ধরণ ও বারবার আসা টপিকগুলো সহজে ধরতে পারবেন।
সময় ব্যবস্থাপনা অনুশীলন করুন- ১০০ প্রশ্ন সমাধানে নির্দিষ্ট সময় বণ্টন জরুরি।
নেগেটিভ মার্কিং মাথায় রাখুন - না জানা প্রশ্নে আন্দাজে উত্তর দেওয়ার পরিবর্তে বাদ দিন।
সংক্ষিপ্ত নোট তৈরি করুন - শেষ সময়ে দ্রুত রিভিশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ধারাগুলো এক পাতায় লিখে রাখুন।
পেশাগত নৈতিকতা অধ্যয়ন করুন - বার কাউন্সিল বিধিমালায় অ্যাডভোকেটদের কর্তব্য, আচরণ ও নৈতিকতার বিষয়গুলো থেকে প্রায়ই প্রশ্ন আসে।
✅ শেষ কথা
📌 পরীক্ষার্থীরা যদি ছোট আইনগুলো থেকে পাকা প্রস্তুতি নেন, দণ্ডবিধি ও সাক্ষ্য আইন থেকে গুরুত্বপূর্ণ ধারাগুলো আয়ত্ত করেন এবং দেওয়ানি ও ফৌজদারি কার্যবিধি নিয়মিত রিভিশন করেন, তাহলে এমসিকিউ পরীক্ষায় সহজেই ৫০+ নম্বর পাওয়া সম্ভব। এ পরীক্ষায় সফলতার মাধ্যমে শুরু হবে আপনার আইনজীবী জীবনের যাত্রা। তাই অধ্যবসায়, আত্মবিশ্বাস ও দোয়ার মাধ্যমে প্রস্তুত হোন।