Tuhi's Corner

Tuhi's Corner আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ!
সবাইকে স্বাগতম। ভালোবাসা দিয়ে পাশে থাকবেন ইন শা আল্লাহ!
(10)

আমি প্রেগন্যান্ট বাবার বাড়ি আসছি । হাজব্যান্ড মাসে ১২  হাজার করে দেয়। এমনি কপাল খারাপ আমি আসলে লব্ন থেকে শুরু করে কাঁচ...
02/10/2025

আমি প্রেগন্যান্ট বাবার বাড়ি আসছি । হাজব্যান্ড মাসে ১২ হাজার করে দেয়। এমনি কপাল খারাপ আমি আসলে লব্ন থেকে শুরু করে কাঁচাবাজার মাছ গোশত সব কিনতে হয়। আসার আগে বিকাশে টাকা দিয়েছি ৪ হাজার যাতে বাজার সদাই করতে পারে হাজব্যান্ড রেখে গেছে। ১ সপ্তাহে হলো হাঁস পালবে মা ২ হাজার টাকা দিলাম বাসায় এসেদেখি তেমন বাজার নাই ৬ হাজার টাকা দিলাম। চাচার ওষুখ 2 hazar taka দিলাম। আজকে বাবুরে নিয়ে ডাক্তার কাছে গেছি এসে দেখি ২ টা ছাগল নিয়ে বসে আছে ১৪ হাজার টাকা চাই। আমার নিজের কিছু টাকা আছে সেই টাকা দেখছে আমি রাগ করে ৭ হাজার দিছি। আমি নিজে প্রেগন্যান্ট সাথে ছোট বাবু আছে আমাকে বলে একটু হিসাব করে খাএই সময় মানুষ কি হিসেব করে খায়। এই ভাবে সাত দিনে ১৬ হাজার টাকা শেষ হাজব্যান্ড ২ মাসের জন্য ২৫ হাজার দিয়ে গেছে।আমার মাথা পাগল হয়ে যাচ্ছে কি করবো বন্ধুরা প্লিজ বলো। আমার বাবা কোন কাজ করে না চাল ডাল কিছুই কিনে না আমি স্বামীর র বাড়ি থেকে হেল্প করতাম। আমার মা এখন বলে ২৫ হাজার ২ মাসে কি হয় অথচ তারা একটি টাকাও খরচ করে না।
(সংগ্রহীত)

ডাক্তার দেখানোর পর গুলিস্তান থেকে গাড়িতে উঠলাম বাসায় আসার জন্য।।হঠাৎ গাড়িতে এই লোকটা উঠলেন কিছু পাপড় ভাজা আর আলুর চিপস ন...
28/09/2025

ডাক্তার দেখানোর পর গুলিস্তান থেকে গাড়িতে উঠলাম বাসায় আসার জন্য।।
হঠাৎ গাড়িতে এই লোকটা উঠলেন কিছু পাপড় ভাজা আর আলুর চিপস নিয়ে।
যখন একটা চিপসও বিক্রি করতে পারলেন তার মনটা খারাপ করে চলে যাচ্ছিলেন। আমি পিছনে ডাক দিয়ে একটা চিপস হাতে নিতেই কি ভীষণ কান্না শুরু করলেন। এইগুলো বিক্রি করতে না পারলে নাকি তার পরিবারে খাবার জুটবে না, বাসায় তার চাউল নাই।তারপর আমি আরও ৫ টা চিপস নিলাম সাথের একজনকেও নিতে বললাম।

আমি একটা জিনিস ভাবলাম এই বয়সে এসেও পুরুষ পরিবারের জন্য এত কিছু করে। একজন বাবা শুধুমাত্র একজন পুরুষ ই নন। তিনি ত বট বৃক্ষ যাকে আকড়ে ধরে বেচে থাকে একটি পরিবার।
ভাল থাকুক পৃথিবীর সকল বাবারা।
সংগৃহীত

অই ভাইরাল কেক ওয়ালা ভাই,যিনি নিজের স্ত্রীর বানানো কেক সেল করেন,তার বাসায় যেয়ে এক ভাই ব্লগ করেছেন।আর তিনি সত্যি ৫০+ কেক ব...
28/09/2025

অই ভাইরাল কেক ওয়ালা ভাই,যিনি নিজের স্ত্রীর বানানো কেক সেল করেন,তার বাসায় যেয়ে এক ভাই ব্লগ করেছেন।আর তিনি সত্যি ৫০+ কেক বাসায় বানায় তা প্রমানিত।

আসলে আমরা অনেক সময়,কিছু দেখেই কারও সম্পর্কে এমন কিছু ভেবে থাকি যা আদৌ সত্য নয়,ইভেন আমরা ভুল টা ভাবি,আবার তা প্রকাশও করি,ঠিক তখন তা হয়ে যায় অই ব্যক্তির জন্য অপবাদ।

আমি নিজের চোখ দিয়ে কিছু প্রমানিত না দেখে কখনো কারও ব্যপারে মন্দ ধারনা করিনা,ইভেন অনেক প্রমান থাকার পরেও।আমি সব সময় সু ধারনা রেখে চলার মানুষ। এজন্য অনেক বার আমি ভুল ও প্রমানিত হই,কিন্তু তবুও আমি অধিক ধারনা থেকে বির‍ত থাকি,আর এটাই উত্তম...

যাই হোক এই ওভেনে সে একসাথে ৬ টা কেক বেক করে,ওভেনটা কিন্তু সুন্দর আছে।

আমাদের পুকুরের ছোট মাছ, আলহামদুলিল্লাহ
28/09/2025

আমাদের পুকুরের ছোট মাছ, আলহামদুলিল্লাহ

কাউকে উপরে উঠলে দেখলে টেনে হিচড়ে নিচে নামানো আমাদের স্বভাবে পরিনত হয়েছে!!  দেশে কতজন কত বে আই*নী কাজ করে টাকা ইনকাম করছে...
28/09/2025

কাউকে উপরে উঠলে দেখলে টেনে হিচড়ে নিচে নামানো আমাদের স্বভাবে পরিনত হয়েছে!! দেশে কতজন কত বে আই*নী কাজ করে টাকা ইনকাম করছে!! কত বড় বড় ব্রান্ড স্বাদবিহীন, পঁচা বাসি খাবার বিক্রি করছে চড়া দামে, ভ্যাট কেটে!! খোলা আকাশের নিচে টেবিল পেতে বেঁচা ১০০ টাকার কেক এর স্বাদ নিয়ে বাঙালীর কত এক্সপেকটেশন অথচ দেশের ২০ কোটি মানুষই চেনে এমন ব্রান্ডেড শপ থেকে ২৪০ টাকায় একটা পেস্ট্রি কিনে খাওয়ার সময় বাসি মনে হলেও আমরা বেমালুম ইগনোর করি!! যেন বলাই নিষেধ!! Voice আমরা কেবল উঁচু করতে পারি মধ্যবিত্তের জন্য! হাতে থাকা ক্যামেরা টা কেবল মধ্যবিত্ত খেটে খাওয়া মানুষের জন্য তাক করি!! সমালোচনা, কটা*ক্ষ, সন্দে*হ, প্রশ্নবাণ কেবল ছুড়তে পারি নাজুকেরেই।
লোকটার একটা ভিডিও তে সেদিন দেখেছিলাম সে ক্লেরিফিকেশন দিচ্ছে যে কিভাবে দিনে ৪০ টা কেক বানায়! তার এক ওভেন এ ৬ টা কেক at a time বানানো হয়, তার ওয়াইফ কে সাহায্য করেন একজন শেফ যার একটা কেক ডেকোরেশন করতে সময় লাগে মাত্র ২ মিনিট কেননা সর্বোচ্চ সিম্পল ডেকরেশন করেন!! এবং যার সবই সত্য কথা.. সে কোথা থেকে কাচামাল কেনে তার ডিটেইলস ও দিয়েছিলেন একবার বা কয়েকবার। কি, কেন, কিভাবে এর সব উত্তর সে দিয়েছে, দিতে পেরেছেন । দেখাতেও পেরেছেন..
যেই সাহস দেশের অনেক বড় বড় কেক এর ব্রান্ড এর ও নাই 🙃 আমরাও জানতে চাইবোনা, কারণ তারা নামিদামী ব্রান্ড ‼️

ছোট উদ্যোক্তাদের সম্মান করেন ভাই। ছোট থেকেই সবাই বড় হয়! বরং যারা বড় হওয়ার পর সততা বেঁচে দিসে তাদেরকে প্রশ্ন করেন, অভিযোগ করেন, সমালোচনা করেন। ছোট কে ছোট করার কাজ না করে নিজের জীবনে সময় দেন। কারণ সে একদিন বড় হয়েই যাবে, আপনি এখানেই পরে থাকবেন!! কারণ আপনি যখন আপনার সময় আরেকজন কে নামাতে ব্যয় করেছেন, সে তখন তার স্বপ্ন পূরণের জন্য খেটেছে। ❤️

picture collected.

দেখেহলন এসবের কান্ড দেখেন৷
26/09/2025

দেখেহলন এসবের কান্ড দেখেন৷

শুভ সকাল সবাইকে 🌸
26/09/2025

শুভ সকাল সবাইকে 🌸

সবাইকে শুভ রাত্রি!!
25/09/2025

সবাইকে শুভ রাত্রি!!

আব্বার কাছে জানতে চাইলাম,ছেলে মেয়েরে একটা সরকারি চাকরিতে ঢোকানোর জন্য আজ কালকার বাপেরা লাখ লাখ টা'কা খরচ করে। আমার জন্য ...
25/09/2025

আব্বার কাছে জানতে চাইলাম,

ছেলে মেয়েরে একটা সরকারি চাকরিতে ঢোকানোর জন্য আজ কালকার বাপেরা লাখ লাখ টা'কা খরচ করে। আমার জন্য তুমি কী করছো ??

আব্বা বলল, সার্টিফিকেটে তোর বয়স দুই বছর কমিয়ে দিছি..!

ভাবা যায় 🤨

মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি গত মাসে। একমাত্র মেয়ে। ছেলেটা ছোট এখনো কলেজে পড়ে।।আজ মেয়ের বাসায় দাওয়াত পরেছে। ইফতারের দাওয়াত। কাল রা...
18/09/2025

মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি গত মাসে। একমাত্র মেয়ে। ছেলেটা ছোট এখনো কলেজে পড়ে।।
আজ মেয়ের বাসায় দাওয়াত পরেছে। ইফতারের দাওয়াত।
কাল রাতেই মেয়েকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করলাম - তোর কি কি খেতে মন চায়? কি কি আনবো?

মেয়ে আমার এক লম্বা লিস্ট ম্যাসেজ করে পাঠালো। কিন্তু লিস্টের কোথাও মেয়ের পছন্দের কোন কিছু দেখলাম না। আমার মিসেস কে বললাম,, মেয়ে তো জীবনেও মিষ্টি খায় নাই। আজ এতগুলা পদের মিষ্টি নিতে বলল কেন?
ফলও তো কোনদিন জোর করে খাওয়াতে পারি নাই। তবুও ৬ পদের ফলের নাম লিখে দিছে। আবার লিখছে ১০ কেজি দেশি দুধ আর ৮ টা দেশি মুরগি নিতে। এগুলাও তো তারে খাওয়াইতে পারতাম না এই বাসায় রেখে। এক মাসেই মেয়ের খাবারের রুচি বদলে গেলো? যাক ভালো অভ্যাস হয়েছে।

সে কোন কথার উত্তর দিলো না। যেন তার এতে কোন মাথা ব্যাথা নেই।

সকাল সকাল উঠে ঠাটারি বাজার গিয়ে দেশি মোরগ নিলাম। আগের রাতে একজনকে গোয়ালের দুধ এনে দিতে বলেছিলাম। সেও নিয়ে হাজির।

যাওয়ার পথে ফল আর মিষ্টি কিনে নিবো।।

আমি যখন দুপুর বেলা নামাজে পড় রেডি হচ্ছি তখন আমার স্ত্রী মাত্র কুরআন পড়তে বসলো।
তার মেয়ের বাড়িতে যে তার দাওয়াত সেটা সে পাত্তাই দিচ্ছে না।

জোরে এক ধমক দিয়ে বললাম - মেয়েটার বাসায় তাড়াতাড়ি যাবো। দুটো গল্প করবো তা না উনি দেরি করে যাবে।।

সে এখানেও কোন কথা না বলে এক পাতা পড়ে উঠে গেলো রেডি হতে।।
ছেলেকেও ধমকিয়ে রেডি করলাম।
আমার বাসা থেকে ওর বাসায় যেতে প্রায় ৪৫ মিনিট লাগে। রাস্তায় জ্যাম থাকলে আরো বেশি সময় লাগে।

এক সিএনজি তে সবার জায়গা হচ্ছে না।
আমি মুরগি দুধ নিয়ে এক সিএনজি তে উঠলাম আর মা ছেলেকে আরেকটায় তুলে দিলাম।
রাস্তা থেকে ওর লিস্ট করা সব ফল নিলাম।।

আমার ভীষণ আনন্দ লাগছে। মেয়েটাকে কত দিন পর দেখবো। কত কথা জমে আছে।
ছেলের চেয়ে মেয়েটাকেই আমার বেশি আপন লাগে। ও জন্মনোর সময় বারবার করে আল্লাহর কাছে বলেছি আল্লাহ একটা জান্নাত দিয়েন আমার ঘরে। মেয়েটার নামও রেখেছি জান্নাত।।

ওদের বাসায় গিয়ে দরজায় নক করতেই বেয়াই সাহেব গেট খুলে দিলো। একে একে সবাই আসলো আমাদের স্বাগতম জানাতে। কিন্তু মেয়েটা এলো না।
যা যা এনেছি সব ওদের হাতে তুলে দিচ্ছিলাম কিন্তু কারো মুখে তেমন আনন্দ দেখলাম না।।

আমরা বসেছি পরে মেয়েটা দৌড়ে আসলো। আমাকে দেখেই হেসে বললো - তুমি অনেক শুকায় গেছো আব্বা। আমি উঠে দাঁড়িয়ে মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরতে হাত বাড়িয়ে দিলাম।।

তখন আমার জান্নাত বললো - আব্বা আমার গায়ে অনেক ঘাম। তুমি ফ্যানের নিচে বসো। রেস্ট নেও। আমি চুলায় রান্না রেখে আসছি। আমি যাই।

আমার হাত দুইটা ওভাবেই নামিয়ে নিলাম।।

সে তার মা আর ভাই এর সাথে কুশল বিনিময় করে রান্না ঘরে চলে গেলো।
আমাদের সাথে ড্রইং রুমে বসে রইলো তার শাশুড়ি, শশুর, জামাই আর দেবর।
রোজা রেখেছি তাই পানি খাওয়া সম্ভব না। আজ যে গরম টা পরেছে একদম মগজ গরম হয়ে যাওয়ার মত।

এই ভাবতে ভাবতে দেখি বেয়াই বললেন - আজ অনেক গরম পরেছে। আমার রুমে এসে বসেন। এসি টা চালিয়ে দেই।।
তার রুমের দরজা দিয়ে এসিটা চালিয়ে দিলো।

এরপর সবাই নানা বিষয়ে কথা শুরু করলো।

আমার মনটা এসিতেও ঠান্ডা হচ্ছিলো না।
মেয়েটা আমার তখনও চুলার সামনে দাঁড়িয়ে এই গরমে রান্না করছে।।

আসরের নামাজের সময় ওরা সবাই যখন নামাজে অন্য রুমে গেলো,মেয়ে আবার আসলো আমাদের কাছে।
এসে চুপিচুপি বলল - আব্বা তোমাকে না বলছিলাম ৩ রকমের মিষ্টি আনতে? তুমি এক রকমের অনলা কেন? মুরগি গুলাও ছোট। তরমুজটাও বেশি বড় না।

শুনে আমার মনটা আরও খারাপ হয়ে গেলো।
আমার স্ত্রী খুব স্বাভাবিক ভাবেই শুনছে।

আমি বললাম - তুই যে মিষ্টি খাস এটাই তো আমি জানিনা।
- আহা আব্বা আমার জন্য না। ওদের জন্য।।

রুমে জামাই ঢুকলো আর মেয়ে আমার বলল - তোমরা বসে গল্প করো আমি রান্না করতে যাই।

ওর পুরা গা ঘামে ভেজা।

এই মেয়েকে কত যত্নে রেখেছি। গরমে যেন কষ্ট না করে তাই ওর রুমে সবার আগে এসি দিয়েছিলাম। এখন সেটা ছেলে ব্যবহার করে।।
আর এখন মেয়েটা গরমে কত কষ্ট করছে। বিয়েতে জামাই কেও একটা এসি দিয়েছি। এবার গিয়ে দেখলাম ঐটা ওর শ্বশুরের রুমে লাগিয়েছে।

সবাই একেক করে
ইফতারের আগে দিয়ে সবাই টেবিলে বসলো। জামাই মোবাইলে কি যেন দেখছে আর হাসছে।

মেয়ে তখনও রান্নাঘরে।
একটু পর প্রায় ১০-১২ পদের ইফতার টেবিলে পরিবেশন করলো।।
আজান দিলো।
মেয়েটা তখন আমার পাশে বসে একটু ইফতার করল।
ইফতার করা অবস্থায় ওর জামাই বলল - চায়ের পানি বসাও নাই???
জান্নাত চেয়ার থেকে উঠে বলল - আল্লাহ একদম ভুলে গেছি।
এই বলে আবার রান্নাঘরে দৌড় দিলো।।

আসার পর থেকে মেয়েটার সাথে একটুও কথা বলার সুযোগ পাই নি।

সবার ইফতার শেষে যে যার মত টেবিলে থালা বাটি রেখে চায়ের কাপ নিয়ে উঠে গেলো আবারো এসি রুমে।
আমাদেরও ডাকলো।
আমি তখন বললাম - আমার অত গরম লাগছে না। আমি সামনের রুমেই বসি।।

মন চাইলো না। আমার স্ত্রী ও ছেলে গেলো। কিন্তু আমি গেলাম না।
কারন আমার সামনেই জান্নাত সবার এটো থালা নিচ্ছে ধোয়ার জন্য।
আমি বললাম - তোর বাসায় বুয়া নেই?

মেয়ে একটু হেসে বলল - বুয়া আছে। কিন্তু সে তো তার কাজ করে সকালেই চলে গেছে।

ও রান্নাঘরে সব ধোয়া মাজা করছে।
আওয়াজ পাচ্ছি।
এর মধ্যে সবার চায়ের কাপ নিয়ে জামাই জান্নাতের কাছে এনে বলল - এই নাও কাপগুলো।।

জান্নাত এগুলাও ধোয়া শুরু করলো।

সব ধোয়া শেষ করে ওড়নায় হাত মুছতে মুছতে আমার কাছে এসে বলল - আব্বা তুমি এখানে কেন? এই রুমে যে গরম। যাও ঐ রুমে গিয়ে বসে ওদের সাথে গল্প করো।

আমি বললাম - তুই আমার পাশে বস। একটু কথা বলি।

ও আবার হেসে বলল - আরে নাহ। রাতের ডিনার এখনো রান্না হয় নাই। ঐটা বসাতে হবে।

এই বলে উঠে গেলো।
আমি বসেই রইলাম।
কিছু ভালো লাগছে না। ভীষণ রাগ রাগ লাগছে।

রাতের রান্না শেষ করে জান্নাত সবাইকে টেবিলে ডাকলো। সবাই একেক করে বসলো।
আমি বললাম - আমার ক্ষুধা নাই। ইফতার বেশি খেয়ে ফেলছি।
জান্নাত জোর করে বলল - একটু হলেও খাওয়া লাগবে।
বেয়াই বেয়াইনো জোর করলো।
খেতে বসলাম কিন্তু খাওয়া ভেতরে যাচ্ছেনা।
সবাই খেতে বসেছে। সবাইকে খাবার বেড়ে দিচ্ছে আমার মেয়ে। কিন্তু সে বসলো না।
বলল সে সবার শেষে খাবে।
খেয়াল করলাম তার হাতে তেলের ছিটে আসা অনেকগুলো দাগ।
আমি জানি সবার খাওয়া শেষে সে আবারো রান্নাঘরে গিয়ে থালাবাটি ধুবে। হয়ত সব শেষ করে আরো কয়েক ঘন্টা পর খাবে।

তাই হলো। আমাদের খাইয়ে সে রান্নাঘরে গেলো ধোয়ার কাজ করতে।

আমার তখন রাগে গা জ্বলে যাচ্ছে।।
আমার স্ত্রীকে বললাম - বাসায় চলো। রাত হইছে।

সেও সম্মতি জানালো।
জান্নাত রান্নাঘর থেকে দৌড়ে আসলো। আর বলল - আরেকটু থাকো তোমরা।

বাকিরাও বলল।

আমি খুব করে বলতে চাচ্ছিলাম যতক্ষন থাকবো তোমাকে শুধু কাজ করতে দেখবো। আমার ভালো লাগবে না।

কিন্তু কিছু না বলে রাত বেশি হয়ে যাচ্ছে সেই দোহাই দিয়ে বেরিয়ে গেলাম।

পুরা রাস্তায় কেউ কোন কথা বললাম না। এবার এক সিএনজতেই আসলাম।

বাসায় ফিরে আর রাগ ধরে রাখতে পারলাম না।
জান্নাতের মাকে বললাম - আমি মেয়েকে কাল যেয়ে নিয়ে আসবো। মেয়ের অবস্থা দেখছো? ঐ বাসার কেউ মেয়েটাকে একটুও হেল্প করে না। সবাই সুন্দর আরাম করে। জামাইটাও একটা গাধা। বসে বসে মোবাইল টিপে। ননসেন্স ফ্যামিলি। এইখানে আর মেয়েকে রাখবো না। অনেক হইছে। তার উপর উনাদের বাজার পছন্দ হয় নাই বলে মেয়েকে না জানি কি বলেছে আর আমরা আসার পর কি কি যেন আরো শুনাবে। না না এখানে না।
ইডিয়েট একেকটা।

মিসেস খুব স্বাভাবিক ভাবে বলল - মাথা ঠান্ডা করো।
এই বলে সে কাপড় বদলাতে লাগলো।
আমি বললাম - আমি আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি তোমাকে দেখে। কিভাবে পারছো এগুলা দেখে স্বাভাবিক হতে? মেয়ের জন্য কি মায়া লাগে না???

শাড়ির পিন খুলতে খুলতে সে খাটেতে বসলো।
আমার দিকে তাকিয়ে বলল - তোমার মেয়ে যা করছে, সেটা আমিও বিয়ের পর থেকে করে আসছি। তোমার কোনদিন মনে হয়নি আমিও কারো মেয়ে। তোমার কোনদিন মনে হয়নি আমারো কষ্ট হয়। তোমার কাছে যেমন সব স্বাভাবিক লেগেছে আমার কাছেও এখন এসব স্বাভাবিক লাগে। আমি আমার বাবার বাড়ি যেতে নিলেই তুমি তোমার মায়ের অসুস্থতায় কে দেখবে তাকে বলে থামিয়ে দিতে। আমার বাবার বাড়ি থেকেও কেউ আসলে তাদের হাতের দিক তাকিয়ে থাকতো সবাই কি এনেছে এই দেখার জন্য। একটু কথা বলারও সুযোগ পেতাম না। নিজের পছন্দ সই খাবার খাই নি কতদিন। এরপর তো ভুলেই গেলাম কি যে আমার পছন্দ। আস্তে আস্তে ধরে নিলাম এটাই স্বাভাবিক জীবন।
আমার জন্য এগুলা নতুন না। তাই আমার কাছে সব স্বাভাবিক ই লেগেছে। যেভাবে আমার মায়ের লেগেছিলো আমার জন্য। শুধু জান্নাতের বাবা হলে হয় না। জান্নাতের স্বামীও হতে হয়। স্ত্রীকে জান্নাতের মত পরিবেশও করে দিতে হয়।

এই বলে সে দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বলল - রাতে তো খেয়ে এসেছি। গোসল সেরে আসি। সেহেরির রান্না করা লাগবে।

এই বলে সে উঠে বাথরুমের দিকে গেলো।

আমার মুখে শ' মনের একটা তালা দিয়ে গেলো।
মুখ দিয়ে কিছুই বের হচ্ছে না। এতো বছর পর যেন চাপা আগুন বের করলো আজ।

সে একটা কথাও মিথ্যা বলে নাই। স্ত্রীর জন্য যদি সেসময় আমার খারাপ লাগতো আজ হয়ত মেয়ের কপালটাতেও বিবেকবান এক স্বামী জুটতো।

কিছুই ভালো লাগছিলো না আর। উঠে গিয়ে এসি রুম থেকে ছেলেকে ডেকে বের করলাম।
বললাম- তোমার আম্মা এখন রেস্ট করবে।
আসো আমরা সেহেরির রান্নাটা করে ফেলি।

ছেলে বেশ হাসি মুখে আমার সাথে সঙ্গ দিতে চলে আসলো। বুঝতে পারলাম সে আমার মত বিবেকহীন হয় নি।
তার মা গোসল থেকে বেরিয়ে দেখল ছেলে সবজি কাটছে আর আমি চাল ধুয়ে ভাত বসাচ্ছি।

আমি ছেলেকে বলছি - শোন বাবা তোর বৌ যেন তোর মা আর বোনের মত কষ্ট না পায়।

সে দরজার ধারেই দাঁড়িয়ে রইলো। কিছু বলল না। তার চোখের দিকে তাকানোর সাহস হলো না। তবে মনে হলো তার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।

সংগৃহীত

নতুন শীমের তরকারি, মজা 😋
16/09/2025

নতুন শীমের তরকারি, মজা 😋

K: ম্যাডাম, ঘর মোছা  শেষ, একটা কথা কমু?? M: বল, কি কথা।K: আমার দশদিনের ছুটি লাগবো,  দ্যাশে যামু।M: দশ দিন, বলিস কি!  আমা...
16/09/2025

K: ম্যাডাম, ঘর মোছা শেষ, একটা কথা কমু??

M: বল, কি কথা।

K: আমার দশদিনের ছুটি লাগবো, দ্যাশে যামু।

M: দশ দিন, বলিস কি! আমার সংসার তো জাহান্নামে যাবে।

K: আমি কি করুম! দেশে আমার বোনের বিয়া ঠিক হইছে।

M: এখানে তোর সাহেবের জামাকাপড় ধোঁয়া, জুতা পালিশ করা, অফিসের খাওয়া তৈরি, সকাল বিকেল চা বানিয়ে দেয়া, ঔষধ খাওয়ানো কে করবে তাহলে???

K: আপনে যুদি কন, তয় সাহেবরেও লগে করে নিয়া যাই?? 😑

Address

Gazipur

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Tuhi's Corner posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share