Valobashar Golpo Kobita

  • Home
  • Valobashar Golpo Kobita

Valobashar Golpo Kobita বাংলা গল্প, কবিতা, উপন্যাস, বাস্তব জীব?

ভালোবাসার সজ্ঞা নতুন করে কিছুই দেয়ার নেই। নেই ভালোবাসার কোনো প্রতিদান। ভালোবাসা শুধুই ভালোবাসা। ভালোবাসার কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। ভালবাসা সবার জন্যে, সবকিছুর জন্যে। আসুন আমরা সবাই মিলে আমাদের ভালোবাসার গন্ডিটাকে আরো বিসৃত করি। ভালোবাসার কথা লিখুন আপনার প্রিয় মানুষটাকে নিয়ে, প্রিয় বন্ধু কে নিয়ে, বাবা-মা কে নিয়ে, আমাদের দেশ কে নিয়ে....অথবা খুব প্রিয় কোনো জায়গা নিয়েও হতে পারে। অর্থাৎ আপনার ভ

ালোলাগা-ভালোবাসার যেকোনো কিছু নিয়েই লিখুন আমাদের এই ব্লগে।

**** আপনার নিজের লিখা কোন গল্প, কবিতা বা জানা কোন সত্যি কাহিনী পাঠাতে চাইলে পাঠাতে পারেন। গল্প ও কবিতার সাথে আপনার নাম, ঠিকানাও প্রকাশ করতে পারবেন। পাঠানোর জন্য মেইল করুন- [email protected]
অথবা - https://www.facebook.com/pages/Valobashar-Golpo-Kobita/801670246575496?

যারা গল্প পাঠাতে চান অবশ্যই বাংলায় লিখে পাঠাবেন।
লেখা পাঠানোর নিয়মঃ

(ক) লেখা কম্পিউটারে বাংলা অক্ষরে টাইপ করে পাঠাতে হবে।

(খ) লেখা পরিচ্ছন্ন হতে হবে ।

(গ) যেকোন প্রয়োজনে গল্পকারের সংগে কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করবেন।

(ঘ) কোন প্রকার অশালীন শব্দ ব্যবহার করা যাবে না।

(ঙ) নকল লেখা হলে তার দায়দায়িত্ব লেখককে বহন করতে হবে।

(চ) শ্রেষ্ঠত্ব নির্ধারণে বিচারক পাঠকের রায়ই চুড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।

যেকোনো অভিযোগ, পরামর্শের জন্যও মেইল করতে পারেন।
*** ধন্যবাদ ***

28/03/2025

মাহমুদ ফ্যাশনের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ও ঈদ বোনাসের দাবিতে ঢাকা - রংপুর মহাসড়ক অবরোধ সেনাবাহিনীর ৭ মিনিটের আল্টিমেটাম রাস্তা ক্লিয়ার করার এবং ৭ মিনিট পর সেনাবাহিনীর রাস্তা ক্লিয়ার করার অভিযান। বাড়ইপাড়া, আশুলিয়া, সাভার।

শেখ হাসিনা নিউ ইয়র্ক সফরে এসে দিনের পর দিন হোটেলে অপেক্ষা করতেন যদি আমেরিকান সরকারের কারো সাথে কোনোরকমে একটা মিটিং আয়ো...
24/09/2024

শেখ হাসিনা নিউ ইয়র্ক সফরে এসে দিনের পর দিন হোটেলে অপেক্ষা করতেন যদি আমেরিকান সরকারের কারো সাথে কোনোরকমে একটা মিটিং আয়োজন করা যায়। আমেরিকা সফরে এসে সাদা চামড়ার কারো সাথে মিটিংয়ের একটা ছবি সংবাদপত্রে প্রকাশ নাহলে কি মান ইজ্জত থাকে? তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেছিলেন হাসিনার ইংল্যান্ড ও আমেরিকা সফরের আগে সেসব দেশের সরকারের উচ্চ পর্যায়ের মানুষের সাথে মিটিং অনুরোধ করে ইমেইল করেছিলেন কিন্তু কেউ উত্তরই দেয়নি। ভারতে হাসিনা আর পুতুলের সাথে বাইডেন হলওয়ে তে সেলফি তুলেছিলেন এটা নিয়ে দেশে দুই সপ্তাহ ধরে ক্লাস ফাইভের ছেলেমেয়েদের মতো হাসিনা সহ আওয়ামীলীগের নেতৃত্বের হাস্যকর উচ্ছ্বাস নিশ্চয়ই সবার মনে আছে!

Dr Yunus এর ৩ দিনের সংক্ষিপ্ত নিউ ইয়র্ক সফরে যাদের সাথে bilateral মিটিং করবেন:

১) আমেরিকান প্রেসিডেন্ট Biden
২) আমেরিকান পররাষ্ট্রমন্ত্রী Blinken
৩) জাতিসংঘের মহাসচিব
৪) জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান
৫) ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট
৬) বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট
৭) USAID administrator
৮) নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী
৯) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
১০) নেপালের প্রধানমন্ত্রী
১১) ইতালির প্রেসিডেন্ট
১২) কুয়েতের crown prince
১৩) চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

শেখ হাসিনা গত ৫ বছরে এত্তজন হাই প্রোফাইল foreign dignitaries দের সাথে meeting করেছেন বলে মনে হয়না!

Dr Yunus এর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সম্মান ও গ্রহণযোগ্যতা বাংলাদেশকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে। ছোটখাটো বিষয়ে অনুযোগ অভিযোগ না করে এই মানুষটিকে সবাই মিলে সাহায্য করেন আমাদের দেশটাকে সঠিক পথে নিয়ে আসতে। উনি ৮৪ বছরের বয়স্ক মানুষ। বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে তার পাওয়ার কিছুই নাই। সম্মান, পরিচিতি, খ্যাতি, টাকা তার সব আছে। আমাদের দেশকে উনি দিতে পারেন অনেক কিছু যদি আমরা ফালতু বিষয় নিয়ে বিতর্ক না করে, নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ বাদ দিয়ে তাঁকে একটু সহযোগিতা করি। এমন সুযোগ এই জাতির জীবনে নিকট ভবিষ্যতে আর আসবেনা!

আমার দেশ এই মুহূর্তে পৃথিবীর একমাত্র দেশ যার সরকার প্রধাণ একজন নোবেল laureate। ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে Dr Yunus যখন বক্তৃতা দিতে দাঁড়াবেন, টিভির পর্দায় চোখ রাখুন; আমার বিশ্বাস যে সারা পৃথিবীর সরকার প্রধানরা চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে লম্বা সময় নিয়ে হাত তালি দিয়ে উনাকে সম্মান জানাবে। আমার দেশ, আপনি, আমি আমরা সবাই এই অনন্য সম্মানের অংশীদার!

Copied

নাটোরের প্রভাবশালী এক নেতার সাথে সখ্যতা ছিলো। তিনি প্রায়ই খুশি হয়ে হালকা পাতলা কিছু গিফট পাঠাতেন। একদিন তার ঢাকার বাড়িতে...
04/09/2024

নাটোরের প্রভাবশালী এক নেতার সাথে সখ্যতা ছিলো। তিনি প্রায়ই খুশি হয়ে হালকা পাতলা কিছু গিফট পাঠাতেন। একদিন তার ঢাকার বাড়িতে কফির দাওয়াতে দেখা করি। তিনি যথেষ্ট রোমান্টিক মানুষ। খুব হাসাতে পারতেন। মজা করতে পারতেন। এমনকি কিছু বলাও লাগতোনা। তার দাতালো হাসি দেখেই হাসি পেতো।

সেদিন খালি বাসায় আড্ডা খুব জমেছিল আমাদের। তার সরলতার মুগ্ধতায় ভুল করে বসি আমি। নিজেকে সঁপে দেই তার বাহুডোরে। সম্বিত ফিরে এলে অনুশোচনা জাগে। তিনি আমার অনুশোচনা দূর করে মনে শান্তি আনতে করলেন কি জানেন?
আমাকে কোলে তুলে নিয়ে ড্রেসিং টেবিলের বড় আয়নার সামনে দাঁড় করালেন। তারপর গলায় আচমকা পড়িয়ে দিলেন একটি ডায়মন্ড পেনডেন্ট। জীবনে প্রথম হীরার অলংকার দেখে আমি অভিভূত হয়ে গেলাম। অনুশোচনাবোধ উবে গেল। রোমান্টিকতায় মুগ্ধ হয়ে বিবাহিত নেতার প্রেমে পড়ে গেলাম মূহুর্তে!

তারপর আর কিছু নিয়ে ভাবিনি।
শুধু কাশফুলের নরম ছোয়ায় মজেছি নেতার নেত্রী হয়ে। আর প্রতিবার ভালোবাসার পর পেয়েছি একটি করে ডায়মন্ড পেনডেন্ট।

কিন্তু...
আমার সুখের দিন বেশিদিন সয়নি। দেশে শুরু হয়েছিল কু-ছাত্রদের দেশব্যাপী নৈরাজ্য। নেতার নেত্রী চলে গেলেন।

নেতা আটকা পড়লেন।

সুখের দিনগুলি আমার আজ নেই। স্মৃতি হিসেবে আছে শুধু নেতার দিয়ে যাওয়া ২৪ টি পেনডেন্ট। সেগুলো বুকে জড়িয়ে ধরে বিছানায় পড়ে থেকে সারাদিন আরাশের 'ব্রকেন এঞ্জেল' গান শুনতাম সারাদিন।

আমি ভাবতেই পারিনি, দুঃখ আমার এখানেই শেষ নয়!

গতকাল খবর পেলাম নেতা যে ব্রান্ডের পেনডেন্টগুলো আমায় দিয়ে আসছিলেন এতদিন, সে ব্রান্ড নাকি ভেজাল রত্ন বিক্রি করতো। মাথায় বাজ পড়ে নিচ পর্যন্ত জ্বলে গেল যেন। এ আমার কি হয়ে গেল!
আমার ইজ্জত তো ভেজাল ছিলোনা!!

নেতার প্রেমিকা
#ভালোবাসা #কবিতা #গল্প

আপনি সেক্স করলে কতক্ষণ করতে পারবেন? দশ মিনিট, বিশ মিনিট, সর্বোচ্চ চল্লিশ মিনিট।এই চল্লিশ মিনিটের আনন্দ উপভোগ করার জন্য, ...
02/09/2024

আপনি সেক্স করলে কতক্ষণ করতে পারবেন? দশ মিনিট, বিশ মিনিট, সর্বোচ্চ চল্লিশ মিনিট।
এই চল্লিশ মিনিটের আনন্দ উপভোগ করার জন্য, একটা মেয়েকে ভালোবাসার মায়ায় ফেলে বাকি ত্রিশটা বছরের জীবন কেনো নষ্ট করছেন? এই চল্লিশ মিনিটের আনন্দ উপভোগ করার জন্য জন্য আপনি পতিতালয়ে বিভিন্ন বয়সের মহিলা পাবেন, যারা আপনাকে চল্লিশ মিনিটের বেশিও তৃপ্তি দিবে (কারণ আপনি ভালবাসার যোগ্য না।) সেখানে গিয়ে আপনার আনন্দটা উপভোগ করে আসতে পারেন। তবুও একটা মেয়ের সাথে বাকি ত্রিশ বছরের জীবন নষ্ট করা থেকে বিরত থাকুন ভাই।
আপনি ছেলে, আপনার উত্তেজনা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তাই বলে কি, একটা মেয়ের সাথে ভালোবাসার দোহাই দিয়ে তার জীবনটা নষ্ট করতেই হবে? আপনি কি একবারও ভেবেছেন, কতটা বিশ্বাস করার পর মেয়েটা আপনাকে তার জীবনের সম্মানটা বিলিয়ে দিচ্ছে? আপনি তা একবারও না ভেবে, মেয়েটার সম্মানটা নিয়ে তারপর তাকে আর চিনতেও রাজি না। আর চিনবেন ই বা কেনো, আপনি যা করতে চাচ্ছিলেন, তা তো করেই ফেলেছেন। কিন্তু মেয়েটার কথা একবার ও ভাবলেন না যে, আপনার চল্লিশ মিনিটের আনন্দের জন্য মেয়েটার জীবনটা নষ্ট হয়ে গেলো।
নারীদের ভালবাসতে শিখুন ওদেরকে সম্মান করতে শিখুন।

কারন যেদিন বুঝবেন ভালবাসা হারালে কি ব্যথা সেদিন আর চাইলেও ভালবাসা এই পৃথিবীতে পাবেন না।
পোস্ট টা কিছু মানুষের জন্য লেখা; সবার জন্য না। কারন যে ভালবাসে সে বিয়ের আগে যৌন উত্তেজনা নিয়ন্ত্রনে রাখবে ভালোবেসেই।
#ভালোবাসা #গল্প #কবিতা

11/07/2024

#সবাইকে লেখাটি পড়ার জন্য অনুরোধ করছি #

বাবার সাথে প্রায় ঘন্টা খানেক ধরে ব্যাংকে বসে আছি।
বিরক্ত হচ্ছি খুব।
যত না নিজের উপর, তার চেয়ে বেশি বাবার উপর।
অনেকটা রাগ করেই বললাম-
"বাবা, কতবার বলেছি,অনলাইন ব্যাঙ্কিংটা শিখো। "
বাবা বললেন --
এটা শিখলে কি হবে?
-- ঘরে বসেই তুমি এই সামান্য কাজটা করতে পারতে।
শুধু ব্যাংকিং না,
শপিংটাও তুমি অন- লাইনে করতে পারো।
ঘরে বসে ডেলিভারি পেতে পারো।
খুবই সহজ।
কিন্তু এই সহজ জিনিসটাই তুমি করবে না।
বাবা জানতে চাইলেন --
করলে আমাকে ঘরের বাইরে বের হতে হতো না-
তাই না?
-- হ্যাঁ, বাবা তাই।
এখানে এসে ঘন্টা খানেক অনর্থক বসে থাকতে হতো না।
এরপর বাবা যা বললেন
তাতে আমি নির্বাক হয়ে গেলাম।
বাবা বললেন:-
এতো সময় বাঁচিয়ে তোমরা কি করো ?
ফোনেই তো সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকো।
কবে শেষদিন তুমি তোমার ফুফুর সাথে কথা বলেছো?
দশ হাত দূরে প্রতিবেশী --
বৃদ্ধ সেজো কাকার খবর নিয়েছো ?
অথচ, আপন জনের সাথে দেখা করতে
আমরা দশ মাইল পথ হেঁটেছি।
সময় বাঁচানোর চিন্তা করিনি।
মানুষ যদি মানুষের পাশেই না যায়-
তবে এতো সময় বাঁচিয়ে কি হবে বলো ?
বাবার কথা পাশ থেকে মানুষেরা শুনছেন।
আমি চুপচাপ বসে আছি।
বাবা বললেন --
ব্যাংকে প্রবেশের পর থেকে
চারজন বন্ধুর সাথে কুশল বিনিময় করেছি।
তুমি জানো, আমি ঘরে একা।
তাই ঘর থেকে বের হয়ে আসাটাই আমার আনন্দ।
এইসব মানুষের সাহচর্যটাই আমার সঙ্গ।
আমার তো এখন সময়ের কমতি নেই।
মানুষের সাহচর্যেরই কমতি আছে।
ডিভাইস, হোম-ডেলিভারি,
এনে দেবে অনেক কিছু, কিন্তু
মানুষের সাহচর্য তো আমায় এনে দেবে না।
মনে পড়ে, দু বছর আগে
আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম।
যে দোকান থেকে আমি
দৈনন্দিন কেনাকাটা করি,
তিনিই আমাকে দেখতে গিয়েছিলেন।
আমার পাশে বসে থেকে
মাথায় হাত রেখেছিলেন।
আমার চোখ অশ্রুসিক্ত হয়েছিলো।
তোমার ডিভাইস বড়জোড় একটা যান্ত্রিক ইমেইল পাঠাবে,
কিন্তু আমার পাশে বসে থেকে
চোখের জল তো মুছে দেবে না,
বরং মনের কষ্ট আরও বাড়াবে, তাই না ।
চোখের জল মুছে দেয়ার মতো
কোনো ডিভাইস কি তৈরি হয়েছে?
সকালে হাঁটতে গিয়ে তোমার মা পড়ে গিয়েছিলেন।
কে তাকে ঘরে পৌঁছে দিয়েছিলো?
অনলাইন মানুষের একাউন্ট চেনে,
সে তো মানুষ চেনে না!
মানুষের ঠিকানা চেনে, কিন্তু
রাস্তায় পড়ে থাকা মানুষের ঘর তো চেনে না!
এই যে মানুষ আমার শয্যাপাশে ছিলো,
তোমার মাকে ঘরে পৌঁছে দিলো,
কারণ - দৈনন্দিন নানা প্রয়োজনে
একজন আরেকজনকে চিনেছি।
সবকিছু অনলাইন হয়ে গেলে --
মানুষ "হিউম্যান টাচটা" কোথায় পাবে বলো ?
আর পায় না বলেই --
পাশের ঘরে মানুষ মরে গিয়ে লাশ হয়ে থাকে,
দুর্গন্ধ না আসা পর্যন্ত
কেউ কারো খবরও আর রাখে না।
বড় বড় অ্যাপার্টমেন্টগুলো আমাদের
" অ্যাপার্টই " করে দিয়েছে ।
পুরো পাড়ায় একটা টেলিভিশনে
কোনো অনুষ্ঠান একসাথে দেখে সবার আনন্দ,
আমরা একসাথে জড়ো করতাম।
এখন আমরা রুমে রুমে
নানা ডিভাইস জড়ো করেছি।
আনন্দ আর জড়ো করতে পারি না।
এই যে ব্যাংকের ক্যাশিয়ারকে দেখছো --
তুমি তাঁকে ক্যাশিয়ার হিসাবেই দেখছো,
সেলসম্যানকে সেলসম্যান হিসাবেই দেখছো।
কিন্তু আমি সুখ- দুঃখের অনুভূতির
একজন মানুষকেও দেখছি।
তাঁর চোখ দেখছি।
মুখের ভাষা দেখছি।
হৃদয়ের কান্না দেখছি।
ঘরে ফেরার আকুতি দেখছি ।
এই যে মানুষ মানুষকে দেখা,
এটা একটা বন্ধন তৈরি করে।
অনলাইন শুধু সার্ভিস দিতে পারে,
এই বন্ধন দিতে পারে না।
পণ্য দিতে পারে,
পুণ্য দিতে পারে না।
এই যে মানুষের সাথে হাসিমুখে কথা বলা,
কুশলাদি জিগ্যেস করা --
এখানে শুধু পণ্যের সম্পর্ক নেই,
পুণ্যের সম্পর্কও আছে।
-- বাবা, তাহলে টেকনোলজি কি খারাপ ? আমি জানতে চাই।
বাবা বললেন --
টেকনোলজি খারাপ না। অনেক কিছু সহজ করেছে নিঃসন্দেহে সত্য।
ভিডিও কলের মাধ্যমে লাখে লাখে ছেলেমেয়েরা পড়ছে,
শিখছে, এটা তো টেকনোলজিরই উপহার।
তবে, টেকনোলজির নেশাটাই খারাপ।
স্ক্রিন অ্যাডিকশন
ড্রাগ অ্যাডিকশনের চেয়ে কোনো অংশে কম না।
দেখতে হবে,
ডিভাইস যেন আমাদের মানবিক সত্ত্বার
মৃত্যু না ঘটায়।
আমরা যেন টেকনোলজির দাসে পরিণত না হই।
মানুষ ডিভাইস ব্যবহার করবে।
মানুষের সাথে সম্পর্ক তৈরি করবে।
কিন্ত ভয়ঙ্কর সত্য হলো,
এখন আমরা মানুষকে ব্যবহার করি,
আর ডিভাইসের সাথে সম্পর্ক তৈরি করি।
মানুষ ঘুম থেকে ওঠে আপন সন্তানের মুখ দেখার আগে মোবাইলের স্ক্রিন দেখে,
সায়েন্টিফিক রিসার্চ ইন্সটিউট
এটাকে ভয়ঙ্কর মানসিক অসুখ বলে ঘোষণা করেছে।
কিছুদিন আগে আশা ভোঁসলে
একটা ছবি পোস্ট করে ক্যাপশান লিখেছেন-
" আমার চারপাশে মানুষ বসে আছে --
কিন্তু কথা বলার মানুষ নেই।
কারণ সবার হাতে ডিভাইস।"
বাবা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন --
জানি না ভুল বলছি কি-না,
তবে আমার মনে হয়,
তোমরা পণ্যের লোগো যতো চেনো,
স্বজনের চেহারা ততো চেনো না।
তাই,যতো পারো মানুষের সাথে সম্পর্ক তৈরি করো,
ডিভাইসের সাথে না।
টেকনোলজি জীবন নয়।
স্পেন্ড টাইম উইথ পিপল,
নট উইথ ভিডাইস।
এ সময় বাবাকে কাকা বলে কে একজন ডাক দিলেন...।
বাবা কাউন্টারের দিকে হেঁটে যাচ্ছেন।
এই প্রথম আমি বুঝতে পারলাম --
বাবা কেবল ক্যাশিয়ারের দিকে যাচ্ছেন না,
একজন মানুষ,আরেকজন মানুষের কাছেই যাচ্ছেন।
বাবাকে আমি অনলাইন শেখাতে চেয়েছিলাম,
বাবা আমাকে লাইফলাইন শিখিয়ে দিলেন।

❤ 😍💖 "ভালোবাসি পিচ্চি বউ " ❤ 😍 💖 "তোর স্ত্রী তো মেডিকেলে চান্স পেলো। কিছুদিন পর দেখবি ডাক্তারের সাথে প'রকীয়ায় জড়িয়েছে"গ্...
02/08/2023

❤ 😍💖 "ভালোবাসি পিচ্চি বউ " ❤ 😍 💖

"তোর স্ত্রী তো মেডিকেলে চান্স পেলো। কিছুদিন পর দেখবি ডাক্তারের সাথে প'রকীয়ায় জড়িয়েছে"

গ্যারেজ থেকে বাড়ি ফিরতে লোকজনের মুখে এমন কথা শুনে আমি হতভম্ব হয়ে বাড়িতে গেলাম। আমার স্ত্রী সেতুকে বললাম

"তুমি মেডিকেলে চান্স পাইছো?"

সেতু আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো "হ্যা। ঢাকা মেডিকেলে চান্স পাইছি "

সেই রাতে আমাদের আনন্দের বাঁধ রইলো না। সারারাত বাড়িতে দু'জন মিলে নাচগান করে কাটালাম।

আমার বাসা রংপুরে। সেতুকে ঢাকায় রেখে আসতে আমার ভিষণ কষ্ট হতে লাগলো। কিন্তু উপায় নেই! সেতুকে পড়াশোনার জন্য সেখানেই থাকতে হবে। বাড়ি ফিরতেই লোকজন বলাবলি শুরু করলো

"বউকে একা ঢাকা শহরে রেখে এলি? ওই বউয়ের আশা আর নাই। মেয়ে মানুষের উপর বিশ্বাস নাই"

লোকজনের এমন কথায় আমি বিন্দুমাত্র কান দিলাম না। সেতুকে আমি বিশ্বাস করি, ভালোবাসি। ও কখনো আমাকে কষ্ট দিবে না এটা আমি মনপ্রাণে বিশ্বাস করি।

সমস্যাটা হলো কিছুদিন পরে। সেতু আমার সাথে কথা বলা কমিয়ে দিলো। আমি ফোন করলে বলে ব্যস্ত আছি। আমার মনের ভেতরটা ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে।

তার তিন-চারদিনের মাথায় সেতু ফোন করে বললো

"এই কয়েকদিন অনেক ব্যস্ত ছিলাম গো। কয়েকটা টিউশনি জোগাড় করেছি। এতে আমাদের সংসার চলে যাবে। আমাদের বিয়ের জন্য তো তুমি পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে সংসার সামলাতে শুরু করলে। তুমি ঢাকায় চলে আসো। টিউশনি করিয়ে আমি সংসারের টাকা জোগাড় করতে পারবো। তুমি আবার পড়াশোনা শুরু করো। এতোদিন তুমি আমার পড়াশোনা চালিয়েছো এবার আমি তোমার পড়াশোনার খরচ চালাবো"

আমি চোখের জল মুছে বললাম "পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে তোমাকে বিয়ে করাটা ছিলো আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ এক সিদ্ধান্ত। অনেক ভালোবাসি পিচ্চি বউ"

সেতু মুচকি হেসে বললো
"আমি এখন বড় হয়ে গেছি, হুহ"

***** সমাপ্ত *****

এই রকম সুন্দর সুন্দর গল্প পেতে আমাদের পেইজি ফলো দিয়ে রাখুন এবং লাইক, কমেন্টস, শেয়ার করুন।

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Valobashar Golpo Kobita posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Valobashar Golpo Kobita:

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share