
10/03/2025
BREAKING NEWS
"অনিকের মহা অনশন ও প্রেমের মহাশক্তি!"
রাত ৯টা। চারদিক নিস্তব্ধ, শুধু নিয়ন আলোয় কংক্রিটের রাস্তার ওপর এক যুবক মাটিতে বসে আছে, হাতে মোবাইল, চোখে এক আকাশ হতাশা। বলছি কৃষি বিভাগের অনিকের কথা। আজকে নাকি অনিক তার প্রেমিকার ছেকায় এতটাই বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে যে, রাতের অন্ধকারে একাই মেয়েদের হলের রাস্তায় বসে অনশন শুরু করেছে!(শিক্ষার্থীদের ভাষ্যমতে)
এই খবর মুহূর্তের মধ্যে পুরো ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ে। কৃষি বিভাগের তার বন্ধু, সিনিয়র, জুনিয়র ছুটে আসে, কেউ বলে—
"ভাই, এই ক্যাম্পাসে কতজন ছেকা খায়! সবাই যদি রাস্তায় বসতো, তাহলে সিঙ্গেল ছেলে-মেয়েরা চলাচল করবে কিভাবে?"
কেউ বা বলে—
"ভাই, আরেকটা খুঁজে নাও! বিশ্বে এখনো ৪ বিলিয়ন মেয়ে আছে!"
কিন্তু অনিকের ভাঙা মন কারও কথায় গলে না!
এক পর্যায়ে সিনিয়ররা এসে বুদ্ধি দেওয়া শুরু করলেন। এক ভাই এসে বললেন—
"শোন, আমি তিনবার ছেকা খেয়ে পিএইচডি করছি! তুমি কেন রাস্তায়?"
অনিক কেবল মাথা নাড়লো, কিন্তু উঠে দাঁড়ালো না।
এরপর সবাই উপায় খুঁজতে লাগল, কিন্তু কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছে না! তখন এক বন্ধু বলল—
"ভাই, একমাত্র তার এক্সের কথাতেই সে উঠতে পারে!"
সবাই সম্মত হলো, এবং অনিকের সেই প্রাক্তনকে ফোন দিলো। প্রথমে সে রাজি হচ্ছিল না, কিন্তু বন্ধুদের চাপাচাপিতে শেষ পর্যন্ত রাজি হলো।
রাত ১টা। ক্যাম্পাসের বাতাস থমথমে। হঠাৎ রাস্তার অন্যপ্রান্ত থেকে এক ছায়ামূর্তি এগিয়ে আসছে—এটাই অনিকের সেই প্রাক্তন! সে কাছে এসে শান্ত স্বরে বলল—
"উঠো!"
অনিক এক সেকেন্ডের জন্য থমকালো, তারপর এমন গতিতে উঠে দাঁড়ালো যে সবাই হতবাক! বন্ধুরা অবাক হয়ে ভাবছে—"এতক্ষণ কি তাহলে নাটক করছিল?"
প্রাক্তন আসার পর অনিকের মুখে এক নিমিষে প্রশান্তির ছাপ পড়লো। বন্ধুরা তখন থেকে গবেষণা করছে—"ছেকা পাওয়ার অভিনয় করছিল, নাকি সত্যিই প্রেমের মহাশক্তিতে অনশন ভাঙলো?"
এদিকে ক্যাম্পাসের বিশেষজ্ঞরা বলছে—"এখন থেকে ক্যাম্পাসে কেউ ছেকা খেয়ে রাস্তায় বসলে, সরাসরি এক্সকে ফোন দাও!"
অনিকের সাথে আমরা যোগাযোগ করেছি। সে বলেছে, "পেস্টক্লবের নিউজটি সঠিক নয়। আমি এখন সুস্থ আছি কিন্তু আমার সাথে অন্যায় করা হয়েছে। আমি পরবর্তী দিনের জন্য অপেক্ষায় আছি, এর প্রতিশোধ নিয়েই ছাড়বো।"
তবে তিনি কিসের প্রতিশোধ নেবেন সেটা জানা যায়নি।