12/04/2025
নাস্তিকদের মানবতার মুখোশ খুলে গেছে।
নাস্তিকদের মানবতার মুখোশ খুলে গেছে। তাদের চরম সাম্প্রদায়িকতা স্পষ্ট হয়েছে। গাজায় যখন গণহত্যা চলছে তখন গাজাকে গাঁজা বলে ব্যাঙ্গ করছে ধর্ষক নাস্তিক আব্দুল্লাহ আল-মাসূদ ( ধর্ষক বিশেষণটি মাসূদের নিজের স্বীকারোক্তি)।
আরেক মানবতার ফেরিওয়ালা লাড্ডু ইমরান। যিনি কিনা নাস্তিক হওয়ার পর সর্বপ্রথম যে অভিযোগগুলো ইসলামের বিরুদ্ধে তুলেছিলো। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিলো এই 'মানবতা'। মানবতার জন্য তার কাঁদোকাঁদো মন। কাঁপা কাঁপা ঠোঁটের মধুমিশ্রিত বাণী শুনে তার প্রতি এক প্রকার মায়াই জন্ম হয়েছিলো। কিন্তু হায়... এগুলো যে ছিলো লাড্ডুর ভণ্ডামি তা বুঝতেও পারিনি । মানবতার এই চরম বিপর্যয়ে আমি প্রায়ই তার টাইম লাইনে ঢু মারি যদি একটা পোস্ট পাই মানবতার পক্ষে। কিন্তু না, মানবতার পক্ষে তার কোন পোস্ট নাই। সেই কাঁদোকাঁদো মন আর কাঁপা কাঁপা ঠোঁটে এখন ভণ্ডামির প্রতিচ্ছবি ভাসছে।
আসাদ নূর। তার টাইম লাইনে ঘুরে পেলাম গণহত্যার মৌনসমর্থন। যেটা আসলে জাতির সামনে আসা খুবই জরুরি। মানবতার জন্য গড়াগড়ি খাওয়া এক নাস্তিক এতটা নিষ্ঠুর কিভাবে হতে পারে। চমকে উঠার মত। তার হাজার হাজার অনুসারী তার মতই উগ্র। ইনি গালিবাজ তা জানতাম। ইনি যেমন গালাগালির উস্তাদ তার অনুসরণকারীও গালাগালিতে সেরা। এনাদের গালাগালি শুনলে মনে হবে গালাগালিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিটেড। কিন্তু এতটা নিষ্ঠুরতম মনের অধিকারী তিনি সেটা জানতাম না। তার অনুসারীদের নিষ্ঠুরতা যে কী পরিমান তা আল্লাহ মালুম।
তসলিমা নাসরীন। আরেক মানবতার ফেরিওয়ালী। নারী মুক্তির জন্য জীবনটা উৎসর্গ করেছেন। সেটা অবশ্য গাজার নারীদের জন্য না। তার পথের অনুসারী নারীদের জন্য। কিন্তু এমন নারী অধিকার নিয়ে লেখাবাজ একজন নারী কি গাজার নারীদের জীবনের জন্য একটু লিখতে পারেন না। অধিকারের চেয়ে কি জীবন তুচ্ছ? কিন্তু কি উদ্ভূত ব্যাপার উল্টো গাজার নিহত নারীদের ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে বিষোদগারে তিনি ব্যস্ত।
হায়... এদের মানবতা তখনই গুরুত্বপূর্ণ যখন ভুক্তভোগী মুসলিম নয়। সাম্প্রদায়িক মানসিকতার চরম লেভেলে পৌঁছে গেছে এদের নাস্তিকতা।
না, না, গাজার নিহত ও আহত নারী শিশুকে নাস্তিকরা সাহায্য করবে এ জন্য লিখছি না। লিখছি নাস্তিকদের মানবতার এই করুণ দশা তুলে ধরার জন্য। সাধারণ নাস্তিক যারা তাদের খপ্পরে পড়ে নাস্তিক হয়েছেন তাদের জন্য। যারা এদের মুখে মানবতার গপ্পো শুনে বিভোর হয়ে পড়েন তাদের জন্য। যেই শিক্ষিত সেকুলারপন্থী মুসলিমরা এদেরকে মানবিক মনে করেন তাদের ভুল ভাঙানোর জন্য।
মানবতার হাত বাড়িয়ে দিতে যদি ধর্ম বিশ্বাস বাঁধা হয়ে দাড়ায়। ছোট্ট ছোট্ট নিষ্পাপ শিশু যারা হয়তো এখনো বুঝেই উঠতে পারিনি পৃথিবীটা কেমন। তাদের বেলাও যদি ধর্ম বিশ্বাসের হিসাব কষে বিদ্বেষী মনোভাব পোষণ করা হয়। তাহলে শতাব্দীর এই চরম নিকৃষ্ট মানুষগুলোর আধিক্য ও আধিপত্য ধ্বংস হয়ে যাক।
গাজার ধ্বংস স্তুপ থেকে একদিন মানবতা মুক্তি পাবে। প্রতিটি শিশুর রক্তের ফোটা একেকটি গোলাপ হয়ে ফুটবে। যার সুবাসে সুবাসিত হবে পুরো পৃথিবী ইনশাআল্লাহ।
গাজার গণহত্যার জন্য একবুক কষ্ট আর নাস্তিকদের এহেন মানসিকতার প্রতি ঘৃণা নিয়ে সমাপ্ত করলা।
সত্যমনা লেখক_
মুফতি আব্দুর রাজ্জাক
( কমেন্ট বক্সে প্রতিটি কথার রেফারেন্স দেওয়া হলো)