Gowainghat24

Gowainghat24 মাটি ও মানুষের কথা বলে
(1)

গোয়াইনঘাটে, সালুটিকর বঙ্গবীর রাস্তায়, তোয়াকুল ইউনিয়নের ধন্যবাদ সংবলিত দুইটি সীমানা সাইনবোর্ড নির্মানের পরে সংস্কারের অভা...
02/07/2025

গোয়াইনঘাটে, সালুটিকর বঙ্গবীর রাস্তায়, তোয়াকুল ইউনিয়নের ধন্যবাদ সংবলিত দুইটি সীমানা সাইনবোর্ড নির্মানের পরে সংস্কারের অভাবে, বর্তমানে পরিচয়হীন জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে।
সাইনবোর্ড দ্বয় নবরূপে সংস্কার করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে দাবী জানিয়েছেন ইউনিয়নের সচেতন নাগরিক বৃন্দ।
* এতেকরে পর্যটন সমৃদ্ধ এলাকায় নতুন পথচারীদের লোকেশন পরিচিতি সহজ ও ইউনিয়নের পরিচিতি বৃদ্ধি পাবে বলে তারা আশাবাদী।

* সাইনবোর্ডের একটি হলো উল্লেখিত রাস্তার তোয়াকুল ইউনিয়নে পেকের খাল গ্রামের সম্মুখে, অপরটি সোনার বাংলা স্কুলঅস্থ মেন্ডেরিয়া রিসোর্টের পাশে ।।

* ছবি তথ্য: piyandarpan24.com ( পিয়াইন দর্পণ)
#পিয়াইনদর্পণ

স্মৃতিতে অম্লান ‘জনতার এমপি’ দিলদার হোসেন সেলিমসিলেট-৪ (জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বর...
05/05/2025

স্মৃতিতে অম্লান ‘জনতার এমপি’ দিলদার হোসেন সেলিম

সিলেট-৪ (জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বর্ষীয়ান রাজনীতিক দিলদার হোসেন সেলিমের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ (৫ মে)।
২০২১ সালের এই দিনে সিলেট নগরীর মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে দোয়া মাহফিলসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ক্রীড়া অঙ্গনেও ছিল সেলিমের সরব উপস্থিতি। বৃহত্তর সিলেটের রাজনীতিতে সম্প্রীতির ধারা প্রতিষ্ঠায় তার অবদান আজও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন সকলে। শুধু দলীয় নয়, বিরোধী দলীয় নেতারাও সেলিমকে একজন উদার, নির্লোভ ও মানবিক নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে মূল্যায়ন করেন।
ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন দিলদার হোসেন সেলিম। স্বাধীনতা-পূর্ব সময়ে ছাত্র ইউনিয়ন থেকে এমসি কলেজ ছাত্র সংসদের জিএস এবং স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ছাত্রলীগ থেকে ভিপি নির্বাচিত হন।
স্বাধীনতার পর এক সময় আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও ১৯৯৬ সালে প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের হাত ধরে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। ২০০১ সালের নির্বাচনে সিলেট-৪ আসন থেকে বিএনপির টিকিটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তী সময়ে ২০০৮ ও ২০১৮ সালে তিনি পুনরায় নির্বাচন করেন। কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
রাজনীতির বাইরে তিনি ছিলেন সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক। সংসদ সদস্য হওয়ার আগে গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে দলীয় রাজনীতির পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলেন রাজপথে সক্রিয়। তরুণদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছেন, পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাস মোকাবিলা করেও রাজনীতি করেছেন সাহসিকতার সঙ্গে।
তার মৃত্যুতে বিএনপি হারায় এক নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিবীদকে। সিলেটবাসী হারায় এক অকৃত্রিম অভিভাবককে। স্থানীয় রাজনীতিকদের মতে, ‘সিলেট বিএনপিতে আর একজন সেলিম সৃষ্টি হবে না।’
তার মতো নেতার কর্মই তার চিরন্তন পরিচয় হয়ে থাকবে। নতুন প্রজন্ম তার সংগ্রামী জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে এগিয়ে আসবে,এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।

কিশোর কিশোরী ক্লাব
03/05/2025

কিশোর কিশোরী ক্লাব

কিশোর কিশোরী ক্লাব তোয়াকুল
26/04/2025

কিশোর কিশোরী ক্লাব তোয়াকুল

তোয়াকুল কিশোর কিশোরী ক্লাব... আবৃত্তি ক্লাস...
19/04/2025

তোয়াকুল কিশোর কিশোরী ক্লাব...
আবৃত্তি ক্লাস...

22/03/2025

"ভুলে যেতে চাইলেও ভুলা যায়না" ইসলামি সংগীত
সজিবুর রহমান, শিক্ষার্থী, ফুলতৈলছগাম তায়ালীমূল কুরআন নূরানী মাদ্রাসা ।।

পিয়াইন দর্পণ

||সিলেটের ছক্কা ছয়ফুর.! তাঁর নাম ছয়ফুর রহমান। পেশায় ছিলেন বাবুর্চি। খুব নামিদামি বাবুর্চি এমন নয়। সিলেটের সালুটিকর নামের...
22/03/2025

||সিলেটের ছক্কা ছয়ফুর.!
তাঁর নাম ছয়ফুর রহমান। পেশায় ছিলেন বাবুর্চি। খুব নামিদামি বাবুর্চি এমন নয়। সিলেটের সালুটিকর নামের একেবারেই গ্রাম্য বাজারের পাশের ছাপড়া ঘরের দিন আনি দিন খাই বাবুর্চি। তাঁর দ্বিতীয় পেশা ছিল ঠেলাগাড়ি চালনা।

যখন বাবুর্চিগিরি করে আয় রোজগার হতো না তখন ঠেলাগাড়ি চালাতেন। কিন্তু এই লোকটির ছিল অসম সাহস। যেকোনো ইস্যুতে তিনি একেবারেই জনসম্পৃক্ত রাজনীতি করতেন। ধরুন সালুটিকর থেকে শহরে আসার বাসভাড়া আটআনা বেড়ে গেছে। ছয়ফুর রহমান কোর্ট পয়েন্টে একটা মাইক বেঁধে নিয়ে ওইদিন বিকালে প্রতিবাদ সভা করবেনই করবেন।

বক্তা হিসেবে অসম্ভব রসিক লোক ছিলেন। ছড়ার সুরে সুরে বক্তৃতা করবেন। তারপর মূল ইস্যু নিয়ে অনেক রসিকতা করবেন; কিন্তু দাবি তাঁর ঠিকই থাকবে। তার বক্তৃতা শুনতে সাধারণ শ্রমজীবি মানুষের ভিড় হতো। তো বক্তৃতা শেষ হওয়ার পরেই তিনি একটুকরো কাপড় বের করে সামনে রাখতেন। তারপর সবাইকে সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় বলতেন, 'আমি এই যে আপনাদের জন্য আন্দোলন করতেছি, আমার মাইকের খরচ দিবে কে? মাইকের খরচ দেন।'

অদ্ভুত ব্যাপার হল, কোনোদিনই মাইকের খরচ উঠতে দেরি হয়েছে এমনটা হয়নি। দুই টাকা, এক টাকা করে তার সামনের কাপড়টি ভরে উঠত। তারপর যখন তিনশ' টাকা হয়ে গেল তখন মাইকের খরচ উঠে গেছে; তিনি তার কাপড়টি বন্ধ করে দিতেন।

অনেক সময় তার লেখা বই বিক্রি করেও জনসভার খরচ তুলতেন। অদ্ভুত কয়েকটি চটি সাইজের বই ছিল তার। একটির নাম 'বাবুর্চি প্রেসিডেন্ট হতে চায়'। সেই বইটির পেছনে তার দাত-মুখ খিচানো একটা সাদাকালো ছবি, নিচে লেখা 'দুর্নীতিবাজদেরকে দেখলেই এরকম ভ্যাংচি দিতে হবে'।

ছয়ফুর রহমান প্রথম দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আশির দশকের শুরুতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে। তখন দেশে সরাসরি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতেন। তো সব প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর নিরাপত্তার জন্যই সঙ্গে পুলিশ দেওয়া হলো। ছয়ফুর তাঁর নিরাপত্তার জন্য দেিয়া পুলিশ প্রত্যাখ্যান করে বললেন, 'এদেরকে খাওয়ানোর সাধ্য আমার নাই'। তবু সরকারি চাপাচাপিতে তাকে নূন্যতম দুইজন পুলিশ সঙ্গে নিতে হলো। সে সময় দেখা যেত রিক্সায় দুইপাশে দুই কনেস্টবল আর ছয়ফুর রহমান রিক্সার মাঝখানে উঁচু হয়ে বসে কোথাও যাচ্ছেন।

নির্বাচনে খারাপ করেননি। সেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি ৬০-৬৫ জন প্রার্থীর মাঝে ৮ নম্বর হয়েছিলেন। তারপর এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, 'আমি দেশের ৮ নম্বর প্রেসিডেন্ট। ইলেকশনের দিন বাকি ৭ জন মরে গেলে আমি প্রেসিডেন্ট হতে পারতাম।'

অদ্ভুত এবং মজাদার সব নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল তাঁর। যেমন, দেশের কোনো রাস্তাঘাট পাকা করার দরকার নেই! রাস্তা তুলে দিয়ে সেখানে খাল করে ফেলতে হবে! নদীমাতৃক দেশে সেই খাল দিয়ে নৌকায় লোকজন চলাচল করবে! খালের পানিতে সেচ হবে-সব সমস্যার সহজ সমাধান।

তাঁর দলের নাম ছিল 'ইসলামি সমাজতান্ত্রিক দল'। সেই দলে কোনো সদস্য নেওয়া হতো না। এমনকি উনার স্ত্রীকেও সদস্য করেননি। তিনি বলতেন, 'একের বেশি লোক হলেই দল দুইভাগ হয়ে যাবে'। ছক্কা ছয়ফুর বেশ কয়েকবার নির্বাচন করেছেন। কখনোই তাঁকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি; সবাই মজার ক্যান্ডিডেট হিসেবেই নিয়েছিল। কিন্তু তিনি ১৯৯০ সালের উপজেলা নির্বাচনে সিলেট সদর উপজেলায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। সে এক কাণ্ড ছিল বটে।

যথারীতি ছয়ফুর রহমান প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর প্রতীক-ডাব। তিনি একটা হ্যান্ডমাইক বগলে নিয়ে একা একা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। পোস্টার লিফলেট কিছুই নেই। কিন্তু বক্তৃতা তীর্যক। বাকি প্রার্থীদেরকে তুলাধুনা করে ফেলছেন। এরকম এক সন্ধ্যায় সিলেটের টিলাগড়ে তার উপর অন্য এক প্রার্থীর কয়েকজন পান্ডা হামলা করে বসল। পরের দিন সেই খবর গোটা শহরে ছড়িয়ে পড়ল। সাধারণ মানুষ বিরক্ত হলো। আহা! একেবারেই সাধারণ একটা মানুষ, তাঁর সঙ্গে গুন্ডামি করার কী দরকার ছিল? ওইদিন বিকালে স্কুল ছুটির পর প্রথম মিছিল বের হলো সিলেট পাইলট স্কুলের ছাত্রদের উদ্যোগে। মিছিল লালদিঘীর রাস্তা হয়ে বন্দরবাজারে রাজাস্কুলের সামনে আসার পর রাজাস্কুলের ছেলেরাও যোগ দিল। ব্যস, বাকিটুকু ইতিহাস। মুহূর্তেই যেন সারা শহরে খবর হয়ে গেল। সন্ধ্যার মধ্যেই পাড়া-মহল্লা থেকে মিছিল শুরু হলো ছয়ফুরের ডাব মার্কার সমর্থনে।

একেবারেই সাধারণ নির্দলীয় মানুষের মিছিল। পাড়া মহল্লার দোকানগুলোর সামনে আস্ত আস্ত ডাব ঝুলতে থাকল। রিক্সাওয়ালারা ট্রাফিক জ্যামে আটকেই জোরে জোরে 'ডাব, ডাব' বলে চিৎকার শুরু করে! সেই স্লোগান ম্যাক্সিকান ওয়েভসের মতো প্রতিধ্বনি হয়ে এক রাস্তা থেকে আরেক রাস্তায় চলে যায়। অনেক প্রেসমালিক নিজেদের সাধ্যমতো হাজার দুইহাজার পোস্টার ছাপিয়ে নিজেদের এলাকায় সাঁটাতে থাকলেন। পাড়া-মহল্লার ক্লাব-সমিতিগুলো নিজেদের উদ্যোগে অফিস বসিয়ে ক্যাম্পেইন করতে থাকল। অবস্থা এমন হলো যে, ছয়ফুর রহমানকে নির্বাচনী সভায় আনার এপয়েন্টমেন্ট পাওয়াই মুশকিল হয়ে গেল।

ছয়ফুর রহমান ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ তাঁদের অফিস ছেড়ে দিল ছয়ফুরের নির্বাচনী প্রচার অফিস হিসেবে। পাড়ায় পাড়ায় ছেলেরা তাঁর নির্বাচনী জনসভার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু সেখানে আনতে হলেও আগে মূল অফিসে গিয়ে ৫০০ টাকা এডভান্স করে আসতে হয়, নইলে ছয়ফুর রহমান আসেন না! কারণ, তাঁর বাবুর্চিগিরি বন্ধ হয়ে গেছে। ফুলটাইম নির্বাচন করতে হলে সংসার খরচ দরকার।

আমার মনে হয় তিনিই একমাত্র প্রার্থী, যাকে তাঁরই নির্বাচনী জনসভায় নিয়ে আসার জন্য উল্টো টাকা দিতে হচ্ছে। নির্বাচনের দিন জনগণ এক মহ-বিস্ময় প্রত্যক্ষ করল। আওয়ামীলীগের প্রার্থী ইফতেখার হোসেন শামীম জামানত রক্ষা করেছিলেন। আর মেজর জিয়ার দল সহ বাকি সবারই জামানত বাজেয়াপ্ত হলো। ডাব প্রতীকে ছয়ফুর পেয়েছিলেন ৫২ হাজার ভোট আর চাক্কা প্রতীকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ইফতেখার হোসেন শামীম পেয়েছিলেন ৩০ হাজার ভোট। দক্ষিণ সুরমার এক কেন্দ্রে ছয়ফুর রহমানের ডাব পেয়েছিল ১৮০০+ ভোট! ওই কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রজাপতি মার্কা পেয়েছে কুল্লে ১ ভোট। আরও অবাক করা একটি ব্যাপার ঘটে নির্বাচনের দিন। প্রায় ভোটকেন্দ্রে জনগণ ডাব মার্কার ব্যালেটের সাথে টাকাও ব্যালেটবাক্সে ঢুকিয়ে দেয়।

নির্বাচনের পরে ছয়ফুর রহমানের নাম পড়ে গেল ছক্কা ছয়ফুর। তিনি হাসিমুখে সেই উপাধি মেনে নিয়ে বললেন, 'নির্বাচনে ছক্কা পিটানোয় মানুষ এই নাম দিয়েছে'। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ছক্কা ছয়ফুর সফল ছিলেন। তাঁর মূল ফোকাস ছিল প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষা ঠিক করা। হুটহাট যেকোনো প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রাইমারি স্কুলে ঢুকে পড়তেন। শিক্ষক অনুপস্থিত থাকলেই শোকজ করে দিতেন। সেই সময় প্রাইমারি স্কুলগুলো উপজেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণে ছিল অনেকটাই। তবে ছয়ফুর রহমানকে চ্যালেঞ্জ নিতে হয় বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের কারণে। ইউনিয়ন পরিষদের দুর্নীতি বন্ধে তিনি ছিলেন আপসহীন। এতে ক্ষিপ্ত চেয়ারম্যানরা একজোট হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দিলে যতদূর মনে পড়ে তাঁর উপজেলা চেয়ারম্যানশিপ স্থগিত করে মন্ত্রণালয়। পরে ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে উপজেলা পরিষদ বাতিল করে দিলে ছক্কা ছয়ফুরের স্বল্পমেয়াদী জনপ্রতিনিধিত্বের চিরতরে ইতি ঘটে।

এক নির্বাচনে খরচের জন্য তিনি কিছু টাকা সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু নির্বাচন কোনো কারণে হয়নি। কিন্তু ছয়ফুর জনগণের টাকা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে সেই ঐতিহাসিক কোর্টপয়েন্টে আবার আসলেন। এসে বলেলেন, ‘আপনারা তো আমাকে নির্বাচনে খরচ চালানোর জন্য কিছু টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু যেহেতু নির্বাচন হচ্ছে না; তাই আমি আপনাদের টাকাগুলো ফেরত দিতে চাই।’ লোকজন অনেক খুশি হয়ে বলল, ‘আমরা টাকা ফেরত নিতে চাই না; এগুলো আপনি নিয়ে নিন’।

তিনি যখন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হলেন তখন রেজিষ্টারি মাঠে তার প্রথম জনসভা ছিল। হাজার হাজার মানুষের ঢল। তিল ধারণের ঠাঁই নেই। তিনি তার বক্তব্যে প্রথমেই সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, ‘আমার নির্বাচনের শুরুতে আমার দুইটা ঠেলাগাড়ি ছিল। সংসার চলে না তাই একটি বেছি লাইছি। আর আমার বাড়িতে আপনারার বসাবার জায়গা ও নাই। পয়লা যখন রিলিফের চালান পাইমু সেখান থেকে কিছু বেছিয়া আপনারার বসাবার জায়গা করবো যদি আপনারা অনুমতি দেন।’ তখন হাজার হাজার জনগণ একসাথে হেসে উঠে বলল, ‘অনুমতি দিলাম’।

তিনি ছোট ছোট কয়েকটি বইও রচনা করেন। 'বার্বুচি প্রেসিডেন্ট হতে চায়', ‘পড়, বুঝাে, বল’ তার আলোচিত বই। জীবনের শেষ সময়ে এই মহান মানুষটি সিলেট ডিসি অফিসের বারান্দায় চিকিৎসা খরচের দাবীতে অনশন করেছিলেন এবং দাবী আদায়ও করেছিলেন। চিরকালীন দারিদ্রের সঙ্গে যুদ্ধ করেই এই মানুষটি পৃথিবী থেকে বিদায় নেন। সরলপ্রাণ এই সমাজবিপ্লবীর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।।

©™_আবুল কালাম আজাদ;

28/12/2024

কিশোরীর আবৃত্তি

26/12/2024

ফুলতৈলছগামের (গোয়াইনঘাট) আব্দুল লতিফ এর
শে*ষ বি*দা*য় ।।

গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রসাসনের উদ্যোগে বিজয় দিবস
15/12/2024

গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রসাসনের উদ্যোগে বিজয় দিবস

14/12/2024

Address

Salutikor/Gowainghat
Gowainghat
3100

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Gowainghat24 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share