05/07/2023
প্রতিরোধ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই
— মির্জা আলমগীর
———
গত এক মাসে বিএনপির ৩৮৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচনে কারসাজির চেষ্টা থেকে সরকার এখন বিএনপি নেতা–কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। তাহলে বুঝতেই পারছেন তারা কী করতে যাচ্ছে। প্রতিরোধ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
সোমবার, জুলাই ৩, ২০২৩, ঢাকার নয়াপল্টনে ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের আহ্বায়ক শেখ খালিদ হাসান জ্যাকীসহ দলীয় নেতা–কর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি এবং যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ কর্মসূচি তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, কথা খুব পরিষ্কার- অবিলম্বে পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত করেন। যত দিন যাবে ততই দেশ ও মানুষের ক্ষতি হবে, ততই গণতন্ত্রের ক্ষতি হচ্ছে। তত্ত্বাবধায়ক বা নিরপেক্ষ সরকার যে নামেই বলেন না কেন- নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করে তাদের হাতে ক্ষমতা দেন, তারা নতুন নির্বাচন কমিশন করে নির্বাচন করবে- এটাই একমাত্র পথ, আর কোনো পথ নেই। সুতরাং যত দ্রুত পারেন ওই জায়গায় যান। অন্যথায় তখন পালাবারও পথ খুঁজে পাবেন না। কারণ এর আগে বলেছি- সময় আর নেই, সময় শেষ হয়ে গেছে।
এ সময় সরকার পতনের চলমান আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, অবশ্যই বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন চায়। সেই নির্বাচনে তারা ভোট দিতে চায়। কিন্তু সেই নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে, শেখ হাসিনা সরকারে থাকলে এবং তার অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য হবে না।
প্রশাসনে বদলি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন আবার ফায়ার শুরু করছে। এরা পুলিশ ভাইদের বদলি করে, এসপি বদলি করে, ডিআইজি বদলি করে, টিএনও বদলি করে, ম্যাজিস্ট্রেট বদলি করে, ওসি বদলি করে- কোনটা তার নিজের সেটাও বুঝতে পারে না। সব নিজের লোক বোঝাতে চায়। এটাই হয়। যখন পতনের সময় আসে তখন কেউ নিজের লোক থাকে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, মামলা দিয়ে ও হামলা করেও বিএনপির আন্দোলন ঠেকানো যাচ্ছে না। আন্দোলন শুধু বিএনপি ক্ষমতায় নিয়ে আসার জন্য নয়। মানুষের ভোটের অধিকার, বাচার অধিকার, কথা বলার অধিকার, ১ হাজার টাকায় মরিচ না খেয়ে ১০০ টাকায় মরিচ খাওয়ার অধিকার—এসব কারণেই আন্দোলন।