Prince Tuhin

Prince Tuhin Dear Music, I will never be able to thank you enough for always being there for me.

একদিন এসে পাশে বসেই দেখো না কেমন আছি আমি ,,,,,দূর থেকে জিজ্ঞেস করলে তো  বলতে হবে ভালো আছি |
21/05/2025

একদিন এসে পাশে বসেই দেখো না কেমন আছি আমি ,,,,,
দূর থেকে জিজ্ঞেস করলে তো বলতে হবে ভালো আছি |

হয়তো আমি তোমার জীবনের সেরা মানুষ নই,  কিন্তু একদিন তুমি আমার নাম শুনে হেসে বলবে " সে অন্য রকম ছিলো "
06/04/2025

হয়তো আমি তোমার জীবনের সেরা মানুষ নই,
কিন্তু একদিন তুমি আমার নাম শুনে হেসে বলবে
" সে অন্য রকম ছিলো "

01/04/2025

জাতিকুল যৌ*ব*ন দিয়াছি প্রাণ যাবে তার কাছে গো যা হইবার তা হইয়া গেছে।

তারপর বাথরুমে গিয়ে একটু কান্না করে মনটাকে শান্ত করে ওজু করে এসে নামাজ পড়ে নিলাম।নামাজ শেষে মোনাজাতে আল্লাহর দরবারে দুহাত...
08/10/2024

তারপর বাথরুমে গিয়ে একটু কান্না করে মনটাকে শান্ত করে ওজু করে এসে নামাজ পড়ে নিলাম।
নামাজ শেষে মোনাজাতে আল্লাহর দরবারে দুহাত তুলে চোখের পানি নিয়ে দোয়া করলাম আমার নতুন জীবনের সুখের জন্য।

আর স্বামী ও সংসারের সকলের মন জয় করে চলার তৌফিক দেওয়ার জন্য।
মোনাজাত শেষ করে জায়নামাজ তুলে রেখে আমি বিছানার কাছে গিয়ে দেখি উনি ঘুমিয়ে গেছেন। আমি এখন কি করবো কিছু বুঝতে পারছি না।

অনেক চিন্তার পর আমি অন্যদিক দিয়ে উঠে ওনার পাশে শুয়ে পরলাম অন্যদিকে মুখ করে। কিন্তু আমার চোখে ঘুম নেই অতিতের কথা গুলো আবার চোখের পাতায় ভেসে উঠলো।
আমায় যখন ওনাদের সামনে এনে বসানো হয় তখন আমার শাশুড়ি মা আমায় অনেক প্রশ্ন করেন।

রান্না জানি কিনা? হাতের কোনো কাজ জানি কি না? লেখা পড়ায় কেমন? ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি ওনার সব গুলো প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ছিলাম যে আমি রান্নাবান্না কিছুই জানি না। হাতের কোনো কাজও জানি না। পরিবারের সবার ছোট বলে কেউ কখনো আমায় দিয়ে কোনো কাজ করায় নি।

কিন্তু পড়াশোনায় আমি আলহামদুলিল্লাহ অনেক পারদর্শী। আমার শাশুড়ি তখন আমায় জিগ্যেস করেছিলেন আমি আরো পড়াশোনা করতে চাই কিনা। আমি তখন খুশি মনে বলে ছিলাম হ্যা আমি পড়াশোনা করতে চাই। আমার শাশুড়ি মুচকি হাসি দিয়ে বলে ছিলেন বিয়ের পর আমায় স্কুলে ভর্তি করে পড়াবেন।

তারপর বাসার সব কাজ উনি আমায় শেখাবেন।
তারপর আমার হাতে ১০০১ টাকা দিয়ে উনি আংটি পরিয়ে দেন আর কিছুক্ষণের মধ্যেই বিয়ে করিয়ে নিয়ে আসেন। আমার আব্বু আম্মু একবারের জন্যে তাদের খোজ খবরও নিতে পারেন না তারা আসলে কেমন।

(দুঃখিত আমি আমার পরিচয় দিতে ভুলে গেছিলাম।

আমার নাম বৃষ্টি আমার বড় বোনের নাম কাজল। আর আমার স্বামীর নাম শুনেছি রাজু। আমার বয়স এখন ১৬ বছর। )
তারপর আমায় নিয়ে রাত ১১ টার সময় আমার নতুন ঠিকানা আমার শশুড়বাড়ি আসা হয়।

বাড়িটা অনেক সুন্দর। বাড়ির সামনে বড় একটা গেইট। গেইটের ভিতরে ঢুকলেই সামনে একটা বড় উঠান। তারপর ঘরের দরজা ঘরের মধ্যে মোট ৫ টা রুম তার একটাতে আমার শশুড় শাশুড়ি থাকেন একটাতে আমার ননদীনি থাকে আর একটাতে আমার উনি আর আমি। বাকি দুটো রুমের একটা গেস্টরুম আর একটা মেহমানদের বসার জন্যে রাখা হয়েছে।

হঠাৎ আমার ধ্যান ভাঙলো উনার ডাকে,
~ ঐ ঘুমাইছো নাকি?

~ জি আমায় কি কিছু ব বলবেন? ( কাপা কাপা কন্ঠে)
~ দেখি ওঠো তো তারপর গিয়ে টেবিলের ওপর ঔষধ রাখা আছে একটা ঔষধ খেয়ে আসো। (রাজু)
আমি উঠে বসতে বসতে বললাম, ,
~ কি কিসের ও ঔষধ? আমার তো কিছু হয়নি তহলে ঔষধ খাবো কেনো?

~ ঐ তোমার সাহস তো কম না তুমি আমার মুখে মুখে তর্ক করো। আমি খেতে বলেছি যাও খেয়ে আসো তারাতারি। ( খুব রেগে গিয়ে কথা গুলো বললেন উনি)
আমি ওনার কথার উত্তরে কিছু বলার আর সাহস পেলাম না। খুব ভয় পেয়ে গেছি তাই তারাতারি গিয়ে টেবিলের ওপর থেকে ঔষধ খেয়ে নিলাম।

তারপর ঔষধটার পিছনের লেখা গুলো পড়ে আমি তো ভয়ে শেষ। এটা আসলে পরিবার পরিকল্পনার ঔষধ। আমি প্রচন্ড রকম ঘামতে শুরু করলাম ভয়ে। পিছনে ঘুরে ওনার কাছে যাওয়ার সাহস নাই আমার খুব বেশি ভয় করছে।

আমায় এভাবে দারিয়ে থাকতে দেখে উনি আচমকা আমায় ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দিলেন। প্রচন্ড কষ্টে যন্ত্রণায় আমি একসময় অজ্ঞান হয়ে গেলাম।

তারপর কি হয়েছে আমি কিছুই জানি না। যখন জ্ঞান ফিরলো তখন কোনো মতে চোখ খুলে ঘরির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত ৪ টা বাজে। আমার সারা শরীরে অনেক ব্যাথা অনুভব করছি। তবুও অনেক কষ্টে উঠে বসলাম। ওনার দিকে তাকিয়ে দেখি উনি আরামে ঘুমাচ্ছে।

আমি উঠে কাপর ঠিক করে অনেক কষ্টে বাথরুমে গিয়ে গোসল করে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। সাথে চোখের নোনা পানিও ঝরতে লাগলো অঝোর ধারায়। উনি আমার সাথে এমন আচরণ কেনো করলো আমি বুঝতে পারছি না কিছুতেই। যেনো আমি ওনার কত বছরের শত্রু তাই আমায় কষ্ট দিয়ে এভাবে প্রতিশোধ নিচ্ছে উনি।

তারপর আমি জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজে দারালাম। কিন্তু দারিয়ে নামাজ পরার মতো শক্তিও আমার শরীরে নাই তাই বাদ্ধ হয়ে বসে নামাজ পরলাম।

নামাজ শেষ করে উঠে আমি উনার কাছে গিয়ে আস্তে করে ডাক দিলাম।
~ এইযে শুনছেন, শুনছেন ওঠেন প্লিজ এখন ফজরের আজান হবে গোসল করে মসজিদে যান।
আমার কথা শুনে উনি প্রচন্ড রাগ নিয়ে আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো,

~ ঐ তোমার সাহস হলো কি করে আমার ঘুম নষ্ট করার। আজকে প্রথম তাই কিছু বললাম, না নেক্সট টাইম যেনো এমন ভুল না হয়। আমার যখন খুশি আমি তখন ঘুম থেকে উঠবো সরো এখন থেকে।

বলেই আমায় একটা ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দিয়ে উনি অন্য দিকে ঘুরে ঘুমিয়ে পরলেন। আমি ওনার আচরণে শুধু অবাকই হচ্ছি আর অনেক কষ্টও পাচ্ছি। তারপর দেখি চারিদিক থেকে ফজরের আজান ভেসে আসছে। আমি নামাজ পড়ে নিলাম তারপর একগ্লাস পানি খেয়ে বাইরে বের হলাম।
আমার শাশুড়ি মা কে দেখে সালাম দিলাম
~ আসসালামু আলাইকুম মা।

~ ওয়ালাইকুমুসসালাম। তুমি উঠে পরেছো বৌমা। রাজু কই ও নিশ্চয়ই ওঠেনি?
~ জি মা উনি ঘুমোচ্ছে ডাকতে নিশেধ করেছেন।

~ বলতে হবে না আমি জানি বৌ মা ও সকাল ১০~ ১১ টার আগে ঘুম থেকে ওঠে না।
~ মা কিছু যদি মনে না করেন একটা কথা বলি?
~ হুমম বলো কি কথা?

~ মা আমি আসলে বলছিলাম যে উনি নামাজ পড়েন না?
~ কি বলবো বলো বৌ মা আগে নামাজ পড়তো কোরআন পড়তো। অনেক ভালো ছিলো ওর বড় বড় দাড়ি ছিলো। কিন্তু এখন একদম পাল্টে গেছে ছেলেটা।

~ কেনো মা কি এমন হয়েছিলো যে উনার মাঝপ এতো পরিবর্তন?
~ জানি না মা ও কেনো এমন হলো জানিনা। আচ্ছা চলো এখন রান্না করতে হবে সবার জন্য। অনেক কাজও বাকি।
~ হুমম চলুন মা আমায় সব শিখিয়ে দিবেন আমি চেষ্টা করবো শিখতে।
~ হ্যা চলো।

তারপর আমি আর আমার শাশুড়িমা রান্না ঘরে রান্না করতে গেলাম। শাশুড়ি মা আমাকে পরটা বেলতে দিলেন। কিন্তু আমিতো কখনো বেলুনি ধরেও দেখিনি কি ভাবে বেলতে হয়।
আমার চুপ করে বসে থাকা দেখে আমার শাশুড়ি মা বললেন
~ কি হলো বৃষ্টি পরটা বেলছো না কেনো?

~ ইয়ে মানে মা বলছিলাম কি আমি তো কখনো এগুলা করিনি তাই বুঝতে পারছি না কি করে পরটা বেলতে হয়। আপনি যদি একটু কষ্ট করে শিখিয়ে দিতেন মা।

~ আচ্ছা আমি তোমায় এক বারই দেখিয়ে দিবো আর তোমাকে একবার দেখেই বেলতে হবে বুঝেছো।
~ জি মা আমি চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

তারপর আমার শাশুড়িমা আমার দেখিয়ে দিলেন পরটা বেলা। আমি ভালো করে মনোযোগ দিয়ে দেখে পরটা বেলার চেষ্টা করলাম কিন্তু কিছুতেই ভালো হচ্ছে না। আমার শাশুড়ি তেমন কিছু বললো, না যেমন বেলেছি তেমনই নিয়ে ভেজে নিলো শুধু মুখটা বাংলার পাঁচ করে রেখেছেন।

তারপর পরটা বানানো হয়ে গেলে শাশুড়ি মা আমায় বললেন সবাইকে ডাকতে। আমি প্রথমে আমার ননদীনির ঘরে গেলাম ওকে ডাকতে। বয়সে ও আমার ২ বছরের বড়। নাম মিম।

~ আপু মিম আপু এই মিম আপু মা আপনাকে ডাকছে ওঠেন আপু।
~ ওফ ভাবি প্রথম দিনেই চলে এসেছো আমার ঘুমের বারোটা বাজাতে। যাও তো আমি পরে উঠবো আর একবারো আমায় ডিস্টার্ব করবা না।

আমি আর কিছু না বলে চলে এলাম। এসে দেখি আমার শশুড় মশাই মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে আসছেন। আমি তাকে দেখে সালাম দিলাম
~ আসসালামু আলাইকুম আব্বু। কেমন আছেন?

~ ওয়ালাইকুমুসসালাম মা। আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমার আম্মাজানটা দেখি এতো তারাতারি উঠে পরেছে। তা আম্মাজান আমি যদি তোমায় আম্মাজান বলে ডাকি তোমার কোনো অসুবিধা নাই তো?
~ এসব কি বলেন আব্বু আপনার যা মন চায় আপনি আমায় তাই বলেই ডাকবেন আমিতো আপনার মেয়েই হই আব্বু।

~ এইনা হলো আমার মা। আচ্ছা মা যাও তো আমার জন্যে একটু চা বানিয়ে নিয়ে আসো।
~ জি আব্বু যাচ্ছি।

তারপর আমি রান্না ঘরে গিয়ে আমার শাশুড়ি মাকে বললাম, মিম আপুর কথা আর আব্বুর কথা। আমার কথা শুনে আমার শাশুড়িমা বললেন মিম এমনই দুই ভাই বোন একদম একি সভাবের। তারপর চা বানাতে গেলেন তখন আমি বললাম,

~ মা আব্বুর জন্যে চা টা আমি বানাই? আমি চা বানাতে পারি। এটা আমি শিখেছিলাম আপনি শুধু বলে দেন আব্বু মিষ্টি কেমন খায় চায়ে।

তারপর আমার শাশুড়ি মা আমায় সব দেখিয়ে দিলেন আমি চা বানিয়ে নিয়ে শশুড় আব্বুর কাছে নিয়ে গেলাম। উনি চা খেয়ে অনেক প্রসংশা করলেন আমায় মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করলেন। তারপর আমার শাশুড়ি মা রাজুর জন্যে চা নিয়ে যেতে বললেন সে নাকি ঘুম থেকে উঠে চা খান।
আমি ভয়ে ভয়ে ওনার জন্যে চা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। ভয়ে আমার হাত পা কাপছে,

পর্ব ৩ ......Comming Soon !!

একদম অপরিচিত একটি ঘরে বসে আছি আমি বধুর সাজে। বধুর সাজে বললে হয়তো ভুল হবে কারন আমার শরীরে কোনো সাজ নেই। শুধু একটি শাড়ি কা...
05/10/2024

একদম অপরিচিত একটি ঘরে বসে আছি আমি বধুর সাজে। বধুর সাজে বললে হয়তো ভুল হবে কারন আমার শরীরে কোনো সাজ নেই। শুধু একটি শাড়ি কাপড় আর মুখে একটু ক্রিম ছাড়া।

একটু আগেই বিয়ে হয়েছে আমার। আর এখন আমি যে ঘরটায় বসে আছি এটাই হলো আমার নতুন ঠিকানা আমার শশুড়বাড়ি। ছোট বেলা থেকেই অনেক সপ্ন ছিলো আমার। আমি অনেক বড় হবো অনেক পড়াশোনা করবো ডাক্তার হবো আরো কতো কি। কিন্তু ওইযে কথায় বলেনা যে সপ্ন কখনোই সত্যি হয়না তার প্রমাণ গুলো আমি খুব সহজেই পেয়ে গেলাম।

আজ থেকে প্রায় ৩ বছর আগের কথা কতইনা সুখি ছিলাম আমি আমার পরিবারের সাথে। মা বাবা আর আমরা দুটি বোন যেনো একে অপরের প্রান ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ আমাদের পরিবারটা ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেলো একটি অচেনা অজানা ঝড়ে। আমার পরিবারের সবাই ছিলো অনেক ধার্মিক।

আমার বাবা একজন হুজুর আর মা অনেক ছেলে মেয়েকে বিনা পয়সায় কোরআন শিখিয়েছেন। আমরা সবাই নামাজ রোজা পর্দা সব কিছু ঠিক মতোই করতাম। শুধু আমার বড় বোনটা একটু অন্য রকম ছিলো। নামাজে অলসতা পর্দা অপছন্দ আরো অনেক অমিল ছিলো আমাদের মাঝে।

কিন্তু আপু সব সময় বাবার ভয়ে কখনো নিজের ইচ্ছা গুলোকে প্রকাশ করতো না। অনিচ্ছা সত্যেও নামাজ পরতো পর্দাও করতো।
কিন্তু আমায় অনেক ভালবাসতো আমার বোন। সব সময় যখন যা চাইতাম তাই দিতো। মা বাবা কখনো আমায় কোনো কারনে বকা দিলে ও মাঝখানে বাধা হয়ে দারাতো। কিন্তু হঠাৎ ওর ব্যাবহারে পরিবর্তন দেখা যায়। ও কেমন অন্যমনস্ক থাকতো।

ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করতো না। আমায় আগের মতো ভালও বাসতো না। আমার বয়স তখন ১২ বছর। আমি কিছু বুঝতাম না ও কেনো এমন করে কিন্তু ওর পালটে যাওয়ায় অনেক কষ্ট পেতাম। মাঝে মাঝে দেখতাম মা আপুর সাথে কি নিয়ে যেনো রাগারাগি করতো আমি কিছুই বুঝতাম না শুধু দর্শকের মতো চেয়ে চেয়ে দেখতাম।
তারপর একদিন স্কুল থেকে বাড়ি এসে দেখি মা অনেক কান্নাকাটি করছে আর আব্বু অনেক রেগে চোখ লাল করে মন খারাপ করে বসে আছি। আমি কিছুই বুঝিনি কি হয়েছে তাই আপুকে ডাকতে আপুর ঘরে যাই কিন্তু না আপু বাড়িতে কোথাও ছিলো না।

পরে যানতে পারি আপু নাকি কোনো ছেলেকে ভালবাসতো আর তার সাথেই পালিয়ে গেছে। গ্রামের সবাই আমার আব্বুকে অনেক সম্মান করতো ভালবাসতো কিন্তু আপুর কারনে সবাই এখন আমাদের নানান কথা শোনায়।
আব্বু অনেক রাগি তাই আপু যেদিন চলে গিয়েছিল সে দিনই আব্বু বলে আজ থেকে আমার একটি মেয়ে আমার বড় মেয়ে মারা গেছে। এবাড়িতে ওর আর কোনো জায়গা নেই।

সেদিনের পর থেকে আমি আর আপুকে কখনো দেখিনি জানি না ও কোথায় আছে কেমন আছে বেচে আছে নাকি মরে গেছে।

সেদিনের পর থেকে আমি আমার মাকে কখনো আর মন ভরে হাসতে দেখিনি। মাঝে মাঝেই দেখতাম আম্মু লুকিয়ে লুকিয়ে কান্না করছেন। আমারও অনেক কষ্ট হতো কিন্তু প্রকাশ করতে পারিনি কখনো। আপু চলে যাওয়ার পর আমি একদম একা হয়ে যাই। যতক্ষণ সময় বাসায় থাকতাম মনে হতো আমি যেনো জেলখানার কয়েদি।

এভাবেই কেটে গেলো ৩ টি বছর। আমি তখন ক্লাস ৮ম এ পড়ি। আমার পড়াশোনার প্রতি অনেক আগ্রহ ছিলো। কখনো ইচ্ছা করে স্কুল কামাই দিতাম না। অনেক সপ্ন দেখতাম আমি ডাক্তার হবো অনেক অনেক পড়াশোনা করবো। কিন্তু আমার পরীক্ষার পর আব্বু এসে আমায় বলেন আমার আর পড়াশোনা করতে হবে না আমায় বিয়ে দিয়ে দিবেন।

বিয়ের কথা শুনে যতটানা কষ্ট পেয়েছিলাম তার চাইতে বেশি কষ্ট হয়ে ছিলো পড়াশোনা বন্ধ করার কথা শুনে। কিন্তু আমি আব্বুর মুখের ওপর কিছু বলতে পারিনি আরালে অনেক কেঁদেছিলাম।
তারপর একদিন হঠাৎ করে আম্মু আমায় বললেন রেডি হতে আমায় আজ ছেলেপক্ষ দেখতে আসবে আব্বুর আদেশ। তাই আর কোনো উপায় না পেয়ে রেডি হলাম।
সন্ধ্যার সময় পাত্রপক্ষ আমাদের বাড়িতে এলো আমাকে তাদের সামনে নিয়ে যাওয়া হলো। আমাকে দেখেই তাদের পছন্দ হলো। আমার আব্বু আম্মু ভালো ভাবে কোনো খোজ খবর না নিয়েই বিয়েতে মত দিয়ে দিলেন। আমি তখনো বুঝিনি আমার বিয়ের জন্য আব্বু আম্মু কেনো এতো তারা দিচ্ছেন।

তারপর সেদিন রাতেই মানে আজ রাতেই আমায় দেখতে গিয়ে বিয়ে করে নিয়ে আসলেন। আমি এখনো আমার স্বামীকে দেখিনি। আসার সময় মায়ের মুখে শুনেছি উনি নাকি মাদ্রাসায় পড়েছেন আবার স্কুলেও পরেছেন। উনারা এক ভাই এক বোন। উনি বড় আর ওনার বোন ছোট।

খট করে দরজা খোলার শব্দে আমি বাস্তবে ফিরে এলাম। ওনাকে দেখলাম দরজা লাগিয়ে আমার দিকে এগিয়ে আসছেন।

আমি ভয়ে কাপা কাপা কন্ঠে ওনাকে সালাম দিলাম। কিন্তু উনি সালামের উত্তর না দিয়ে সোজা আমার কাছে এসে আমার শাড়ির আচল মাথা থেকে ফেলে দিলেন। আমি এমন ব্যাবহারে অনেক অবাক আর ভয় পেলাম। এই প্রথম আমি ওনাকে দেখলাম।

৫ ফুট ৭ ইঞ্চি লম্বা গায়ের রঙ শ্যাম বর্নের। দেখতে খারাপ নয়। কিন্তু আমি একটি জিনিসে অবাক হলাম যে উনি মাদ্রাসার ছাত্র হওয়া সত্যেও ওনার দাঁড়ি নাই কেনো। একদম ক্লিন সেভ।
তারপর উনি আমায় আবারো অবাক করে দিয়ে বললেন,

দেখো আমার একদম ন্যাকামি পছন্দ নয় আমার সামনে কখনো ন্যাকামি করতে আসবে না এখন যাও চুপ করে শুয়ে পরো। আমি ওনার কথার উত্তরে বললাম, ,

আমায় ক্ষমা করবেন যদি কিছু মনে না করেন একটা কথা বলবো?
উনি কিছুটা বিরক্তি নিয়ে বললেন হুমম বলো কি কথা?
তারপর আমি বললাম, ,
আজ আপনার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে তাই আজ থেকে আমি আপনার স্ত্রী আর আপনি আমার স্বামী আসুন আমরা নতুন জীবন শুরু করার আগে দুরাকাত নামাজ পড়ি।
আমার কথার উত্তরে উনি বললেন,

দেখো তোমায় বিয়ে করেছি বলে এই নয় যে তোমার কথায় আমার চলতে হবে। আমার ঘুম পেয়েছে আমি ঘুমাবো তুমি যা খুশি করো গে হুহহ।

এই কথা গুলো বলে উনি শুয়ে পরলেন। আমি ওনার এমন আচরণে অনেক কষ্ট পেলাম কিন্তু কিছু বললাম, না চুপ করে বাথরুমে গিয়ে একটু কান্না করে মনটাকে শান্ত করে ওজু করে নামাজ আদায় করলাম,

আপুরা জানিনা কেমন হলো তারাতারি লিখতে গিয়ে বানান ভুল হয়ে থাকলে সবাই একটু কষ্ট করে পড়ে নিও আর কেমন লাগলো গল্পটা জানিও। সবার সারা পেলেই পরের পর্ব পোস্ট করবো ইনশাআল্লাহ।
এ কেমন ভালোবাসা ( ১ম খণ্ড )......................................................................

18/07/2024

#হবিগঞ্জ_শহর_রণক্ষেত্র

হবিগঞ্জের ইতিহাসে সব চেয়ে বেশি সময় ধরে চলছে.....

পশ্চিমবঙ্গের চিত্রশিল্পী Kausik Sarkar এর আঁকা বীর সেনানী আবু সাঈদের স্ক্যাচ্।আর এদেশের চিত্রশিল্পীরা!!
17/07/2024

পশ্চিমবঙ্গের চিত্রশিল্পী Kausik Sarkar এর আঁকা বীর সেনানী আবু সাঈদের স্ক্যাচ্।
আর এদেশের চিত্রশিল্পীরা!!

ধ*র্ষক রা সাতজন ছিলো বাবা....।আর ওদের মধ্যে একজন কে আমি বিয়ে করতে চাই।।।ওয়াট....??হ্যা বাবা ঠিকই বলছি আমি।। ওই ছেলেকে বি...
29/06/2024

ধ*র্ষক রা সাতজন ছিলো বাবা....।
আর ওদের মধ্যে একজন কে আমি বিয়ে করতে চাই।।।
ওয়াট....??
হ্যা বাবা ঠিকই বলছি আমি।। ওই ছেলেকে বিয়ে
আমার করতেই হবে।।।
পুরো পরিবারের লোকজন থ সেজে গেলো আমার
কথায়।।। জানি অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে এখন
আমায়।।। কিন্তু আজকে কোনো কিছুরই তোয়াক্কা
করবো না আমি।।। কাউকে এ বিষয়ে কোনো কইফিয়তও
দিতে প্রস্তুত না আমি।।। আর এ কথাটি জোরেই বলে
ফেললাম সবার সামনে। তারপর মজলিস থেকে ওঠে
আমার ঘরে চলে গেলাম।।

আজকে নিজের মধ্যে একটা প্রশস্তি অনুভব করছি।। সবার
সামনে এ রকমভাবে কথা বলতে পেরে খুব ভালো ফিল
করছি আমি।। এই প্রথম আমার পরিবারের সামনে এমন উচু
গলায় কথা বললাম।।আর এ নিয়ে আমার ভেতর কোনো
অনুতপ্ততা কাজ করছে না।।। বরং মনে হচ্ছে আরো
আঘাত দিয়ে কথাগুলো বলা উচিত ছিলো।।।

সম্ভ্রান্ত এক বড় পরিবারে জন্ম আমার।। বলতে গেলে
সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছি আমি।। কখনও কোনো
ব্যাপারে আমার চাওয়া, না পাওয়া ওয়ে ওঠেনি।। আর
পরিবারের আদর সেতো আর বলে বোঝাবার মতো নয়।।
আমার সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তিত্ব আমার বাবা।। উনার
রাজকীয় চলাফেরা, সবার সামনে থেকে নেতৃত্ব
দেওয়া, এলাকার সবার ওনাকে সম্মান দেওয়া সবই
তার রাজকীয় চলাফেরার প্রতীক বহন করে।। এতসবকিছুর
মাঝেও তিনি তার মেয়েকে সময় দিতেও এতটুকু ভুল
করে না। আর আমার চাওয়াকে তো নিমিষেই
মিটিয়ে দিতো বাবা।। তাইতো আমার কাছে বাবার
জনপ্রিয়তা সবার তুঙ্গে।।
,
কিন্তু এত প্রভাবশালীতার মাঝেও আমার সাথে এ
রকম এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটবে, তা কেউ কখনও স্বপ্নেও
ভাবেনি।।এমনকি কারো সাথে ব্যক্তি গত শত্রু তাও
ছিলো না আমার বা আমার পরিবারের। যদিও
ব্যাপারটা আমার পরিবারের বাইরে
কেউ জানে না।। কিন্তু জানতেই বা কতদিন??
আর এই চিন্তা নিয়েই আমার পরিবারের এত
মাথাব্যথা।। তাইতো আমাকে ফিরে পেতেই সবার
এমন ঘোট পাকিয়ে প্রশ্নউত্তর পর্ব চললো বেশ কিছুক্ষণ।
কিন্তু আমার কঠিন থেকে কঠিনতম কথার ব্যাড়াজালে
সবাই যে হতবাক, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।।
এই তিনদিন আমার পরিবার আমাকে হন্নে হয়ে
খুজেছে।। কিন্তু কোনো খোজ মিলাতে পারেনি।।
তাইতো আমার কাছ থেকে বারবার জানার চেষ্টা
করছে আমি ওদের কাউকে চিনতে পেরেছি কিনা??
আমি জানি না ওদের পেলে কি করবে আমার
পরিবার?? তবে আমি নিশ্চিত এতবড় ঘটনা, এমনিতেই
আমার পরিবার ছেড়ে কথা বলবে না কাউকে খুজে
পেলে।। এরমধ্যে আমার বলা কথাটা তাদেরকে আরো
পুড়িয়ে মারছে।। একে একে সবারই একটাই প্রশ্ন, আমি
কেনো এরকম ঘটনার পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে
চাচ্ছি??
!
তখনো ঘরের দরজা বন্ধ করেই বসে আছি। বারবার
বাড়ির লোকের জ্বালাতন আর ভালো লাগছে না।।
তাই তো চিৎকার করে মাকে বললাম -- প্লিজ আমাকে
একা থাকতে দাও মা।। তারপর অবশ্য আর কেউ আসে নি।।
আমি জানালার পাশে বসে আছি।। সূর্যের প্রখর তাপ
প্রায় নিঃশেষ হয়ে এসেছে।। আকাশে লাল নীলিমার
রেখা ফুটে ওঠেছে।। জানালাটা আরেকটু খুলে
দিলাম।। চোখের কোনে লেপ্টে থাকা জলবিন্দু ওরনা
দিয়ে হালকা মুছে নিলাম।। উদাস মনে আকাশের
পরিবর্তনের দৃশ্যটা উপভোগ করছিলাম ভাংগা হৃদয়ে
এতটুকু আশা জাগানোর নেশায়।।
ওরা সাতজন ছিলো।। ভার্সিটির ক্লাস শেষ করে
নির্জনে বাড়ি ফিরছিলাম শহরের রাস্তা বেয়ে।
আমার পছন্দের ব্রীজের ওপর আসতেই একটা কার
আমাকে নিস্তব্ধ ভাবে তুলে নিলো।। তারপর আমার
স্মৃতির পাতা জ্ঞান শূন্য হয়ে আসছিলো।।
যখন সজ্ঞানে ফিরে এলাম, তখন নিজেকে অচেনা রুমে
আবিষ্কার করলাম।। খুব ভয় লাগছিলো আমার।। ভয়ে
চিৎকার করে ওঠলাম, কিন্তু ফিরতি প্রতিধ্বনি আরো
ভয়ানক ভাবে ধরা দিলো আমার কানে।। মনে হলো এ
স্থান জনশূন্যতার আধারে ভরে আছে।।
আমি গুটিশুটি মেরে ঘরের এক কোনে নিজেকে
লুকিয়ে রাখলাম।। কিছুক্ষন পর দরজা খোলার আওয়াজে
আরো ভীত সন্তশ্ত হয়ে পড়লাম।।
কয়েকজন যুবক ব্যাপক আগ্রহ নিয়ে রুমে প্রবেশ করলো।।
আর অদ্ভুত চাহনি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে
ছিলো। যেনো ক্ষুধার্ত হায়েনার সামনে একখন্ড
মাং*সপিণ্ড।।
আমি ভয়ে নিজেকে আরো জড়িয়ে নিলাম।। আর বললাম
---
-- কে আপনারা প্লিজ আমাকে ছেড়ে দিন।।।
আমার কথায় তারা রাজ্য জয়ের হাসি দিয়ে লুটিয়ে
পড়তে লাগলো।।
হঠাৎ ই কারো পায়ের আওয়াজে থমকে দাড়ালো
ওরা।। একদম নিশ্চুপ ভঙ্গিতে দাড়িয়ে গেলো।।। আমিও
কিছুটা বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে থাকলাম।।।।
!
বেশ সুদর্শন এক লম্বা পুরুষ, মাথার ঝাকরা চুলগুলো ঠিক
করতে করতে রুমে প্রবেশ করলো।। ওকে দেখে সবাই
সরে দাড়ালো এবং সালাম দিলো।। বুঝলাম ইনি এদের
পালের গোদা।।
রুমে ঢ়ুকে বেশ কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে
ছিলো।। তারপর উষ্ঙ হাসি দিয়ে চুল ঠিক করতে করতে
আমার সামনে এসে বসলো।। আমি চরম ভীত সন্তশ্ত হয়ে
পড়লাম।। আমার থুথনিতে হাত দিয়ে চোখটা তুলে ধরে
বললো --
বাহ্ খুব সুন্দর হয়েছে তো তুমি ...!! ঘৃ"না, রাগ, ভয় তিনটাই
চরম আকার ধারন করলো আমার মনে।।। খুব শান্ত ভীত হয়ে
একবার শুধু বললাম --
-- কে আপনি?? আর আমাকে এভাবে ধরে এনেছেন
কেনো?? প্লিজ ছেড়ে দিন।।
কিছু না বলে ছেলেটি উঠে দাড়ালো।। পেছন ফিরে
ওদের জিজ্ঞেস করলো,, খেতে দিয়েছিস ওকে।।।
ওদের মধ্যে একজন বলে ওঠলো - দেমাগ দেখিয়ে
খায়নি বড় ভাই।।।
কথাটি শুনে হাসি দিয়ে আবার আমার কাছে এসে
গালে আলতো করে ছুয়ে বললো --
-- রাগ দেখাতে নেই।। খেয়ে নাও।।
আমি তখন ক্রোধে আরেকবার বলে ওঠলাম --
-- আমায় ছেড়ে দে বলছি, আমার বাবা জানতে
পারলে তোদের একজনকেও বাচিয়ে রাখবে না।।।
ছেলেটি দাড়াতে যাচ্ছিল, কিন্তু আমার কথা শুনে
রাগে তার চোখগুলো নিমিষেই লাল হয়ে গেলো।
আমার দিকে ভয়ানক রাগি চোখে তাকিয়ে
খাবারের প্লেটটা ছুড়ে মা"রলো আর বললো --
--কি বললি আরেকবার বল?? তোর বাবার এত দম .....?? এই
একে এখুনি বুঝিয়ে দেয় ওকে কেনো এখানে আনা
হয়েছে।।। ওর বাবার ক"লিজার মতো মেয়ের এমন হাল
করবি যেনো কোথাও মুখ দেখাতে না পারে ......!!!
বলেই চলে যাচ্ছিলো!!
তারপর..................

গল্পঃ #ধ'র্ষণ_জামাই

১ম পার্ট

👉 Masum

ছেলেকে কাছে ডেকে জিগ্যেস করলাম, “তুমি কি আমার পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি আছ?”     -“নো পাপা!”     -“কিন্তু কেন?”  ...
27/06/2024

ছেলেকে কাছে ডেকে জিগ্যেস করলাম, “তুমি কি আমার পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি আছ?”
-“নো পাপা!”
-“কিন্তু কেন?”
-“কারণ আমি এখন আর ছোট নই যে, তোমার পছন্দকেই নিজের পছন্দ অনুযায়ী ঘাড়ে চাপিয়ে নিব।”
-“ওকে, তোমার কথায় যুক্তি আছে কিন্তু আগে তো শুনবে মেয়েটি কে?”
-“ওকে, হো ইস শি?”
-“অর্থ মন্ত্রীর মেয়ে!”
-“ওহ মাই গড! সেটা আগে বলবে তো পাপা, আচ্ছা আমি রাজি।”

অতঃপর আমি অর্থ মন্ত্রীর কাছে গিয়ে বললাম, “আপনার মেয়েকে আমার ছেলের বউ করতে চাই।”
-“হু দ্যা হেল আর ইউ এ্যান্ড হোয়াট‘স ডুয়িং ইউর সান?”
-“আমার পরিচয় পরে দিচ্ছি, আগে আমার ছেলেরটা শুনুন। সে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিইও।”
-“সেটা আগে বলবেন তো, ওকে বিয়ে পাক্কা!”

তারপর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে গিয়ে বললাম, “আমার ছেলেকে আপনার ব্যাংকের সিইও হিসেবে জয়েন দিন।”
-“নো চান্স।”
-“আমার ছেলে, অর্থ মন্ত্রীর মেয়ের জামাই।”

আমার কথা শুনে তাঁর ইংলিশ ডাউন খেয়ে শুদ্ধ বরিশাইল্লা ভাষা বেরিয়ে এলো, “ওরে মোর খোদা, হেইয়া একছের আগে কইবেন তো! ধইরা লন চাকরি এক্কালে হইয়া গ্যাছে...”..
"বড়লোক্স হওয়ার নিঞ্জা টেকনিক"

রাফি সাহেবের তিন কন্যা। তাদের প্রত্যেকেরই ফেইসবুকে একাউন্ট আছে।ফেইসবুকে বড় কন্যার আইডির নাম‘দুষ্টু পরী’ফেইসবুকে মেঝ কন্য...
03/06/2024

রাফি সাহেবের তিন কন্যা। তাদের প্রত্যেকেরই ফেইসবুকে একাউন্ট আছে।

ফেইসবুকে বড় কন্যার আইডির নাম
‘দুষ্টু পরী’
ফেইসবুকে মেঝ কন্যার আইডির নাম
’শয়তানি পরী’
ফেইসবুকে ছোট কন্যার আইডির নাম
‘শান্ত পরী’

দুষ্টু পরী এবং শয়তানি পরি দুজনেই ফেইসবুকে সেই ফেমাস! আয়নার সামনে দাড়িয়ে থেকে শুরু করে টয়লেটের কমোডের সামনে পর্যন্ত সেলফি তুলে তারা ফেজবুকে সারাদিন দিয়ে থাকে।

অন্যদিকে ছোট কন্যা ‘শান্ত পরী’ খুবই শান্ত। একটা প্রোফাইল পিকচার দেওয়া, তাও আবার ব্যাক সাইড থেকে তোলা পিক।

একদিন রাফি সাহেব তার তিন কন্যাকে ডাকলেন। তার কন্যারা তাকে কে কেমন ভালোবাসে তা জানতে চাইলেন.....

বড় কন্যা দুষ্টু পরীকে জিজ্ঞেস করলেন,
আচ্ছা, তুই আমাকে কিসের মতো ভালোবাসিস?

দুষ্টু পরী হেসে বলল, ‘হেই ড্যাড, আমি তোমাকে ইলিশ মাছের মতো ভালবাসি!’

রাফি সাহেব কিছুক্ষণ ভাবলেন! বুঝলেন যে, বাজারে ইলিশ মাছের অনেক দাম! তার মানে তার মেয়ে তাকে অনেক ভালোবাসে, তাই তিনি খুশি হলেন।

মেঝ কন্যা ‘শয়তানি পরীকে’ জিজ্ঞেস করলেন,
‘আচ্ছা, তুই আমাকে কিসের মতো ভালোবাসিস?’

শয়তানি পরী বলল,
‘আমি তোমাকে লবণের মতো ভালোবাসি।’

রাফি সাহেব ভাবলেন এবং তার "রাজা ও তিন কন্যা" গল্পটা মাথায় আসলো! লবণের তো অনেক প্রয়োজন! তাই তিনি এবারও খুশি হলেন।

ছোট কন্যা ‘শান্ত পরীকে’ জিজ্ঞেস করলেন,
‘আচ্ছা, তুই আমাকে কিসের মতো ভালোবাসিস?

শান্ত পরী শান্ত স্বরে বলল,
আমি তোমাকে পান্তা ভাতের মতো ভালোবাসি।

রাফি সাহেবের মেজাজ গরম হয়ে গেল। উত্তেজিত স্বরে বলল, কিহ্! তোর এতো বড় স্পর্ধা পান্তা ভাত, ওয়াক ওয়াক।

রাফি সাহেব তৃতীয় কন্যার উত্তর শুনে খুবই রাগান্বিত হলেন! তাই তিনি তৃতীয় কন্যাকে নোয়াখালী পাঠাই দিলেন.......

কিছুদিন পরেই চলে আসল ১৪ই এপ্রিল

১৪ই এপ্রিল পহেলা বৈশাখ। রাফি সাহেব খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠলেন। উঠেই তার দুই কন্যা ‘দুষ্টু পরী’ এবং ‘শয়তানি পরীকে’ ঘুম থেকে জাগালেন। চারপাশের সবাই পান্তা ইলিশ খাচ্ছে!

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে তার প্রথম কন্যা, ইলিশ মাছ ভাজা এবং দ্বিতীয় কন্যা এক বাটি লবণ আনলো। কিন্তু কেউ পান্তা ভাতের ব্যাবস্থা করেনাই! যেটা ছাড়া পহেলা বৈশাখ এর আনন্দ মাটি.....

অবশেষে রাফি সাহেব বুঝলেন, পহেলা বৈশাখে ইলিশ এবং লবণের চেয়েও পান্তা ভাতের প্রয়োজন অনেক অনেক বেশি। তার মানে, তার তৃতীয় কন্যা ‘শান্ত পরী’ তাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতো!

তিনি তার ভুল বুঝতে পেরে ‘শান্ত পরীকে’ মেসেজ দিয়ে সরি বলার জন্য ফেইসবুকে ঢুকলেন....
কিন্তু হায় হায়....তার তৃতীয় কন্যা তাকে ব্লক করে রেখেছেন।

রম্যগল্পঃ পান্তা_ভাত (রিপোস্ট)
- সুবোধ মন্ডল

Address

Old Hospital Road
Habiganj Sadar
3300

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Prince Tuhin posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Prince Tuhin:

Share

Category