06/08/2025
ছবিটি একটা ভিডিও থেকে নেওয়া। সম্ভবত ইন্টারনেট বিহীন জুলাইয়ের সময়। সামনে ছাত্রলীগের অস্ত্রধারী শুয়োরেরা। হেলমেট পরা এক শুয়োরের হাতে সম্ভবত বন্দুক।
তাদের বিপরীতে প্রতিরোধ করছে ১৪/১৫ বছর বয়সের একটা কওমী মাদ্রাসার বাচ্চা। সুঠাম দেহ, লিকলিকে হাত দিয়ে বন্দুকের গুলির বিপরীতে ঢিল ছুড়ে প্রতিরোধ করছে!
আমার সবচেয়ে বেশি মায়া হয় এই বাচ্চা গুলোর জন্য। এদের সোস্যাল মিডিয়া নেই। আন্দোলনকালীন অ্যাস্থেটিক সেলফি তুলে ইন্ডিভিজ্যুয়ালি হাইলাইট হয় না।।স্টেক কী বুঝেনা। তবে এই বাচ্চা গুলোরে প্রতিবার ঠিকই শীল্ড হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় ইসলামিস্ট প্যানেল দ্বারা। কিন্তু তাদের লাশের হিসেব চাওয়া হয় খুব কমই।
না আমি মায়াকান্না করছি না। জুলাইয়ে স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি, মাদ্রাসা সব শ্রেণীর মানুষই স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ছিলো। কিন্তু এরা কি আমাদের রাষ্ট্রে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে না?
রাষ্ট্রের মেইনস্ট্রিম জব সেক্টর, সংস্কৃতি, পরিচিতি, জ্ঞান-বিজ্ঞানের দিকে পিছিয়ে আছে কেন? পূর্বের বড় বড় মুসলিম দার্শনিক , বিজ্ঞানী ইবনে সিনা, আল-বেরুনি, ইবনে আল-হাইথাম, জাবির ইবনে হাইয়ান, ইবনে বতুতা আর তৈরি হয় না কেন?
আমাদের দেশের সন্তান এরা। পপুলেশনের বড় একটা সংখ্যা এই মাদ্রাসা ছাত্ররা। এত বড় একটা সংখ্যা পিছিয়ে থাকা মানে রাষ্ট্র ও পিছিয়ে থাকা। এই দায় কার? শুধু কি রাষ্ট্র ব্যবস্থার? এই দায় যেমন রাষ্ট্রের, তেমনি সবচেয়ে বড় দায় আমাদের বড় হুজুর শ্রেণীর। তারা তাদের সন্তানদের ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার বানায়। মাহফিল, সমাবেশে গর্ব করে বলে। কিন্তু আমাদের বাচ্চাকাচ্চার ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্নতা নেই! মাদ্রাসা কারিকুলামের সাথে রাষ্ট্রীয় কারিকুলাম অ্যাটাচ করে তাদের ইভেন গ্রাউন্ড তৈরি করে দেওয়ার চিন্তা নেই! আবার কেউ করতে গেলে হারাম, হালালের লালসালু দিয়ে ঢেকে দিবে ঠিকই।
এইযে এক ঘোর অমানিশায় নিমজ্জিত সবাই। এ নিয়ে কি আমরা ভাবছি?