Unique Ziddan.

Unique Ziddan. Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Unique Ziddan., Habiganj.

★বর্গখুবই দূরদর্শী, বিচক্ষণ ও অভিজ্ঞ চিকিৎসক। আঠারো মিনিট পরিক্ষা করার পর, কাগজে একটি কলমের খোচা মেরে, তিনি অভিনয় করে জা...
08/01/2025

★বর্গ

খুবই দূরদর্শী, বিচক্ষণ ও অভিজ্ঞ চিকিৎসক।
আঠারো মিনিট পরিক্ষা করার পর,
কাগজে একটি কলমের খোচা মেরে,
তিনি অভিনয় করে জানালেন __
আমি উন্মাদ।
আমার আশ্রয় হলো একটি বর্গাকার ঘড়,
যার ক্ষেত্রফল তারা আগেই লিখে রেখেছিলো খাতায়।
এখানে দেয়ালগুলো কথা বলে না,
তারা শুধু শুষে নেয় আমার প্রতিধ্বনি।

আমি মৃত্যুকে ভালোবেসেছিলাম,
তাই আমাকে বন্দি করা হয়েছে বর্গাকার ঘড়ে,
যার ক্ষেত্রফল হিসাব করা খুবই সহজ।

মৃত্যুই হলো ইশ্বরের করুণা।
জীবনের বিপরীতে এক মুক্তি,
একটি চিৎকারহীন চিরস্থিরতা।
তবু কেন আমায় বাঁধা হলো
এই বর্গাকার খাঁচায়?
তারা মৃত্যুকে ভয় পায়,
তাই আমার আশ্রয় আজ বর্গাকার ঘড়,
যার ক্ষেত্রফল হিসেব করা আছে খাতায়।

চিৎকার করে বলেছিলাম বাচাতে পারি নি বেদুঈন শিশুদের।
তাই আমার শাস্তি এই ঘর,
শিশুরা অবুঝ বলেই আমার বাসস্থান একটি বর্গাকার ঘড়,
যার ক্ষেত্রফল তারা খুব হিসাব করে নির্ণয় করেছে।

এই দেয়াল, এই ঘর,তারা উপদেশ দেয় আমায়—স্বপ্ন না দেখার জন্য আমায় অনুরোধ করে
তারা বলে স্বপ্নেরা আমাকে উন্মাদ করে।"
সেজন্যই আমার নির্বাসন এই বর্গাকার ঘড়,
যার ক্ষেত্রফল তাদের মনের মতোই।

আমি দেখি না স্বপ্ন, তবু স্বপ্নেরা আসে।
কেড়ে নেয় আমার ঘুম।
দেয়ালের ফাঁক দিয়ে গলে ঢোকে যায়,
এই বর্গাকার ঘড়ে।
যার ক্ষেত্রফল বহু আগেই মাপা হয়েছিলো কৌশলে।

তারা আমাকে জিজ্ঞেস করে,
"তোমার পাপ কী?"
আমি চুপ থাকি।
কেননা, পাপের হিসাব যে তাদের হাতে,
যাদের হাতে ক্ষমতা।
আমি শুধু বসে থাকি,
আমার বর্গাকার ঘরের ঠিক মাঝখানে,
একটি শেষ চিৎকারের অপেক্ষায়।

এবং সেখানেই—
আমার বেঁচে থাকার গল্প শেষ হয়।

★দুটি দিনের অস্থিরতাঅস্তিত্বের প্রান্তে নতজানু সময়,পদচিহ্নের অবশেষে লেগে থাকা মৃত স্মৃতির গন্ধ।অন্ধকারের ব্যূহে প্রশ্ন ...
03/01/2025

★দুটি দিনের অস্থিরতা

অস্তিত্বের প্রান্তে নতজানু সময়,
পদচিহ্নের অবশেষে লেগে থাকা মৃত স্মৃতির গন্ধ।
অন্ধকারের ব্যূহে প্রশ্ন জাগে—
কে ছিল, কে আছে, আর কে থাকবে?
তবু এই নিঃসঙ্গতার অন্বেষণ,
পৃথিবীর অনিবার্য বিসর্জন।

মন প্রশ্ন তোলে,
চোখ কি সত্যিই ধারণ করেছে সত্যের গভীরতা?
নিরুত্তর পথ, শূন্যতার সংজ্ঞা।
দুই দিনের প্রহসনে লিপ্ত এ মহাজগত,
মুহূর্তে গড়ে তোলা সাম্রাজ্য
ভেঙে যায় নৈঃশব্দ্যের নিষ্ঠুর মুঠোয়।

মানুষের মুখোশে লুকানো ভোগান্তি,
আলোর অন্তরালে জমে থাকা অন্ধকারের শৃঙ্খল।
মায়া নামে যে ঢেউ,
তাও কি আসলে নৈর্ব্যক্তিক এক অনুশাসন?

একা এসেছি, একাই যাবো,
মাঝে যা দেখেছি—সবই বাষ্প, সবই ছায়া।
প্রতিটি শ্বাসে লুকিয়ে থাকা বিদায়ের প্রতিধ্বনি,
এই পৃথিবী?
শুধুই দ্বিধার প্রাচীন এক কুহক।

01/01/2025

★অভিশপ্ত প্রত্যাশা

উন্মুক্ত দৃষ্টি আজ নির্বাক,
স্বপ্নের আকাশ যেন মিথ্যের ফাঁদে বন্দী।
আলো অন্বেষণে পথচলা ক্লান্ত,
তবু প্রতিধ্বনি তোলে ভাঙা বিশ্বাসের রেশ।

বর্ষার কান্নায় ভিজে যায় অস্তিত্ব,
পাহাড়ের চূড়ায় একা বসে থাকা—
কঠিন বাস্তবতায় অবিরাম সাক্ষী।
ফিরে যাওয়ার পথ হারিয়েছে সময়ের খাতে,
আর সেই হারানো স্রোতে আমি,
অপরিচিত কোনো আকাঙ্ক্ষার সন্ধানী।

কষ্ট, অবিচ্ছেদ্য ছায়ার মতো,
তাড়িত করে প্রতিক্ষণ,
কোনো বিদায়ের গান শোনায় না।
মিথ্যের খোলসে ঢেকে রাখি আত্মা,
যেন রূপকথার জাদুতে
জীবন পাল্টাবে কোনোদিন।

কিন্তু বাস্তবতা,
প্রতিটি মুহূর্তে নির্মম প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়—
কেন এই পথ, কেন এই ভ্রমণ,
যেখানে শেষ নেই, শুধু অভিশপ্ত প্রত্যাশা।
এই অনন্ত হাহাকারের গহ্বরে,
আমি একা, শূন্যতার গভীরে।

অচেনা গন্তব্যের পথে হেঁটে চলি,
পায়ের নীচে ভাঙা মাটির চিৎকার শুনি।
সময়ের শেকল যেন চিরস্থায়ী বাঁধন,
আমার আত্মাকে টেনে নামায় অতল অন্ধকারে।
আমি আজও জানি না,
কীসের পিছু ছুটছি,
কোন আকাঙ্ক্ষা আমাকে ডাকে,
তবু পথ হারানোর ভয়ে
পিছু ফিরে তাকাতে সাহস পাই না।

আকাশের নীচে, বৃষ্টির আঘাতে,
একাকী দাঁড়িয়ে থাকা বৃক্ষের মতো—
আমি দাঁড়িয়ে আছি,
নিঃসঙ্গতার পাহাড়ে,
যেখানে ব্যথা আমার সাথী,
আর শূন্যতা আমার ঠিকানা।

★অশ্রুমুক্তিকেন প্রতিধ্বনি তোলে তোমার নাম,অন্ধকারেও জ্বলে ওঠে স্মৃতির দাবানল।প্রয়োজন নেই, তবু ছেঁকে ধরে মস্তিষ্ক,ইশ্বর,...
30/12/2024

★অশ্রুমুক্তি

কেন প্রতিধ্বনি তোলে তোমার নাম,
অন্ধকারেও জ্বলে ওঠে স্মৃতির দাবানল।
প্রয়োজন নেই, তবু ছেঁকে ধরে মস্তিষ্ক,
ইশ্বর, ছিন্ন করো এই অন্তর্গত বন্ধন।

বিশ্বাসগুলো চূর্ণ হও,
ক্ষুদ্র করে দাও ভাঙা অস্তিত্বের কণিকা।
তোমার ছায়ার কারাগারে,
আমি আর বন্দি হতে চাই না।

ডানা ছিঁড়ে গিয়েছে? তবু উড়বো,
শূন্যে নিবিষ্ট, মুক্তির শীতলতায়।
আমার হৃদয় হোক পাথরের প্রাচীর,
কোনো বেদনা তা ছুঁতে পারবে না।

হৃদয়ভূমি ধুয়ে দাও বন্যায়,
গুমরে ওঠা কান্নার সকল স্রোত মুছে ফেলি।
আমি চাই সেই শূন্যতা,
যেখানে দুঃখের ঠাঁই নেই।

তোমার স্মৃতির ভার শেকল হয়ে আসে,
তবু আমি ভাঙবো—
আমার অশ্রুমুক্ত পৃথিবীতে,
তোমার জন্য কোনো স্থান নেই।

তবু কি পূর্ণতা নেই?
এই শূন্যতার পরেও জেগে থাকে
অদৃশ্য আকাঙ্ক্ষা, এক অচেনা নক্ষত্রের পানে।
মুক্তি যদি হয় এক অন্তহীন খোঁজ,
তবে আমি খুঁজবো নিজেকে,
ভাঙবো কালের অদৃশ্য কারাগার।

চুপ থাকা বাতাসে ফোটাবো গানের সুর,
দুঃখের ছায়া ঘিরে রাখবে না আর।
পুনর্জন্ম কি নেবো আমি—
অশ্রুহীন, ব্যথাহীন, এক নতুন আলোয়।

★নির্জনতায় নিজস্বতা____বালির রেণুতে মুছে ফেলা সব স্মৃতি।গাছের পাতায় হাত রেখে বলি—মানুষ নয়, সবুজকে ছোঁয়াতেই জীবনদায়ী।রঙিন...
29/12/2024

★নির্জনতায় নিজস্বতা____

বালির রেণুতে মুছে ফেলা সব স্মৃতি।
গাছের পাতায় হাত রেখে বলি—
মানুষ নয়, সবুজকে ছোঁয়াতেই জীবনদায়ী।

রঙিন পর্দা, মানানসই বেডশীট,
এগুলোই তো এখন আমার নীরব সঙ্গী।
বন্ধুত্বের হিসাব নয়,
ক্ষতবিক্ষত হৃদয়ের বদলে
মানুষের ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া,

নিজেকে খুঁজে পাই একা থাকার ছোঁয়ায়।
মিলনের চেয়ে পিছু হটার সান্ত্বনায়।
নির্জনতা আমার প্রিয় আশ্রয়।

নিজস্ব ভূখণ্ড ঝাড়ু দিয়েছি আমি।
তারপর ধীরে ধীরে সব সাজিয়ে নেওয়া,
গাছের কাছে গিয়ে কথা বলা,
পর্দার রঙ নিয়ে স্বপ্ন দেখা,
আর রান্নার ধোঁয়ায় মুছে ফেলা পুরোনো ব্যথা।

উইকেন্ড মানে নতুন রূপে ঘর সাজানো,
বন্ধু কে?ভালোবাসা কী?
এসব প্রশ্ন অনুপস্থিত।
রান্না এখন আমার সেল্ফ কেয়ার,
ধুলাবালির সঙ্গে চলে অজস্র ভাবনার ঝড়।

মানুষ?
ওরা আর ভাবায় না আমাকে।
গাছের পাতায় দোয়েলের গান শোনা ভালো,
চুলে তেল মাখা ভালো,
জামাকাপড় গুছিয়ে রাখা ভালো।

ক্লান্ত আমি বুঝেছি অবশেষে—
বারবার পিষে যাওয়া সয়ে নেওয়ার ক্ষমতা সবার থাকে না।
নিজস্ব ভূখণ্ডই নিরাপদ,
মানুষের সাথে না মিশে থাকাই ভালো।

28/12/2024

★নিজর্ন সীমান্তে আমার সমান্তরালে
★অশ্রুমুক্তি
★অভিশপ্ত প্রত্যাশা

★হারানো ______কিছু মেঘলা ভোর,কিছু বন্ধ ঘর—যে গানগুলো আর বাজবে না।কিছু বৃষ্টি রাত,কিছু চুপচাপ চাতক—স্বপ্নেরা আজ আর সাজবে ...
28/12/2024

★হারানো ______

কিছু মেঘলা ভোর,
কিছু বন্ধ ঘর—
যে গানগুলো আর বাজবে না।
কিছু বৃষ্টি রাত,
কিছু চুপচাপ চাতক—
স্বপ্নেরা আজ আর সাজবে না।
কিছু চেনা পথ,
কিছু অচেনা ব্যথা—
যেন ফিরতি ডাক শোনা যায় না।
কিছু অবুঝ ভুল,
কিছু দীর্ঘশ্বাস
বুকের খাঁচায় আর বাঁধা পড়ে না।
কিছু গুমোট দুপুর,
কিছু বিকেল ম্লান,
হারিয়ে ফেলা বই আর পড়া হয় না।
কিছু কাঁচা রোদ,
কিছু পলক ফেলে যাওয়া—
দুজনার চোখে আর মেলে না।
কিছু ভাঙা বৃক্ষ
কিছু কুয়াশা জানালা—
সেই সুরে আর কেউ ডাকে না।
কিছু ফেলে আসা দিন,
কিছু অযথা বিনুনি—
কল্পনায় আজও কেউ আঁকে না।
কিছু ঝরা পাতা,
কিছু ভুলে যাওয়া কথা,
স্মৃতিরও খাতা তো ভরবে না।
কিছু শিকল ছেঁড়া স্বপ্ন,
কিছু রঙিন দুঃস্বপ্ন—
ইতিহাস শুধু চুপটি করে থাকবে না।
নীরবতার ছায়া
কিছু থমকে থাকা সময়,
কিছু ভুলে যাওয়া উপহার—
দরজার পাশে আর রাখা হবে না।
কিছু শুকনো ফুল,
কিছু ম্লান বইয়ের গন্ধ—
ভিজে কাগজে আর লেখা হবে না।
কিছু কাচের জানালা,
কিছু কুয়াশা জমা আকাশ
কিছু শূন্য রাস্তায়,
কিছু পদচিহ্নের রেখা
আর ছুঁয়ে যাওয়া মন ফিরে চায় না।
কিছু একলা দুপুর,
কিছু গল্পের অপূর্ণতা—
তোমার ঠোঁটে আর থেমে থাকে না।
কিছু অচেনা গান,
কিছু হারিয়ে যাওয়া সুর—
শোকার্ত ছন্দে আর বাঁধা হবে না।
কিছু গোধূলি আলো,
কিছু নুয়ে পড়া কাঁধ—
যে বোঝা কেউ আর নিতে চায় না।
কিছু আয়না ভাঙা মুখ,
কিছু চোখে জমা জল—
শোকেরও ছবি কেউ আঁকতে চায় না।
কিছু উড়ে যাওয়া স্বপ্ন,
কিছু ফিরে আসার ব্যথা—
শেষ পৃষ্ঠাটাও কেউ উল্টে দেখে না।
কিছু থেমে থাকা শব্দ,
কিছু নীরবতার ছায়া—
এক জীবনেরও গল্প ফুরাবে না।

★তুমরাই শেখাও_____আমার ক্ষত থেকে জন্ম নিক আগ্নেয়গিরির লাভা,পুড়ে যাক তোমাদের সভ্যতার সব সোনালি নকশা।তোমাদের আকাশচুম্বী ...
27/12/2024

★তুমরাই শেখাও_____

আমার ক্ষত থেকে জন্ম নিক আগ্নেয়গিরির লাভা,
পুড়ে যাক তোমাদের সভ্যতার সব সোনালি নকশা।
তোমাদের আকাশচুম্বী মিনার আমি মুছে দেবো ধুলোয়,
তোমাদের ঘড়ির কাঁটা থামিয়ে দেবো এক চিরকালীন শূন্যে।

শিখেছি আমি তোমাদের দেয়া সেই বিষাক্ত বই থেকে,
তোমাদের হাতেই তুলে দিয়েছো ক্ষতির সমস্ত ফর্মুলা।
জঞ্জালভরা সভ্যতায় আমি বয়ে আনবো দুর্যোগের বৃষ্টি,
আর কাঁদো কাঁদো চোখে তোমরা দেখবে নীরব আগুন।

শকুনেরা মদ খেয়ে উল্লাসে চিৎকার করবে তোমাদের ছাদে,
পুড়ে যাওয়া ফসলের পাশে দাঁড়াবে কেবল পোড়ামাটির শোক।
ঈগলের চোখে ঝলকাবে আমার বিদ্রোহের শেষ প্রতিচ্ছবি,
তোমাদের মিথ্যে ক্ষমতা তখনই শিখবে ভাঙার ভাষা।

আমার যন্ত্রণা দিয়েই গড়ে উঠুক শেষের নতুন পৃথিবী,
যেখানে ধ্বংসই শিখিয়ে দেবে নির্মাণের প্রথম পদক্ষেপ।
তোমাদের দেয়া ক্ষত, তোমাদের ই ইটেই ফিরবে গর্জনে,
এইবার, চুপচাপ দেখো, আমি ধ্বংসের খেলায় জিতবোই।
আমার রক্তে মিশে যাক বারুদের গন্ধ,
তোমাদের শহরের দেয়াল ভাঙবে আমার দুঃসহ কান্নায়।
চোখের শূন্যতার ভেতর আমি জ্বালিয়ে দেব আগুন,
যার ছাই থেকে উঠে আসবে এক নতুন বিষণ্ণ পৃথিবী।

যত শিকল পরিয়েছো, ভেঙে সেসব ফেলে দেবো,
তোমাদের নির্মাণ করা সভ্যতার পাথরে গড়বো বিদ্রোহের মিনার।
আমি বিস্ফোরণের শব্দ হয়ে কাঁপিয়ে দেবো প্রাসাদগুলো,
তোমাদের শান্তির মুখোশ খুলে পড়বে আগুনের আঘাতে।

আমার দুঃখের ছাই দিয়ে ঢেকে যাবে তোমাদের নীল আকাশ,
বিষাক্ত হাওয়ায় শ্বাস নিতে শিখবে তোমরা এবার।
শোকের কালিতে আমি লিখে যাবো ধ্বংসের চুক্তিপত্র,
তোমাদের আত্মতৃপ্তি আজ নিজেকেই করবে হত্যা।

আমি আগুন হবো, আমি হবো বর্জিত বিস্ফোরণ,
শতাব্দীর সঞ্চিত নীরবতা ছুঁড়ে দেবো তোমাদের বুকের পাঁজরে।
কথা দিচ্ছি, একদিন ইতিহাস বলবে-
তোমরাই শিখিয়েছিলে আমায় ধ্বংসের কবিতা লিখতে।
আমার হাড়ে জমা করা নীরবতাকে ভেঙে ফেলেছি,
এখন আর হুঙ্কার নয়— আমি গর্জন হয়ে ছড়াবো বিষ।
তোমাদের সোনালি সভ্যতার পিলারগুলো কাঁপবে,
যেখানেই হাত রাখবো, মাটি ফেটে বেরোবে আগুন।

তোমরা অস্ত্র ধরিয়েছো আমার ক্ষুধার্ত হাতের মুঠোয়,
আমার দুঃখ দিয়ে বানিয়েছো ধ্বংসের নীল নকশা।
আজ আমি ও কেবল আমিই সেই বিষণ্ণ কারিগর,
তোমাদের দেয়ালে লিখবো রক্তের গল্প।

যে চোখ দিয়েছিলে আমাকে দুঃস্বপ্ন দেখতে,
সেই চোখ পুড়িয়ে আমি হবো পাথরের চেয়ে কঠিন।
প্রতিটি ক্ষত হবে তোমাদের একেকটি কবরে পরিণত,
ভুলে যেয়ো না, মৃত্যুর সাথে আমি চুক্তি করেছি আগেই।

তোমাদের মসনদে এখন শুধুই অগ্নিশিখা বসবে,
আমার কান্না আর হাহাকার ঝরবে বারুদের বৃষ্টি হয়ে।
যেদিন পৃথিবী কাঁপবে আমার একান্ত রাগে,
সেদিন শুনতে পাবে—
তোমাদের শেখানো শোকই আমার অস্ত্র হয়ে ফিরেছে।

26/12/2024

★শেষ অঙ্গীকার______

কাটাছেঁড়া শুরু হোক, নিঃশব্দে শুয়ে থাকি,
আমারই দেহ থেকে শিরা-উপশিরার বিদ্রোহী গল্প।
চামড়া উঠে যাক, প্যারাফিনে বাঁধা হোক স্মৃতি—
আমি তো নিঃশব্দেই রেখেছিলাম মৃত্যুর প্রস্তুতি।

চোখের পাতা খোলা রেখেই তুলে নাও চোখ,
দেখে নাও পৃথিবী— কী সুন্দর তার শীতল শোক।
হাড়ে হাড়ে জমা হোক ক্লান্তির তাপ,
লাশঘরে শুয়ে কেউ কি চায় আর মুক্তি।

স্ক্যালপেল ছুঁয়ে ফেলুক সব জমে থাকা বিষ,
আমার ফুসফুসে জমা ব্যর্থতায় আজও কেউ নিঃশ্বাস নিক।
ফরমালিনে ভাসুক যত গোপন প্রতিজ্ঞা,
মস্তিষ্ক খুলে পড়ুক আমার আত্ম-অভিযুক্ত বিচার।

শেষ ঘোষণা হোক— এই লাশের খুনি আমি নিজেই।
নিজের রক্তে লেখা চিঠির কোনা ভাঁজ খুলে পড়ে,
কেউ বলুক— "হ্যাঁ, সে তো নিজের পায়ে ঠেলে গেল অন্ধকারে।"
আর আমি, ইতিহাসের টেবিলে পড়ে থাকি
মুখে মুচকি হাসি নিয়ে—
শেষ সত্যটা বলে গেছি আমি চুপিচুপি।
শেষ অঙ্গীকার।

চিরুনির দাঁতের মতো গুছিয়ে রাখা চামড়া,
নেমে আসুক মাংসের জায়গায় বিবর্ণ শূন্যতা।
আমার নীরবতাকে আজ অনুবাদ করুক ময়নাতদন্তের হাত।
জীবনের কাঁচঘর ভাঙতেই তো চেয়েছিলাম।
পোড়ামাটির মতো ভেঙে পড়ুক আমার শরীর,
মস্তিষ্ক ছিঁড়ে বের করো যত চিন্তার পোকা,
দেখো তো কোথায় জমেছে বেঁচে থাকার দংশন?
ঘাতক, বিচারক, সবটাই তো আমিই।

ঘোষণা করো এবার— আমি নিজেই করেছি বিচার,
নিজের নিঃশ্বাসে লিখেছি চরম অঙ্গীকার।

★নির্লিপ্ততার গীত_______হট্টহাসি ও বিস্ফোরণের শব্দ শুনা গিয়েছিল।অতঃপর কবির মৃত্যুর দায় কেউই নেয় নি।যারা জন্মের দায় নেয় ন...
25/12/2024

★নির্লিপ্ততার গীত_______

হট্টহাসি ও বিস্ফোরণের শব্দ শুনা গিয়েছিল।
অতঃপর কবির মৃত্যুর দায় কেউই নেয় নি।
যারা জন্মের দায় নেয় না,
তারা মৃত্যুর দায় নেবে কেন?

বুদ্ধির ঘরে অগ্নিকুণ্ড,
জিজ্ঞেস করে ঠান্ডা নল—
“শেষ ইচ্ছা কী?”
শব্দ ঝরে না ঠোঁটের পাঁপড়ি থেকে,
শুধু চোখ বলে—
"সমাধির কাতারে সুন্দর হতে চাই।"

নীরবতা দেয় একটুকরো হাসি,
মুখোশ-পরা সময়ের বিবাগী দল,
হট্টহাসি ফাটে অন্ধকারে,
তারপর বিস্ফোরণ!
পৃথিবীর বুক থেকে
আরেকটি নাম মুছে যায়—
নামহীন কবির, নামহীন মৃত্যু।

জন্মের দায় এড়ায় যারা
মৃত্যুর দায় নেবে কীসে তারা?
পাষাণের কানে স্বর হারায়
ছাইভস্মের স্তূপে কবির কথারা।

একদিন পৃথিবী পত্রিকা হয়ে
তাদের দাহে ভাসিয়ে দেবে,
আর গাছেদের শাখায় ঝুলবে প্রশ্ন—
“জন্ম নিলে কেনো?”
নির্লিপ্ততার গীত লিখে যাবে বাতাস,
আর সমাধির শূন্যতায়,
শুধু ছাই হেসে বলবে—
“কবি, সুন্দর তো আজও অসম্ভব।”

Address

Habiganj

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Unique Ziddan. posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Unique Ziddan.:

Share