Anurag Media

Anurag Media সত্য ও সুন্দরের পথে।
সাথেই থাকুন।

20/06/2025

ফটোশপ কেন শিখবো?
Adobe Photoshop শেখার অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ আছে, বিশেষ করে যদি আপনি ডিজাইন, ফটোগ্রাফি, বা অনলাইন মার্কেটিংয়ের সাথে যুক্ত হতে চান। নিচে কিছু মূল কারণ দেওয়া হলো:

---

✅ ১. ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ

গ্রাফিক ডিজাইনার, ফটোরিটাচার, ডিজিটাল মার্কেটার, মাল্টিমিডিয়া এক্সপার্ট, UI/UX ডিজাইনার ইত্যাদি পেশায় Photoshop অপরিহার্য।

Freelancing মার্কেটপ্লেসে (Fiverr, Upwork) প্রচুর চাহিদা।

---

✅ ২. ফটো এডিটিং ও রিটাচিং

পুরনো ছবিকে নতুন করে তোলা যায়।

ব্রাইটনেস, কালার, স্কিন টোন ঠিক করা যায়।

পাসপোর্ট সাইজ ছবি তৈরি, ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ, ফটো ম্যানিপুলেশন ইত্যাদি।

---

✅ ৩. কন্টেন্ট ও মার্কেটিং ডিজাইন

পোস্টার, ব্যানার, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, ইউটিউব থাম্বনেইল তৈরি।

ব্যবসার ব্র্যান্ডিং (Logo, Visiting Card, Brochure) ডিজাইন।

---

✅ ৪. পড়াশোনা ও প্রেজেন্টেশনে ব্যবহার

স্টুডেন্টদের জন্য চার্ট, ম্যাগাজিন কাভার, প্রেজেন্টেশন ডিজাইন।

---

✅ ৫. সৃজনশীলতা প্রকাশ

কল্পনা ও সৃজনশীলতা কাজে লাগিয়ে সুন্দর আর্ট তৈরি করা যায়।

Digital Art, Concept Art তৈরিতে Photoshop অসাধারণ।

---

✅ ৬. অনলাইন ইনকামের পথ খুলে যায়

নিজের ডিজাইন বিক্রি করা যায় (Shutterstock, Freepik)

ক্লায়েন্টের প্রজেক্ট নিয়ে আয় করা যায়।

---

✍️ শেষ কথা:

Photoshop একটি পাওয়ারফুল স্কিল। আপনি যদি প্রযুক্তি ও ডিজাইনের দুনিয়ায় ভালো করতে চান, Photoshop শেখা আপনাকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

---

06/06/2025
Mahmudulhassan Faruky - মাহমুদুল হাসান ফারুকী
02/06/2025

Mahmudulhassan Faruky - মাহমুদুল হাসান ফারুকী

বিশ্বায়নের যুগে সামাজিক পরিবর্তন ও নৈতিক অবক্ষয়়বিশ্বজুড়ে শিক্ষার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। বিভিন্ন সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের মধ্যে জীবিকা নির্বাহ করতে গিয়ে শুধু জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাই যথেষ্ট নয় বরং মূল্যবোধ ও চরিত্র গঠনের জন্য প্রসঙ্গভিত্তিক নৈতিক শিক্ষা অপরিহার্য। যেখানে পাঠ্যক্রমে এমন কনটেন্ট থাকা জরুরী যা বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায়়সহায়তা করে। উদাহরণস্বরূপ, টেকসই উন্নয়ন মানবাধিকার এবং পরিবেশ সচেতনতার মতো বিষয়গুলো ইসলামী নৈতিক শিক্ষাকে সংযুক্ত করে সমৃদ্ধ করা যেতে পারে।

-Mahmudulhassan Faruky - মাহমুদুল হাসান ফারুকী

Mahmudulhassan Faruky - মাহমুদুল হাসান ফারুকী
31/05/2025

Mahmudulhassan Faruky - মাহমুদুল হাসান ফারুকী

”ইসলামী নৈতিকতা শুধু ব্যক্তিগত জীবনে একজন ধার্মিক মানুষের আচরণ গঠনে সাহায্য করে না, বরং একটি ন্যায়ভিত্তিক, পারস্পরিক যত্নশীল ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে সক্রিয়ভাবে মানুষকে অংশ নিতে উৎসাহিত কর। “
-Mahmudulhassan Faruky - মাহমুদুল হাসান ফারুকী

Mahmudulhassan Faruky - মাহমুদুল হাসান ফারুকী
29/05/2025

Mahmudulhassan Faruky - মাহমুদুল হাসান ফারুকী

জিলহজ্জের প্রথম দশ দিনগুলোতে যেসব আমল করা মুস্তাহাব

১. তাওবা: তাওবা অর্থ ফিরে আসা বা প্রত্যাবর্তন করা। আল্লাহ তা‘আলার নাফরমানি থেকে ফিরে আসা, আল্লাহর হুকুমের পাবন্দি করার উপর দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা এবং অতীতের কৃত কর্মের উপর অনুতপ্ত ও লজ্জিত হয়ে তা ছেড়ে দেওয়া এবং ভবিষ্যতে আর কখনো আল্লাহর নাফরমানি না করা ও তার হুকুমের অবাধ্য না হওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্প করা। এ দিন গুলোতে তাওবা করে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করার একটি সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ تُوبُوٓاْ إِلَى ٱللَّهِ تَوۡبَةٗ نَّصُوحًا عَسَىٰ رَبُّكُمۡ أَن يُكَفِّرَ عَنكُمۡ سَيِّ‍َٔاتِكُمۡ وَيُدۡخِلَكُمۡ جَنَّٰتٖ تَجۡرِي مِن تَحۡتِهَا ٱلۡأَنۡهَٰرُ يَوۡمَ لَا يُخۡزِي ٱللَّهُ ٱلنَّبِيَّ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ مَعَهُۥۖ نُورُهُمۡ يَسۡعَىٰ بَيۡنَ أَيۡدِيهِمۡ وَبِأَيۡمَٰنِهِمۡ يَقُولُونَ رَبَّنَآ أَتۡمِمۡ لَنَا نُورَنَا وَٱغۡفِرۡ لَنَآۖ إِنَّكَ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ قَدِيرٞ ٨ ﴾ [التحريم: ٨]

‘হে মোমিনগণ! তোমরা আল্লাহর নিকট তওবা কর—বিশুদ্ধ তওবা; সম্ভবত তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের মন্দ কাজগুলো মোচন করে দেবেন এবং তোমাদের জান্নাতে প্রবেশ করাবেন যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। সে দিন আল্লাহ লজ্জা দেবেন না নবীকে এবং তার মোমিন সঙ্গীদেরকে, তাদের জ্যোতি তাদের সম্মুখে ও দক্ষিণ পার্শ্বে ধাবিত হবে। তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের জ্যোতিকে পূর্ণতা দান কর এবং আমাদেরকে ক্ষমা কর, নিশ্চয় তুমি সর্ব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।’[1]

২. ফরয ও নফল সালাতগুলো গুরুত্বের সাথে আদায় করা: অর্থাৎ ফরয ও ওয়াজিবসমূহ সময়-মত সুন্দর ও পরিপূর্ণভাবে আদায় করা, যেভাবে আদায় করেছেন প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। সকল ইবাদতসমূহ তার সুন্নত, মুস্তাহাব ও আদব সহকারে আদায় করা। ফরয সালাতগুলো সময় মত সম্পাদন করা, বেশি বেশি করে নফল সালাত আদায় করা। যেহেতু এগুলোই আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করার সর্বোত্তম মাধ্যম। সাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: তুমি বেশি বেশি সেজদা কর, কারণ তুমি এমন যে কোনো সেজদাই কর না কেন তার কারণে আল্লাহ তোমার মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন এবং তোমার গুনাহ ক্ষমা করবেন। [মুসলিম] এটা সব সময়রে জন্য প্রযোজ্য। নিয়মিত ফরয ও ওয়াজিবসমূহ আদায়ে যত্নবান হওয়া- অর্থাৎ, ফরয ও ওয়াজিবসমূহ সময়-মত সুন্দর ও পরিপূর্ণভাবে আদায় করা। যেভাবে আদায় করেছেন প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। সকল ইবাদতসমূহ তার সুন্নত, মোস্তাহাব ও আদব সহকারে আদায় করা। হাদিসে এসেছে—

عن أبي هريرة- رضى الله عنه- قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: إن الله تعالى قال: «من عادى لي وليا فقد آذنته بالحرب، وما تقرب إلي عبدي بشيء أحب إلي مما افترضته عليه، وما يزال عبدي يتقرب إلي بالنوافل حتى أحبه، فإذا أحببته كنت سمعه الذي يسمع به، وبصره الذي يبصر به، ويده التي يبطش بها، ورجله التي يمشي بها، وإن سألني لأعطينه، ولئن استعاذ بي لأعيذنه ، وما ترددت عن شيء أنا فاعله ترددي عن نفس المؤمن ، يكره الموت وأنا أكره مساءته». رواه البخاري

আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার কোনো অলির সঙ্গে শত্রুতা রাখে, আমি তার সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করি। আমার বান্দা ফরয ইবাদতের চাইতে আমার কাছে অধিক প্রিয় কোনো ইবাদত দ্বারা আমার নৈকট্য লাভ করতে পারে না। আমার বান্দা নফল ইবাদত দ্বারাই সর্বদা আমার নৈকট্য অর্জন করতে থাকে। এমনকি অবশেষে আমি তাকে আমার এমন প্রিয়পাত্র বানিয়ে নেই, আমি তার কান হয়ে যাই, যা দিয়ে সে শুনে। আমি তার চোখ হয়ে যাই, যা দিয়ে সে দেখে। আর আমিই তার হাত হয়ে যাই, যা দিয়ে সে ধরে। আমি তার পা হয়ে যাই, যা দিয়ে সে চলে। সে আমার কাছে কোনো কিছু চাইলে আমি অবশ্যই তাকে তা দান করি। আর যদি সে আমার কাছে আশ্রয় চায় আমি তাকে অবশ্যই আশ্রয় দেই। আমি যে কোনো কাজ করতে চাইলে তাতে কোনো রকম দ্বিধা করি না, যতটা দ্বিধা করি মুমিন বান্দার প্রাণ হরণে। সে মৃত্যুকে অপছন্দ করে থাকে অথচ আমি তার প্রতি কষ্টদায়ক বস্তু দিতে অপছন্দ করি।’[2]

৩. সিয়াম পালন-রোজা রাখা: যিলহজ মাসরে প্রথম দশ দিনের রোজা রাখা একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। যেহেতু অন্যান্য নেক আমলরে মধ্যে সিয়ামও অন্যতম, তাই এ দিনগুলোতে খুব যত্নসহকারে সিয়াম পালন করা।

عن حفصة- رضى الله عنها- قالت: أربع لم يكن يدعهن النبي- صلى الله عليه وسلم-: صيام عاشوراء، والعشر، وثلاثة أيام من كل شهر والركعتين قبل الغداة . رواه أحمد، والنسائي صحيح سنن أبي داود، صحيح سنن النسائي

হাফসা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো চারটি আমল পরিত্যাগ করেননি। সেগুলো হল: আশুরার সওম, যিল হজের দশ দিনের সওম, প্রত্যেক মাসে তিন দিনের সওম, ও ফযরের পূর্বের দুই রাকাত সালাত।[3]

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন,

«ما من عبد يصوم يوماً في سبيل الله إلا باعد الله بذلك اليوم وجهه عن النار سبعين خريفاً »

“যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় একদিন রোজা রাখবে, একদিনের রোজার বিনিময় তার চেহারাকে জাহান্নামের আগুন থেকে সত্তর খারিফ দূরে রাখবে”[4]।

৪. হজ ও ওমরা করা: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দুটি মর্যাদাপূর্ণ ইবাদতের জন্য উম্মতকে উৎসাহিত করেছেন। এ দুটি ইবাদতে রয়েছে পাপের কুফল থেকে আত্মার পবিত্রতা, যার মাধ্যমে মানুষ আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় ও সম্মানিত হতে পারে। তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:—

«من حج فلم يرفث ولم يفسق رجع كيوم ولدته أمه »

‘যে ব্যক্তি হজ করেছে, তাতে কোনো অশ্লীল আচরণ করেনি ও কোনো পাপে লিপ্ত হয়নি সে সে দিনের মত নিষ্পাপ হয়ে গেল, যে দিন তার মাতা তাকে প্রসব করেছে।’[5]

হাদিসে আরও এসেছে—

عن أبي هريرة- رضى الله عنه- أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «العمرة إلى العمرة كفارة لما بينهما، والحج المبرور ليس له جزاء إلا الجـنة ».

رواه البخاري ، ومسلم

আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: ‘এক ওমরাহ থেকে অন্য ওমরাহকে তার মধ্যবর্তী পাপসমূহের কাফফারা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। আর কলুষযুক্ত হজের পুরস্কার হল জান্নাত।’[6]

৫. আল্লাহর যিকির করা:

এ দিনসমূহে অন্যান্য আমলের মাঝে যিকিরের এক বিশেষ মর্যাদা রয়েছে, যেমন হাদিসে এসেছে:—

عن عبد الله بن عمر- رضى الله عنهما- عن النبى- صلى الله عليه وسلم- قال: «ما من أيام أعظم عند الله ولا أحب إليه من العمل فيهن من هذه العشر، فأكثروا فيهن من التهليل والتكبير والتحميد ».]رواه أحمد، وقال أحمد شاكر:إسناده صحيح [

আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: এ দশ দিনে [নেক] আমল করার চেয়ে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে অধিক প্রিয় ও মহান আর কোনো আমল নেই। তোমরা এ সময়ে তাহলীল [লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ] তাকবীর [আল্লাহু আকবার] তাহমীদ [আল-হামদুলিল্লাহ] বেশি করে আদায় কর।[7] আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন:—

﴿ لِّيَشۡهَدُواْ مَنَٰفِعَ لَهُمۡ وَيَذۡكُرُواْ ٱسۡمَ ٱللَّهِ فِيٓ أَيَّامٖ مَّعۡلُومَٰتٍ عَلَىٰ مَا رَزَقَهُم مِّنۢ بَهِيمَةِ ٱلۡأَنۡعَٰمِۖ ٢٨ ﴾ [الحج : ٢٨]

‘যাতে তারা তাদের কল্যাণময় স্থানগুলোতে উপস্থিত হতে পারে এবং তিনি তাদেরকে চতুষ্পদ জন্তু হতে যা রিজিক হিসেবে দান করেছেন তার উপর নির্দিষ্ট দিনসমূহে আল্লাহর নাম স্মরণ করতে পারে।’[8]

অধিকাংশ আলেম বলেছেন: এ আয়াতে নির্দিষ্ট দিন বলতে যিলহজের প্রথম দশ দিনকে নির্দেশ করা হয়েছে। এ সময়ে আল্লাহর বান্দাগণ বেশি বেশি করে আল্লাহর প্রশংসা করেন, তার পবিত্রতা বর্ণনা করেন, তার নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করেন, কুরবানির পশু যবেহ করার সময় আল্লাহর নাম ও তাকবীর উচ্চারণ করে থাকেন।

হাদিসে আছে চারটি বাক্য আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়। ১-সুবহানাল্লাহ, ২-আলহামদু লিল্লাহ, ৩-লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ৪-আল্লাহু আকবর। এ দিনগুলোতে এ যিকিরগুলো করা যেতে পারে।

৬. তাকবীর, তাহলীল ও তাহমীদ:

এ দিনগুলোতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের মহত্ত্ব ঘোষণার উদ্দেশ্যে তাকবীর পাঠ করা সুন্নত। এ তাকবীর প্রকাশ্যে ও উচ্চস্বরে মসজিদ, বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট, বাজার সহ সর্বত্র উচ্চ আওয়াজে পাঠ করা হবে। তবে মেয়েরা নিম্ন-স্বরে তাকবীর পাঠ করবে। তাকবীর হল:—

اَللهُ أَكْبَرُ، اَللهُ أَكْبَرُ، لَاإِلَهَ إِلاَّ اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ، اللهُ أَكْبَرُ وَلِلهِ الحَمْدُ

সাহাবি আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. ও আবু হুরাইরা রা. যিলহজ মাসের প্রথম দশকে বাজারে যেতেন ও তাকবীর পাঠ করতেন, লোকজনও তাদের অনুসরণ করে তাকবীর পাঠ করতেন। অর্থাৎ, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এই দুই প্রিয় সাহাবি লোকজনকে তাকবীর পাঠের কথা স্মরণ করিয়ে দিতেন।[9]

ইমাম বুখারী রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন, ইবনে ওমর ও আবূহুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহুমা এ দশ দিন তাকবীর বলতে বলতে বাজারের জন্য বের হতেন, মানুষরাও তাদের দেখে দেখে তাকবীর বলত। তিনি আরও বলেছেন, ইবনে ওমর মিনায় তার তাবুতে তাকবীর বলতেন, মসজিদের লোকেরা শুনত, অতঃপর তারা তাকবীর বলত এবং বাজারের লোকেরাও তাদের সাথে তাকবীর বলত। এক পর্যায়ে পুরো মিনা তাকবীর ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠত।

ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু এ দিনগুলোতে মিনায় তাকবীর বলতেন, প্রত্যেক সালাতের পর, বিছানায়, তাঁবুতে মজলিসে ও চলার পথে সশব্দে তাকবীর বলা মোস্তাহাব। যেহেতু ওমর, ইবনে ওমর ও আবূহুরায়রা সশব্দে তাকবীর বলেছেন।

৭. আরাফার দিন রোজা রাখা: হজ পালনকারী ছাড়া অন্যদের জন্য আরাফার দিন রোজা রাখা। আবু কাতাদাহ রা. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আরাফার দিনের রোজা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন,

«احتسب على الله أن يكفر السنة التي قبله والسنة التي بعده » .]...رواه مسلم [

আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী, ইহা পূর্ববর্তী এক বছর ও পরবর্তী এক বছররে গুনাহর কাফফারা হবে।[10]

৮. কুরবানির দিন তথা দশ তারিখের আমল:

কুরবানির দিনের ফযিলত

[১] এ দিনের একটি নাম হল ইয়াওমুল হজ্জিল আকবর বা শ্রেষ্ঠ হজের দিন। যে দিনে হাজীগণ তাদের পশু যবেহ করে হজকে পূর্ণ করেন। হাদিসে এসেছে:—

عن ابن عمر- رضى الله عنهما- أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال يوم النحر: [أي يوم هذا] ؟ قالوا: يوم النحر، قال: «هذا يوم الحج الأكبر».رواه أبو داود وصححه الألباني

ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরবানির দিন জিজ্ঞেস করলেন এটা কোনো দিন? সাহাবিগণ উত্তর দিলেন এটা ইয়াওমুন্নাহার বা কুরবানির দিন। রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: এটা হল ইয়াওমুল হজ্জিল আকবর বা শ্রেষ্ঠ হজের দিন। [আবু দাউদ: ১৯৪৫, আলবানী হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন।]

[২] কুরবানির দিনটি হল বছরের শ্রেষ্ঠ দিন। হাদিসে এসেছে—

عن عبد الله بن قرط عن النبي- صلى الله عليه وسلم- قال: «إن أعظم الأيام عند الله تبارك وتعالى: يوم النحر ثم يوم القر.» رواه أبو داود وصححه الألباني

আব্দুল্লাহ ইবনে কুরত রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: আল্লাহর নিকট দিবসসমূহের মাঝে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ দিন হল কুরবানির দিন, তারপর পরবর্তী তিনদিন।[11]

এ দিনগুলোর ব্যাপারে অনেক মুসলিমই গাফেল, অথচ অনেক আলেমের মতে নিঃর্শতভাবে এ দিনগুলো উত্তম, এমনকি আরাফার দিন থেকেও। ইবনুল কাইয়্যেম রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন: আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম দিন, নহরের দিন। আর তাই হল হজ্জে আকবারের দিন। যেমন সুনানে আবূ দাউদে রয়েছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: আল্লাহর নিকট সবচেয়ে বড় দিন হল নহরের দিন, অতঃপর মিনায় অবস্থানের দিন। অর্থাৎ এগারতম দিন। কেউ কেউ বলেছেন: আরাফার দিন তার থেকে উত্তম। কারণ, সে দিনের সিয়াম দুই বছরের গুনাহের কাফফারা। আল্লাহ আরাফার দিন যে পরিমাণ লোক জাহান্নাম থেকে মুক্ত করেন, তা অন্য কোনো দিন করেন না। আরও এ জন্যও যে, আল্লাহ তা‘আলা সে দিন বান্দার নিকটবর্তী হন এবং আরাফায় অবস্থানকারীদের নিয়ে ফেরেশতাদের সাথে গর্ব করেন। তবে প্রথম বক্তব্যই সঠিক: কারণ, হাদিস তারই প্রমাণ বহন করে, এর বিরোধী কিছু নেই। যাই হোক, উত্তম হয় আরাফার দিন নতুবা মিনার দিন, হাজী বা বাড়িতে অবস্থানকারী সবার উচিৎ সে দিনের ফযিলত অর্জন করা এবং তার মুহুর্তগুলো থেকে উপকৃত হওয়া।

৯. কুরবানি করা:

কুরবানি কাকে বলে?

কুরবানি বলা হয় ঈদুল আজহার দিনগুলোতে নির্দিষ্ট প্রকারের গৃহপালিত পশু আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের লক্ষে যবেহ করা।

ইসলামি শরিয়তে এটি ইবাদত হিসেবে সিদ্ধ, যা কোরআন, হাদিস ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্যমত্য দ্বারা প্রমাণিত। কোরআন মজীদে যেমন এসেছে:—

﴿ فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَٱنۡحَرۡ ٢ ﴾ [الكوثر: ٢]

‘তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর ও (পশু) নাহর (কুরবানি) কর।’[12]

﴿ قُلۡ إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحۡيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ١٦٢ لَا شَرِيكَ لَهُۥۖ وَبِذَٰلِكَ أُمِرۡتُ وَأَنَا۠ أَوَّلُ ٱلۡمُسۡلِمِينَ ١٦٣ ﴾ [الانعام: ١٦٢، ١٦٣]

‘বল, আমার সালাত, আমার কুরবানি, আমার জীবন ও আমার মরণ জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহরই উদ্দেশ্যে। তার কোনো শরিক নাই এবং আমি এর জন্য আদিষ্ট হয়েছি এবং আমিই প্রথম মুসলিম।’[13]

হাদিসে এসেছে:—

عن البراء بن عازب رضى الله عنه أن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «من ذبح بعد الصلاة، فقد تم نسكه، وأصاب سنة المسلمين ». [روه البخاري ومسلم]

বারা ইবনে আযিব রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে ঈদের সালাতের পর কুরবানির পশু যবেহ করল তার কুরবানি পরিপূর্ণ হল ও সে মুসলিমদের আদর্শ সঠিকভাবে পালন করল।[14]

عن أنس بن مالك -رضي الله عنه- قال: ضحى النبي صلى الله عليه وسلم بكبشين أملحين، ذبحهما بيده، وسمى وكبر، ووضع رجله على صفاحهما [رواه البخاري ومسلم] وفي لفظ البخاري أقرنين قبل أملحين.

আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ হাতে দুটি সাদা কালো বর্ণের দুম্বা কুরবানি করেছেন। তিনি বিসমিল্লাহ ও আল্লাহু আকবর বলেছেন। তিনি পা দিয়ে দুটো কাঁধের পাশ চেপে রাখেন।[15] তবে বুখারিতে ‘সাদা-কালো’ শব্দের পূর্বে ‘শিং ওয়ালা’ কথাটি উল্লেখ আছে।

References:
https://www.hadithbd.com/books/link/?id=2971
http://urlshortening.site/kUflZs

26/05/2025

Mahmudulhassan Faruky - মাহমুদুল হাসান ফারুকী

পুনর্বাসন জাতীয় কমিটির সভাপতি 🤣🤣
17/05/2025

পুনর্বাসন জাতীয় কমিটির সভাপতি 🤣🤣

পাঁচ জন মিলে বাসায় গাজার আসর বসিয়েছিল। তারমধ্যে তিনজন ছেলে আর দুইজন মেয়ে। সবাই মিলে একটা ভাড়া বাসায় গাঁজা এবং অন্যান্য ম...
17/05/2025

পাঁচ জন মিলে বাসায় গাজার আসর বসিয়েছিল। তারমধ্যে তিনজন ছেলে আর দুইজন মেয়ে।
সবাই মিলে একটা ভাড়া বাসায় গাঁজা এবং অন্যান্য মাদকদ্রব্য খাচ্ছিল।

ওই তিনজন ছেলে এবং একটা মেয়ে পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক বাকি মেয়েটাকে ইচ্ছাকৃতভাবে বেশি গাঁজা খাওয়ায়।

এতে করে ওই মেয়েটা অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং ঘুমানোর কথা বলে।

তিনটা ছেলে এবং একজন মেয়ে তখন ক্রোর হাসি হাসে, বুঝতে পারে তাদের উদ্দেশ্য হাসিল হতে যাচ্ছে।
অসুস্থ হয়ে যাওয়া মেয়েটা জানতে চায়
বিছানাটা কোনদিকে।

দুইটা ছেলে তখন মেয়েটাকে রুম দেখাতে নিয়ে যায়। তারপর মেয়েটা যখন বিছানায় বসে তখনই তাড়াহুড়ো করে ছেলেগুলো গিয়ে দরজাটা লাগিয়ে দেয়।

মেয়েটা বাঁধা দিতে চায় কিন্তু তাকে জোর করে অতিরিক্ত সেবনের করানোর কারণে কোন বাঁধা দিতে পারে না।

তারপর দরজা লাগিয়ে সবগুলো ছেলে মিলে তাকে পরপর কয়েকবার ধ*র্ষণ করে। বাইরে থেকে তখন বাকি মেয়েটা পাহারা দিচ্ছিল।

নিজ বান্ধবীকে রুমে ধ*র্ষণ করা হচ্ছে আর অন্য মেয়েটা দরজার সামনে বসে পাহারা দিচ্ছে যাতে কেউ আসলে সতর্ক করতে পারে।

যেই মেয়েটা বাইরে থেকে পাহারা দিচ্ছিল সে নারী সুরক্ষা আন্দোলনের নেত্রী মার্জিয়া প্রভা। আর ছেলেগুলো ছাত্রফ্রন্টের রায়হান আনসারি এবং সজিব তুষার।

আজকে "নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা" আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া মেয়েটাই এই মার্জিয়া প্রভা। সে আজকে এসেছে নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে।

অথচ ৩রা আগস্টেই মৌলভীবাজারের ওই বাসায় সে তার বান্ধবীর ধ*র্ষণকারীদের সাহায্য করেছিল। তার সাহায্যের কারণেই নির্মমভাবে ধ*র্ষিত হয়েছিল তার নিজ বান্ধবী।

তারপর বান্ধবীকে সবাই মিলে ব্ল্যাকমেইলও করেছিল যাতে বিষয়টা কাউকে জানাতে না পারে।

এই মার্জিয়া প্রভার নেতৃত্বে আজকের আন্দোলনে সবাই প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিয়েছে-
"আমরা সবাই বেশ্যা, বুঝে নেবো হিস্যা।"

এটাই হচ্ছে মার্জিয়া প্রভা নামক তথাকথিত নারীবাদীদের স্লোগান। এরা নারীদের সুরক্ষা দিতে এসে বেশ্যা নামক হীন শব্দ ধারণ করতে বলে।

অথচ বাচ্চা মেয়ে আছিয়া, রোজারা যখন ধ*র্ষিত হয়ে হাসপাতালের বেডে কাতরাতে কাতরাতে মারা যায় তখন এই তথাকথিত মার্জিয়া প্রভাদের পাওয়া যায় না।

ঈদে যখন গার্মেন্টসের নারীরা ৩ মাসের বেতন না পেয়ে রাস্তায় আর্তনাদ করে তখন এই তথাকথিত নারীবাদীরা মুখ লুকিয়ে থাকে।

স্বামী হারিয়ে ছোট ছোট দুধের বাচ্চা নিয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো নারীদের দুঃসময়েও এই নারীবাদীদের পাওয়া যায় না।

তাদেরকে পাওয়া যায় এজেন্ডা বাস্তবায়ন করাতে, গাঁজার আসরে বান্ধবীর ধ*র্ষণে সাহায্য করাতে।

সেই এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে এসেই ওরা আজকে নারী আন্দোলনে এসে প্ল্যান করে এই স্লোগানও দিয়েছে- "পাহাড় থেকে সেনাশাসন হটাও"

-ইব্রাহিম খলিল শাওন
সংগৃহিত

15/05/2025

জামায়াতে ইসলাম নিয়ে কর্নেল অলীর বক্তব্য

13/05/2025

এই মানুষগুলোর গাড়ির দাম দিয়েছে সরকার বা উনাদের কাজের বিকল্প ব্যবস্থা করেছে?

আইন কি শুধুই গরীব মানুষকে শোষণ আর শাষণ করার নাম?

বিএনপির দ্বীচারিতা
11/05/2025

বিএনপির দ্বীচারিতা

অবশেষে নিষিদ্ধ হলো আওয়ামী লীগ
10/05/2025

অবশেষে নিষিদ্ধ হলো আওয়ামী লীগ

Address

Habiganj

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Anurag Media posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Anurag Media:

Share

Category