ছন্নছাড়া হুদা

বাবরী মসজিদ তথা অযোধ্যা মামলায় মুসলমান পক্ষের উকিল ছিল একজন হিন্দু! কিন্তু বিস্ময়কর তার যুক্তি :ড. রাজীব ধবন একজন হিন্দু...
24/08/2025

বাবরী মসজিদ তথা অযোধ্যা মামলায় মুসলমান পক্ষের উকিল ছিল একজন হিন্দু! কিন্তু বিস্ময়কর তার যুক্তি
:
ড. রাজীব ধবন একজন হিন্দু উকিল কিন্তু ধর্ম নিরপেক্ষ ও মানবতাবাদী মানুষ। বাবরি মসজিদ ও রাম মন্দির মামলায় রামকে বিপদে ফেলে দিয়েছিলো!

অযোধ্যা-মামলার শুনানীর সময় কিছু প্রশ্ন করা হয়েছিল, যার জবাব সরকারী উকিলের কাছে ছিল না। কিছু প্রশ্ন ছিলো নিম্নরূপ:

(১) একই সময়ে দু’রকমের মানুষ কি করে হতে পারে? এক – পুচ্ছধারী, আর এক লেজবিহীন?
দু’ধরনের মানুষই মানুষের ভাষায় কথা বলে, দুইজনেরই পিতা রাজা,- এটা কি করে সম্ভব?

(২) ব্যাঙ থেকে মন্দোদরী কি করে হয়ে যায়/ কি করে জন্ম হতে পারে?

(৩) ল্যাঙটের দাগ ছাড়াতে গিয়ে কি করে অঙ্গদের জন্ম হতে পারে?
একটা পাখী কি করে মানুষের মত কাজ করতে পারে,- যেমন “গিধরাজ” – জটায়ু/গরুড়?

(৪) কোনো মানুষের দশটা মাথা হতেই পারে না। আজ পর্যন্ত ইতিহাস বা পুরাতত্ত্ব দিয়ে এটা প্রমাণ হয়নি যে কোনো মানুষের দশটা মাথা বা কুড়িটা হাত থাকতে পারে?

(৫) যে লঙ্কার কথা আপনারা বলছেন , তার নাম ইংরেজি ১৯৭২ সালে লঙ্কা হয়েছে। তার আগে ছিল সিলোন, আবার সিলোনের আগে ছিল সিংহলা, ইত্যাদি নাম ছিল। তো আসল লঙ্কা কোথায়?

(৬) একটা কলসী থেকে একটা মেয়ের জন্ম কি করে হতে পারে?
এক মাসের মধ্যে মকরধ্বজের কি করে জন্ম হতে পারে? এক মাসেই মকরধ্বজ পাতালপুরীতে চাকরি করতে লেগে গেল। এটা কি সম্ভব? যদি সম্ভব হয়, তবে প্রমাণ করুন।
একটা মাছের থেকে মানুষ কি করে জন্মাতে পারে?

(৭) ৫০০০ সাল পুরানো দ্রাবিড় ভাষা তো কেউ পড়তে পারে না। তো, ৭০০০ সাল পূর্বে অঙ্গদের ভাষা কি ছিল?
(৮) সম্রাট অশোকের কালে অযোধ্যার নাম ছিল সাকেত। অযোধ্যার পরে সাকেত, সাকেতের পরে অযোধ্যা নাম কি করে হল?
পুরাতত্ত্ব বিভাগের পক্ষ থেকে একটাও প্রমাণ যদি থাকে, তো বলুন যে রামরাজ্য ছিল!

(৯) সাত ঘোড়া নিয়ে সূর্য্য কি করে চলে? আপনার বইয়ে বলছে। যেখানে বিজ্ঞান বলছে সূর্য্য চলেই না।
রামের রাজ্যাভিষেক যখন হচ্ছিল, সুর্য্য এক মাসের জন্য থেমে গিয়েছিল,- আপনাদের বইয়ে লেখা আছে।
সূর্য্য যখন চলেই না। যদি সুর্য্য চলেই থাকে তো প্রমাণ করুন!

(১০) সূর্য্যকে হনুমান খেতে গেল, বগল দাবা করল, তো হনুমানের ‘স্পীড’ – গতি আর সাইজ কত বড় ছিল?
যে হনুমান সূর্যের আগুনে পুড়ে যেতে পারে না, সে লেজের আগুনে কি করে পুড়ে যায়?

(১১) বাল্মিকী রামায়ন বলছে যে চৈত্র-অমাবস্যায় রাবণ বধ হয়েছিল। আবার, তুলসিদাসী রামায়ণে লেখা, দশেরার দিন রাবণ বধ হয়। কোনটা সত্যি?

(১২) ৪০০০ বছর হল সোনা আবিষ্কার হয়েছে। তো, ৭০০০ বছর আগে সোনার লঙ্কা কোথা থেকে এল?
সোনার গলনাঙ্ক হল ৩০০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের চেয়ে বেশি। তা হলে বলুন— লেজের আগুন এত বেড়ে গেল কি করে?
সোনার মহল ছিল, না সোনার লঙ্কা ছিল ?
৬০০০বছর আগে সবাই চামড়ার পোষাকই পড়তো, তো ৭০০০বছর আগে রাম কি করে কাপড়ের পোষাক পড়তেন?

(১৩) ব্রহ্মার মুখ থেকে যখন ব্রাহ্মণ জন্ম নিল, তো শুধু ভারতেই কেন জন্ম নিল? ব্রহ্মা যখন ব্রহ্মান্ডই বানিয়েছেন,
তখন – চীন, আমেরিকা, ব্রিটেন, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, ইত্যাদি ইত্যাদি দুনিয়ার বাকি দেশগুলিতে কেন ব্রাহ্মণ জন্মায় নি, বা জন্মায় না? আজও কি ব্রাহ্মণ মুখ থেকেই জন্মায়, না কি জননাঙ্গ থেকে?

(১৪) ওটা কি ধরণের সফটওয়্যার ছিল, যা দিয়ে জানা যায় যে, সীতা লক্ষ্ণন-রেখা পার করলে কিছুই হবে না, কিন্তু রাবণ পার হলেই জ্বলে ওঠে?

(১৫) যে ধনুকটা রাবণ উঠাতে পারেনি, সেই ধনুক উঠাতে যে পারে সেই সীতাকে রাবণ কি করে উঠিয়ে নিল?

এমন হাজারো প্রশ্ন করা যায়৷ অযোধ্যা মামলার শুনানিতে এই রকম প্রশ্ন উঠেছে, যার জবাব সরকার পক্ষ বা প্রত্নতত্ত্ব-বিভাগ দিতে পারেনি। আপনিও জবাব দিতে পারবেন না৷ মহাকাব্যের একটি চরিত্র রাম৷ তাকে সত্য ধরে মূর্খরা যা করছে তা লজ্জাকর৷

ড. রাজীব ধবন বাবরি মসজিদ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে মুসলিম পক্ষের হয়ে যেসব যুক্তি উপস্থাপন করেছিলেন, তার মধ্যে কয়েকটি সবচেয়ে আলোচিত যুক্তি নিচে দেওয়া হলো—
:
 বাবরি মসজিদ ১৫২৮ সালে নির্মিত হওয়ার পর থেকে শত শত বছর মুসলমানরা সেখানে নামাজ আদায় করে আসছে।
 এত দীর্ঘকাল ব্যবহার ও দখলের কারণে এটি স্পষ্টতই ওয়াকফ সম্পত্তি এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের মালিকানায়।
 ব্রিটিশ আমল থেকে শুরু করে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত বাবরি মসজিদে নিয়মিত নামাজ পড়ার সরকারি দলিল, নথি ও সাক্ষ্য আদালতে তুলে ধরেন।
 ১৯৪৯ সালে রাতে মসজিদের ভেতরে গোপনে রামলালা মূর্তি স্থাপন করার আগে পর্যন্ত মসজিদ হিসেবেই ব্যবহার হচ্ছিল।
 তিনি যুক্তি দেন, “কোনো জায়গা কেবল বিশ্বাস বা পুরাণে উল্লেখ থাকার কারণে মালিকানা হয়ে যায় না।”
 আদালতে স্পষ্ট করেন যে জমির মালিকানা আইনি প্রমাণের ওপর নির্ভর করবে, কেবল ধর্মীয় বিশ্বাসে নয়।
 ১৯৪৯ সালে রামলালা মূর্তি গোপনে স্থাপনকে তিনি “অবৈধ ও ষড়যন্ত্রমূলক কাজ” হিসেবে দেখান।
 ১৯৯২ সালে মসজিদ ভাঙাকে তিনি “আইনের শাসনের চরম লঙ্ঘন” বলেন।
 তিনি যুক্তি দেন, ভারতের সংবিধান ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে আছে।
 রাষ্ট্র বা আদালত কোনো একটি ধর্মবিশ্বাসকে অন্যটির ওপরে স্থান দিতে পারে না।
 তিনি জোর দিয়ে বলেন, হিন্দু পক্ষ কোনো সময় জমির বৈধ মালিক ছিল না।
 শুধু বিশ্বাস বা জনশ্রুতি দিয়ে প্রমাণ হয় না যে, সেই স্থানে রামের জন্ম হয়েছিল।
:
দীর্ঘদিন ধরে টানা যুক্তি উপস্থাপন করার জন্য তিনি বারবার শারীরিকভাবে ক্লান্ত হলেও মামলা থেকে সরে আসেননি। হিন্দু হয়েও মুসলিম পক্ষের হয়ে দাঁড়ানোয় উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের আক্রমণ ও হুমকির শিকার হন। তাঁর যুক্তিগুলো মামলার ইতিহাসে অন্যতম সেরা আইনগত ব্যাখ্যা হিসেবে ধরা হয়। বিচারক স্বীকার করতে বাধ্য হন যে, বাবড়ি মসজিদ কোনো মন্দিরের ওপর স্থাপনের কোনো প্রমাণ মিলেনি।

03/08/2025

আবূ হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

قَبَّلَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ وَعِنْدَهُ الأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ التَّمِيمِيُّ جَالِسًا فَقَالَ الأَقْرَعُ إِنَّ لِي عَشَرَةً مِنَ الْوَلَدِ مَا قَبَّلْتُ مِنْهُمْ أَحَدًا فَنَظَرَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ مَنْ لاَ يَرْحَمُ لاَ يُرْحَمُ.

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা হাসান ইবনু আলীকে চুম্বন করেন। সে সময় তাঁর নিকট আক্‌রা’ ইবনু হাবিস তামীমী রা. বসা ছিলেন। আক্‌রা’ ইবনু হাবিস রা. বললেন : আমার দশটি পুত্র আছে, আমি তাদের কাউকেই কোন দিন চুম্বন দেইনি। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর দিকে তাকালেন। অতঃপর বললেন : যে দয়া করে না, সে দয়া পায় না।

সহীহ বুখারী, হাদীস ৫৯৯৭

আবূ যার রা. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,فَمَنْ جَعَلَ اللَّهُ أَخَاهُ تَحْتَ يَدِهِ فَلْيُطْعِم...
01/08/2025

আবূ যার রা. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

فَمَنْ جَعَلَ اللَّهُ أَخَاهُ تَحْتَ يَدِهِ فَلْيُطْعِمْهُ مِمَّا يَأْكُلُ وَلْيُلْبِسْهُ مِمَّا يَلْبَسُ ، وَلاَ يُكَلِّفُهُ مِنَ الْعَمَلِ مَا يَغْلِبُهُ فَإِنْ كَلَّفَهُ مَا يَغْلِبُهُ فَلْيُعِنْهُ عَلَيْهِ

সুতরাং আল্লাহ তা‘আলা যার ভাইকে তার অধীন করে দেন সে নিজে যা খায়, তাকেও যেন তা খাওয়ায়। সে নিজে যা পরে, তাকেও যেন তা পরায়। আর তার উপর যেন এমন কোন কাজের চাপ না দেয়, যা তার শক্তির বাইরে। আর যদি তার উপর এমন কঠিন কাজের চাপ দিতেই হয়, তাহলে সে নিজেও যেন তাকে সাহায্য করে।

সহীহ আল বুখারী, হাদীস ৬০৫০

31/07/2025

আবূ হুরাইরাহ্ রা. থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

إِذَا انْتَعَلَ أَحَدُكُمْ فَلْيَبْدَأْ بِالْيُمْنَى وَإِذَا خَلَعَ فَلْيَبْدَأْ بِالشِّمَالِ وَلْيُنْعِلْهُمَا جَمِيعًا أَوْ لِيَخْلَعْهُمَا جَمِيعًا

যখন তোমাদের কেউ জুতা পরিধান করবে, তখন প্রথমে ডান পায়ে পরিধান করবে। আর যখন খুলবে, তখন আগে বাম পায়ের জুতা খুলবে। আর হয় দুপায়ে জুতা পরবে নতুবা দুপায়ের জুতাই খুলে ফেলবে।

সহীহ মুসলিম, হাদীস ২০৯৭

পাদটীকা:
এক পা খালি আরেক পায়ে জুতা পরা যাবে না। এ হাদীসে একে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জুতা পরলে উভয় পায়েই পরতে হবে। নতুবা খালি পায়ে চলতে হবে। এটাই হাদীসের শিক্ষা।

30/07/2025

পরিবারের সদস্যদের কে শুরুতেই দায়িত্ব নিতে শেখা উচিত।

29/07/2025

“সর্বোত্তম দেশ হল সেই দেশ, যা স্বাধীন।
যেখানে জ্ঞানীরা শাসক, আর অজ্ঞতা কারাবাস নয়।
যেখানে সত্যকে কন্ঠরোধ করা যায় না,
যেখানে মানুষের মূল্য নির্ধারিত হয় তার আত্মমর্যাদায়,
না যে দাস, না যে রাজা—বরং যে মানুষ।”

দাতব্য সংস্থা ফ্রিডম ফ্লোটিলার গাজাগামী একটি জাহাজ আটকে দিয়েছে ইসরাইল। শনিবার রাতে গাজার উপকণ্ঠে পৌঁছানোর পর হান্দালা না...
28/07/2025

দাতব্য সংস্থা ফ্রিডম ফ্লোটিলার গাজাগামী একটি জাহাজ আটকে দিয়েছে ইসরাইল। শনিবার রাতে গাজার উপকণ্ঠে পৌঁছানোর পর হান্দালা নামের ওই জাহাজটি দখলে নেয় তেল আবিবের সৈন্যরা। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, জাহাজে করে ইতালি থেকে ক্ষুধার্ত গাজাবাসীর জন্য ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে এসেছিল ফিলিস্তিনপন্থী ওই দাতব্য সংস্থা। তবে তাদেরকে উপত্যকাটিতে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। বরং জাহাজে থাকা ফরাসি সংসদ সদস্যসহ সকলকে আটক করা হয়েছে। এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফ্রান্সের একটি রাজনৈতিক দল। সরকারের হস্তক্ষেপের আবেদন জানানো হয়েছে। এমন এক সময় ত্রাণবাহী জাহাজটি আটকে দেয়া হলো যখন প্রতিনিয়ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে গাজার ক্ষুধার্ত নারী ও শিশুরা।

টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, ডেকে বসে ইতালীয় ফ্যাসিবাদবিরোধী বিখ্যাত ‘বেলা চাও’ গানটিতে সুর দিচ্ছেন জাহাজের কর্মীরা। তাদেরকে ইসরাইলি সৈন্যরা একত্রিত করে বসিয়ে রেখেছে। সমুদ্রে ইসরাইলের অবরোধ ভঙ্গ করে গাজার সীমানায় প্রবেশের চেষ্টা করে হান্দালা নামের ওই জাহাজ। যেখানে মানবাধিকার কর্মীদের সংখ্যা ছিল অতি নগণ্য। সেখান থেকে লাইভ করা তিনটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যেগুলো ১ মিনিটের কম সময় পর বন্ধ হয়ে যায়। এক বিবৃতিতে দাতব্য সংস্থাটি জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক জলসীমার মধ্যেই জাহাজটিকে আটকে দিয়ে সেটি অবৈধভাবে দখল করে নেয় ইসরাইল। একটি অনলাইন ট্রাকিং সংস্থা জানিয়েছে, মিশর উপকূল থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে থাকতেই জাহাজটিকে আটকে দেয়া হয়। এসময় গাজা উপকূল থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল জাহাজটি। যদিও এই অভিযান নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি ইসরাইল। তবে আগের দিন তারা ঘোষণা করে যে তারা ‘গাজা উপত্যকার ওপর আইনগতভাবেই সামুদ্রিক নিরাপত্তা অবরোধ’ কার্যকর করবে।

আল জাজিরার এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, হান্দালায় অধিকার কর্মীর মধ্যে ১৯ জন অ্যাক্টিভিস্ট। যার মধ্যে ইউরোপের কয়েকজন রাজনীতিবিদও রয়েছেন। যাদেরকে আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে কয়েকজন ফরাসি সংসদ সদস্য রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এদের একজন ইমা ফোরেউ আর অন্যজন গ্যাব্রিয়েলে কাথালা। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আটককৃত সংসদ সদস্যদের রাজনৈতিক দল এলএফআই এর প্রধান জ-লুক মেলেনকোন। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কঠোর সমালোচনা করেছেন তিনি। এক্সের পোস্টে বলেছেন, নেতানিয়াহুর বাহিনী হান্দালা দখল করেছে। আটক করেছে ২১ জন নিরস্ত্র মানুষ। যেখান থেকে তাদের আটক করা হয়েছে সেটা আন্তর্জাতিক জলসীমা। এ বিষয়ে ফরাসি সরকারকে হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
এনজিও সংস্থাগুলো কঠিনভাবে সতর্ক করেছে, তীব্র খাদ্য সংকটে রয়েছে গাজা। জাহাজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তারা গাজাবাসীর জন্য ত্রানসামগ্রী নিয়ে উপত্যকাটির উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছিল। এখন যদি কর্মীদের আটক রাখা হয় তাহলে তারা অনশন ধর্মঘট করবে।

(দৈনিক মানবজমিন)

27/07/2025

কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনার অনুরোধ রইল।

হে আল্লাহ্ শাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা:)এর সাথীদের হারানো পেয়ালা উত্তাল তাইগ্রিস নদী থেকে যেভাবে ফিরিয়ে দিয়েছো। এই বোত...
27/07/2025

হে আল্লাহ্ শাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা:)এর সাথীদের হারানো পেয়ালা উত্তাল তাইগ্রিস নদী থেকে যেভাবে ফিরিয়ে দিয়েছো। এই বোতলে ভর্তি খাবার গুলোকে তুমি সেভাবে, গাজাবাসীর কাছে পৌঁছে দাও। আমিন.....

ফিলিস্তিনের গাজায় ক্ষুধা এখন তীব্র আকার ধারণ করেছে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে জাতিসংঘের ত্রাণ  কর্মীরাও অনাহারে জ্ঞান হার...
25/07/2025

ফিলিস্তিনের গাজায় ক্ষুধা এখন তীব্র আকার ধারণ করেছে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে জাতিসংঘের ত্রাণ কর্মীরাও অনাহারে জ্ঞান হারাচ্ছেন। একদিকে ক্ষুধার যন্ত্রণায় প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে, অন্যদিকে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনাও কার্যত ভেঙে পড়েছে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিন সহায়তা সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ- এর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বৃহস্পতিবার বলেন, এই সংকট এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, জীবন বাঁচানোর দায়িত্বে থাকা কর্মীরাও খেতে না পেরে লুটিয়ে পড়ছে। ত্রাণ ব্যবস্থা ধসে পড়ছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য গার্ডিয়ান।

এতে বলা হয়, গত চারদিনে অনাহারে অন্তত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘ ও অন্যান্য ত্রাণ সংস্থা এই সংকটের জন্য মূলত ইসরাইলি অবরোধকেই দায়ী করছে। দেশটি গাজায় ত্রাণ প্রবেশ কার্যত বন্ধ করে দিয়েছে।

লাজারিনি আরও বলেন, তার এক সহকর্মী গাজা থেকে তাকে বলেছেন, গাজার মানুষ জীবিতও নয়, মৃতও নয়- তারা জীবন্ত লাশ মাত্র। ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, জর্ডান ও মিশর সীমান্তে প্রায় ৬ হাজার ট্রাক সমপরিমাণ ত্রাণ ও ওষুধ গাজায় প্রবেশের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। লাজারিনি ইসরাইলকে আহ্বান জানিয়েছেন, যেন ত্রাণ সহায়তা নিরবচ্ছিন্ন ও অবাধ প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়। সম্প্রতি এমন সব মর্মান্তিক ছবি প্রকাশ পেয়েছে, যেখানে অনাহারে জীর্ন দেহ রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। উপত্যকাটির চিকিৎসা সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার অনাহারে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা অসুস্থ ছিলেন এবং কয়েকদিন ধরে একদম কিছুই খেতে পায়নি।

এমন পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি বড় ঘোষণা দিয়েছে ফ্রান্স। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোন জানিয়েছেন, আগামী সেপ্টেম্বরের জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে তার দেশ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই শান্তির পক্ষে ফ্রান্সের ঐতিহাসিক প্রতিশ্রুতির প্রতি অবিচল থেকে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেব।

এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র দোহায় চলমান শান্তি আলোচনা থেকে প্রতিনিধি দল ফিরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়। মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ বলেন, হামাস আলোচনায় সদিচ্ছা দেখাচ্ছে না, তাই আলোচক দলকে পরামর্শের জন্য ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন বিকল্প উপায় বিবেচনা করছে যাতে জিম্মিদের মুক্তি এবং গাজায় একটি স্থিতিশীল পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়-যদিও সে বিকল্প কী, তা তিনি খোলাসা করেননি।

এর আগে হামাস নতুন একটি প্রস্তাব পাঠায়, যা নিয়ে আশার সুর শোনা যাচ্ছিল। এমনকি বার্তা সংস্থা এপি’র এক খবরে বলা হয়, ইসরাইলের এক কর্মকর্তা ওই প্রস্তাবকে কার্যকরযোগ্য বলেও অভিহিত করেছিলেন। হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের নতুন প্রস্তাবে বন্দী বিনিময়ের সংখ্যা, গাজায় কোন সংস্থা ত্রাণ বিতরণ করবে এবং যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধ করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত। রয়টার্সকে হামাসের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রস্তাবটি সহনশীল, ইতিবাচক এবং গাজার মানুষদের দুর্ভোগ হ্রাসের বিবেচনায় প্রস্তুত করা হয়েছে।

ইসরাইলে জিম্মিদের পরিবারের সংগঠন হোস্টেজ ফ্যামিলিজ ফোরাম গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, প্রতিদিন দেরি হওয়া মানেই জিম্মিদের জীবন আরও বিপন্ন হওয়া। তাদের অবস্থান জানার বা উদ্ধার করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। বর্তমান আলোচনার ভিত্তিতে যেই যুদ্ধবিরতি চুক্তির সম্ভাবনা ছিল, তাতে ৬০ দিন যুদ্ধবিরতি থাকবে এবং এর মধ্যে হামাস ১০ জন জীবিত জিম্মি এবং ১৮ জনের মৃতদেহ ফিরিয়ে দেবে। এর বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে।

বর্তমানে গাজায় ত্রাণ বিতরণের দায়িত্বে আছে গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)- এটি একটি মার্কিন বেসরকারি সংস্থা। কিন্তু মাত্র চারটি বিতরণ কেন্দ্রে অস্ত্রধারী নিরাপত্তার মধ্যে তারা ত্রাণ বিতরণ করছে, যেটিকে মানবিক সংগঠনগুলো মৃত্যুকূপ বলে অভিহিত করছে। এই ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর থেকে হাজারের বেশি ত্রাণপ্রার্থী ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

ইসরাইল মার্চ থেকে জাতিসংঘের ত্রাণ প্রবেশ কার্যত বন্ধ করে দিয়েছে। তারা দাবি করেছে, জাতিসংঘের ত্রাণ চুরি করেছে হামাস। যদিও এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই। এখন হামাসের মূল দাবি হচ্ছে, জাতিসংঘের ত্রাণ ব্যবস্থাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা এবং যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে একে অন্তর্ভুক্ত করা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস গাজার দুর্ভিক্ষকে মানবসৃষ্ট দুর্যোগ বলে অভিহিত করেছেন।

গাজায় অনাহারে শিশুদেরে মৃত্যুর ছবি হাতে নিয়ে বুধবার হাজারো ইসরাইলি রাজধানী তেলআবিবে বিক্ষোভ করেছে। তারা গাজা অবরোধ তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। হামাস চায় চূড়ান্ত চুক্তিতে যুদ্ধের স্থায়ী অবসান নিশ্চিত করা হোক, কিন্তু ইসরাইল তাতে রাজি নয়। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারে কট্টর ডানপন্থী মন্ত্রীরা এই চুক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন এবং যুদ্ধবিরতির পর আবার হামলা শুরুর পথ খোলা রাখতেই চাইছে।

(দৈনিক মানবজমিন)

Address

Hat Naogaon

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ছন্নছাড়া হুদা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share