05/05/2024
রাসুল (স:) বলেন,
لو أنَّ ابنَ آدمَ هرب من رزقِه كما يهرُبُ من الموتِ ، لأدركه رزقُه كما يُدرِكُه الموتُ .
"মৃত্যু নিয়ে মানুষ যেমনি ভাবে উদাসীন ও গাফেল থাকে, তেমনিভাবে যদি কোন মানুষ তার রিজিকের ব্যাপারে উদাসীন বা গাফেল থাকে,(রিজিকের পিছনে হয়রান না হয়) তাহলেও তার নির্ধারিত রিজিক সে পাবেই। যেমনিভাবে নির্ধারিত সময় তার মৃত্যু হবেই।" (হাদিস খানা সহিহ্, আলবানী)
রিজিকের সর্বনিম্ন স্তর: টাকা, পয়সা, অর্থ, সম্পদ।
সর্বোচ্চ স্তর: শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা।
সর্বোত্তম স্তর: পুণ্যবান স্ত্রী ও পরিশুদ্ধ নেক সন্তান
পরিপূর্ণ স্তর: মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি।
রিজিক খুব গভীর একটি বিষয় যদি আমরা বুঝতে পারি। আমি পুরো জীবনে কত টাকা আয় করবো সেটা লিখিত, কে আমার জীবনসঙ্গী হবে সেটা লিখিত, কবে কোথায় মারা যাবো সেটা লিখিত।
আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, আমি কতগুলো দানা ভাত দুনিয়াতে খেয়ে তারপর মারা যাবো সেটা লিখিত। একটি দানাও কম না, একটিও বেশি না।
ধরেন এটা লিখিত যে আমি সারাজীবনে ১ কোটি টাকা আয় করবো, এই সিদ্ধান্ত আল্লাহ্ তায়ালা নিয়েছেন।
আমি হালাল উপায়ে আয় করবো না হারাম উপায়ে আয় করবো সেই সিদ্ধান্ত আমার।
যদি ধৈর্য ধারণ করি, আল্লাহ্ তায়ালার কাছে চাই, তাহলে হালাল উপায়ে ওই ১ কোটি আয় করেই আমি মারা যাবো, হারাম উপায়ে হলেও ওই ১ কোটিই... নাথিং মোর, নাথিং লেস!
আমি যেই ফলটি আজকে ঢাকা বসে খাচ্ছি, সেটা হয়ত ইতালি কিংবা থাইল্যান্ড থেকে ইমপোর্ট করা। ওই গাছে যখন মুকুল হয়েছে তখনই এটা নির্ধারিত যে সেটি আমার কাছে পৌঁছাবে। এর মধ্যে কত পাখি ওই ফলের উপর বসেছে, কত মানুষ এই ফলটি পাড়তে গেছে, দোকানে অনেকে এই ফলটি নেড়েচেড়ে রেখে গেছে, পছন্দ হয় নি, কিনে নি। এই সব ঘটনার কারণ একটাই, ফলটি আমার রিজিকে লিখিত। যতক্ষণ না আমি কিনতে যাচ্ছি, ততক্ষণ সেটা ওখানেই থাকবে।
এর মধ্যে আমি মারা যেতে পারতাম, অন্য কোথাও চলে যেতে পারতাম, কিন্তু না। রিজিকে যেহেতু লিখিত আমি এই ফলটি না খেয়ে মারা যাবো না।
রিজিক জিনিসটা এতোটাই শক্তিশালী!
কিংবা যেই আত্মীয় কিংবা বন্ধু-বান্ধব আমার বাসায় আসছে, সে আসলে আমার খাবার খাচ্ছে না। এটা তারই রিজিক, শুধুমাত্র আল্লাহ্ তায়ালা আমার মাধ্যমে তার কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। হতে পারে এর মধ্যে আমাদের জন্য মঙ্গল রয়েছে।
আলহামদুলিল্লাহ্...
কেউ কারওটা খাচ্ছে না, যে যার রিজিকের ভাগই খাচ্ছে।
আমরা হালাল না হারাম উপায়ে খাচ্ছি সেটা নির্ভর করছে আমি আল্লাহ্ তায়ালার উপর কতটুকু তাওয়াক্কাল আছি, কতটুকু ভরসা করে আছি।
আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের সঠিক পথ ও রিজিক এর তৌফিক দান করুন।
---------------------------------------
রিযিক বলতে আমরা সাধারণত বুঝি অর্থ সম্পদ বা খাদ্য।কিন্তু রিযিক শব্দের অর্থ আরো ব্যাপক।
রিযিক শব্দদ্বারা কি কি জিনিস বুঝায় এই বিষয়টা নিয়ে জানার চেস্টা করছিলাম। একজন আলেমকে জিজ্ঞেস করাতে তিনি খুব সহজবোধ্য সুন্দর উত্তর দিলেন। আল্লাহর দেয়া যেকোন নিয়ামত ভোগ করাই হচ্ছে আল্লাহর দেয়া পবিত্র রিযিক।
আপনি একজন ভাল দ্বীনি ভাই,বন্ধু বা আলেমের সাহচর্য পাচ্ছেন বা একটি স্নেহময় পরিবার পেয়েছেন,এটাও কিন্তু আল্লাহ প্রদত্ত রিযিক।
আমাদের সমাজে অনেকে সুদী চাকরী, অসৎ ব্যাবসা ছাড়তে পারেন না। বলেন যে, এগুলো ছাড়লে সংসার কিভাবে চলবে।তাদেরকে রিযিক আল্লাহর কাছ থেকে আসে বললে তারা ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে পারেন না। ভাবেন চাকরীটা ছাড়লেই তো রিযিক শেষ। অর্থ সম্পদ অবশ্যই আল্লাহ প্রদত্ত রিযিক।কিন্তু রিযিক জিনিসটা শুধু এতেই সীমাবদ্ধ নয়। সে সম্পদ দিয়ে আপনি কি করবেন, যে সম্পদে আল্লাহর রহমত নেই,বরকত নেই?
জনৈক ব্যাক্তি হারাম উপার্জন করতেন। তিনি অনেক বছর ধরেই নিঃসন্তান ছিলেন। কিন্তু হারাম উপার্জন ছেড়ে দেয়ার পর বছর না ঘুরতেই আল্লাহ উনাকে সন্তান দান করেন। আল্লাহু আকবার।
দেখি কুরআন এবং হাদীসে রিযিক দ্বারা কি বুঝানো হয়েছে?
কুরআন মাজীদে বিভিন্নভাবে রিযিক শব্দটি ১২৩ বার এসেছে, ফেল হিসেবে ৬১ বার এবং ইসিম হিসেবে ৬২ বার।
আর রিযিক শব্দটি কুরআন মাজীদে ৮টি অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে- যেমন-
1. الرزق- (العطاء)-
2. الرزق (الطعام)-
3. الرزق (المطر)-
4. الرزق (النفقة)-
5. الرزق (الثواب)-
6. الرزق (الجنة)-
7. الرزق (الشكر)-
8. الرزق (الفاكهة)-
১. الرزق- (العطاء)
রিযিক অর্থ: দেয়া, প্রদান করা।
যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেন-
•وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُونَ- (البقرة:3)
•أنفقوا مما رزقناكم- (البقرة:254)
২. الرزق (الطعام)
রিযিক অর্থ: খাদ্য, খাওয়ার।
যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেন-
•{كلما رزقوا منها من ثمرة رزقا} (البقرة:25)،
•{قالوا هذا الذي رزقنا من قبل} (البقرة:25)،
৩. الرزق (المطر)
রিযিক অর্থ: বৃষ্টি।
যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেন-
•{وفي السماء رزقكم وما توعدون} (الذاريات:22)،
ইবনে আশুর (র:) বলেন, উক্ত আয়াতে রিযিক বলতে বৃষ্টিকে বুঝানো হয়েছে।ইমাম
•{وما أنزل الله من السماء من رزق} (الجاثية:5)،
ইমাম ত্ববারী (র:) বলেন, উক্ত আয়াতে রিযিক বলতে বৃষ্টিকে বুঝানো হয়েছে।
৪. الرزق (النفقة)
রিযিক অর্থ: বরন পোষণ।
যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেন-
•{وعلى المولود له رزقهن وكسوتهن} (البقرة:233)،
•{وارزقوهم فيها واكسوهم} (النساء:6)،
ইমাম ত্ববারী (র:) বলেন, উক্ত আয়াতে রিযিক বলতে বরন-পোষণকে বুঝানো হয়েছে।
৫. الرزق (الثواب)
রিযিক অর্থ: সওয়াব, প্রতিদান।
যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেন-
* {بل أحياء عند ربهم يرزقون} (آل عمران:169)
* {يرزقون فيها بغير حساب} (غافر:40)،
ইমাম ইবনে কাছীর (র:) বলেন, উক্ত আয়াতে রিযিক বলতে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে সীমাহীন সওয়াব এবং প্রতিদানকে বুঝানো হয়েছে, যা কখনো শেষ হবেনা।
৬. الرزق (الجنة)
রিযিক অর্থ: জান্নাত, চির সুখের স্থান।
যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেন-
* {ورزق ربك خير وأبقى} (طه:31)،
*{وأعتدنا لها رزقا كريما} (الأحزاب:31)،
ইমাম বাগবী (র:) বলেন, উক্ত আয়াতে রিযিক বলতে জান্নাতকে বুঝানো হয়েছে।
৭. الرزق (الشكر)
রিযিক অর্থ: কৃতজ্ঞতা, শোকর।
যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেন-
* {وتجعلون رزقكم أنكم تكذبون} (الواقعة:82)،
ইমাম ত্ববারী (র:) বলেন, উক্ত আয়াতে রিযিক বলতে কৃতজ্ঞতা এবং শোকরকে বুঝানো হয়েছে।
৮. الرزق (الفاكهة)
রিযিক অর্থ: শীতকালিন ও গ্রীষ্মকালিন ফল।
যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেন-
•{وجد عندها رزقا} (آل عمران:37)،
অনেক মুফাসসীর সাহাবী এবং তাবেয়ীর মতে উক্ত আয়াতে রিযিক বলতে শীতকালিন ও গ্রীষ্মকালিন বিভিন্ন ফলকে বুঝানো হয়েছে।
রিযিকের চাবিকাঠি এবং রিযিক বৃদ্ধির কিছু উপায়
১ - ঈমান.
মহান আল্লাহ ﷻ বলেন:
وَلَوْ أَنَّ أَهْلَ ٱلْقُرَىٰٓ ءَامَنُوا۟ وَٱتَّقَوْا۟ لَفَتَحْنَا عَلَيْهِم بَرَكَٰتٍ مِّنَ ٱلسَّمَآءِ وَٱلْأَرْضِ وَلَٰكِن كَذَّبُوا۟ فَأَخَذْنَٰهُم بِمَا كَانُوا۟ يَكْسِبُونَ.
আর যদি জনপদের অধিবাসীবৃন্দ ঈমান আনতো ও তাকওয়া অবলম্বন করতো, তাহলে তাদের জন্য আমি আকাশমনণ্ডলী ও পৃথিবীর কল্যাণ-দ্বার উন্মুক্ত করে দিতাম» [সূরা আরাফ :৯৬] ..
২ - তাকওয়া অবলম্বন করা. (আল্লাহকে ভয় করে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা)
মহান আল্লাহ ﷻ বলেন:
وَمَن يَتَّقِ ٱللَّهَ يَجْعَل لَّهُۥ مَخْرَجًا--- وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُۚ وَمَن يَتَوَكَّلْ عَلَى ٱللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُۥٓۚ إِنَّ ٱللَّهَ بَٰلِغُ أَمْرِهِۦۚ قَدْ جَعَلَ ٱللَّهُ لِكُلِّ شَىْءٍ قَدْرًا.
আর যে কেউ আল্লাহকে ভয় করবে, আল্লাহ তার নিষ্কৃতির পথ করে দেবেন» [সূরা তালাক : ২-৩] ..
৩ - তাওয়াক্কুল বা আল্লাহর উপর ভরসা করা.
হযরত উমর রাদি. থেকে বর্ণিত, আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ -কে বলতে শুনেছি:
لَوْ أَنَّكُمْ تَوَكَّلْتُمْ عَلَى اللَّهِ حَقَّ تَوَكُّلِهِ لَرَزَقَكُمْ كَمَا يَرْزُقُ الطَّيْرَ تَغْدُو خِمَاصًا وَتَرُوحُ بِطَانًا.
যদি তোমারা যথার্থই আল্লাহর উপর ভরসা করতে, তাহলে তিনি অবশ্যই তোমাদেরকে পাখির মত রিযিক দান করতেন। ভোরবেলা পাখিরা খালিপেটে (বাসা থেকে) বের হয়ে যায় এবং সন্ধ্যাবেলা উদর পূর্তি করে (বাসায়) ফিরে আসে» [সুনানে তিরমিযী, হাদীস সহীহ]. ..
৪ - কৃতজ্ঞতা বা শুকরিয়া জ্ঞাপন করা.
মহান আল্লাহ বলেন: وَإِذْ تَأَذَّنَ رَبُّكُمْ لَئِن شَكَرْتُمْ لَأَزِيدَنَّكُمْۖ وَلَئِن كَفَرْتُمْ إِنَّ عَذَابِى لَشَدِيدٌ.
যখন তোমাদের প্রতিপালক ঘোষণা করেছিলেন, তোমরা কৃতজ্ঞ হলে তোমাদেরকে অবশ্যই অধিক দান করব, আর অকৃতজ্ঞ হলে অবশ্যই আমার শাস্তি হবে কঠোর» [সূরা ইবরাহীম : ৭]. ..
৫ - আল্লাহর নিকটে বেশী বেশী ইসতিগফার ও ক্ষমা প্রার্থণা করা.
মহান আল্লাহ ﷻ বলেন:
فَقُلْتُ ٱسْتَغْفِرُوا۟ رَبَّكُمْ إِنَّهُۥ كَانَ غَفَّارًا --- يُرْسِلِ ٱلسَّمَآءَ عَلَيْكُم مِّدْرَارًا --- وَيُمْدِدْكُم بِأَمْوَٰلٍ وَبَنِينَ وَيَجْعَل لَّكُمْ جَنَّٰتٍ وَيَجْعَل لَّكُمْ أَنْهَٰرًا.
অতঃপর আমি বললাম, ‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করো, নিশ্চয় তিনি মহা ক্ষমাশীল --- তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত করবেন। --- তিনি তোমাদেরকে ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দ্বারা সমৃদ্ধ করবেন এবং তোমাদের জন্য স্থাপন করবেন বহু বাগান ও প্রবাহিত করবেন নদী-নালা» [সূরা নূহ : ১০-১৩]. ..
৬ - আত্মীয়তার সম্পর্ক দৃঢ় করা.
হযরত আনাস ইবনে মালিক রাদি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল ﷺ-কে বলতে শুনেছি:
مَنْ سَرَّهُ أَنْ يُبْسَطَ لَهُ رِزْقُهُ أَوْ يُنْسَأَ لَهُ فِي أَثَرِهِ فَلْيَصِلْ رَحِمَهُ "
যে ব্যক্তি পছন্দ করে যে, তার জীবিকা বৃদ্ধি হোক অথবা তাঁর মৃত্যুর পরে সুনাম থাকুক, তবে সে যেন আত্মীয়ের সঙ্গে সদাচরণ করে” [সহিহ বুখারী]. ..
৭ - বিয়ে করা.
মহান আল্লাহ বলেন:
وَأَنكِحُوا۟ ٱلْأَيَٰمَىٰ مِنكُمْ وَٱلصَّٰلِحِينَ مِنْ عِبَادِكُمْ وَإِمَآئِكُمْۚ إِن يَكُونُوا۟ فُقَرَآءَ يُغْنِهِمُ ٱللَّهُ مِن فَضْلِهِۦۗ وَٱللَّهُ وَٰسِعٌ عَلِيمٌ.
তোমাদের মধ্যে যাদের স্বামী-স্ত্রী নেই, তাদের বিবাহ দাও এবং তোমাদের দাস-দাসীদের মধ্যে যারা সৎ, তাদেরও। তারা অভাবগ্রস্ত হলে, আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ» [সূরা নূর :৩২]. ..
৮ - দান-সদকাহ করা.
মহান আল্লাহ ﷻ বলেন:
قُلْ إِنَّ رَبِّى يَبْسُطُ ٱلرِّزْقَ لِمَن يَشَآءُ مِنْ عِبَادِهِۦ وَيَقْدِرُ لَهُۥۚ وَمَآ أَنفَقْتُم مِّن شَىْءٍ فَهُوَ يُخْلِفُهُۥۖ وَهُوَ خَيْرُ ٱلرَّٰزِقِينَ
বলো, ‘আমার প্রতিপালক তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা তার জীবিকা বর্ধিত করেন অথবা সীমিত করেন। তোমরা যা কিছু ব্যয় করবে তিনি তার বিনিময় দেবেন। আর তিনিই শ্রেষ্ঠ জীবিকাদাতা» [সূরা সাবা : ৩৯]. ..
৯ - দূর্বল-অসহায়দের প্রতি সহানুভূতি দেখানো.
নবীজি ﷺ বলেন:
هَلْ تُنْصَرُوْنَ وَتُرْزَقُوْنَ إِلَّا بِضُعَفَائِكُمْ.
তোমরা দুর্বলদের (দু‘আয়) ওয়াসীলায়ই সাহায্য প্রাপ্ত ও রিয্ক প্রাপ্ত হচ্ছ» [সহিহ বুখারী]. ..
১০ - হিজরত করা.
মহান আল্লাহ ﷻ বলেন:
وَمَن يُهَاجِرْ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ يَجِدْ فِى ٱلْأَرْضِ مُرَٰغَمًا كَثِيرًا وَسَعَةًۚ.
আর যে কেউ আল্লাহর পথে দেশ ত্যাগ করবে, সে পৃথিবীতে বহু আশ্রয়স্থল ও প্রাচুর্য লাভ করবে» [সূরা নিসা :১০০]
@রিযিক সম্পর্কীয় কিছু হাদীস@
•عبدالله بن عمرو بن العاص رضي الله عنهما، قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: ((كتب الله مقادير الخلائق قبل أن يخلق السماوات والأرض بخمسين ألف سنةٍ، قال: وعرشه على الماء))؛ (مسلم حديث 2653
•عبدالله بن مسعود رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو الصادق المصدوق: ((إن أحدَكم يُجمَع خلقه في بطن أمه أربعين يومًا، ثم يكون علقةً مثل ذلك، ثم يكون مضغةً مثل ذلك، ثم يبعث الله ملَكًا فيؤمر بأربع كلماتٍ، ويقال له: اكتُبْ عمله ورزقه وأجله، وشقي أو سعيد، ثم ينفخ فيه الروح، فإن الرجل منكم ليعمل حتى ما يكون بينه وبين الجنة إلا ذراع فيسبق عليه كتابه فيعمل بعمل أهل النار، ويعمل حتى ما يكون بينه وبين النار إلا ذراع فيسبق عليه الكتاب فيعمل بعمل أهل الجنة))؛ (البخاري حديث 3208/ مسلم حديث 2643
•عن أبي أمامة الباهلي رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ((إن رُوح القدس (أي جبريل) نفَث (ألقى) في رُوعي (قلبي) أن نفسًا لن تموتَ حتى تستكمل أجلها، وتستوعب رزقها؛ فأجملوا في الطلبِ، ولا يحملَنَّ أحدَكم استبطاءُ الرزق أن يطلبه بمعصيةٍ؛ فإن اللهَ لا ينال ما عنده إلا بطاعته))؛ (حديث صحيح) (صحيح الجامع للألباني حديث: 2085
• عن أبي الدرداء رضي الله عنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: ((إن الرِّزقَ ليطلُب العبدَ أكثرَ مما يطلبه أجله))؛ (حديث حسن) (صحيح الجامع للألباني - حديث 1630
•عن جابر بن عبدالله رضي الله عنهما: أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: ((لا تستبطئوا الرزقَ؛ فإنه لم يكن عبد ليموتَ حتى يبلغه آخرُ رزقٍ هو له؛ فاتقوا الله وأجمِلوا في الطلب: أخذ الحلال، وترك الحرام))؛ (حديث صحيح) (صحيح الجامع -للألباني - حديث: 7323
•عن عبدالله بن مسعود رضي الله عنه، قال: أضاف النبيُّ صلى الله عليه وسلم ضيفًا، فأرسل إلى أزواجه يبتغي عندهن طعامًا، فلم يجد عند واحدةٍ منهن، فقال: ((اللهم إني أسألك مِن فضلك ورحمتك؛ فإنه لا يملِكُها إلا أنت))، قال: فأُهديَ إليه شاة مَصْليَّة (أي مشوية)، فقال: ((هذه مِن فضل الله، ونحن ننتظر الرحمة))؛ (حديث صحيح) (السلسلة الصحيحة للألباني - جـ 4 -صـ 57- حديث 1543
(Collected)