
27/11/2024
রিহ্যাব নিয়ে খুব লিখতে ইচ্ছে করে।
সবাই ভাবে রিহ্যাবে শুধু নেশাগ্রস্ত লোকেই যায়।
এই ধারণা কতটা ভুল,আমি রিহ্যাবে না গেলে জানতাম না।
আমার সঙ্গে কোথাও গেলেই সবাই কেন জানি কথা বলতে চলে আসে, জানি না হয়তো আমার চেহারা এমন।
তো একটা মেয়ে নাম জয়ন্তী, তাঁর বর তাকে রিহ্যাবে দিয়ে গিয়েছে,ওর বর একটা বায়িং হাউজে জব করে,সে নারী আসক্ত।তাই ওকে মেরে এখানে রেখে গিয়েছে।
দুই বছর সে এই আপন রিহ্যাবে। এদের দরকার টাকা,ওর বর টাকা দেয়,ওকে ওষুধ খাইয়ে পাগল বানিয়ে রেখেছে,ওর বাবা নাই,মা ভাইদের সঙ্গে ফ্রান্স থাকে।
আরেকজনের সঙ্গে কথা হয়েছে সেই মেয়ের বাবা,মা কেউই নাই।এক ভাই এক বোন।ও ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি থেকে MBA করা।ওর ভাই ওকে সম্পত্তির জন্য এই রিহ্যাবে রেখে গিয়েছে।এত সুন্দর করে কথা বলে মেয়েটা।
আমাকে শুধু বলেছিলো,আপু আপনার বাবার,দাদাদের এত ক্ষমতা আমাকে বের করে দেন। আমি চাকরি করে আপনার টাকা শোধ করে দিব।
আরেকটা মেয়ে ছিল পরীর মতো সুন্দর।ও মাত্র ইন্টারে পড়ে,এই রিহ্যাবের এক লোক ওকে ধর্ষণ ও করে যাচ্ছে।কি যেনো বলেছিলো নাম টা।
আমি যখন চলে আসব, বারবার কান্না করে বলেছিলো,আপু আমাকে নিয়ে যান। আমি আপনার বাসার কাজের মেয়ে হয়ে থাকব।
ওর মা সৎ মা।মুগদা বাসা।
এখন এতো ক্রাইম রিহ্যাব, বৃদ্ধাশ্রম গুলোতে। যতক্ষন না মিডিয়ায় আসবে ততক্ষন কেউই এইসব বন্ধ করতে পারবে না।
আমি এমনেই নিজের পরিবারের সবার জীবন নিয়ে বাঁচতেছি না।
বাচ্চা একটা মেয়েকে ধর্ষণ করে যাচ্ছে।আমরা কিছু করতে পারতেছি না।
আমি আব্বুকে বলছি, আব্বু বলে তুই নিজে বাঁচ মা।আর কোনো ক্রাইম এর বিরুদ্ধে লিখিস না।
মানুষ কতো খারাপ হয়। সবাই নিজে বাঁচতে চায়।কেউই অন্যকে সাহায্য করতে চায় না। ফেসবুকে হুজুর সেজে স্ট্যাটাস দেয় অথচ এরাই ধর্ষণ করে বেশি।
এই মেয়েটাকে কেউ যদি বাঁচাতে পারতো?
আপন রিহ্যাব শ্যামলী।
আমার কেন জানি মনে হচ্ছে সবই আল্লাহর ইচ্ছা।ওনি আমাকে রিহ্যাব পর্যন্ত নিয়েছে এই ক্রাইম গুলো দেখাতে।
কবে না জানি, খুন হয়ে যাই।
আমি অলরেডি তিনটা কেইস করেছি। নড়িয়া থানা, শরীয়তপুর একটা, যাত্রাবাড়ী থানায়1860,Rab 3 শাহজাহানপুর একটা।
শুধু যাত্রাবাড়ী থানার কেইস নাম্বার জানি।১৮৬০ কেইস নাম্বার।
আমাকে রিহ্যাবে দিয়েছিলো আমার কাজিন, আমার বাবা সেজে, ফোন করে।
আমাদের পরিবার এত বিশাল লোকেরা বুঝে নাই,টাকার জন্য নিয়ে গিয়েছে।
গত ৩/১১/২০২৪ রিহ্যাবের লোকেরা আমাকে যাত্রাবাড়ী থেকে তুলে নিয়ে যায়।
৫/১১/২০২৪ আমার স্বামী আর বাবা আমাকে গিয়ে নিয়ে আসে।
আমি অন্ত্বঃসত্ত্বা তিন মাসের। বুঝতে পারছেন আমার অবস্থা।
লিখেছেন : hafizaa afroz bablee from dse group.
পোস্ট টি বেশী বেশী শেয়ারে অনেকেই রিহ্যাবের আসল চেহেরা সবার নজরে আসবে। ব্যাপার টা নিয়ে মানুষ ভাববে৷
https://www.facebook.com/m.a.hakimukil1?mibextid=ZbWKwL