09/04/2025
ধন্যবাদ 💙
দীর্ঘ ত্যাগ,তিতিক্ষা ও প্রচেষ্টার পর তীব্র নদী ভাঙনপ্রবণ আমার জন্মভূমি দ্বীপ হাতিয়ার যুগ যুগ ধরে বঞ্চিত ও শোষিত জনগণের জন্য একটি সুখবর নিয়ে আসতে পেরেছি।এতে সাধারণ জনগণের ভূমি হারানোর দুঃখ কষ্ট অনেকাংশেই লাঘব হবে,ইনশাআল্লাহ।
অতিদ্রুত বর্ষার পূর্বেই হাতিয়ার ৪ টি ইউনিয়নের মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় জিওব্যাগ ও সিমেন্টব্যাগ পেলে হাতিয়ার ভূমি রক্ষার জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে জরুরী ভিত্তিতে ৮ কোটি টাকার স্পেশাল বরাদ্দ আনতে সক্ষম হয়েছি।বর্ষায় পূর্বেই কাজগুলো বাস্তবায়ন করা হবে,ইনশাআল্লাহ।
হাতিয়ার ইতিহাসে প্রথমবারের মত নদীভাঙনের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য গত ফেব্রুয়ারী মাসে হাতিয়ার ৭ টি জায়গায় গণশুনানির আয়োজন করে সরাসরি জনম দুঃখী জনগণের কথা শুনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ম্যামকে অনুরোধ করেছিলাম।পরবর্তীতে আমার হাতিয়ার যুগ যুগ ধরে বঞ্চিত জনগণের চাহিদা অনুযায়ী নোটশীট রেডি করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের টপ টু বটম প্রতিটি অফিসে যোগাযোগ করে কাজটি বাস্তবায়ন করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে গিয়েছিলাম।
আপাতত এই ৪ টি স্পট ছাড়াও আরো ১২ টি স্পটে জরুরী ভিত্তিতে জিওব্যাগ পেলে হাতিয়ার ভূমিগুলো রক্ষা করা হবে,ইনশাআল্লাহ।খুব দ্রুতই এই কাজগুলোও বাস্তবায়ন করা হবে।
হাতিয়াতে স্থায়ী ব্লকবাদ তৈরি করে নদীভাঙন রোধের জন্য ইতোমধ্যে DPP রেডি করা হয়েছে।অতি দ্রুতই যেন স্থায়ী ব্লকবাদ নির্মাণের প্রজেক্টটি চূড়ান্ত করা যায়,সে প্রচেষ্টা চলমান রাখছি।এই প্রজেক্টটি বিগত ৫ বছর ধরে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আটকে আছে।
উল্লেখ্য যে,বিগত ১০ বছরে কেবল নলচিরা ইউনিয়নে নলচিরা ঘাটে ২৫০ মিটার জিওব্যাগ ও চরঈশ্বরের বাংলাবাজারে অল্পকিছু জিওব্যাগ ডাম্পিং করা ছাড়া হাতিয়াতে কোন Protective work এর কাজ বাস্তবায়ন হয়নি।
আমার দ্বীপ হাতিয়াবাসী নদী ভাঙন থেকে স্থায়ীভাবে যেন মুক্তি পায়,সেজন্য আমার প্রচেষ্টা ও লড়াই জারি থাকবে,ইনশাআল্লাহ।
সকলের দোয়াপ্রার্থী।
কথা দিয়েছিলাম সুখবর নিয়ে আসবো।
আনন্দ মিছিলের প্রস্তুতি নিন।❣️